নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীরে কেনাকাটা (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২০



আগের পর্বঃ শালিমার বাগ - কাশ্মীরি মুঘল গার্ডেন (শেষ পত্র) (কাশ্মীর এক্সটেন্ড টু দিল্লী-সিমলা-মানালিঃ ভারত ভ্রমণ ২০১৫)

কাশ্মীর বেড়াতে যাব শুনে পরিচিত সবাই কাশ্মীর থেকে শাল আনার জন্য বলতে লাগলো। নেটে ঘাটাঘাটি করে খোঁজ করা শুরু করলাম কি কেনা যেতে পারে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়ে। কিছুক্ষণ খোঁজখবর করতেই মাথা ঘুরে গেল। সবার মুখে যে “পশমিনা শাল” এর এতো নাম শুনেছি, সেই পশমিনা শাল এর আকাশ ছোঁয়া মূল্য। বেশ কয়েকজন কাশ্মীর থেকে শাল আনাতে চেয়েছিল, তাদের মূল্য বলতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। তবে আমি মোটামুটি খোঁজখবর করে সকল ভ্রমণসাথীকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কি কি শপিং করা যেতে পারে, কোথা থেকে, কেমন মূল্য হবে ইত্যাদি। যাই হোক, মজার ব্যাপার হল, সবাইকে যেমন নির্দেশনা বা পরামর্শ দেয়া হয়েছিল সবাই তার বিপরীত কাজগুলো করেছে বেশীরভাগ সময়।

আমরা কাশ্মীর গিয়েছিলাম কলকাতা থেকে দিল্লী হয়ে জম্মু দিয়ে। কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে রওনা দিয়ে পরেরদিন সকালে দশটার পরে পৌঁছই দিল্লী। দিল্লী থেকে দুপুর তিনটার পরে আমাদের ট্রেন, জম্মুর উদ্দেশ্যে। মাঝখানের সময়টুকুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল দিল্লীর বিখ্যাত “লাল কেল্লা” এবং “কুতুব মিনার” ঘুরে দেখার। দিল্লী পৌঁছে ষ্টেশনের লকারে সবার লাগেজ রেখে মেট্রো ষ্টেশনে গিয়ে সবাই মেট্রো যোগে এসে নামলাম কুতুবমিনার ষ্টেশনে। সেখানে থেকে অটোরিকশা যোগে কুতুবমিনার রওনা হলাম। পথিমধ্যে অটোরিকশা এসে থামল সরকারী এক কুটির ও ক্ষুদ্রশিল্পের শো রুমে, নাম “দিল্লী হাট”। আমি চরম বিরক্ত হলাম, হাতে সময় কম, একি যন্ত্রণা! যাই হোক, ড্রাইভারের অনুরোধে আমরা ওখানে থামলাম। এখানে গেস্ট নিয়ে আসলে ওরা নাকি এক লিটার তেল পায়! অন্য একজন বলল, কমিশনও পায়। যাই হোক, সবাইকে বললাম, মিনিট পাঁচেকের চোখের দেখা দেখেই আমরা বের হয়ে যাব এখান থেকে। কিন্তু ভেতরে ঢোকার পর চৌকশ দোকানির পাল্লায় পড়ে আধঘণ্টার উপরে সময় গচ্চা দিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ল শপিং করতে। ফলাফল? সেদিন লালকেল্লা দেখা হয় নাই আর :( এখানকার কালেকশন আসলেই ভাল, মূল্য একটু বেশী মনে হয়েছে। জামাকাপড় থেকে শুরু করে গয়না, শো-পিস সবকিছুই এখানে সাজানো রয়েছে।

কাশ্মীর পৌঁছে প্রতিটি স্পট থেকেই সবাই অল্পবিস্তর কেনাকাটা করতে ব্যস্ত ছিল। কেউ কেউ তো ২০০-৩০০ রুপীতে পাশমিনা কিনে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে লাগলো। কিন্তু পশমিনা শাল যে আগে দেখে নাই, বা এ সম্পর্কে কোন ধারনা নাই, তাকে কেমনে বুঝাই এই মূল্যে কখনো কোন পশমিনা শাল কেনা অসম্ভব এবং হাস্যকর শোনায়। একটি সেমি-পশমিনা শালের সর্বনিম্ন মূল্য ৩০০০ রুপী’র কাছাকাছি, পশমিনা শাল দশ থেকে বারো হাজার রুপী’র কম নয়। সেখানে ২০০-৩০০ রুপীতে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে পশমিনা বলে সাধারণ মানের শাল বিক্রয় হচ্ছে, সেগুলো কিনে মহাখুশি অনেকে। আমি আর কিছু বলি নাই, যার যার টাকায় সে কেনাকাটা করছে; আমার কথা বলাটা শোভন দেখায় না। শেষের দিন আমরা গেলাম শ্রীনগর এর গভর্নমেন্ট এম্পরিয়ামে। অনেকটা আমাদের আড়ং টাইপের দোকান, পণ্যের মান খুবই ভাল, এবং দামও একটু চড়া। মূল্যে কিছুটা বেশী দিয়ে হলেও গুণগত এবং মানসম্মত পণ্য পাওয়া যায় এখানে। কয়েকজন এখান থেকে সেমি-পশমিনা শাল কিনল, ৩০০০-৩৫০০ রুপীর মধ্যে। এগুলোই ছিল সবচেয়ে কম মূল্যের। ট্যুরের শেষ দিন, হাতে সবার টাকা-পয়সা শেষের দিকে। তাই এখান থেকে তেমন কেনাকাটা করা হল না। আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড 'সাহিল' তার পরিচিত একটা বড়সড় দোকানে নিয়ে এল। ত্রিতলা এই দোকানের নীচের তলায় কাপড়ের কালেকশন, দ্বিতীয় তলায় জ্যাকেট-সোয়েটার সাথে নানান গহনা, তৃতীয় তলায় শো-পিস সহ আরও নানান সরঞ্জামের সমাহার। এই দোকান থেকেই মূলত আমরা বেশীরভাগ কেনাকাটা করেছিলাম। সাহিলের কল্যাণে আমরা সর্বোচ্চ ত্রিশ শতাংশ মূল্যছাড় পেয়েছিলাম। আসুন দেখি কিছু কাশ্মীরি শালের ছবিঃ





















কাশ্মীর শপিং এ আরও ছিল মসলা এবং ড্রাই ফ্রুট। পাহেলগাঁও থেকে গুলমার্গ যাওয়ার পথে একটা দোকানে আমাদের গাড়ী থামল। সাহিলের পরিচিত এই দোকান থেকে সবাই নানান মশলাজাতীয় দ্রব্যাদি কিনেছিল। জাফরান, এলাচ থেকে শুরু করে কালিজিরা মতন একটা মসলা, মধু, অনেক সমৃদ্ধ ছিল এই দোকানের কালেকশন। আর গুলমার্গ থেকে শ্রীনগর আসার পথে আমরা একটা আপেলের বাগান পরিদর্শন করেছিলাম। সেই বাগানে একটা ছোট্ট দোকান ছিল, যা থরেথরে সাজানো ছিল কাশ্মীরের বিখ্যাত নানান ড্রাই ফ্রুট দিয়ে। Dried Blackberries, Salted Pistachio, Dried Figs Anjeer, Kashmiri Walnuts Akhrot, Kashmiri Almonds (Kagzi Badam), Dried Apricots Khurmani, Dried Apple Pulp সহ আরও বেশকিছু নাম না জানা শুকনো ফল। এছাড়া ফলের জুস, জ্যাম-জেলি, আচার, মধু, হারবাল প্রসাধনী এবং সুবিখ্যাত পানীয় “কাহওয়া”। এখান থেকে আমি কিনেছিলাম কেজি চারেক শুকনো ফল আর এক কৌটো “কাহওয়া”।




















এগুলো ছাড়া, পাহেলগাঁও এর চান্দানওয়ারি থেকে কিনেছিলাম কিছু কাশ্মীরি ট্র্যাডিশনাল অরনামেণ্ট। আর হাউজবোটে ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের শিকারা হতে হাতে তৈরি গহনার বাক্স, ছোট কয়েন ব্যাগ, মেয়েদের হাতব্যাগ, শো-পিস এসব।

































আপনি কাশ্মীর ভ্রমণে গেলে যাই কেনাকাটা করেন না কেন, একটু খোঁজ খবর করে ভাল দোকান থেকে দাম একটু বেশী দিয়ে হলেও ভালো জিনিসটাই কেনার চেষ্টা করবেন। এই ছিল আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণের শেষ উপাখ্যান। আগামী পর্বে কাশ্মীর’কে বিদায় জানিয়ে আমরা ছুটবো দিল্লীর পথে, গন্তব্য সিমলা-মানালি।

ছবিঃ নেট থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: বাহ!চমৎকার কাশ্মীর।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই, ভালো থাকা হোক সবসময়।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: কাশ্মীরের অনেক চমৎকার জিনিস দেখলাম আপনার মাধ্যমে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কাশ্মীর নিয়ে ধারাবাহিক অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছি, চাইলে সেখান থেকে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন। :)

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: বোকা ভাই, যা দেখাইলেন দেইখা তো শুধু কিনতেই মন চাইতেছে। ধন্যবাদ

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কেনাকাটা শুরু করে দেন বড় ভাই, এখন কিন্তু অনলাইন শপিং এর যুগ। :)

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ড্রাই ফ্রুট গুলা দেইখা খাইতে মুঞ্চায়.. কিং কাহওয়ার দাওয়াত পাই নাইক্যা দেইখ্যা মন খ্রাপ ;)

কাশ্মীরি শালের তাহলে এই কাহিনী!!!!

অনেক কিছূ জানা হলো আপনার পোষ্টে। ধন্যবাদ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিকানা দেন, এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট পাঠিয়ে দিবানি। :)

আরে ভাই আর বলিয়েন না, লাখ-দু'লাখ রুপী মুল্যের পশমিনা শাল হয়, তাও তিনমাস আগে অর্ডার করতে হয়। কাশ্মীরি শালের এলাহি সব কাণ্ডকারখানা দেখবেন একটু সার্চ করলেই।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আসল কাশ্মীরি শাল আসলেই অনেক দাম।

নেট থেকে চমৎকার সব ছবি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে শপিং করার সময় বা দেশে ফিরে সেগুলোর ছবি তোলার কথা মাথায় আসে নাই। বীথি আপু কোন একটা পোস্টে শালের কথা বলেছিলেন, সেই সুত্র ধরেই এই পোস্ট করার ইচ্ছে জেগেছিল। কিন্তু পোস্ট করতে গিয়ে দেখি ছবি তো নাই! কি আর করা, গুগোল থেকে ধার করতে হল। :(

ধন্যবাদ রুহী আপু, ভালো থাকুন সবসময়। :)

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনাদের ভ্রমনের ছবি কই? খালি গুগল মামুর কাছ থেকে পাওয়া ছবি দিলে কেমনে হয়?

কাহওয়া আসলে কিরকম পানীয়?

পোস্টে প্লাস আর সিমলা-মানালি ঘোরার অপেক্ষায় :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভ্রমণের সব ছবি তো আগের পর্বগুলোতে দিয়েছি, কাশ্মীর ট্যুর নিয়ে প্রায় পনেরটা পোস্ট দিয়েছি এই পর্যন্ত। আপনি বুঝি মিস করে গেছেন। আমরা যখন শপিং করেছি, বা দেশে আসার পর, এই সবের ছবি তোলা হয় নাই। তাই গুগল মামুর কাছ থেকে হাওলাত্ত করতে হল। :(

ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দিল্লি হাটে বরিবার করে ঘুরতে অনেক মজা লাগত , প্রায়ই সেখানে কোন না কোন উৎসব চলে ...
সত্যিকারের পশমিনায় এত ভারী সূতার কাজ করাই যায় না ,শপিং এ ++++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যয়াদ মনিরা আপু। দিল্লী হাটের সেলসম্যানটা আসলেই একটা জিনিষ, সবাইকে কেনাকাটা করতে বাধ্য করে ছেড়েছিল।

ঠিক বলেছেন। আমি দুটো সেমি-পশমিনা কিনেছিলাম, প্লেইন জমিন, কোন কাজ নেই। যদিও সবচেয়ে সস্তার ছিল। গরিবের ঘোড়া রোগ বলে কথা। :P

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

সুমন কর বলেছেন: সুবিখ্যাত পানীয় “কাহওয়া” খেতে কেমন, বন্ধু ?

ভালোই তো কেনা-কাঁটা করা হয়েছে... ;) তা নিজের ক্রয়কৃত কিছু ছবি দিলে পোস্টটি মনে হয়, আরো সুন্দর হতো। তাহলে শিরোনামের সাথে শতভাগ মিলে যেত।

পোস্টে +।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্যি বলতে কাহওয়া স্বাদে তেমন কিছুই না, আমার মোটেও ভালো লাগে নাই। যে বোতলটা এনেছি, তার অর্ধেক এখনো ঘরে পড়ে আছে।

আসলে যখন কেনাকাটা করেছি, তখন ছবি তোলা হয় নাই। আর দেশে এসেও শপিং করা কোন কিছুরই ছবি তোলা হয় নাই। বীথি আপুর একটা কমেন্ট থেকে এই পোস্ট করার প্ল্যান মাথায় আসে। কিন্তু ততদিনে সব আইটেম গিফট করে সবাইকে দিয়ে দিয়েছি। তাই নিজের তোলা ছবি দিতে পারলাম না। আমি নিজেও খুব মিস করেছি ছবি।

ধন্যবাদ বন্ধু, ভালো থাকা হোক সবসময়।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভালোই কেনাকাটা করেছেন!! আমার একটুও হিংসে হচ্ছে না! সত্যিই!!! :P
আমি কামাল ভাই -এর মত হিংসুটে নইতো!!! :)

আমাদের জন্য মূল্যবান কিছু ভ্রমণপোষ্ট দিয়েছেন, এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পর্বের ক্রেডিট কিন্তু আপনার। আপনি কোন এক পর্বে বলেছিলেন শালের ছবি দিতে হবে পোস্টে। তখনই মাথায় আসে এই পোস্ট লেখার।

নাহ, আপনিও হিংসুটে না, কামাল ভাইও না। হাজার হলেও কামাল ভাই হলেন সাদা মনের মানুষ!

আপনারা সাথে ছিলেন বলেই এতো লম্বা সময় সিরিজটি লিখতে উৎসাহ পেয়েছি। এজন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সবসময়।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অর্নামেন্টস আর শাল গুলো দেখে ভিতরটা হুহু করে উঠলো! যদি পাইতাম তাহাদের!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আহারে... এতো কিউট করে বললেন! যান সবকয়টা আপনাকে দিয়ে দেয়া হল। :)

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

মধুমিতা বলেছেন: আপনার প্রতিটি পর্বই দারূণ বর্ণনায় সমৃদ্ধ। ভালো লাগল।
আমার কাশ্মিরি শাল কেনার গল্পঃ Click This Link

"কাহওয়া" বলে যে পানীয়টির কথা উল্ল্যেখ করেছেন তা আরবেও দেখতে পাওয়া যায়। এখানে একে "গাওয়া" বলে। এরা "ক্ব"কে "গ" উচ্চারণ করে। প্রথমে স্বাদ না পেলেও পরে ভাল লাগবে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখলাম। আচ্ছা আপনার কি কোন কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে পোস্ট ছিল? কাশ্মীর যাওয়ার আগে পড়েছিলাম মনে হয়? মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে ক্যামেরা খোয়া যায়...

যাই হোক, "কাহওয়া" কিন্তু আমার কাছে মোটেও সুস্বাদু মনে হয় নাই। :(

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৮

মধুমিতা বলেছেন: গাওয়াঃ Click This Link

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: :)

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৪

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনার শপিং দেখে যে এখনি কাশ্মির যেতে ইচ্ছে হচ্ছে :)

দুইটা ইচ্ছে আছে আমার মৃত্যুর আগে পূরণ করার , আটলান্টিক হাইওয়ে ধরে নরওয়ে দেখার , আর কাশ্মীর এর পথে পথে হেটে এই পৃথিবীর জান্নাত দেখার .।.।.।.।.।।

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে ভাল লাগলো। চলে যান আপু, আগামী এপ্রিলে, তখন ফুটবে টিউলিপ সব, সাথে পাবেন রৌদ্রজ্জ্বল দিনের বরফে ঢাকা শ্বেতশুভ্র পাহাড়ের বাহারি রূপ।

আমার খুব ইচ্চ্যে, গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ বেড়াতে যাওয়ার। আপাতত এই একটা জায়গা দেখার খুব ইচ্ছে আছে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
jompesh!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মুন, ভালো থাকুন সবসময়।

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট। :) ছবিগুলোও চমৎকার।
আরেকটু বেশী ভালো লাগলো শালের চার নম্বরটা আমার আছে, মাত্র কয়েকদিন আগেই উপহার পেয়েছি। :D

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওমা, এ যে কাকতালীয়! আমি কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে যে যে ছবি পছন্দ হয়েছে সেগুলো নিয়েছি। আমি ডজনখানেক এনেছিলাম, সব আত্মীয়স্বজনদের গিফট করেছি। সাধারণ কাশ্মীরি শাল, পশমিনা বা সেমি-পশমিনা নয়।

ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা, ভালো থাকা হোক সবসময়।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: কাশ্মীরি শাল সব সময় কালোর উপরে ডিজাইন হয় কেন? অন্য কালারের কি হয় না?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অন্য কালারের হয়, তবে বেশী হয় কালো রঙের, কেননা কালো রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডে রঙিন সুতোর কাজ ভালো ফুটে ওঠে।

আমি এক আত্মীয়ের জন্য (অর্ডারি) পার্পেল কালারের একটা শাল কিনেছিলাম। রঙটা এখনো চোখে লেগে আছে, অদ্ভুত সুন্দর আর মসৃণ ছিল শালটা। :)

১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বোকাভাই, কিনতে এন্ড খাইতে মুঞ্চায়। :(

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনলাইন শপিং হ্যাঁয় না? ;)

১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

সাথিয়া বলেছেন: কি সুন্দর শাল

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই অনেক সুন্দর, মেয়ে হলে আমি বোধহয় সাথে থাকা সব টাকা দিয়ে শাল কিনে নিতাম। :)

১৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কোনটা ছেড়ে কোনটা কিনবো ......? ভাবছি বসে তাই

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, আমাদের একই দশা হয়েছিল। মন চাচ্ছিল সবকয়টা কিনে ফেলি। :P

২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সময় করে ঘুরে আসব আপনার ব্লগ থেকে। তার আগে দূরবীনটা সোজা করবেন প্লিজ, বোকা মানুষ উল্টা জিনিষ বুঝতে পারবে না ;)

২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

ডি মুন বলেছেন: মজার ব্যাপার হল, সবাইকে যেমন নির্দেশনা বা পরামর্শ দেয়া হয়েছিল সবাই তার বিপরীত কাজগুলো করেছে বেশীরভাগ সময়।

---------------------- হা হা হা, ঘুরতে ফিরতে কী আর নির্দেশনা মানা যায়। নাকি নির্দেশনা মেনে ঘোরাঘুরি করা যায় :)

এখানে গেস্ট নিয়ে আসলে ওরা নাকি এক লিটার তেল পায়!

------------- সিস্টেমটা ভালোই। টুরিস্টের পকেট ফাকা করার দারুণ বুদ্ধি । B-))

একটি সেমি-পশমিনা শালের সর্বনিম্ন মূল্য ৩০০০ রুপী’র কাছাকাছি, পশমিনা শাল দশ থেকে বারো হাজার রুপী’র কম নয়। ------------------- মাথা ঘুরায় !!!!!! B:-)


ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার
আনন্দে আর ভ্রমণে কাটুক সময়। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, ইহাই কম কি ভাই? :)

ভালো থাকুন সবসময়।

২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২২

সোহানী বলেছেন: আরে আমার সবচেয়ে প্রিয় পর্বই দেখি মিস্ করলাম.... ওহ্ দারুনতো শালগুলো তবে ঢাকায় পাওয়া যায়, দেখতে একই রকম বাট জিনিস একই কিনা জানি না। আর গয়না বা বক্সগুলা অসাধারন..... কিছু চাই না শুধু গয়নার বাক্সটা পাঠিয়ে দিয়েন... হেহেহেহেহেহে

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আহহা, কয়েকদিন আগে বললে না হয় দোস্ত ব্লগারকে একখান গহনার বাক্স গিফট করা যেত, সব তো সবাইকে দিয়ে দিয়েছি। :) এই বক্সগুলো আমাদের হাউজবোটে শিকারা করে যে ফেরিওয়ালারা এসেছিল, তাদের কাছ থেকে কেনা।

আর শালের ব্যাপারে কি বলব, খোদ কাশ্মীরেই একই রকম দেখতে নানান মানের শাল পাওয়া যায়। ঢাকায় যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো আসে কলকাতা থেকে। কাশ্মীরে কিন্তু ১০০ রুপী মূল্যেও শাল পাওয়া যায়। সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সেগুলো তৈরি হয়। তাই কাশ্মীরি শাল মানেই উচ্চমূল্যের শাল নয়। তবে আমরা যেসব শাল এর কথা শুনি, সেগুলো হল পশমিনা শাল, এগুলো খুব বেশীই উচ্চমূল্য।

কবে যাচ্ছেন কাশ্মীর? ঐ কাশ্মীরি পরিবারের সাথে...

২৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

মাসূদ রানা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট বোমাবচা ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাসূদ রানা। :)

২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

মধুমিতা বলেছেন: নাহ .. আমার কাশ্মীর ভ্রমণ করা হয়নি। অন্য কারো পোস্ট দেখে থাকবেন। আর গাওয়া প্রথম প্রথম ভালো না লাগারই কথা। কাশ্মিরী কাওয়া বা চায়ে ওরা দুধ, বাদাম, মাখনে মেশায় জানি। ওটাতো ভালো লাগার কথা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারও সঠিক মনে নাই কার লেখা পড়েছিলাম।

কাশ্মীরি কাহওয়া ভালো লাগে নাই, কারণ আমি যেটা পাণ করেছিলাম, তা দুধ, মাখন মেশানো ছিল না। :(

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পুনঃ মন্তব্যের জন্য।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা সতত।

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আমি কাশ্মির থেকে ১৩টা শাল নিয়াইছি। সবচেয়ে কমদামের। কারো কাছে দাম বলিনি। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে সবাই ১০০রুপির শালগুলো বেশি পছন্দ করেছে।

আসলে কাশ্মিরের ভালো পশমিনা শালগুলো পড়ার মতো ঠান্ডা বাংলাদেশে পড়ে না। আমাদের জন্য আসল দু-নম্বরী পশমিনাই যথেষ্ট। তবে কাশ্মিরের আসল এক-নম্বরী পশমিনা একটা কিনে ঘরের দেয়ালে ওয়ালমেট হিসাবে বাধিয়ে রাখতে পারলে কাজ হতো !:#P

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫২

সোহানী বলেছেন: কাশ্মির তো বহুত দূর, পাশে কোথাও যাবার ও সময় নেই.... যাবো বাট মনে হয় কম করে ৩ বছর পর.......... হাহাহাহাহা.... বই মেলায় কবে বই বের করছেন????

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ৩ বছর!!!! :-*

বই মেলায় বই? সেটাও মনে হয়ে ৩ বছর লেগে যাবে। আসলে আমার এমন কোন লেখা নিজের মনঃপুত হয় নাই এখনো, যেটা বই আকারে প্রকাশ করব। তবে ইচ্ছে আছে জমিদার বাড়ী সিরিজ নিয়ে লেখা শেষ হলে সেটা বই আকারে বের করার। রন্তু সিরিজ শেষ হলে (ট্রিলজি) কিছুটা ঘষামাজা করে বই বের করা যেতে পারে। তবে আপাতত বই এর কোন প্ল্যান নাই, অদূর ভবিষ্যতে হয়ত হতে পারে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.