নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আগের পর্বঃ গুলমার্গে যাপিত অলস দিনটি (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
গুলমার্গে যেদিন এলাম সেদিন ছিল বন্ধ, যথারীতি পরেরদিনও তা অব্যাহত ছিল। আমাদের ড্রাইভার সাহিল চাইছিল খুব ভোরে রওনা হয়ে যেতে গুলমার্গ থেকে কাশ্মীরের দিকে। প্রথমে প্ল্যানিং ছিল নয়টা নাগাদ যদি গণ্ডোলা খুলে, তবে সেখানে ঢুঁ মেরে যাওয়ার। কিন্তু আগেরদিন বিকেলেই কনফার্ম হয়েছিলাম এদিনও পৃথিবীখ্যাত “গুলমার্গ গণ্ডোলা” বন্ধ থাকবে, তাই সাহিলের পরামর্শ মতে সকাল সকাল হোটেল থেকে চেক আউট করে রওনা হয়ে গেলাম শ্রীনগরের দিকে।
গুলমার্গ থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটারের মত, সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েকের মত। কিন্তু পথিমধ্যে আমরা যাত্রা বিরতি করলাম একটা আপেল বাগানে। সেখানে সবাই ফটোসেশনের সাথে খেলাম তাজা আপেল, ফ্রিতে! বাগান মালিক এবং তার কর্মচারীরা গাছ হতে আপেল পেড়ে কাঠের বক্সে প্যাকিং করছিল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ডেলিভারি দিতে।
এই বাগানেই ছিল একটা ড্রাই-ফ্রুট’র দোকান, সেখান হতে সবাই কমবেশি কেনাকাটা করলাম। আমি ভিন্ন ভিন্ন পদের মিশ্রনে চার কেজির মত শুকনো ফল কিনে নিলাম, সাথে এক কৌটো বিখ্যাত কাশ্মীরি পানীয় ‘কাহওয়া’ এর ড্রাই ক্রাশড ইনগ্রেডিয়েণ্ট। ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে ছিল আপেলের আমসত্ত্ব, আঞ্জির, আখরোট, আলমন্ড, ব্ল্যাকবেরি, কিশমিশ ইত্যাদি।
সেখানে ঘণ্টাখানেকের বেশী সময় কাঁটিয়ে আমরা ফের যাত্রা অব্যাহত রাখলাম শ্রীনগরের পানে। শ্রীনগর শহরের কাছে পৌঁছেতে দেখা মেলল চমৎকার সব নকশাদার আর ঢালু ছাঁদবিশিষ্ট বাড়িঘর। শহরে ঢোকার মুখে পড়লাম ট্র্যাফিক জ্যামে। এদিন আমাদের প্ল্যানিং এ ছিল লাঞ্চ করব অতি বিখ্যাত “মুঘল দরবার” রেস্টুরেন্টে বিখ্যাত ডিশ ‘ওয়াজওয়ান’ দিয়ে। সাহিল গাড়ী নিয়ে পার্ক করল রেস্টুরেন্টের উল্টোদিকের রাস্তার পার্কিং এরিয়ায়। যাওয়ার আগেই রেস্টুরেন্টের ওয়েবসাইট থেকে জেনেছিলাম, একই ভবনের নীচতলায় যে মুঘল দরবার নামক রেস্টুরেন্ট রয়েছে তা আসল মুঘল দরবার নয়, আসলটা দ্বিতীয়তলায় অবস্থিত। মজার ব্যাপার না! ওখানে গিয়ে মালিককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বলল মামলা চলছে!
রেস্টুরেন্টের দোতলায় উঠে দেখা মিলল রেস্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ ইব্রাহীম মুগলো’র সাথে। উনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো, ফাঁকে ছবিও তুলে নিলাম। নীচের ছবিতে ভ্রমণ সঙ্গী মুক্তার হোসেন এর সাথে ইব্রাহীম মুগলো সাহেবকে দেখা যাচ্ছে।
রেস্টুরেন্টে ঢুঁকে অর্ডার করা হল পৃথিবীখ্যাত কাশ্মীরি ডিশ ‘ওয়াজওয়ান’ এর। এটা মূলত একটা কমপ্লিট মিল প্যাকেজ, রাইস-ফ্রাই-কারি সব কাশ্মীরি আইটেম। রাইস, লাব্বি কাবাব (শিককাবাব বিশেষ), তাবাকমাজ (খাসীর চাপ এর ফ্রাই), ওয়াযা চিকেন (বিশেষ চিকেন ফ্রাই), রিশতা (কোপ্তা বিশেষের কারি), গোশ্ততাব (এটা হল কোপ্তা জাতীয় কোরমা কারি), রোগান জোশ প্রভৃতি আইটেম নিয়ে এই ওয়াজওয়ান ডিশ তৈরি হয়। পরিমানে এতো বেশী থাকে যে দুজনের একটা ডিশ দিয়ে চার-পাঁচ’জনের অনায়াসে লাঞ্চ হয়ে যায়।
===================================== লাব্বি কাবাব।
===================================== ওয়াজাচিকেন
===================================== রিশতা
===================================== তাবাকমাজ
===================================== গোস্তাব
===================================== আরও অনেক কিছু মিলে একত্রে ওয়াজওয়ান
আমরা দশজনে দুটা ফুল ডিশ এর সাথে এক্সট্রা রাইস নিয়েছিলাম, ভরপেট খাওয়া হয়েছিল। জনপ্রতি ওয়াজ্বান ডিশ হাজার থেকে পনেরশ রুপী চার্জ হয়। আমাদের সিস্টেমে খেলে জনপ্রতি পাঁচশ রুপীতে হয়ে যাবে। খাওয়া শেষে ফ্রুট ফালুদা খেলাম সবাই।
এই ভদ্রলোক (হোটেলের পরিচারক) চমৎকারভাবে দুইটা ফুল ওয়াজওয়ান আমাদের মাঝে সময় নিয়ে পরিবেশন করেছিলেন, যা একটি দেখার মত বিষয় ছিলঃ
সাধারণত কাশ্মীরি এই ওয়াজওয়ান পরিবারের সবাই মিলে এক থালিতে একসাথে খাওয়া হয়। রেস্টুরেন্টে সেই ব্যবস্থাও করা ছিল। ইয়াসমিন আপা একটি পরিবারের সেই রকম ভোজন ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন উনাদের অনুমতি নিয়ে।
আর বের হওয়ার আগে আমি মোঘল রেস্টুরেন্টের বেকারি কর্নার হতে বিকেলের নাস্তা হিসেবে কুলচা, কাকচা, নানখাতাই, কাশ্মীরি ফ্রুট কেক, কোকোনাট বিস্কিট কিনে নিয়ে রওনা হলাম নাগিন লেকের উদ্দেশ্যে।
নাগিন লেকে পৌঁছে বিশেষ কাশ্মীরি নৌকা ‘শিকারা’ করে সংক্ষিপ্ত নৌভ্রমণ করে গিয়ে পৌঁছলাম আমাদের একরাত্রের নিবাস, ২০১৪ সালের ‘বেষ্ট হাউজ বোট’ এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হাউজবোট ‘ওয়াঙ্গনু হাউজবোট’এ।
উল্লেখ্য যে, শ্রীনগর ভ্রমণে এসে এই হাউজ বোটে রাত্রি যাপন করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং। আসুন দেখি সেই হাউজবোটের ভেতর-বাহিরের কিছু ছবিঃ
মুক্তার ভাউ উনার সেলফি স্টিক হাতে হাউজবোটের ড্রয়িংরুমে যেখানে বসেছিল সন্ধ্যার পর এক জম্পেশ আড্ডাঃ
হাউজবোটের চারিপাশ হতে নেয়া কিছু ছবিঃ
যাই হোক, আমাদের সামনে রইল সৌন্দর্যের রানী নাগিন লেক, সাথে দুটো হাউজবোটের পুরোটা আর আমরা দশজন ভ্রমণ সাথী; আর হ্যাঁ সারাটা বিকেল, সন্ধ্যা লগণ আর একটা মায়াবী রাত।
পরের পর্বঃ শ্রীনগর এর দুই বিস্ময় - নাগিন এবং ডাল লেক (মিশন কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)
এই পর্বের ছবিঃ
সাদা মনের মানুষ (কামাল ভাই)
রওশন আরা ইয়াসমিন (আপা)
মুক্তার হোসেন
বোকা মানুষ বলতে চায়
এবং ওয়াঙনূ হাউজবোট , মুঘল দারবার রেস্টুরেন্ট
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দিচ্ছি ভাই, আপলোড করছি, বড় যন্ত্রণা নেট নিয়ে...
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: বর্ননার সাথে ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম খাবারের চেহারা দেকে হা করে চেয়ে রইলাম। দেখতে যে রকম সুন্দর খেতে যে কত স্বাদ!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মুখ বন্ধ করেন প্রামানিক ভাই, মাছি না হলেও মশা ঢুকতে পারে মুখের ভেতর।
আসলেই সুস্বাদু, সেই রকম সুস্বাদু, আহ... আবার কবে খাব?
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অবশ্যই পেটুক ভক্তদের খুশী করবে ।। আর হাউসবোটের ভিতরে ডেকোরেশন তো আমার ঘরের চেয়েও সুন্দর।। আর হবেই বা না কেন,বিশ্বখ্যাত পর্যটক কেন্দ্র বলে কথা।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, হাউজবোট'টা আসলেই খুব সুন্দর ছিল। আমি নিজেও জানতাম না এতো ভালো হাউজবোটের এরেঞ্জমেণ্ট পাবো! সবই আমার এজেন্ট আর তার হলিডে কনসালটেন্ট সুমায়রা জারগার এর কৃতিত্ব। তবে অখানে জঘন্য এবং ঠগবাজ টাইপের হাউজবোটেরও অভাব নাই কিন্তু, অনেকেই ধরা খেয়েছেন। যাওয়ার আগে সামু ব্লগেরই একটা পুরানো পোস্টে এরকম কাহিনী পড়েছিলাম।
ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই, ভালো থাকা হোক প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আজকেও এত্ত এত্ত খাবার, তা' ও এত রাতে !!!! উউউউললললজজজ ---------
ঘুম পেয়ে গেছে যে, কাল পড়ব !!!!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে কাশ্মীর গেলে শ্রীনগরে শুধু খাওয়া আর মুঘল গার্ডেন এবং লেকে শিকারা রাইড, তাই খাওয়ার পর্ব অপেক্ষায় ছিল শ্রিনগরের জন্য। ট্যুরের সময় পাহেলগাঁও পৌঁছে সাহিলকে বললাম কুলচা আর নানখাতাই এর কথা, ও বলেছিল, 'স্যার জ্বী, খানাপিনা সাব শ্রিনাগার যাকে কারো, আব স্রিফ ঘুমো।'
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
কেএসরথি বলেছেন: খাবারের ছবি দেখে লোভে লোভায়িত হয়েছি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিও যতবার দেখি, ততবারই লোভায়িত হই। বুঝেন আমার কষ্টখানি
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জম্পেশ!
ওভারঅল কস্ট পার হেড কত গেসে?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমাদে শুধু কাশ্মীর ট্রিপে জনপ্রতি ৪৩,৫০০ রুপী (ব্যক্তিগত খরচ এবং শপিং ব্যতীত); কাশ্মীর-সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস জনপ্রতি ৬৫,০০০ রুপী (ব্যক্তিগত খরচ এবং শপিং ব্যতীত)। উল্লেখ্য, আমাদের ফেরাটা বিমান পথে ছিল বিধায় খরচ একটু বেশী হয়েছিল। খরচ এবং বিস্তারিত ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দুঃখিত, রুপীর স্থলে টাকা হবে।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: আহাহাঃ ভাই, এত্তগুলা খাবারের সাথে প্রত্যেকটা ছবিই তো অনেক সুন্দর! কোনটা রেখে কোনটা খাবো, সেইটা ভাবতে ভাবতেই তো সময় পার হইয়া যাইতাছে!
চমৎকার ছবি আর তার বর্ননা অনেক ভাল লাগছে! শুভ কামনা জানবেন!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান, রয়েসয়ে খান, যেটা খুশী সেটা খান। ভার্চুয়াল বলে বিল দিতে হপে না।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: গোস্তাব জিনিসটা কী? দেখেই লোভ লাগল খেতে আর নাস্তা আইটেম গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গোস্তাব, রিশতা আর রোগান জোশ, সেইরকম তিনটা আইটেম। আহ আবার কবে যে খাব!!!
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: ফুল দেখবো না ফল দেখবো? নাকি প্রকৃতি! সত্যি সুন্দর কাশ্মীর। তাই তো বাদশাহ বাবর বলেছিল স্বর্গ যদি কোথাও থেকে থাকে তবে এইখানে এইখানে অর্থাৎ কাশ্মীরে ।
+
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা... আসলেই ঠিক বলেছেন। আমি তো বলি, একবার গিয়ে কাশ্মীরের রূপ দেখে মন ভরবে না। তিনবার যেতে হবে, প্রতিবারে ১০-১২ দিন করে। একবার অক্টোবরের দিকে, একবার ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে এবং আরেকবার এপ্রিলের শুরুতে। খুব খুব ইচ্ছে আছে, ২০১৭'র এপ্রিলে আরেকবার যাওয়ার। তখন দেখব টিউলিপ ফুলের রূপ-বাহার সাথে রৌদ্রে ঝকঝক করতে থাকা শ্বেতশুভ্র বরফে ঢাকা পর্বতচূড়া।
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: এই খাবারগুলি চেখে দেখার জন্য হলেও একবার কাশ্মীর যাওয়া দরকার।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অনেকেই কিন্তু কাশ্মীরি খাবারের স্বাদ নিতেও বেড়াতে যায়
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
সোহানী বলেছেন: এবারের পর্বেন নাম দেয়া উচিত ছিল খাবারের নামে কারন সবইতো দেখি খাবারের ছবি। যাহোক আপনার ভ্রমণ পোষ্টে উতসাহিত হয়ে আমার এখানের এক কাশ্মিরী পরিবারের সাথে ভাব জমিয়েছি...... তাদের সাথে নেক্সট্ জার্নিতে যাবো বলেছি (সরি নতুন ল্যাপিতে খন্ড ত লিখা যায় না)। ভদ্রলোক ওখানকার হোমরা চোমরা গোছের কিছু মনে হয়.... যাবার আগে আপনার লিখাগুলোর প্রিন্ট নিয়ে যাবো..++++++
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: 'রোগান জোশ' নাকি 'গুস্তাবা'? কোন নামটা ভালো হত/
কাশ্মীর গেলে অবশ্যই দেখবেনঃ
শ্রীনগরঃ নিশাত গার্ডেন, শালিমার গার্ডেন, চাশমেশাহি, পারিমাহাল, সাঙ্কাচারিয়া হিল, জাদুঘর, ডাল লেক, টিউলিপ গার্ডেন (শুধু এপ্রিলে খোলা থাকে)
পাহেলগাঁওঃ চান্দানওয়ারি, বেতাবভ্যালী, আরুভ্যালী (সময় নিয়ে, ৩/৪ ঘণ্টার পনি রাইডে, ট্রেকিং করলে সারাদিন, সান টেম্পল, তুলিয়ান লেক)
গুলমার্গঃ বাবা রেসির সমাধি, সেন্ট মেরি চার্চ, আফারওয়াত লেক, খিলানমার্গ, ফিরোজ নাল্লা
কাশ্মীর গেলে অবশ্যই উপভোগ করবেনঃ
শ্রীনগরঃ শিকারা রাইড (ডাল লেক টু নাগিন লেক রিটার্ন জার্নি)
পাহেলগাঁওঃ পনি রাইড, বোট রাফটিং (পর্যাপ্ত পানির প্রবাহ থাকলে)
গুলমার্গঃ গণ্ডোলা রাইড, সিয়িং, পনি রাইড
কাশ্মীর গেলে যে খাদ্য-পানীয় অবশ্যই মিস করবেন নাঃ
১) ওয়াজওয়ান
২) গুস্তাবা
৩) রোগান জোশ
৪) রিসতা
৫) কাশ্মীরি বিরিয়ানি
স্নাক্সঃ
১) নানান বিস্কিট আইটেম
২) নানখাতাই
৩) কাকচা
৪) কুলচা
৫) ফ্রুট কেক
৬) কাশ্মীরি নান/রুটি
পানীয়ঃ
১) কাশ্মীরি লাচ্ছে/বাতামের শরবত
২) কাহওয়া
৩) সেফরন টি
৪) আপেলের জুস
আর কিছু জানার থাকলে যে কোন সময় এই সিরিজের যে কোন পোস্টে মন্তব্যে জিজ্ঞাসা করবেন দোস্ত সাহেবান।
১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিকঠাকমত শ্রীনগর চলে এলাম ভার্চুয়েলি.......... তবে গোস্তাব জিনিসটার দিকে আমরা জিহবাখানা উসখুস করছে। আহাঃ
গাছ থেকে আপেল পেড়ে না খাবার অতৃপ্তিটা ঘুচাতেই হবে। আর ভোজন ব্যবস্থাপনা দেখে আরো আরো ভালো অনুভূতি পেলাম।
যাইহোক ভাই, সিরাম একটা ট্রিপ দিয়েছেন। সাথেই থাকলাম।
১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আহা, খাদ্যু?? আহা, প্রঅঅকৃতি??!! আহা, বোটূ হাউস?? কোথায় কাশ্মীর কি কলি, আই মিন নারী?? আহা, নারী!!
ওই অঞ্চলটাই অন্যরকম সুন্দর, যাই দেখি তার সাথেই প্রেম এসে যায়, সত্যি এসে যায়। আপনাদের খরচ বেশি মনে হইতেছে। অবশ্য আমি যখন যাই লোকাল একজনকে নিয়ে যাই সাথে, হোটেল থেকে শুরু করে সবকিছু চেনাজানার উপরে ঠিক করা। ঘুরবার জন্য গাড়িসহ। আমার সাথের ভারতীয় মানুষটা ঐদিকের সব চিনতো, কারন বিমান বাহিনীর অফিসার হিসেবে ওইদিকে কর্মরত ছিলো বেশ অনেক বছর। চাকরীর সুবাদে এদিক সেদিক ঘুরতে ঘুরতে একেবারে এক্সপার্ট হয়ে গেছিলো। অনেক জায়গায় ফ্রিও থাকতে পারছি আগের সম্পর্কের সুবাদে।
পোস্টে অঙ্ক ভালোলাগা। +
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের খরচ হয়ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী মনে হচ্ছে, কিন্তু আমরা যে ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, ফুড কঞ্জিউম করেছি সেই অনুপাতে কম ছিল। খরচ কিছুটা এমন ছিলঃ
ঢাকা-কলকাতা (বিআরটিসি-ট্রানজিট এসি বাস) ১৯০০ টাকা
কলকাতা-দিল্লী (রাজধানী এক্সপ্রেস - থ্রি টায়ার এসি) ৩৩০০ টাকা
দিল্লী-জম্মু (শালিমার এক্সপ্রেস - টু টায়ার এসি) ২২০০ টাকা
জম্মু-পাহেল্গাও-গুলমার্গ-শ্রীনগর-এয়ারপোর্ট ড্রপ
(সাত দিনের জন্য সার্বক্ষণিক টেম্পু ট্র্যাভেলার)
ব্রেকফাস্ট ও ডিনার (বুফে), থ্রি স্টার সমমানের হোটেল
(হোটেল আবসার - পাহেল্গাও; http://www.hotelabshar.com
হোটেল এলপাইন রিজ - গুলমার্গ; http://www.hotelalpineridge.com
ওয়াংনু শেরাটন হাউজ বোট - নাগিন লেক; http://www.wangnoohouseboats.com
হোটেল রয়েল বাটটু - শ্রীনগর http://www.hotelroyalbatoo.com )
অল লাঞ্চ ইন ষ্ট্যাণ্ডার্ড রেস্টুরেন্টস
এইসব মিলে খরচ হয়েছিল কাশ্মীরে ২০,০০০ টাকা
শ্রীনগর-দিল্লী-কলকাতা (ইন্ডিগো এয়ার) ১৩৫০০ টাকা
কলকাতা টু ঢাকা (মৈত্রী বাস) ১৭০০ টাকা
এর বাইরে দিল্লীতে কুতুব মিনার ভ্রমণ এবং আরও দুই দিনের খাবার খরচ, বিভিন্ন পার্কে এন্ট্রি ফি, অতিরিক্ত এক ঘণ্টা করে শিকারা রাইড এরকম আরও অনেক খরচ ছিল। সব মিলে ৪৫ হাজার টাকা।
হোটেলগুলোর ওয়েবসাইটে ঢুকলে রেগুলার প্রাইস দেখতে পাবেন। আমরা প্রায় ৭০% এরও বেশী ডিস্কাউণ্ট রেটে ছিলাম।
তাই, কোন মতেই খরচ বেশী হয়েছিল বলে মনে করি না।
১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খাবারের ছবি দেখে লোভ সামাল দিতে পারছি না --- সাথে হাউজ বোটের ছবি দেখে খুবই অবাক হলাম --- এক কথায় অসাধারণ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপা, হাউজবোটে থাকা আসলেই খুব আনন্দদায়ক।
১৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ও, আমি দেশ থেকে যাবার খরচ হিসাব করিনি, কমেন্টে এমাউন্টটা পড়লাম দেখে বললাম। আমাদের সব এরেঞ্জমেন্ট লোকালি এরেঞ্জ করা আর পরিচিতের মধ্যেই ছিলো দেখে খরচ ছিলো অনেক কম। ভারতে ভ্রমনের খরচ দেশে ভ্রমনের চেয়েও কমই পরে। হোটেলের ব্যাপারে বলবো, ভারতের হোটেলে গেলে রেন্টের ব্যাপারে নিউমার্কেটের মত দামাদামিও করা যায়। অবশ্য পিক সিজনে গেলে ভালো হোটেল পাওয়া ঝামেলাও হয়। আর ভারতের সবচেয়ে মজার ব্যাপার খাবা, সাউথের সব অখাদ্য, কিন্তু নর্থে একেক জায়গায় খাবার একেকরকম এবং খুবই উপভোগ্য। কারো কারো অবশ্য সহ্য হয়না, তবে আমার বেশ ভালোই লাগতো।
ভবিষ্যত সফরগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আবার ভিনদেশী পর্যটক, বিশেষ করে বাংলাদেশী হলে, অনেক ক্ষেত্রে হোটেল পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আর দেশে বেড়ানো মোটেও বেশী খরচের নয়, এতো জায়গায় বেড়ানোর পর এটাই আমার অভিমত। খরচ, সেটা দেশে বা বিদেশে যেখানেই বেড়ানো হোক না কেন, নির্ভর কর মোড অফ ট্রান্সপোর্ট, একোমোডেশন, আদার ফেসিলিটিজ এগুলোর উপর। বাংলাদেশে সিলেটে ৩ দিনের একটা ট্যুরে ৫/৬টি স্পট ঘুরে দেখার জন্য ৩,০০০ টাকায় ঘুরে দেখেছি, আবার সেই একই ট্যুর ১২,০০০ টাকায়ও হয় না, যেখানে কোন টাকাই বেশী প্রদান করা হয় না। সবই আপেক্ষিক।
ধন্যবাদ আপনাকে পুনঃমন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।
১৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: খানাপিনার ফুডু দেইখ্যা তো জিবে জল আইস্যা গেল!
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ও বালক, সামলে রাখো তোমার জিবের জলকে সামনে খাবারগুলোর রেসিপি পোস্ট করার ইচ্ছে আছে।
১৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জিভের জলেতো ভেসে যাবেন বোকা মানুষ ভাই
আহা কি সব ছবি- সাতে আপ্নের আহা উহুততো জরের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে
আসলে যেমন ফল, তেমন খাবার তেমন জল (বোট)... দারুনসসসসসসসস
++++++++++
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি আর করার, বইস্যা বইস্যা গান গাইমু, 'আমায় ভাসায়লি রে, আমায় ডুবাইলি রে...'
আহা, উহহু... আহাহাহা উহুহুহু....আহহাহাহাহাহ উহহহহহুহুহুহুহু
১৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আরে!! আসল স্বাদ তো দেখছি এখানে!!!
হা হা হা হা
মুগ্ধ দর্শন!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "এখানে আসল স্বাদের ট্রেডমার্কযুক্ত ভ্রমণ কাহিনী পাওয়া যায়"
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
১৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
চাষাভুষার কাব্য বলেছেন: বোকা ভাই, আপেলের আমসত্ত?? ক্যামনে কি?? যাহোক আগামী বছর যাওয়ার প্ল্যান আছে, আপনার পোস্টগুলো তখন খুব কাজে লাগবে আশা করছি।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে ওগুলো হল ড্রাইড আপেল, খেতে অনেকটা আমসত্ত টাইপের, তবে অত টক না, হাজার হলেও আপেল বলে কথা।
২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩
গুল্টু বলেছেন:
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪
গুল্টু বলেছেন:
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুস্তাবা কই?
২২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
কাবিল বলেছেন: এবার খাওন দাওনের আয়োজন দেখে রাগ হচ্ছে কেন যে আমাকে সাথে করে নিয়ে গেলেন না।
আপনার পোস্ট পর্যায়ক্রমে সুন্দর উপস্থাপনায় ডেলিভারি আর লোভ দেখানো দুটোই ভাল হচ্ছে।
পরের পর্ব জন্য অপেক্ষায়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পরের পর্ব অলরেডি পোস্ট করেছি গতকাল রাত্রে, চেক ইট
২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
সুব্রত মল্লিক বলেছেন: চমৎকার
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।
২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
দুর্ভাগ্য বশতঃ ক্ষুধার্ত অবস্থায় আপনার এই চমৎকার পোস্ট পড়া হোল। বুঝতেই পারছেন আমার পেটের অবস্থা। আপনাকে মাইনাস।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সেইম টু মি, ঘুম থেকে উঠে ল্যাপি নিয়ে বসে পড়েছি। আমিও ভীষণ ক্ষুধার্ত এই মুহূর্তে, কি খাব ভাবছিলাম। এখন যে ওয়াজওয়ান খেতে মন চাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই, বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম।
২৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এহসান সাবির বলেছেন: ঐ আপেল নিয়ে কে যেন একটা পোস্ট দিয়েছিল... ভুলে গেছি....
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপেল নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় ব্লগার সাদা মনের মানুষ কামালউদ্দিন কামাল ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
‘শিকারা’ আর "হাউজবোট" এর ছবি না দিয়েই শিরোনাম দিয়েছেন ......নাগিন লেকের ওায়ংনু হাউজবোঁট ।
ঠকালেন কেন ? ছবি চাই।