নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
১.
ইদানীং ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে সন্ধ্যের পর বাসায় ফেরার সাথে সাথে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাবে। রিদিম বাসায় ফিরতে না ফিরতেই প্রতিদিন রুটিন করে কারেন্ট যাবে, এটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিদিম বাসায় ফেরার সময় আগ পিছ করে দেখেছে; কাকতালীয় হলেও সত্য, সে বাসায় ফিরার পরপরই কারেন্ট যাবে। রিদিমের ছোটবোন হৃদি তো এখন রোজই বলে, “ভাইয়া তুই হলি গিয়ে একটা কুফা পাবলিক। তুই আসলেই কারেন্ট চলে যায়, তুই বাসায় না আসলেই ভাল হত...”। কিন্তু আজকের কারেন্ট চলে যাওয়াটা ওর মেজাজ সপ্তমে চড়িয়ে দিয়েছে যেন। গতকালই রিদিম’রা চার বন্ধু মিলে উত্তরের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দিয়ে এসেছে, ঘটা করে তাদের ব্যাচের সবাই মিলে ভার্সিটি’তে ত্রাণ তুলেছে প্রায় সপ্তাহ ভর। এই উপলক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসে যেন কেমন উৎসব উৎসব ভাব ছিল, একঘেয়ে ক্লাস আর এক্সাম বাদ দিয়ে, সারাদিন পথে পথে ঘোরা, সবার কাছে কাগজের বোর্ডে তৈরী বক্স নিয়ে পথচারী, বাসযাত্রী সবাইকে সাহায্যের আবেদন... ফাঁকে ফাঁকে সবার সাথে আড্ডা আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই একটা সপ্তাহ, রিদিম নীলিমা’র সাথে সাথে থেকেছে, ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করেছে। নীলিমার প্রতি রিদিমের যে সুপ্ত ভালবাসা, সেটা যেন অনেকটা বাতাস পেয়েছে এই এক সপ্তাহে অংকুরিত হতে। ত্রাণ সংগ্রহ শেষে ক্যাম্পাস থেকে চারজনের দল কুড়িগ্রাম গিয়ে দিয়ে এসেছে সেই ত্রাণ। আর ত্রাণ দিতে গিয়ে “কে টিভি নিউজ” এর সাংবাদিক’কে একটা সাক্ষাৎকারও দিয়ে এসেছে। আজ সন্ধ্যা রাতের খবরে সেটা প্রচার হবে, বাসায় সবাইকে জানিয়েছে সে, জানিয়েছে পুরো ভার্সিটি, রিলেটিভ সব্বাইকে। কিন্তু কি অবস্থা, সে নিজেই এখন দেখতে পারবে না... থাক গিয়ে, সে ইউটিউব থেকে নামিয়ে নেবে। লামিয়া দায়িত্ব নিয়েছে এই নিউজটি ভিডিও রেকর্ড করে রাখবে।
২.
লামিয়া সেই সন্ধ্যে থেকে বসে আছে টিভি সেটার সামনে। “কে টিভি নিউজ” এর সন্ধ্যা রাতের খবর শেষ করে এখন রাতের খবর প্রচারিত হচ্ছে। তাদের ভার্সিটির ত্রাণ বিতরণের নিউজ দেখায় নাই। তবে রিদিম তাকে যে সাংবাদিক এর কথা বলেছে, শিপন আহমেদ তাবরেজ, তার প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে, কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েই। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিশাল ভাষণ প্রচারিত হয়েছে, কিন্তু তাদের ভার্সিটির ত্রাণের ফুটেজ বা কোন নিউজ কিচ্ছু নাই। রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষে টিভি বন্ধ করে দিল লামিয়া। বিরক্ত হয়ে একটা বিশ্রী গালি দিয়ে দিল সাংবাদিক তাবরেজ’কে। ইদানীং এই বদভ্যাস হয়েছে লামিয়া’র, কথায় কথায় মুখ দিয়ে গালি বের হয়ে যায়; ভার্সিটির বন্ধু তপু আর টুলু’র কাছ থেকে তার মাঝে এই অভ্যেস দিনদিন ঢুকে পড়ছে। লামিয়া নিজেই নিজের উপর এটা নিয়ে বিরক্ত; আর এই বিরক্তির জের ধরেই কি না, সাংবাদিক তাবরেজ’কে সে আরেকটা সাংঘাতিক গালি দিয়ে খাবার টেবিলের দিকে গেল, মা খাবার নিয়ে বসে আছে।
৩.
শিপন আবার মোবাইল ফোনের বাটন চাপল, গত দশ মিনিটে চারবার এই নাম্বারে রিং করেছে, কিন্তু মোবাইল বন্ধ বলছে। আজ সন্ধ্যা রাতের খবর এবং রাতের খবর, দুটোতেই তার কাভার করা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টটি প্রচারিত হয়েছে। ব্যাটা ছানা মিয়া, থুক্কু সানাউল্লাহ সরদার এর ফুটেজ বেশ সময় নিয়ে প্রচারিত হয়েছে। ব্যাটার দেয়া বেনসন এর কার্টন হতে বের করা একটা প্যাকেট হতে একটা সিগারেট ধরিয়ে আয়েশ করে একটা টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তেই দেখল মোবাইলে রিং হচ্ছে। ছানা শালা ফোন করেছে। “হ্যালো, চেয়ারম্যান সাহেব, নিউজ দেখছেন?”। “জ্বী ভাই, থাঙ্কু ভাই থাঙ্কু”। শালার ছানা, কথায় কথায় ভুলভাল ইংরেজী উচ্চারণে ইংরেজী ডায়লগ দেয়ার চেষ্টা করে। ত্রাণের প্রায় পুরোটাই মেরে দিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে কি মধুর এবং আবেগী বক্তব্য... এক্কেবারে ‘আবেগে কাইন্দালাইছি’ টাইপ। তবে ব্যাটা লোক জটিল, শিপনকে যে খাতির আর সম্মান দিল, এরকটা শিপন তার এই সাংবাদিক লাইফে কমই পেয়েছে। দেশী বোয়াল মাছের স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে আছে...
৪.
সানাউল্লাহ ঘটা করে আজ স্কুল বিল্ডিং এর ছাঁদে টিভি চালানোর ব্যবস্থা করেছে। যদিও বিকেল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সব আয়োজন মাটি করে দেয়ার আয়োজন করেছিল, কিন্তু সন্ধ্যের আগে আগে বৃষ্টি থেমে গেছে। স্কুল বিল্ডিং এ আশ্রয় নেয়া প্রায় ৫৪টি পরিবারের সবাইকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যার “কে টিভি নিউজ” এর সন্ধ্যা রাতের খবর দেখতে। সাংবাদিক ব্যাটাকে খুশী করে বিদায় করেছে ধুরন্দর সানাউল্লাহ সরদার। এমনিতে তো আর চেয়ারম্যান পদে পরপর তিনবার জয়ী হয় নাই... সন্ধ্যা রাতের খবর শেষে সবাইকে রাতের খাবার দেয়া হল সানাউল্লাহ চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে। আর আগামী ভোটে যেন তাকেই ভোট দেয়া হয়, তা মনে করিয়ে দিল। আজ তার কারনেই টিভিতে তাদের গ্রামের, এই ক্যাম্পের নিউজ টিভিতে আসছে, ফলে অত্র এলাকার ত্রাণ এবং সরকারী সাহায্য অনেক বেশী আসবে, আসবে নানান ভার্সিটির স্টুডেন্ট’রা, আসবে বন্যা পরবর্তী সাহায্য। পরিমাণটা হিসেব করে সানাউল্লাহ সরদারের জিহবায় বুঝি লালা ঝরল। আর সে কারনেই কি না সে ঘাড় ঘুরিয়ে পিক করে একদলা থু থু ছুড়ে দিয়ে স্কুল আঙিনায় ভেড়ানো নৌকা নিয়ে রওনা হল জহুর ব্যাপারীর বাড়ি। আগে থেকেই ভাও করে রাখতে হবে সব, ত্রাণের কোন মাল নিজের বাড়িতে বা কোথাও রেখে রিস্ক নেয়া যাবে না, সরাসরি বিক্রি করে দিয়ে টাকা শহরে পাঠিয়ে দিতে হবে, তার শালার ব্যাংক একাউন্টে।
৫.
জহুর ব্যাপারী খিকখিক করে হেসে পানের বাটা এগিয়ে দিল সানাউল্লাহ চেয়ারম্যানের দিকে। “বুঝলেন চেয়ারম্যান সাব, এই মাল তো কিনুম ঠিকই, কিন্তু বেচুম কার কাছে। সবাই তো কয়েকমাস চলব, সাহায্য দিয়া... আর অন্য জায়গায় মাল পাচার করতেও ঝামেলা... তাই যে রেট কইলাম এর চেয়ে বেশী আর দিতে পারুম না... বুঝার চেষ্টা করেন”। সানাউল্লাহ একটা পান মুখে দিয়ে বলল, “ কইরে, লাভলু, ল গঞ্জের দিকে যাই। আর ব্যাপারী, তুমিও একটু বুঝার চেষ্টা কর, এই বন্যা শেষেও তো এইহানে ব্যবসা করতে হইব তুমার... মাথায় রাইখো... চলরে লাভলু...”।
৬.
গঞ্জে চেয়ারম্যান’কে ছেড়ে দিয়ে লাভলু পা বাড়াল লতা বাইজী’র বাড়ির দিকে। এইবার বন্যা যেন লাভলু’র জন্য পয়মন্ত হয়ে এসেছে, টাকা যে কোনদিক দিয়ে আসতেছে, টেরই পাচ্ছে না। লতা বাইজী আগে লাভলুকে দেখলে মুখ ঝামটা দিয়ে বিদায় করে দিত। এখন বন্যার সময়, মালদার কাস্টমারেরা সব এখন এদিকটায় পানি মাড়িয়ে আর আসে না। তার উপর লাভলুর পকেট এখন গরম, সে খরচও করে দেদারসে। লতা বাইজী নাম হলেও লতা কিন্তু নাচতে জানে না... আর সব কিছু জানে চরম, ভাবতেই লাভলুর চোখ চকচক করে উঠলো। আর সেই চোখের তারায় হঠাৎ করেই ঝলক দিয়ে গেল ষোড়শী পরীবানু’র চেহারা আর ভরাট দেহের উত্তাল ঢেউয়ের খেলা। কয়েকদিন ধরেই পরিবারটি এসে উঠেছে স্কুলের রিলিফ ক্যাম্পে। দ্বিতীয় দিনেই লাভলুর চোখ পড়েছে পরীবানু’র উপর; কিন্তু এখনো কব্জা করতে পারে নাই। গতকাল বিকেল বেলা ছাদের উপর ধরেছিল ছেমড়িটারে, কিন্তু ঝটকা মেরে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অসুবিধা নাই, মাইয়া তো আছেই হাতের মুঠোর ভিতর, সময় মত ব্যবস্থা করা যাবে।
৭.
পরীবানু সকাল থেকে বিছানা ছেড়ে আর উঠে নাই। সকাল থেকে কিছু খায়ও নাই। পরীবানু’র মা, করিমন বিবি মেয়েকে কয়েকবার বকা দিয়েও বিছানা থেকে উঠাতে পারে নাই। কি হল মেয়ের বুঝতে পারছে না। কয়েকদিন ধরে তো লাফাচ্ছিল, আনন্দেই ছিল। ভিটেমাটি ছেড়ে স্কুলের দোতলার বারান্দায় গাদাগাদি করে মশারি টাঙ্গিয়ে পড়ে আছে, আর মেয়ের কাছে এটা নাকি ‘পিকনিক পিকনিক’ লাগছে। এই পিকনিক জিনিষটা যে কি করিমন বিবি জানে না। গত বছর স্কুলে নাকি এই ‘পিকনিক’ হয়েছিল, মেয়ে সেখানে গিয়েছিল। এরপর থেকে কোন খুশীর কিছু হলেই বলে ‘পিকনিক’। সেই মেয়ে আজ সকাল থেকে বিছানায় পড়ে আছে, কিছুই মুখে দেয় নাই। সন্ধ্যা বেলা অনেক বুঝিয়ে ছাঁদে নিয়ে গেছে, টিভি’র খবর দেখতে। চেয়ারম্যানের নির্দেশ, তার টাকাতেই সব হচ্ছে, থাকার জায়গা দিছে, তার কথা না শুনলে হবে? মেয়ে তো অবুঝ, অনেক বুঝিয়ে নিয়ে গেছে। রাতের খাবার খিচুরীটা ভাল ছিল, চাল-ডালের সাথে মনে হয় ডিম ভেঙ্গে দিয়েছিল। করিমন বিবি একটা বাটিতে করে পরী’র বাপ তাবদ আলী’র জন্য নিয়ে এসেছে। কিন্তু যার জন্য আনা, তার খবর নাই। সাথে ছোট ছেলে, পাঁচ বছরের হাছন রাজা’ও আছে; বাপ ব্যাটা দুজনেই এখনো ফিরে নাই।
৮.
তাবদ আলী দরদর করে ঘামছে। হাছন রাজাকে যেখানে দাঁড় করিয়ে গিয়েছিল, সেখানে নাই। সন্ধ্যার খবর দেখতে সবাই যখন ছাঁদে গিয়েছিল, তখন তাবদ আলী নীচে নেমে এসেছিল। গত কয়েকদিনে তার সাথে ভাব হয়েছে জুম্মন মাউছা’র বিবি ফুলবানু’র সাথে। চোখে চোখে অনেক কথা হত, তাবদ আলী প্রায়ই সুযোগ বুঝে স্পর্শের স্বাদ নিয়েছে, এ যেন অন্য এক আকর্ষণ, ভালবাসা নয়, শুধুই দেহের আকর্ষণ, নিষিদ্ধ এক চাওয়ার নেশা। আজ চেয়ারম্যানের খবর দেখানোর প্রোগ্রাম শুনে দুজনে কুবুদ্ধি করে স্কুল বিল্ডিঙয়ের আধা ডুবে যাওয়া সিঁড়ি ঘরে মিলিত হওয়ার। কিন্তু নামার সময় ছোট ছেলে হাছন রাজা বাবার হাত ধরে ফেলে জিজ্ঞেস করে, ‘বাজান, কই যাও? আমিও যামু, ছাঁদে থাকুম না’। ছেলের হাতে ধরা পড়ে গিয়ে, তাবদ আলী বলে ফেলে “নীচতলায় মাছ ধরতে যাই বাজান”। ছেলে বায়না ধরে, ‘আমিও যামু’। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নীচের পেছনের দিকের একটা কার্নিশে এসে বসে একটা লগিতে সুতো’র টোপ বেঁধে। এরপর ছেলেকে সেখানে বসিয়ে বলে টোপ গিললেই তাকে ডাক দিতে, সে একটু ‘পেচ্ছাপ’ করে আসছে। এই বলে সে চলে আসে নিষিদ্ধ কল্প নারী ফুলবানু’র কাছে, আধ ডুবে যাওয়া সিঁড়ি ঘরে। কিন্তু যখন নিষিদ্ধ নেশার ঘোর কেটে বাস্তবে আসে তাবদ আলী, এসে দেখে কার্নিশে রেখে যাওয়া ছেলে নেই। এরপর পুরো স্কুল বিল্ডিং তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখেছে, কোথাও খুঁজে পেল না। কাউকে কিছু বলতেও পারছে না, সন্ধ্যে পেড়িয়ে এখন প্রায় নিশুতি হয়েছে রাত। স্ত্রীর কাছে যেতেও সাহস পাচ্ছে না তাবদ আলী, কয়েকবার দোতলায় গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেছে।
৯.
রাত পেড়িয়ে সকালের প্রথম আলো চোখে পড়তেই পরীবানু’র ঘুম ভেঙ্গে গেল। গতদিন কিছুই পেটে পড়েনি, তাই কেমন একটু কাহিল লাগছে, বিছানা ছেড়ে উঠতেও কষ্ট হচ্ছে যেন। কোনমত উঠে সুতির মোটা ওড়নাটা ভাল মত গা’য়ে জড়িয়ে নিয়ে ধীর পায়ে স্কুল বিল্ডিং এর ছাঁদে উঠে এল ভয়ে ভয়ে। বদমাইশ ব্যাটাটা এখন নাই স্কুল বিল্ডিং এ, দশটা’র আগে আসবে না, পরী এই ক’দিনে জেনে গেছে। লাভলু নামক এই হারামজাদাটাকে দেখলেই ওর ভয় হয়, যেন একটা রাক্ষস, তাকে সুযোগ পেলেই চিবিয়ে খাবে। পরী সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে আছে, তাদের ঘরের চৌহদ্দি ছেড়ে বের হচ্ছে না সারাদিন। ভোরবেলা’র এই সময়টাই একটু ভয়হীন থাকছে গত কয়েকদিন ধরে। ছাঁদে উঠে চারিদিকে চেয়ে দেখল, যেখানে চোখ যায় পানি আর পানি। যেন স্কুল বিল্ডিংটা একটা ষ্টীমার, তাদের নিয়ে কোথাও ছুটে যাচ্ছে। পূব আকাশে লাল রঙের কুসুমের ন্যায় সূর্যটা চারিধার আলোকিত করে ধীরে ধীরে পানির বুক চিরে উঠে আসছে। অনেকক্ষণ সময় সেই কোমল লাল রঙের দিকে চেয়ে থেকে এক সময় চোখ জ্বালা করে উঠল পরী’র। সে ছাদের বিপরীত পাশে চলে এল, এখান থেকে তাদের হাটের বড় পাকুড় গাছের আগাটা দেখা যায়; পুরো গাছটা ডুবে যায় নাই। সেই সবুজ গাছের নীচের পানির ধারে একটা নীল রঙের কিছু ভাসতে দেখে যেন নড়ে উঠল পরী। নীল রঙের কাপড়টা কেমন চেনা চেনা লাগছে... গতকাল তো তার ভাই হাছন রাজা এই রঙের জামাই পড়ে ছিল... তবে কি... “মা গো...” বলে চারিধার কাঁপিয়ে তীব্র চিৎকার করে পরীবানু ছুটতে লাগল মায়ের কাছে...
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দোস্ত ব্লগার; অনেক বিলম্বে প্রতিত্তর দিচ্ছি বলে দুঃখিত। মাঝখানে আরেকটি পোস্ট করা হয়ে গেছে; অথচ আগের পোস্টে সময় দেয়ার সময় নাই। এই হল হালচাল বোকা মানুষের...
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৬
আজগর আলী মিয়া বলেছেন: মন্দ নয়
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছিল।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪
সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা আগের চেয়ে ভালো লাগল। ভালো হয়েছে।
+।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু, লেখক হতে মন চায়... হলাম কি না হিসেবের কেরানি!!! :'(
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লাগলো/
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
জে আর সিকদার বলেছেন: চলতে থাক জলজ জীবন ।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিকদার ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৭
সোহানী বলেছেন: অনেক দিন পর... ভালো লাগলো নতুন কিছু দোস্ত ব্লগার........