নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
স্বপ্নের ‘সাজেক ভ্যালী’ (তিন দিনে তিন পার্বত্যজেলা ভ্রমণ – পর্ব ০১)
সাজেক পৌঁছে শুনি কোন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন, তাই আমরা সাজেক ভ্যালীতে খুব বেশীক্ষণ অবস্থান করতে পারি নাই। তার সাথে আকাশেও ছিল মেঘ গুরগুর। তাই আমার বাকী তিন ভ্রমণসঙ্গী খুব দ্রুত সাজেক ভ্যালীর পেছনে পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত উপজাতীয় পাড়া ঢুঁ মেরে এল। পাহাড়ের ঠিক পেছনেই সারি সারি ভারতীয় বাড়ীঘর চোখে পড়ে। সেখানে তারা সেই টপলেস উপজাতীয়দের দেখা পেয়েছে। কিন্তু তারা খুব অমায়িক ব্যাবহার করেছে। উপরে ওঠার সময় যখন নীচ থেকে তারা ইশারায় জিজ্ঞাসা করেছিল যে উপরে উঠা যাবে কি না। কয়েকটা উপজাতীয় তরুন এগিয়ে এসে তাদের উপরে নিয়ে গিয়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে। সেই স্থান হতে প্রকৃতির অপরূপ সুধাপাণের সাথে চলেছে তাদের ক্যামেরার সাটারও।
আকাশে কালো মেঘ জমাট বাঁধা দেখে আমরা দ্রুত ব্যাক করার সিদ্ধান্ত নিলাম। গতবছর রিজুক ফলস দেখতে গিয়ে বান্দারবান এর সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনো মনে আছে। (ভয়ঙ্কর সুন্দরীতমা!..বান্দরবান (পরব-১) )। আমরা আমাদের সিএনজি অটোরিকশায় উঠে পড়তেই আমাদের ড্রাইভার কামাল গাড়ী স্টার্ট দিয়ে দিল। আবার সেই সর্পিল আঁকাবাঁকা পথ ধরে ছুটে চলা। এবার যেন কামালের গাড়ীর গতি আরও বেড়ে গেছে। পরে বুঝলাম আমরা এখন পাহাড় হতে নীচের দিকে যাচ্ছি। কামালের সুদক্ষ গাড়ী চালনা সত্ত্বেও আমরা একটু দেরীতেই খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছলাম। সেখানে পৌঁছে বিখ্যাত “সিস্টেম রেস্টুরেন্ট” এ ঢুঁকে পড়লাম লাঞ্ছ সেরে নিতে। কিন্তু ততক্ষণে তাদের বেশীরভাগ খাবারই শেষ। গত বৈশাখে ‘সাঙরাই’ উৎসবে এসেও খেতে পারি নাই তাদের বিখ্যাত ‘বেম্বো চিকেন’; এবারো পারলাম না। যাই হোক কয়েক পদের ভর্তা-ভাজি, ডিমভাজা ইত্যাদি দিয়ে খাবার শেষ করলাম। ও হ্যাঁ, খাওয়া শেষে তাদের স্পেশাল টক শরবত কিন্তু ছিল অসাধারণ। কেউ খাগড়াছড়ি শহরে আসলে পরে অবশ্যই “সিস্টেম রেস্টুরেন্ট” এ খাবার চাখতে ভুলবেন না।
দ্রুত খাবার শেষ করে আমরা রাঙ্গামাটিগামী বাস ধরার জন্য বাস কাউণ্টার গিয়ে দেখি সেদিনের শেষ বাসটি আধঘণ্টা আগে ছেড়ে গেছে। কি আর করা। কামালকে জিজ্ঞাসা করলাম সে যাবে কি না আমাদের নিয়ে রাঙ্গামাটি। সে রাজী হল, কিন্তু ভাড়া গুণতে হবে দুই হাজার টাকা। যেখানে আমাদের চারজনের ভাড়া হবে বাসে গেলে শ’পাঁচেক; সেখানে দুই হাজার! কি আর করা, দরদাম করে কামালকে আঠারোশো টাকায় রাজী করালাম। তবে সেই জার্নিটা ছিল অসাধারণ, যাত্রা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে শুরু হল ঝড়ো হাওয়া। পেছনে চেয়ে দেখি কুচকুচে কালো মেঘের দল ধেয়ে আসছে। শুরু হল আমাদের অটোরিকশা আর মেঘের দলের একশত মিটার স্প্রিণ্ট। সাই সাই করে ছুটে চলল আমাদের অটোরিকশা আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে। উফ! এক জটিল অভিজ্ঞতা। আমি লিখে বুঝাতে পারবো না।
তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার বাস জার্নির পথ এক ঘণ্টা পঞ্চাশ মিনিটে শেষ করে আমরা মাগরিবের কিছু আগে আগে পৌঁছলাম রাঙ্গামাটি শহরে। সোজা চলে এলাম রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু সংলগ্ন পর্যটন মোটেলে। রুমে উঠে একে একে সবাই ফ্রেশ হয়ে পরের দিনের প্ল্যান ঠিক করে নিলাম। রাতের খাবার খেতে আবার শহরে না গিয়ে মোটেলের রেস্টুরেন্টেই সেরে নেয়ার সিদ্ধান্ত হল। যদিও আমাদের জন্য একটু ব্যায়বহুল ছিল। কেননা আমারা চারজন হওয়াতে আজকের এক দিনেই সিএনজি ভাড়া গুণতে হয়েছে ছয় হাজারেরও বেশী। যাই হোক সেদিন পূর্ণিমার পরের দিন হওয়াতে কাপ্তাই লেকের বুকে ছিল এক বিশাল চাঁদের জোছনা বিহার। রাতে খাওয়া শেষে আমরা চারজন মেতে উঠলাম গল্প, টুয়েন্টি নাইন আর জোছনা বিলাসে।
ভোর পাঁচটায় উঠে আমি চলে গেলাম কাপ্তাইয়ের জলে সূর্যোদয় দেখতে। বাকী তিনজন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক। একদিনে প্রায় ছয়শত কিলোমিটার পথ জার্নি করে আবার মধ্যরাত অবধি আড্ডা আর টুয়েন্টি নাইন। আমি মোটেলে ফিরে এসে তাদের ডেকে তুললাম। সবাই রেডি হয়ে পর্যটন ঘাট হতে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে বের হলাম কাপ্তাই লেক ঘুরে বেড়াতে। এখানে এখন বিভিন্ন সাইজের নৌকায় বিভিন্ন প্যাকেজ এ ভ্রমণ করানো হয়, ভাড়া ১২০০ হতে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। স্পট, নৌকা ভেদে ভাড়ার তারতম্য। আমরা চারজন মোটে মানুষ, তারপরও ১২ জনের ধারন ক্ষমতার একটা নৌকা ভাড়া করে আমরা বের হয়ে গেলাম আটটা নাগাদ। কাপ্তাইয়ের সবুজাভ নীল জলরাশি চিরে আমাদের জলযান এগিয়ে চলল।
দুইদিকের পাহাড়ের সারিকে কে যেন মাখনের মত চাকু দিয়ে কেটে এই লেকখানি বানিয়ে রেখেছে। দুই পাশের সবুজে ছাওয়া পাহাড়, তার মাঝে মাথার উপরে নীল আকাশ রেখে আমাদের জলের বুক চিরে এগিয়ে যাওয়া। শুধু বিপত্তি ছিল ইঞ্জিনের শব্দটুকু, যেটা না থাকলে অপার্থিব এক যাত্রা হত।
শুভলং ঝর্না তখন শুকিয়ে কাঠ। আমি আগে শুভলং ঝর্না দেখেছি, ভিজেছি এর হিমশীতল জলে। আমার ঝর্না দেখার ভাগ্য বরাবার ভালো। আমি যে কয়টি ঝর্না এ পর্যন্ত গিয়েছি দেখতে সে সময়ই ছিল ঝুম বৃষ্টি। আর বৃষ্টির দিনে ঝর্নার রূপ অসাধারণ। যদিও আমার ঝর্না দেখার সংখ্যা এক হাতের অঙ্গুলির মধ্যেই রয়েছে এখনো। ফিজিক্যাল ফিটনেস একটু ভালো থাকলে বান্দরবানের ঝর্নাগুলো চষে বেড়াতাম। যাই হোক সারাবেলা লেকে ঘুরে আমরা দুপুরে ফিরে এলাম মোটেলে। আজ আর ভুল করলাম না। সকালে নাশতা করতে যখন শহরে গিয়েছিলাম তখন বাসের টিকেট করে নিয়ে এসেছি। তাই দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে আমরা চলে আসলাম বাস স্ট্যান্ড এ। সেখানে দুপুরের লাঞ্চ সেরে চেপে বসলাম লোকাল বাসে, উদ্দেশ্য বান্দরবান।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে তোলা কিছু ছবি আমার আনাড়ি হাতে ছোট্ট ক্যামেরায় তোলা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবিগুলো আমার মোবাইল এবং ছোট ভাইয়ের ছোট্ট ক্যামেরা দিয়ে তোলা
অনেক ধন্যবাদ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ছবি দেখে পরান জুড়াইলাম।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শোভন
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
উইশ বলেছেন: ভালো লাগলো...........
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো জানতে পেরে ভালো লাগলো
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: কার ছায়া জানতে পেরেছেন...!!
ছবিগুলো সুন্দর ।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মামুন ভাই, ভরা মজ লি শে কেম্নে বলি
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৬
ডি মুন বলেছেন: বাহ, মনোরম প্রকৃতি
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৮
তাহসিন মামা বলেছেন: সাজেক সম্পর্কে কিছু তথ্য থাকলে ভাল হত। ছবিগুলো চমৎকার। শুভকামনা রইলো।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিন মামা
প্রথম পর্বে সাজেক নিয়ে লিখেছি, লিন্ক দিয়েছি একেবারে উপরে, শুরুতে।
ইচ্ছা আছে সাম নে সাজেক নিয়ে আরেক টা আলাদা লেখা লিখ বার।
৭| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শেষে ফুডুগ্রাপার হইয়া যাইতে হইবেক
৮| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২
পাজল্ড ডক বলেছেন: দৌড়ের উপর ভালই ঘুরেছেন। ছবির বেপারে সবার সাথে একমত, চমতকার।
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পুরাই দৌড়ের উপর।
ধন্যবাদ
৯| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার সব ছবি। মুগ্ধ +++
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
তুষার মানব বলেছেন: ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২০
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: সুন্দোর লাগলো ছবিগুলো।
আইডিয়া বাজ
১৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর লাগলো? জেনে ভালো লাগলো।
১২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছবি গুলো খুব ভালো লেগেছে।যদি যেতে পারতাম।
১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছবি গুলো খুব ভালো লেগেছে।