নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬। - কিছু বাস্তবতা এবং ভাবনা-প্রস্তাবনা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩



“এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি”


সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা অপরূপা আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ, আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রূপের রাগিণী, অমিয়ধারা। চির-সবুজের দেশ, নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ। কিন্তু রানীকে যেমন রানীর মত যত্নে রাখতে হয়, সজ্জিত করতে হয়ে রাজকীয় বেশভূষায়, তেমন করে আমরা আমাদের এই দেশকে সাজাতে পারিনি। তিলে তিলে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই অপরূপার কোমল বদনখানি। গলা টিপে আমরা হত্যা করেছি নদীমাতৃক এই দেশের নদীগুলোকে, সাথে ছিল প্রতিবেশীর বৈরি আচরণ। ঐতিহ্যগুলোকে চরম অবহেলায় হারিয়ে যেতে দিয়েছি কালের অতল গহবরে। এতো অযত্ন আর অবহেলার পরেও এই অপরূপা দেশ আমার তার লাবণ্য ধরে রেখেছে প্রকৃতির অপার কৃপায়। সেই দেশকে বিশ্বাসীর কাছে নতুন করে তুলে ধরার নিমিত্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালকে ঘোষণা করেছে পর্যটন বছর হিসেবে।

২০১৪ সালের ০৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালে ঘোষিত পর্যটন বর্ষ এর কার্যক্রম বর্ধিত থাকবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এই তিন বছরে মোট ১০ লক্ষ্ বিদেশী পর্যটকের বাংলাদেশে ভ্রমন’কে লক্ষ্য ধরে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, সাথে তিন লাখ লোকের নতুন কর্মসংস্থান এর সুযোগ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এবার আসুন দেখি এই পর্যটন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কি কি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ‘পর্যটন দিবস - ২০১৬’ উপলক্ষে পর্যটকদের নানাবিধ সুবিধা প্রদান করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বাপক)। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে সেগুলো নিম্নরূপঃ

১) প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সে আগত বিদেশী পর্যটকদের সকালের নাস্তাসহ বাপক-এর হোটেল/মোটেলসমূহে ৩০% রেয়াতে আবাসিক সুবিধা, ২০% রেয়াতে দুপুর এবং রাতের খাবার সরবরাহ করা হবে।

২) সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপে আগত বিদেশী অতিথিদের সকালের নির্ধারিত নাস্তাসহ বাপক-এর হোটেল/মোটেলসমূহে ৩৫% রেয়াতে আবাসিক সুবিধা, ২০% রেয়াতে দুপুরের ও রাতের খাবার সরবরাহ করা হবে।

৩) আভ্যুন্তরীণ বিমানে আগত পর্যটকগণ বাপকের প্রিভিলেজ কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সকালের নির্ধারিত নাস্তা এবং ০২ (দুই) বোতল সুপেয় পানিসহ ২৫% রেয়াতে ০৩টি আবাসিক কক্ষ ব্যবহার করতে পারবেন।

৪) আভ্যন্তরীণ বিমানে আগত পর্যটকগণকে বিমানের টিকেটের সাথে বাপক-এর প্রিভিলেজ কার্ড নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা হবে।

৫) বাপক-এর সকল ইউনিটে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা প্রদান করা হবে।

৬) দেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনে বাপক-এর কনফারেন্স হল ২০% রেয়োতে এবং রেস্তোরাঁয় ১৫% রেয়াতে দুপুর এবং রাতের খাবার প্রদান করা হবে।

৭) বিদেশী পর্যটকগণ বাংলাদেশী এয়ারলাইন্সে আগমন করলে ৩০ দিনের মধ্যে বোর্ডিং পাস প্রদর্শন করে পর্যটন করপোরেশনের হোটেল/মোটেলসমূহে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

৮) বাংলাদেশ বিমানের লয়্যালিটি কার্ড পর্যটনের প্রিভিলেজ কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, পর্যটন কর্পোরেশনর সকল কর্মকাণ্ড হোটেল ব্যবসায় সীমাবদ্ধ। অথচ তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে চোখ বুলালে দেখতে পাবেন তাদের সুবিশাল এক লিস্টি আছে। আগ্রহীদের জন্য তুলে ধরলামঃ

উদ্দেশ্যঃ

১)বাপক-কে একটি উন্নত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসাবে গড়ে তোলা যা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সুবিধাদি প্রনয়ণে নিয়ন্ত্রিত/সহজতর করবে।

২) আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ও অন্যান্য সুবিধাদি গড়ে তোলা এবং তা রক্ষা করা।

৩) সহজ গমনাগমনের জন্য বাস্তব অবকাঠামো যেমন, সড়কপথ, রেলপথ, বিমানপথ ও নৌপথ তৈরীতে সরকারকে সম্পৃক্ত করা এবং বেসরকারী উদ্যোগকে উৎসাহিত করা।

৪) পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫) পর্যটনকদের জন্য ভিসা ও ইমিগ্রেশন পদ্ধতি সহজতর করার উদ্যোগ গ্রহণ।

৬) কার্যকর কমিউনিটি অংশগ্রহণের মাধ্যম দারিদ্র বান্ধব পর্যটন উৎসাহিত করা।

৭) আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ক্ষমতায়ন করার জন্য নারী জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণ।

৮) প্রকৃতি ও নৃতাত্ত্বিক ভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমকে উনড়বয়ন করা।

৯)পর্যটন কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিশোধন বিবরণী, নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, দারিদ্র দূরীকরণ ও সামাজিক সম্পৃতি বৃদ্ধিকরণ।

১০) দেশে-বিদেশে পর্যটন উপাদানসমূহের বিপণন বৃদ্ধি করণ।

১১) পর্যটন শিল্পে মানব সম্পদ উন্নয়ন করা।

১২) পর্যটন শিল্পে শক্তিশালী সরকারী-বেসরকারী যৌথ ব্যবস্থাপনা গঠন করা।

১৩) পর্যটন শিল্পে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় সম্পর্কের উনড়বয়ন ও তা রক্ষা করা।

১৪) পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বাণিজ্যিক ইউনিটসমূহ বেসরকারিকরণ।

এখন প্রশ্ন রইল, এগুলোর কয়টা বাস্তবায়নে তাদের কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়, হয়েছে, হচ্ছে?

যাই হোক আপনাদের জ্ঞাতার্থে পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল হোটেল, মোটেল রেস্টুরেন্টরে লিস্ট তুলে ধরলাম।

ঢাকাঃ হোটেল অবকাশ
সাভারঃ জয় রেস্তোরাঁ
গোপালগঞ্জঃ হোটেল মধুমিতা
চট্টগ্রামঃ মোটেল সৈকত
কক্সবাজারঃ হোটেল শৈবাল, মোটেল উপল, মোটেল প্রবাল, হোটেল লাবনী
টেকনাফঃ হোটেল নেটং
রাঙ্গামাটিঃ পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স, নতুন মোটেল
বান্দরবানঃ পর্যটন মোটেল
খাগড়াছড়িঃ পর্যটন মোটেল
রাজশাহীঃ পর্যটন মোটেল
বগুড়াঃ পর্যটন মোটেল
রংপুরঃ পর্যটন মোটেল
দিনাজপুরঃ পর্যটন মোটেল
কুয়াকাটাঃ পর্যটন ইয়ুথ ইন, পর্যটন হলিডে হোমস
বেনাপোলঃ পর্যটন মোটেল
মংলাঃ হোটেল পশুর
মেহেরপুরঃ পর্যটন মোটেল
মাধবকুণ্ডঃ পর্যটন রেস্তোরাঁ
সিলেটঃ পর্যটন মোটেল, পর্যটন মোটেল জাফলং
চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ পর্যটন মোটেল

তাদের ওয়েব সাইটে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে ‘পর্যটন আকর্ষণ’ শীর্ষক একটা ট্যাব আছে। সেখানে পাবেনঃ

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহঃ লালবাগ কেল্লা, মুঘল ঈদগাহ, আহসান মঞ্জিল, সোনারগাঁও, উয়ারী বটেশ্বর, ময়নামতি, পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, কান্তজীউ মন্দির, ষাট গম্বুজ মসজিদ,

সমুদ্র সৈকতঃ পতেঙ্গা, পারকী, কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কুয়াকাটা, কটকা

ধর্মীয় স্থানসমূহঃ মসজিদ, হিন্দু মন্দির, গীর্জা, বৌদ্ধ মন্দির

পাহাড় ও দ্বীপঃ রাঙামাটি - হ্রদ জেলা, কাপ্তাই - হ্রদ শহর, বান্দরবান - বাংলাদেশের ছাদ, খাগড়াছড়ি - পাহাড়ের শীর্ষের শহর, ময়মনসিংহ, সিলেট, মহেশখালী দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ জাতির পিতার সমাধিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাতীয় কবির সমাধিসৌধ, কার্জন হল, বলধা গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, বাহাদুর শাহ্ পার্ক, দীঘাপতিয়া রাজবাড়ি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবরস্থান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সাগরদাড়ি, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, ত্রিশাল, গান্ধী আশ্রম।

বন ও জলাবনঃ সুন্দরবন, রাতারগুল জলাবন

অন্যান্য আকর্ষনীয় স্থানসমূহঃ জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গভবন, শাঁখারীবাজার, সদরঘাট, রমনা পার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান, বাটালী পাহাড়, জেলা প্রশাসকের পাহাড়, রাজশাহী, যমুনা ব্রীজ, মাধবকুন্ডু, জাফলং।

নাজুক অবস্থা দেখলাম ট্যুরিজম বোর্ডের ওয়েবসাইটে। তাদের ইভেন্ট ট্যাবে গিয়ে খোঁজ করলাম তারা বিগত বৎসরগুলোতে কি কি ইভেন্ট আয়োজন করেছে। তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না, লিস্ট পেলাম তারা কোন কোন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছে তার খতিয়ান। এই অংশগ্রহণ কিন্তু স্রেফ একটি স্টল নিয়ে বসে থাকার চেয়ে বেশী কিছু নয়।

এই যখন দেশের প্রধান দুটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের হালচিত্র, তখন এই ‘পর্যটন বর্ষ ২০১৬’ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আসলে মূল গলদ হল লক্ষ্যে, তিন বছরে ১০ লাখ পর্যটক সমাগম করানো। আর দেশীয় পর্যটকেরা? তারা কেন প্ল্যানিং এর মূল ফোকাসে নেই? বিগত পাঁচ বছরে দেশের ভেতরে যে সুবিশাল পর্যটক তৈরি হয়েছে তার পরিসংখ্যান কি তাদের কাছে নেই। প্রতি সপ্তাহান্তে প্রতিটি বাস-ট্রেন-লঞ্চ-প্লেন রুটে খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন প্রতি সপ্তাহে কয়েক হাজার পর্যটক দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতি বছর দশ লাখের চেয়ে অনেক বেশী দেশীয় পর্যটক ভ্রমণ করছে দেশ জুড়ে, সাথে কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণ করছে দেশের বাইরে। শুধুমাত্র ভারতেই প্রতি বছর কয়েকলাখ বাংলাদেশী ভ্রমণ করে টুরিস্ট ভিসায়। এই যে সুবিশাল পর্যটকগোষ্ঠী দেশের অভ্যন্তরেই রয়ে গেছে তাদের জন্য কোন পরিকল্পনার কথা আজও শুনতে পাই নাই। কিন্তু কেন? কারণ যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অভাব। অথচ সারা বছর জুড়ে এই পর্যটকদের কারনেই টিকে থাকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। অথচ, এই পর্যটকেরাই রয়ে যায় চরম উপেক্ষিত।

দেশের পর্যটন বিকাশের জন্য দরকার ছিল সবার আগে প্রতিটি পর্যটন ডেসটিনেশনের সাথে বিভাগীয় শহরগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতর করা। অথচ প্রতিটি স্পটের (হাতে গোনা দুয়েকটি ব্যতীত) প্রান্তিক কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কি যে কষ্টে করতে হয় তা পর্যটক মাত্রই জানেন। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রথমে প্রয়োজন। এর সাথে নিরাপত্তা। এই দুটোর পরেই চলে আসে ব্যাবস্থাপনা, সরকারী ব্যাবস্থাপনায় ট্যুর প্যাকেজ খুবই সীমিত, বলা যায় নগণ্য, এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত। সরকারী তেমন কোন পর্যটন প্য্যাকেজের কথা খুব একটা শোনা যায় না; আর গেলেও তা যেন হাতে গোনা দু’চারটি গন্তব্যে আঁটকে আছে। তাই সবার আগে উচিত সুপরিকল্পিত একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং প্যাকেজ তৈরি। সেই প্যাকেজের আওতায় দেশ-বিদেশের পর্যটকের জন্য বিভিন্ন মুল্যে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা। এই লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা করা হলঃ

প্রথমেই পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে পৃথক প্যাকেজ ব্যবস্থাপনা। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার বিভিন্ন স্পট নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ হতে পারে। তিনদিন থেকে পনেরদিনের পর্যন্ত। সময় এবং ভ্রমণের ধরন অনুযায়ী স্পটগুলো নির্ধারিত হবে। যে সব দেশে পর্যটন উন্নত সেখানেন এমনটাই হয়; পাশের দেশ ভারতের রেল কর্তৃপক্ষের পর্যন্ত ভ্রমণ প্যাকেজ রয়েছে নানান রকমের। আমাদের সমুদ্র সৈকতগুলো নিয়ে একটা প্যাকেজ থাকবে। থাকবে বনাঞ্চল নিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ। থাকবে খাল-বিল, নদী পথে বোট ট্রিপ। হতে পারে উৎসব ভিত্তিক প্যাকেজ। যাই হোক, তারা না করুক, আমরা তো করতে পারি? আসুন আমাদের নিজেদের একটি তালিকা তৈরি করি কি কি দেখা যেতে পারে আমাদের দেশে, অথবা কি কি দেখাতে পারি আমাদের বিদেশী কোন বন্ধুকে এই দেশে এনেঃ

প্রত্নতত্ত্বঃ মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি, উয়ারিবটেশ্বর, কান্তজীমন্দির, ষাটগুম্বজ মসজিদ, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, পানাম নগরী থেকে শুরু করে নানান জমিদার বাড়ী (বালিয়াটি, মহেরা, তাজহাট প্রভৃতি)। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাইটে গেলে শতাধিক স্পটের নাম পাওয়া যাবে।

হাওড়-বিলঃ টাঙ্গুয়ার হাওড়, হাকালুকি হাওড়, চলনবিল, আড়িয়াল বিল প্রভৃতি।

বনাঞ্চলঃ সুন্দরবন, রেমা-কালেঙ্গা, সাতছরি, ইনানি, কাপ্তাই, লাউয়াছরা, খাদিমনগর, কুকরি-মুকরি, ফাতরার বন, রাতারগুল প্রভৃতি।

সমুদ্র সৈকতঃ কক্সবাজার, ইনানি, টেকনাফ, সেন্টমার্টিণ, কুয়াকাটা, পতেঙ্গা, পারকি, কাট্টলি, তারুয়া, কটকা-জামতলা প্রভৃতি।

পাহাড়ঃ সাকাহাফং, কেওকেড়াডং, তাজিংডং, চিম্বুক, নীলগিরি, আলুটিলা, প্রভৃতি।

পাহাড়ি লেকঃ রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, বগালেক, দেবতার পুকুর প্রভৃতি।

ঝর্নাঃ মাধবকুণ্ড, পরিকুন্ড, হামহাম, পান্তুমাই, শুভলং, রিসাং, খইয়াছরা, রিজুক, নাফাখুম, অমিয়াখুম প্রভৃতি।

দ্বীপাঞ্চলঃ নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, সোনাদিয়া, মহেশখালি, কুতুবদিয়া, মনপুরা, সোনার চর, গঙ্গামতি, ছেরাদ্বীপ প্রভৃতি

উৎসবঃ পহেলা বৈশাখ, সাকরাইন, দুর্গাপূজা, ঈদ উৎসব, বৈসাবি, রাসমেলা, নবান্ন উৎসব, নৌকা বাইচ, জব্বরের বলিখেলা প্রভৃতি।

এভাবে প্রতিটি শ্রেণীর জন্য নানান মূল্য এবং সময় নিয়ে প্যাকেজ থাকা উচিত; এবং তা দেশী-বিদেশী উভয় পর্যটকের জন্য, ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা এবং মূল্য সম্বলিত। এর সাথে তদারকি করতে হবে বেসরকারি ট্যুর অপারেটর, হোটেল-মোটেল-কটেজ’গুলোকে, রেস্টুরেন্ট, পরিবহণসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। এই সব সেক্টরে বিদ্যমান সকল সরকারী সংস্থাকে আরও বিস্তৃত করতে হবে তাদের কার্যক্রম। যেমন, বিটিআরসি চালু করতে পারে দেশের নানান প্রান্তে টুরিস্ট বাস সার্ভিস, বিডব্লিউটিএ চালু করতে পারে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস।

এর সাথে নিশ্চিত করতে হবে উন্নত ইন্টারনেট সেবা, যাতে করে অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রদান সহজতর হয়। নিরাপত্তার খাতিরে টুরিস্ট পুলিশকে আধুনিকায়ন করা, সড়কপথে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এগুলোও অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনের বিকাশে। এভাবে প্রতিটি ক্ষুদ্রতর থেকে শুরু করে বৃহত্তর পরিসরে ঢেলে সাজাতে হবে, পরিকল্পনা হতে হবে বাস্তবসম্মত এবং সুদূরপ্রসারী। নইলে শুধু ঘোষণার বেড়াজালে আঁটকে যাবে এই উদ্যোগ।

শেষে একটা ঘটনা বলি, গত অক্টোবর মাসে কাশ্মীর ভ্রমণের এক সপ্তাহ আগে এক বন্ধু জানালো, টিভি নিউজে দেখেছে কাশ্মীরে গণ্ডগোল চলছে, এখন যাওয়া কি ঠিক হবে? তখন সকল প্রস্তুতি শেষ, শুধু ফেরার বিমান টিকেট করা বাকী, ভ্রমণ সাথী সবাই চিন্তিত। আমি কি মনে করে, জম্মু এন্ড কাশ্মীর ট্যুরিজম বোর্ড’কে মেইল করলাম, সিকিউরিটি ইস্যু এবং আমাদের ভ্রমণ নিয়ে। সেদিন ছিল রবিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আমি মেইলে মেনশন করেছিলাম আরজেন্সির ব্যাপারে। মেইল করার পর দশ মিনিটের মধ্যে রিপ্লাই চলে আসল। গ্রিন সিগ্ন্যাল পেয়ে চলে গেলাম কাশ্মীর; ‘বন্‌ধ’ এর মত রাজনৈতিক কর্মসূচী এবং গো-ভক্ষণ’কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে একসপ্তাহ কাঁটিয়ে এলাম কোন ঝামেলা ছাড়াই। কারণ? ভারত সরকার ট্যুরিজমকে অনেক বেশী প্রাধান্য দিয়েছে, যে কোন জায়গায় টুরিস্ট বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করে। আমাদের দেশেও যেন দেশী-বিদেশী সকল পর্যটক এমন অগ্রাধিকার পায়, পায় ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা।

শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬। শুভ হোক অপার সম্ভাবনার পর্যটন শিল্পের পথ চলা। বিকশিত হোক আমাদের পর্যটন শিল্প, আমাদের দেশের রূপে বিমোহিত হোক বিশ্ববাসী।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
দেশকে নিয়ে ভাল পোস্ট দিলেন।
অনেক +++++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লেখোয়াড়.

ভালো থাকুন সমসময়।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

টোকাই রাজা বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম ভ্রমন পোস্ট বরাবরই আমার পছন্দ।
ভারত সরকার ট্যুরিজমকে অনেক বেশী প্রাধান্য দিয়েছে, যে কোন জায়গায় টুরিস্ট বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করে। আমাদের দেশেও যেন দেশী-বিদেশী সকল পর্যটক এমন অগ্রাধিকার পায়, পায় ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা। সহমত।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজা সাহেব। :)

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিষয়কে হাইলাইটস করেছেন।

তাদের উদ্দ্যেশ্যের ১-১৪ হল কাজির গাই! কিতাবে আছে গোয়ালে নাই! ;)

নিজেরাতো পারেইনা- বেসরকারীদেরও পূর্ন সুযোগ দেয় না। X((

শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬। শুভ হোক অপার সম্ভাবনার পর্যটন শিল্পের পথ চলা। বিকশিত হোক আমাদের পর্যটন শিল্প, আমাদের দেশের রূপে বিমোহিত হোক বিশ্ববাসী। সহমত।
+++++++++++++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, তিনবার কমেন্ট লিখে ক্লিক করতে এরর দেখাল, আর বিশদ মন্তব্য লিখতে মন চাচ্ছে না। আশা করি সকল হতাশা কাঁটিয়ে আমাদের পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে।

ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: অনেক অনেক ভাল তথ্য। সংগ্রহে রাখলাম.।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ইকবাল হোসাইন সুমন, ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন মুলক পোস্ট
ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়। :)

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: কামের পুস্ট। প্রিয়তে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধইন্যা ভাউ, ভালো থাকুন সবসময়। :)

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

অটো ষ্টেশন বলেছেন: অসংখ্য ধনোবাদ।

Auto Station

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :)

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

নতুন বলেছেন: এই সমস্ত পোস্ট গুলি পয`টন মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রীর পযন্ত পড়া দরকার।

এই খাতকে পুজি করে দুনিয়ার মেলা দেশের চেহারা পাল্টে গেছে...

আমাদের দেশের সরকারে উচিত এটাকে কিভাবে উন্নত করা যায় তার জন্য এই ইন্ড্রিস্টিতে বিদেশে কম`রত দেশীদের অভিঙ্গতা চাওয়া...

আমরা বলতে পারবো কি কি দরকার... কি কি হলে বিদেশী পয`টক আমাদের দেশে যাবে...

জনগনকে সচেতন করতে হবে...দেশী/ বিদেশী পয`টক যে সবার জন্য টাকার যোগান দেবে সেটা বোঝাতে হবে... সবাইকে অথিতি পরায়নাতা দেখাতে হবে...সাহাজ্যের হাত সবসময় খোলা রাখতে হবে...

রাস্তাঘাট ঠিক করতে হবে... নিরাপত্তা ১০০% নিশ্চিত করতে হবে...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভিসা প্রাপ্তি, ইমিগ্রেশন সহ্যকরণ, উন্নত যোগাযোগ, সার্বিক নিরাপত্তা আর মানসম্মত আবাসন, এগুলো অতি আবশ্যকীয় পর্যটনের বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য। কিন্তু এগুলোর প্রতিটিরই ঘাটতি রয়েছে আমাদের দেশে।

আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের দেশের সরকারে উচিত এটাকে কিভাবে উন্নত করা যায় তার জন্য এই ইন্ড্রিস্টিতে বিদেশে কম`রত দেশীদের অভিঙ্গতা চাওয়া... আমরা বলতে পারবো কি কি দরকার... কি কি হলে বিদেশী পয`টক আমাদের দেশে যাবে... +++ কিন্তু এই শুভবুদ্ধির উদয় যদি কখনো হয়! আশায় বুক বাঁধি।

ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রামানিক বলেছেন: বোকা ভাই দারুণ একটা পোষ্ট দিয়েছেন। প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। ধন্যবাদ

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, ভালো থাকা হোক সবসময়।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

কাবিল বলেছেন: নিজের দেশের কত জায়গার নাম জানি।
খুব ভাল একটা কাজ করেছেন ++++++++

@ নতুন ভাইয়ের সাথে সহমত।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল, ভালো থাকা হোক সবসময়।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

কাবিল বলেছেন: নিজের দেশের কত জায়গার নাম জানি না।
খুব ভাল একটা কাজ করেছেন ++++++++

@ নতুন ভাইয়ের সাথে সহমত।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল, এই মন্তব্যের প্রতিত্তর দেয়া হয় নাই কেন বুঝলাম না! যাই হোক, ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: চমৎকার এক পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। জেনে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ অভ্রনীল হৃদয়, আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

পুলহ বলেছেন: আপনার সবগুলো পয়েন্ট এর সাথেই সহমত। টার্গেট টুরিস্ট এর প্রসঙ্গটা সত্যি খুব গুরত্বপূর্ণ। আমার কমন সেন্স বলে- বাইরের পর্যটকদের মধ্যে চায়নিজরা আমাদের জন্য টার্গেট ট্যুরিস্ট হিসেবে গোল্ড মাইন হতে পারে।

"অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, পর্যটন কর্পোরেশনর সকল কর্মকাণ্ড হোটেল ব্যবসায় সীমাবদ্ধ।" - পর্যটন করপোরেশনে কি এই সেক্টরের স্পেশালিস্টদের শক্ত কোন প্রতিনিধিত্ব নেই? যদি থেকে থাকে তবে তাদের কথা কেন শোনা হচ্ছে না? :(

আপনার কাশ্মীর প্রাক-ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মতনই একটা কিছু শুনেছিলাম নেপাল সম্পর্কে। সেখানে যতই রাজনৈতিক ঝামেলা বা এ ধরণের কিছু থাকুক না কেন, পর্যটকেরা নাকি সবসময় তার উর্ধ্বে থাকেন। নেপালিরা প্রায় দেবতার মতনই সম্মান করে বাইরে থেকে তাদের দেশ ঘুরতে আসা ভ্রমণকারীদের!

প্রিয় রাণী যত্নে থাকুক, সেজে থাকুক রাজকীয় বেশভূষায়। তার অপরূপা কোমল বদনখানি যেনো কোনদিন, কখনো মলিন না হয়- পর্যটন বর্ষ ২০১৬তে এই শুভকামনা। :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ পুলহ, ভালো থাকুন সবসময়।

১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: কয়েকবার পড়ে তারপর শুধুই একটি শব্দ লিখতে পারলাম---- অসাধারণ ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রমণ বাংলাদেশ।

১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ++++++++++++++++++++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ভাই :)

১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুবই কাজের পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব, বহুদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে ভালো লাগলো।

নতুন বছরের শুভেছা জানবেন, ভালো কাটুক সারাটি বছর।

১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশের লোকজন মাইনর কারণে বালছাল দিবস/সপ্তাহ/বছর পালন করতে চিরকালই মহাওস্তাদ এবং এগুলার বাস্তব কুনু ইমপ্লিমেন্টেশন কোথাও দেখা যায় না। পর্যটন মারাইতে হইলে সবার আগে দরকার হইল নিরাপত্তা, এরপর দরকার ভাল যোগাযোগ ব্যবস্হা (অন্তত মেজর শহরগুলার মধ্যে) এবং অবশ্যই অবশ্যই খাবার এবং পানির মান নিশ্চিত করা। কুনটা আছে? এয়ারপোর্টে নতুন ম্যাজিস্ট্রেটরা দৌড়ানি দেয়া শুরু করার আগে ট্যুরিস্ট তো দূরের কথা, বাংলাদেশি পাবলিকরাই টেকাটুকা নিয়া নিরাপদে গাট্টিবোচকা সহ সহিসালামতে ঢুকতে বাইর হইতে পারত না। হেহ, ৯৬~৯৯ সালে ঢাকা থিকা চিটাগাং যাইতে লাগত ৫/৬ ঘন্টা, এখন লাগে ১০ ঘন্টা। দেশের মেজর এয়ারপোর্টগুলা থিকা সিটিসেন্টারে যাওয়ার একটা ভদ্র পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এতবছরেও কেউ দেয়ার কথা চিন্তা করে নাই। দুনিয়ার ম্যাক্সিমাম ট্যুরিস্ট স্পটের শহরগুলাতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সেন্ট্রালি কন্ট্রোল করা হয়, বাংলাদেশে, আইচ্ছা আমার ঢাকা শহরে ৬নাম্বার বাস হারাংগেটে আইসা কমসে কম একঘন্টা বইসা থাকে আর পাশে হানিফ পরিবহণ, শ্যামলি পরিবহণ, ঢাকা পরিবহণ নামের রাস্তার সন্ত্রাসীরা গুতাগুতি কইরা পাবলিক মারে।

আর এই দেশে উদযাপন করে পর্যটন বছর।

বেশতো করুক। আমি কইলাম, হুযযাহ!! ও ইয়েহ!! কায়ালবাম!! !:#P !:#P

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি বোকা মানুষ তো, তাই বোকা বোকা কিছু কয়ালাইলাম। :)

১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

দেলোয়ার হোসেন দিহান বলেছেন: ভাইয়া আমি একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে পর্যটকদের আগ্রহের তালিকায় বাংলাদেশ ১২৭ তম। সুতরাং এদেশে ১০ লক্ষ্য পর্যটক আশা করাটা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়। আর তাছাড়া এদেশে পর্যাপ্ত ফোর স্টার/থ্রী স্টার হোটেল কিংবা মোটেলও নাই যাতে ১০ লক্ষ্য পর্যটকের আবাসন সম্ভব হবে।

তবে এই বছরের একটা ভালো দিক হচ্ছে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে সম্ভবত এক লাখ। আর তাহলে এটি হবে সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তাতে যদি পর্যটকদের একটু কক্সবাজারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লক্ষ্য কিন্তু তিন বছরের। যাই হোক, ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।

১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ৪) পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫) পর্যটনকদের জন্য ভিসা ও ইমিগ্রেশন পদ্ধতি সহজতর করার উদ্যোগ গ্রহণ।
খুবই গুরুত্বপূর্ন।।
শুভেচ্ছা রইলো।।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সহমত হ্যাপী ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি পয়েন্ট দারুণ এবং যুক্তিসংগত। সহমত জানিয়ে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

এসব বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় সুমন কর, ভালো থাকা হোক সবসময়।

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একটু আগে জুন আপুর এনকর ভাট পোষ্টটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম আমাদের দেশেও এমন পুরাকীর্তি আছে কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণের অবহেলায় এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। অথচ এগুলো সংস্কার করলে হতে পারত আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। আর যে কটা সংস্করণ করা হয়েছে, হারিয়েছে আদি সৌন্দর্য।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার একটা সিরিজ আছে, "বাংলার জমিদার বাড়ী"; সেখানে বারবার একটা কথা বলেছি, উন্নতবিশ্বে যে সকল স্থাপনা হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত হয়, আমাদের দেশে সেইসকল স্থাপনা পড়ে থাকে অবহেলায়, ক্ষয়ে যায় অস্থি-মজ্জা সকল, ঘুণে ধরে বিচূর্ণ হয় ইতিহাসের পাতা।

আপনার সাথে সহমত, সংরক্ষণের নামে জাস্ট ধ্বংস করা হয়েছে অথবা বিকৃত করা হয়েছে। নিজ চোখে ঘুরে ঘুরে দেখেছি, অথচ এগুলো নিয়ে ভাবার যেন কেউ নাই। দুঃখ হয়, কষ্ট হয়; কিন্তু আমাদের কিছুই করার নাই, আমরা নিরুপায়। যাদের করার আছে, তারা নিশ্চুপ, নির্বিকার। :(

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আসলে মূল গলদ হল লক্ষ্যে, তিন বছরে ১০ লাখ পর্যটক সমাগম করানো। আর দেশীয় পর্যটকেরা? তারা কেন প্ল্যানিং এর মূল ফোকাসে নেই? বিগত পাঁচ বছরে দেশের ভেতরে যে সুবিশাল পর্যটক তৈরি হয়েছে তার পরিসংখ্যান কি তাদের কাছে নেই। প্রতি সপ্তাহান্তে প্রতিটি বাস-ট্রেন-লঞ্চ-প্লেন রুটে খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন প্রতি সপ্তাহে কয়েক হাজার পর্যটক দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতি বছর দশ লাখের চেয়ে অনেক বেশী দেশীয় পর্যটক ভ্রমণ করছে দেশ জুড়ে, সাথে কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণ করছে দেশের বাইরে। শুধুমাত্র ভারতেই প্রতি বছর কয়েকলাখ বাংলাদেশী ভ্রমণ করে টুরিস্ট ভিসায়। এই যে সুবিশাল পর্যটকগোষ্ঠী দেশের অভ্যন্তরেই রয়ে গেছে তাদের জন্য কোন পরিকল্পনার কথা আজও শুনতে পাই নাই। কিন্তু কেন? কারণ যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অভাব। অথচ সারা বছর জুড়ে এই পর্যটকদের কারনেই টিকে থাকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। অথচ, এই পর্যটকেরাই রয়ে যায় চরম উপেক্ষিত।

সত্যিই কষ্ট পাই, নিজেদের দেশের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখতে, শুধু সুযোগ -সুবিধার অপ্রতুলতায়!!!
গত বছরের অক্টোবরে কুমিল্লা ঘুরতে গেলাম। সাথে সরকারের দু'জন হোমড়া-চোমড়া কর্মকর্তা ছিলেন বলেই বার্ড-এ থেকে দু'দিন ধরে কুমিল্লা ঘুরে দেখলাম। কিন্তু যাদের সাথে সরকারী কর্মকর্তা থাকেন না, তারা কিভাবে, কোথায় থেকে কুমিল্লা দেখবেন, সে চিন্তা কি সরকারের আছে? অথচ, সারা কুমিল্লা জুড়ে অসংখ্য ট্যুরিষ্ট স্পট।

দেশের পর্যটন বিকাশের জন্য দরকার ছিল সবার আগে প্রতিটি পর্যটন ডেসটিনেশনের সাথে বিভাগীয় শহরগুলোর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতর করা। অথচ প্রতিটি স্পটের (হাতে গোনা দুয়েকটি ব্যতীত) প্রান্তিক কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কি যে কষ্টে করতে হয় তা পর্যটক মাত্রই জানেন। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রথমে প্রয়োজন। ---
আপনার- আমার এসব কথা কে শুনবে ভাই!!! :(

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই এসব কথা শোনার কেউ নাই, বোকা মানুষ তবুও বলে যাই :(

২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,



পর্যটনের মূল কথা হলো ঘুরে ঘুরে দেখা । কিন্তু কি করে ঘুরবেন যদি না থাকে তেমন পথ, তেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা ?
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে তা জানা হলো । উদ্দেশ্যের ভেতরে দেখলুম - সহজ গমনাগমনের জন্য বাস্তব অবকাঠামো যেমন, সড়কপথ, রেলপথ, বিমানপথ ও নৌপথ তৈরীতে সরকারকে সম্পৃক্ত করা এবং বেসরকারী উদ্যোগকে উৎসাহিত করা।
খেয়াল করুন এটা উদ্দেশ্য , প্রায়োরিটি নয় । অথচ আমাদের দেশে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান বাঁধাটাই হলো যাচ্ছেতাই রকমের যোগাযোগ ব্যবস্থা । সরকার যদি এটা নাই পারে তবে কেন ব্যক্তিখাতে এটা ছেড়ে দেয়া হচ্ছেনা ? দেশের হাযার হযার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে বাইরে, টাকার উৎস বলা ও ট্যাক্স দেয়ার হাত থেকে বাঁচতে । এ টাকা কি ইহজন্মে দেশে ফেরত আনা যাবে , যতোই সরকার কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দিক না কেন ? সেটা যদি কার্য্যকরী পদক্ষেপই হতো তবে এতোদিনে পাচারকৃত ১৮ হাযার কোটি টাকারই দেশে ফিরে আসার কথা । সরকার যতো কম শর্ত জুড়ে দিয়ে টাকা সাদা করার কথাই বলুক না কেন , পাচারকারীরা নিজেদেরকে ১০০ % নিরাপদ ভাববেন না ।
আমি অর্থনীতিবিদ নই । সোজা ভাবে মনে করি, সরকার যদি ডাক দিয়ে বলেন -- আপনাদের টাকার ১ পয়সারও হিসেব নেয়া হবেনা । দিতে হবেনা কোনও ট্যাক্স । শুধু দেশের শিল্প , যোগাযোগ , কৃষি, শিক্ষা খাতে যতো ইচ্ছা পাচারকৃত টাকা বিনিয়োগ করুন । সরকার এর উৎস জানতে চাইবেনা । চাইবেনা এক পয়সা ট্যাক্স ও । ইচ্ছে হলে ট্যাক্স দেবেন , না দিলেও ক্ষতি নেই ।
অনেকে অনেক প্রশ্ন তুলবেন আমার এহেন আহাম্মকী প্রস্তাবে । কিন্তু ভেবে দেখতে বলি , এটাই বিদেশের ব্যাংকে পড়ে থাকা টাকার দেশে ফেরৎ আনার রেসিডেন্সিয়াল ভিসা । বেশী পরিমানে আর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে টাকার নিজদেশে ফিরে আসার জন্যে এটার চেয়ে সহজ পথ আর দ্বিতীয়টি নেই । অর্থনীতিবিদরা যতোই চিল্লাচিল্লি করুন কেন ।
এটা হলে দেশে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দেবে । সরকার যতোটুকু ট্যাক্স হারাবেন বলে মনে হবে তার চেয়ে দেশ হাযারগুন বেশি উপকৃত হবে .......................... ( স্থান স্বল্পতার কারনে এর খুটিনাটি বেশি আর বললুম না )


০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ভালো লাগা মন্তব্যে, খুব মুল্যবান কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন ভাই। কিন্তু এগুলো শুধু নিজেদের মধ্যে বলা আর শোনা'র মাঝেই হয়ত আঁটকে থাকবে। :(

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামনা জানবেন।

২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

রাবার বলেছেন: প্রতিটা পয়েন্টের সাথে একমত পোসন করলাম বোকামানুষ ভাই

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার, ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: প্রয়োজনীয় আয়োজন!!

প্রিয়তে রাখলাম।

শুভকামনা জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ, আপনিও ভালো থাকুন সবসময়। :)

২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

জুন বলেছেন: সর্বপ্রথম নিরাপত্তা , অবকাঠামো গড়ে তোলা , যোগাযোগের সুব্যবস্থা , সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরা , কোন একটি সামান্য স্পটকে কত নান্দনিক কৌশলে মানুষের চোখের সামনে তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষন , স্থানগুলো সংরক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এসব লক্ষ্য সামনে রেখে শুরু হোক শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অল্প কয়েকটি কথায় সবকিছু বলে দিলেন, ধন্যবাদ জুন আপু। অনেক অনেক ভালো থাকুন, শুভ পর্যটন বর্ষ।

২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল যোগাযোগ, নিরাপত্তা ভাল খাবার এসব দরকার যেসবের ব্যাপারে এদেশের কতৃপক্ষের কুনুই আগ্রহ নেই জ্ঞান নেই ধারনাও নেই। সুতরাং ফরগেট ইট।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিন্তু ফরগেট করতে যে পারি না ভাইয়া, তাই তো বোকার মত এসব নিয়ে চিন্তিত হই। :(

আশায় বুক বাঁধি, একদিন সব কিছু হবে এই দেশে।

ভালো থাকা হোক সবসময়।

২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অবকাঠামো আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে পর্যটক আকৃষ্ট করা কখনোই সম্ভব হবে না।

ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অবকাঠামো আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে পর্যটক আকৃষ্ট করা কখনোই সম্ভব হবে না। যথার্থ বলেছেন, যদি কর্তৃপক্ষ এগুলো শুনতো এবং বুঝতো!! :(

২৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: ফাইনালি দিয়েছি B-))

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গতকাল রাতে অফলাইনে দেখলাম। ধন্যবাদ ফাইনালি "পাপ্পু পাশ হো গায়া" ;)

৩০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপক পোস্ট। কাজে লাগতে পারে। ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তর এর জন্য দুঃখিত।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

৩১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। তথ্যবহুল, সংগ্রহে রাখার মত, তাই রাখলাম।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.