নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টপ সুসাইড!! (Repost for Public Interest)

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯





মাহবুব রেল লাইনে শুয়ে শুয়ে যে স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন তা ছিল এরূপ, “বন্ধুরা, আমি এমন একটা অপরাধ করতে যাচ্ছি যা আমার পরিবার, আইন ও ধর্মের বিরুদ্ধে। আমি রেল লাইনের ওপর শুয়ে আছি, ট্রেন আসছে... ... বিদায়, বিদায় চিরতরে। মহান আল্লাহ্‌ তোমাদের সবার মঙ্গল করুণ”।





এইতো কিছুদিন আগে, একটা গল্প লিখলাম, "অ্যা সুসাইড নোট", অনেকটা সিনেমাটিক। কিন্তু পুরো ঘটনা আমার শৈশবে দেখা এক ঘটনা থেকে নেয়া। গত পরশুদিন রাতে, আমার ছোট ভাই অফিস থেকে বাসায় এসে আমাকে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটা নিউজ দেখালো। ইতোমধ্যে আপনারা সবাই হয়ত নিউজটা জেনেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১২ সালে “ভূগোল ও পরিবেশ” বিভাগ হতে মাস্টার্স শেষ করা ছাত্র মাহবুব শাহীন রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের নীচে নিজ দেহ বিলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।



ছেলেটি পুরো সিনেমাটিক স্টাইলে আত্মহত্যা করেছে, কিন্তু কথা হচ্ছে একজন সম্ভাবনাময় তরুন যুবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ছেলেটি এইচএসসি’তে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে ঢাকা কলেজের স্টুডেন্ট ছিল। ফেসবুকে ও আরও অনেকের মত সে ও আমার ছোট ভাইয়ের ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল। ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস আমার ভাইও দেখেছিল। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে পারে নাই সে সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।



খবরটা শুনেই আমার কান্না চলে আসলো, ছোট ভাই এর সামনে কাঁদতেও পারছিলাম না। উফ কেন এমন হয়। মাহবুব তার এই আত্মহত্যা’র সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন ব্যাখ্যা করেছেন তার স্ট্যাটাসে, “এই হতচ্ছাড়া নিজেকে দূরে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে, যে অপদার্থ কি না শুধু খেতেই জানে। আমি একটা কমেন্টে লিখেছিলাম, আমার যেতে হবে। তারপর তোমাদের কেউ একজন জানতে চেয়েছে, কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছ? আমি জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু আমি যাচ্ছি। এই অকর্মা নিজেকে ছেড়ে যাচ্ছে।”



উফ কি কষ্ট! একটা ছেলের বুকের এই আর্তনাদ কি তার আশেপাশে থাকা কেউ একজনও শুনতে পায় নাই। ছেলেটি কি প্রচণ্ড কষ্ট আর অভিমান থেকে সুসাইড নোটে লিখেছে, “ঐ টাকা যেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার লাশ দাফনের জন্য ব্যয় করা হয়”। মাহবুবরা কেন এমন করে চলে যায়। যে ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছে, যে ছেলে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি টুরিস্ট সোসাইটি’র দুবার সহসভাপতি ছিল, এমন প্রাণোচ্ছল একটি ছেলে কি একদিনের হঠাৎ ক্ষোভ, ক্লান্তি, গ্লানি, অভিমান থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? অবশ্যই না। কি পরিমাণ অপমান, হেনস্তা এবং পরাজিত হলে এমন একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ভেবে দেখবেন কি?



আমার খুব কাছের এক আত্মীয় আত্মহত্যা করেছিল মাত্র ২০ বছর বয়সে। আমি তাকে ক্লাস এইটে থাকাকালে প্রাইভেট পড়িয়েছি প্রায় এক বছর। ছেলেটা আর দশটা অন্যান্য ছেলেদের মত স্বাভাবিক ছিল না, কিন্তু অস্বাভাবিকও ছিল না। সে একটু আলাদা, একরোখা, জেদী, বেয়ারা টাইপের ছিল। তার মা তাকে প্রচুর মারত, কথা শোনাত, আমি নিজে মাঝে মাঝে উনাকে আটকাতাম। তো সে ছেলে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বড় হওয়ার সময়টায় কি হয়েছিল কেউ জানে না। একদিন বিকেল বেলা সবার সাথে নাশতা করে সে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। রাতে খাবার সময় তাকে ডাকতে গেলে কোন সারা না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখলে দেখতে পায় পাখার সাথে দড়িতে ঝুলে আছে। উফ কি কষ্ট!



আমাদের সমাজে একটি কমন ঘটনা আছে, কেউ আত্মহত্যা করলে প্রথমেই আলোচনায় আসে ছেলেটি অথবা মেয়েটি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এ কাজ করেছে। কিন্তু আজ মাহবুব এর মত ঘটনাগুলো সামনে আসছে। অপার সম্ভাবনাময় একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। কিন্তু কেন? আগে শুনতাম পশ্চিমা বিশ্বে অনেক আত্মহত্যা হয়। এখন আমাদের সমাজে হচ্ছে। কারণ সামাজিক বন্ধনগুলো ঢিলে হয়ে গেছে।



জিপিএ ফাইভ, গোল্ডেন এ প্লাস, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ-এমবিএ। স্মার্ট ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, আইপড। গার্ল ফ্রেন্ড, গাড়ী, ৩৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটবাড়ী। হাই সেলারি, মানিব্যাগ ভারী। আপনি খুশী, সবাই খুশী। এই রেসে আপনি হেরে গেলেন তো সবই গেল। এই যান্ত্রিক জীবনের ছুটে চলায় হাট ফস্কালেই সব শেষ! পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে আপনি হয়ে যাবেন হেরে যাওয়া একজন। ছোটবেলা থেকে আমাদের শুনতে হয় উমুকের ছেলেমেয়ে এটা করেছে, তুমি কি কর? হ্যাঁ, আমি একজন ফেইলর। কিন্তু সবাইকে জিততে হবে কেন? হেরে যাওয়াদের কেন জায়গা হবে না? সমাজে নয়, আপনজনদের হৃদয়ের মনি কোঠায়?



আমার এক ফ্রেন্ড, যে গ্রাজুয়েশন শেষে ক্যারিয়ার নিয়ে দিশেহারা, প্রচণ্ড মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে গ্রাজুয়েশন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সে যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন তার ব্রেইন টিউমার বা এই জাতীয় একটা সমস্যা হয়। বাসায় কাউকে জানায় নাই, জানাবে কীভাবে? বাসা থেকে প্রতিদিন শুনতে হয়, ‘এতো বড় ধাড়ী ছেলে, হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে সারাদিন। নিকম্মা কোথাকার”! কি নিষ্ঠুর আমরা! আরেকজনের কথা জানি, মাস্টার্স পাশ করে কোথাও চাকুরী না পেয়ে এক অফিসে পিয়নের চাকরি করত। বাসায় বলত একাউণ্টেণ্ট! কি করবে সমাজ সংসার যে হেরে যাওয়াদের মেনে নেয় না। আমি আমার কোন এক লেখায় আমার এক স্টুডেন্ট এর কথা লিখছিলাম, যে কিনা এসএসসি’র রেজাল্টের আগে দড়ি এবং বিষ যোগাড় করে রেখেছিল। কি প্রচণ্ড পারিবারিক এবং সামাজিক চাপ থাকলে একটা কিশোর বা কিশোরী এই কাজ করতে পারে একবার চিন্তা করে দেখেছেন কি?



আমার এই লেখা পরে নিশ্চয়ই আপনি বিরক্ত হচ্ছেন? যারা আত্মহত্যা করছে তাদের দোষারোপ করছেন? কিন্তু একবার ভেবে দেখুন মানসিক চাপ যখন মৃত্যুর চেয়ে তীব্রতর হয়ে যায় তখনি একজন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা আমার কথা না, মনোবিজ্ঞানের কথা। একটি মানুষ যখন আগত দিনে তার জন্য অপেক্ষমান একটিও সম্ভাবনার দুয়ার খোলা দেখতে পায় না তখনই সে এই সিদ্ধান্ত নেয়। হয়ত সবাই পারে না, কেউ কেউ বেঁচে থেকে প্রতিদিন মরে।



আমি আজ যে কথাটি বলতে চাই, দয়া করে আপনার কাছের মানুষগুলোর সাথে আন্তরিকাতা বৃদ্ধি করেন। প্রতিটি মানুষেরই একটি নির্ভরতার জায়গা থাকতে হয়, যেখানে সে সব কিছু শেয়ার করতে পারে। আপনি, আমি কেন আমাদের আপনজনদের সেই নির্ভরতার জায়গা হতে পারবো না। সেই নির্ভরতার জায়গা, যে জায়গায় হতে মাহবুবদের মত মানুষগুলোকে বুকে জড়িয়ে আশ্বাস দেয়া হবে, ভরসা দেয়া হবে, নাথিং টু লুজ। কেননা, ‘... বল সব মানুষ কি পারে? কেউ জেতে, কেউতো হারে...’।



আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমার আশেপাশের প্রতিটি কাছের মানুষকে আরও আন্তরিকতার সাথে আপন করে নিব। যাতে করে সে তার মনে যে কোন কষ্ট-বেদনা, পাওয়া-না পাওয়ার কথা অকপটে শেয়ার করতে পারবে। মাহবুবের স্ট্যাটাস পড়ার পর কেউ যদি তাকে কাউন্সেলিং করতে পারত, হয়ত মাহবুব বেঁচে যেত। হয়ত আমার সেই আত্মীয় ছেলেটি বেঁচে যেত। আজকের সমাজে আমরা কেউ কাউকে ভরসা করতে পারি না, আপন ভেবে মনের সব কথা উজাড় করে বলতে পারি না। এমন কি আপন মা-বাবা, ভাইবোন কে না। স্ত্রী-সন্তানকে না। খুব কাছের বন্ধুটিকে পর্যন্ত না। তাই আসুন আমাদের কাছের মানুষটাকে আরেকটু জানি, আরেকটু কেয়ারিং এন্ড শেয়ারিং বৃদ্ধি করি; যাতে করে আর কোন মাহবুবকে একবুক কষ্ট নিয়ে চলে জেতে হয় এই পৃথিবী থেকে। আপনার একটু হাসিমুখে কথা অথবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া, একটু মানসিক সাপোর্ট, একটু ভরসা দেয়া হয়ত আপনারই কাছের প্রিয় মানুষটিকে এই অপ্রিয় সিদ্ধান্ত হতে বাঁচাতে পারে। আর তাই আসুন বিশ্বাস করতে শিখি যে, আমরাই পারি আত্মহত্যা বন্ধ করতে। ইয়েস, উই ক্যান স্টপ সুসাইড।



এই লাইনগুলো যখন লিখছি, চোখে অশ্রুফোঁটারা উকিঝুকি দিচ্ছে। কাকতালীয় হলেও সত্য আমার কম্পিউটারের অডিও প্লেয়ারের প্লেলিস্টে এখন বাজছে, “একদিন, পাখি উড়ে... ... যাবে যে আকাশে... ফিরবে না সেতো আর...”।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ময়ুরাক্ষী আপার ( নো মোর সুইসাইড ) পোষ্টটা এ্যড করে দিতে পারেন

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্‌দাকির। আমি চাই এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাক।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঐ পোষ্টটা স্টিকি ছিল যার ভিতরে আবার আমার ( "No more suicide" ) পোষ্টের লিংক ছিল

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুম, দুটা পোস্টই পড়লাম। চমৎকার পোস্ট। কিন্তু কীভাবে আমার পোস্টটাতে এড করে দিব বুঝতে পারছি না।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

ইশতিয়াক এম সিদ্দিকী বলেছেন: সুইসাইড বন্ধ হবে!!!!!!

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধনের সুতোর বাঁধনগুলো আরও শক্ত হলে আমি বিশ্বাস করি সুসাইড বন্ধ হবে।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

দুঃখ বিলাস বলেছেন: এই লেখা পড়ে বিরক্ত হয়নি ভাই,


আমরা সবার পাশে এগিয়ে আসব।
মাহবুবদের মত মানুষগুলোকে বুকে জড়িয়ে আশ্বাস দেব, ভরসা দেব, নাথিং টু লুজ।

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইনশাল্লাহ। আমাদের মমতার বাঁধনই বেঁধে রাখতে পারবে মাহবুবদের মত আত্মঅভিমানী মানুষগুলোকে।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রিয় মুদ্‌দাকির। আমি এই পোস্টটা গতকাল পোস্ট করেছিলাম। আজ আবার রিপোস্ট করেছি। কারণ মাহবুবের আত্মহত্যার ঘটনাটি আমার পুরো চেতনার জগতকে বিশাল এক ধাক্কা দিয়ে গেছে। জীবন চলার পথে বেশ কয়েকবার মনে হয়েছিল এই ব্যর্থ জীবন শেষ করে দেই। কিন্তু কোন এক মায়ার বাঁধন, স্নেহের পরশ প্রতিবার সাহস জুগিয়েছে, ভরসা দিয়েছে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

আমি এই লেখার মধ্যমে সামু কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই, এই বিষয়ে একটি লেখা স্টিকি করে রাখা হোক কিছদিন। যে হারে তথাকথিত এ প্লাসের বন্যায় দেশ ভাসছে, ভাসছে ডিগ্রীর প্লাবনে; তাতে এরকম আরও মাহবুব সামনে চলে আসবে। দরকার সচেতনতা, সহমর্মিতা, একটু স্নেহ-মায়া-ভালবাসা ঘেরা ভরসার স্থল। যে বলবে নাথিং টু লুজ।

:(( :(( :(( :((

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

অন্য কথা বলেছেন: আমাদের সামাজিক বন্ধনগুলো ঢিলে হয়ে গেছে... হুমম । সত্যই ।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তাই, দয়া করে আপনার কাছের
মানুষগুলোর
সাথে আন্তরিকাতা বৃদ্ধি করেন।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

রবি কিরণ বলেছেন: আমিও এই জীবন যুদ্ধে এখনই পরাস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবন মানে একটি Death Race.আমার নিজেরও মাঝে মাঝে আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসে।জানিনা কবে আমার কপালেও ঘটে। তবে আপনি একটি কথা তুলে ধরেছেন যে
" গোল্ডেন এ প্লাস, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ-এমবিএ। স্মার্ট ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, আইপড। গার্ল ফ্রেন্ড, গাড়ী, ৩৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটবাড়ী। হাই সেলারি, মানিব্যাগ ভারী। আপনি খুশী, সবাই খুশী। এই রেসে আপনি হেরে গেলেন তো সবই গেল। এই যান্ত্রিক জীবনের ছুটে চলায় হাট ফস্কালেই সব শেষ! পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে আপনি হয়ে যাবেন হেরে যাওয়া একজন। ছোটবেলা থেকে আমাদের শুনতে হয় উমুকের ছেলেমেয়ে এটা করেছে, তুমি কি কর?"
এর শিকার হয় তো আমিও।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নাথিং টু লুজ। বল সব মানুষ কি পারে? কেউ জেতে,
কেউতো হারে।

never lose you hope bro, we are with you...your friends n family with you

always remember, LIFE IS NOTHING BUT A SWEET DREAM...

And let promise to all the SAMU coblogers that never ever think about the word SUICIDE

I am waiting for your answer রবি কিরণ

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: আমাদের সমাজ টাই খারাপ হয়ে গেছে।



প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

জাফরিন বলেছেন: আমার অবাক লেগেছে কারন শাহীন অন্তত ৩ মাস ধরেই প্রচণ্ড বিষন্নতায় ভুগছিল। অথচ কেউ তাকে একবারো কাউন্সিলিং ইউনিটে নিয়ে যায়নাই কেন?
টিএসসিতে যেখানে ভাল মানের কাউন্সিলিং দেওয়া হয় ফ্রীতে সেখানে কেন একজন বন্ধুও তার ব্যপারটা আঁচ করে তাকে সেখানে নিয়ে গেল না?
তার মার্চ/এপ্রিলের স্ট্যাটাসগুলিতেও ঘুরে ফিরে বারবার এসেছে চলে যাওয়ার কথা, একটা মানুষ এত দীর্ঘ সময় মানসিক অসুস্থতা বয়ে নিয়ে বেড়ালো অথচ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা জায়গায় যেখানে নাকি সারাদিনমান প্রাণখোলা আড্ডা আর বন্ধুত্বের কলতানে মুখর থাকে প্রতিটা চায়ের দোকান সে পরিবেশেও সে একলা চলে গেল, কোনো সাহায্য পেল না ।
তাহলে এই বন্ধুত্ব, ছোট ভাই-বড় ভাই সম্পর্ক, এত সংগঠন, আন্তরিকতা সব মেকি?
আমাকেও ভীষন নাড়া দিয়েছে শাহীনের চলে যাওয়া। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। তবু প্রশ্ন গুলো রয়েই যায়...।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উফ কি কষ্ট!

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তাহলে এই বন্ধুত্ব, ছোট ভাই-বড় ভাই সম্পর্ক, এত সংগঠন, আন্তরিকতা সব মেকি?

হ্যাঁ সময় সময় সব মিথ্যে হয়ে যায়। সেই সময়গুলো যে বা যারা পার করে এসেছে একমাত্র তারাই বুঝবে কি নিদারুন কষ্টের প্রহরগুলো।

তাই সবার উচিত পাশের কাছের মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করা, দুঃসময়ে পাশে থাকা, তাকে ভরসা দেয়া যে আমি আছি তোমার সাথে। ইউ ক্যান শেয়ার এনিথিং উইথ মি।

ধন্যবাদ জাফরিন।

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট ...

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস)।

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৩

তুষার মানব বলেছেন: অনেকে অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ সহ্য করতে না পেরে এই কাজ গুলো করে থাকে । তবে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত ।

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই তুষার, মূল ব্যাপারটা অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে অসহায়ত্ব। প্রত্যাশা মানুষের জীবনে থাকবেই এবং সেই প্রত্যাশা থেকে মানসিক চাপ আসবেই। কিন্তু সেই কষ্টের সময়টায় দরকার আপনজনদের স্নেহ-মায়া-মমতার পরশ, ভালবাসা মাখান একটু সমর্মিতা। কিন্তু এ যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে আমরা সবাই যেন সবার প্রতি্বন্দ্বী হয়ে উঠছি দিন দিন। তাইতো হতাশা, অভিমান, গ্লানি নিজেকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আর যারা এই অসহ্য যন্ত্রণা সইতে পারে না, তারা নির্বোধ এর মত বেঁছে নেয় আত্মহত্যার পথ।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫১

রবি কিরণ বলেছেন: আত্মহত্যার কথা মাঝে মাঝে মাথায় আসে। কিন্তু আমার মনে সাহসের একটু অভাব রয়েছে।আর জীবনের প্রতি মায়া ( না মিছে মায়া )চলে আসে। তবে যদি আবেগ ধরে রাখতে না পারি সেদিন কি হবে বুঝতেছিনা। আপাতত এ ভাবেই চলুক।

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রবি কিরণ, ভাই আমার এমন কথা বলতে নেই। আমি জানি না, আপনি কি অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন। শুধু একটি কথা মনে রাখবেন আত্মহত্যা কোন সমধান নয়, বরং মিথ্যা পালিয়ে বাঁচার ব্যর্থ প্রয়াস মাত্র। আমি ব্যাক্তিগত জীবনে যে পরিমাণে ক্যারিয়ার, জব, ফ্যামিলি, ফিনান্সিয়াল, ফ্রেন্ডশিপ প্রতিটি পর্যায়ে খারাপ থেকে খারাপ সময় পার করে এসেছি তা যে কেউ শুনলে বলবে কল্পকাহিনী। কিন্তু আমি হেরে যাই নাই। এখনো যুদ্ধ চলছে এই আশায় যে, কোন একদিন আমি জয়ী হবই। আর না হলে নাই বা হলাম। কারণ, 'সব মানুষ কি পারে? কেউ জেতে, কেউ তো হারে..."।

খুব শীঘ্রই আপনার কাছ থেকে ভালো কিছু সংবাদের আশায় রইলাম। আপনাকে অনুসরণ করছি কিন্তু, তাই পালিয়ে যাবার নো চেষ্টা, মনে থাকে যেন। :)

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, আমি একজন ফেইলর। কিন্তু সবাইকে জিততে হবে কেন? হেরে যাওয়াদের কেন জায়গা হবে না? সমাজে নয়, আপনজনদের হৃদয়ের মনি কোঠায়?


কিছু বলার ভাষা নাই। হৃদয় ছুঁয়ে গেছে প্রতিটি লাইন।

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ডি মুন, আমি নিজে যখন নিউজটা শুনলাম, আমার চোখ হতে জলের প্লাবন নেমেছিল। আমিও আপনার মত ভাষাহীন হয়ে গিয়েছিলাম।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আত্মহত্যা এমন এক মানসিক ব্যাধী যা হাজার চিকিৎসা কিংবা ধর্মের দোহাই দিয়েও বন্ধ করা সম্ভব নয়।

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সহমত কান্ডারি অথর্ব আপনার সাথে। কিন্তু এই ব্যাধীর একমাত্র চিকিৎসা সামাজিক বন্ধনগুলোকে দৃঢ় করা, পারস্পরিক সম্পর্কগুলোতে আরও সময় দেয়া, আপনজনদের বুঝতে চেষ্টা করা, তাদের ভরসা আর নির্ভরতার জায়গা হওয়া। অসহায় সেই সময়গুলোতে দরকার একটু মানসিক আশ্রয়।

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
রিপোস্ট দিয়ে ভালোই করেছেন। লেখাটি সকলের পড়া উচিত।

কোন কারণ দিয়েই আত্মহত্যাকে সমর্থন করা যায় না।

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই। কিন্তু যারা আত্মহত্যা করছে তারা কিন্তু কোন যুক্তি দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে না। আর তাই তাদের আশেপাশের আপনজনদের এই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আজকে সমাজ এমন হয়েছে যে, একই ফ্যামিলির মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ কারো সম্পর্কে কোন খোঁজ পর্যন্ত রাখছেনা। ফলে এক হিমশীতল একাকীত্ব আমাদের সমাজকে গ্রাস করছে চোরাবালির মত।

ভালো থাকবেন।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

জাফরুল মবীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরার জন্য।প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে আত্মহত্যা একটা চিকিৎসাযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য মানসিক রোগের উপসর্গ।মানসিক রোগে যারা আত্মহত্যা করে তাদের সেটা কার্যকর করার প্ল্যান বেশ কিছুদিন ধরে মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে যা তাদের কথা বা আচরণে ফুটে উঠে।আলোচ্য মাহবুব শাহীন ফেব্রুয়ারী মাস থেকে একাধিক পোষ্টে সুষ্পষ্টভাবে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছিল।সচেতনতার অভাবে সেটা কেউ বুঝতে পারেনি।মানসিক রোগ ও সমস্যাগুলোর ব্যাপারে আমাদের সচেতনতার বেশ অভাব পরিলক্ষিত হয়।এবিষয়ে রোগীর আত্মীয় ও কাছের মানুষদের সচেতনতাই কেবল তাকে এ আত্মহননের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

১৭| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

শহুরে কাউয়া বলেছেন: :(

১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

রবি কিরণ বলেছেন: চেষ্টা করবো ভাল কিছু করার।
আপনার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অবশ্যই রবি কিরণ। বেঁচে থাকাটা অনেক বড় কিছু করার চেয়ে কম নয় এই বর্তমান সময়ে। ব্লগে লিখুন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করুণ, গল্প পড়ুন দেখবেন ভালো লাগবে। আর ব্যাক্তি জীবনে আ্থিক বা অন্য যে কোন ধরনের বিফলতাই কিন্তু সব নয়। ভালো থাকবেন।

শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.