নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোস্টমর্টেমঃ চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ডের বাস্তবিক এবং প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩২



পুরাতন ঢাকার চকবাজারস্থ চুড়িহাট্টা'র অগ্নিকান্ড ট্রাজেডির আজ চারদিন পার হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নানান সরকারী দফতর এবং প্রশাসন থেকে প্রাথমিক তদন্ত শেষে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত এবং ব্যাপকতার জন্য নানান কারন জানা যাচ্ছে, যেগুলো একটির সাথে আরেকটির গড়মিল দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে উক্ত এলাকার হোটেল এবং আবাসিক ভবনের বাইরের দিকে কভার করা সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ গণমাধ্যমেও। কিছু প্রত্যক্ষদর্শী সহ যারা উক্ত এলাকায় ঐ মূহুর্তে উপস্থিত ছিলেন অথবা অনুপস্থিত ছিলেন তাদেরও বক্তব্য আমরা দেখছি নানান মিডিয়ায়। সব চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রকৃত কারন শনাক্তকরণ জরুরী বলে মনে করি। এই ব্যাপারে প্রতিটি বিষয় নিয়েই সরকারকে ভাবতে হবে, নিতে হবে দৃঢ় পদক্ষেপ। কিন্তু আজ বিভিন্ন টেলিভিশন নিউজ দেখে যেটা প্রতিয়মান হল, পুরাতন ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন নিয়েই সবার আলোচনা যার ফাঁক গলে গৌণ হয়ে যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এর ভূমিকাটি। সাদা চোখে এই দুটো মূল কারণ ছিল এত বেশী হতাহত হবার পেছনে। কিন্তু এর সাথে আরও কিছু কারণ ছিল যেগুলোকে আপনি অবহেলা করতে পারবেন না।

এই পর্যন্ত নানান সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে অগ্নিকান্ডের যে বাস্তবিক এবং নিরপেক্ষ চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় তা এরকমঃ

"ওয়াহেদ ম্যানসন" সংলগ্ন রাস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার বিপণনকারী গাড়ীতে থাকা সিলিন্ডারে প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। তা থেকে আগুন ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। সেই আগুনেই আরকেটি বিস্ফোরণ ঘটে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারে। এই দুটোর যুগপৎ আগুনে রাস্তায় থাকা গাড়ীগুলোতেও আগুন এবং বিস্ফোরণ হয়। সেই আগুনে আগুনের সূত্রপাত হয় "ওয়াহেদ ম্যানসন" এর দোতলায় থাকা গোডাউনে। সেখানে ছিল আপাত নিরহ বডি স্প্রে'র বিশাল গোডাউন। এই বডিস্প্রে কন্টেইনার নিজেও একটি দাহ্য এবং বিস্ফোরণ সক্ষম। এই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে উক্ত ভবনের অন্যান্য জায়গায়। এবং সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যখন ভবনের ছাঁদে থাকা ড্রাম ভর্তি রাসায়নিক দ্রব্যে ছড়িয়ে পরে এই আগুন।

এই দৃশ্যপট থেকে দেখা যাক কি কি ফ্যাক্টর এই এতবড় অগ্নিকান্ড এবং হতাহতের পেছনে জড়িত ছিলঃ

মুখ্য কারণঃ
(১) সিলিন্ডার বিপণনকারী গাড়ী হতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বিস্ফোরণঃ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। এটা মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সারাদেশে এর আগেও এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে পুরাতন ঢাকার নারিন্দায় বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে বেশকিছু মানুষ মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয়েছিল। এরপর সময়ে সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার এর ব্যবহার বেড়েছে এবং তা ক্রমে বাড়তেই থাকবে; এটাই স্বাভাবিক (সামগ্রিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে)। এর সাথে বেড়েছে আবাসিক ভবনে এবং গাড়ীর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। আমাদের দেশে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহণ এবং বিপণন কার্যক্রম দেখলে সহজেই বোধগম্য হবার কথা, কতটা ভয়াবহ বিপদঝুঁকি হাতে নিয়ে এই কর্মকান্ড হয়ে থাকে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে সারা ঢাকা শহরে তথাকথিত "মিনারেল ওয়াটার" এর জার যেভাবে পরিবহণ এবং বিপণন হয়; সেই একইভাবে প্রচন্ডরকম স্পর্শকাতর এই গ্যাস সিলিন্ডারও পরিবহণ এবং বিপণন হচ্ছে। ভারী ভারী এইসব সিলিন্ডার উঠানো নামানোর জন্য পর্যাপ্ত কোন ইকুইপমেন্ট এর ব্যবহার আজও চোখে পড়ে নাই। মেয়াদ উত্তীর্ন সিলিন্ডার এর ব্যবহার, সিলিন্ডার উঁচু স্থান হতে নীচে ফেলা, গড়িয়ে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত প্রেশার চেকআপ এবং মনিটরিং না থাকা সহ নানান অসচেতনাতা দেখা যায় এই সেক্টরে। তাই, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারনে যে কোন সময় যে কোন সুরক্ষিত এবং অগ্নি নিরাপদ স্থানেও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তাই সরকারকে অচিরেই এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম, সিলিন্ডার এর এই বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য নেই কোন মিডিয়ায়; যতটা দ্বিতীয় কারনটি নিয়ে সোচ্চার। আমি কারো পক্ষে বলছি না, কিন্তু ব্যাপারটি ভাবিয়েছে আমাকে। কারন? সিলিন্ডার ব্যবসার সাথে খুব বড় কিছু কর্পোরেট হাউজ জড়িত রয়েছে।

২) আবাসিক ভবনে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্যে আগুনঃ পুরাতন ঢাকার বেশীরভাগ এলাকায় আবাসিক ভবনে গোডাউন এবং কারখানা ভাড়া দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। কি কারনে তা পরের কোন লেখায় না হয় বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আর এই গোডাউন এবং কারখানা ভাড়া দেয়ার প্রবণতার কারনে, প্রায় প্রতিটি এলাকাই রয়েছে এই ঝুঁকিতে। পুরাতন ঢাকার বিল্ডিং কাঠামো অনেকটা গলি ভিত্তিক। মূল সড়কের কিছু দূর পরপর সরুগলি চলে গেছে, যেগুলো একমূখী অর্থাৎ সেই গলির শেষ প্রান্ত যে কোন একটি ভবনে গিয়ে মিশেছে। আর এসব গলির বাড়িগুলোর মধ্যে প্রায় প্রতিটি গলিতেই কোন না কোন ভবনে গোডাউন, কারখানা ইত্যাদির দেখা মিলবে। ফলে প্রতিটি গলির প্রতিটি বাড়ীই কিন্তু রয়েছে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে। যে কোন ধরনের আগুনের সূত্রপাত হলেই বিশাল সংখ্যায় প্রাণহানী হওয়ার জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে।

(৩) ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণঃ পুরাতন ঢাকার অলিগলি অত্যন্ত সরু হওয়ার কারনে প্রায় প্রতিটি গলির মাথার উপর ঝাঁকে ঝাঁকে বৈদ্যুতিক, টেলিফোন, ক্যাবল অপারেটর লাইন, ইন্টারনেট লাইন সহ নানান বিদ্যুৎ এবং অগ্নি পরিবাহী তারের জঞ্জাল দেখতে পাবেন। এর উপর, এই সরু রাস্তাগুলোতে প্রায় একদুই গলি পরপর রয়েছে "ট্রান্সফর্মার"। বেশ কয়েকবছর আগে, পুরাতন ঢাকার রহমতগঞ্জে এরকম ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল; ঘটনাটি আপনাদের অনেকেরই মনে থাকার কথা। মাঝে মাঝেই এইসব ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। এগুলো হতে যে কোন সময় এরকম আরেকটি ঘটনা ঘটে যেতেই পারে।

(৪) অন্যান্য গাড়ীর বিস্ফোরণঃ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের সময় উক্ত রাস্তায় থাকা গাড়ী, মোটর সাইকেল গুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে যেগুলো থেকেও আগুন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।

গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপাত গৌণ কারণঃ

(১) রাতেরবেলা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিনতাঃ আগুনের সূত্রপাতের কয়েক মিনিটের মধ্যে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হয়ে বিদ্যুৎছিন্ন হয়ে অন্ধকার হয়ে যায় ঘটনাস্থল। ফলে মানুষ আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যে অন্ধকারে দিকভ্রান্ত হয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেছে।

(২) প্রাথমিক আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়াঃ রাস্তায় আগুনের শিখা প্রবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ নিজেকে বাঁচাতে আশেপাশের দোকান এবং বাসাবাড়ীর মধ্যে আশ্রয় নেয়। এর ফলে কয়েকটি দোকান এবং বাসায় মানুষ আটকে পড়ে। এই অগ্নিকান্ডের সময় ফার্মেসীতে এবং দোকানে নিরাপদ আশ্রয় নিতে গিয়ে আটকে পড়ে নিহত হয়েছে একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ।

(৩) ঘটনাস্থলঃ চকবাজারের নিকটস্থ চূড়িহাট্টা'র যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেটি একটি ব্যস্ততম মোড়। সেই জায়গাটা মধ্যরাত অবধি ব্যস্ত থাকে। ঘটনার সময়কালে সবচাইতে বেশী ভীড় থাকে ঐ এলাকায়।

(৪) ঘিঞ্জি রাস্তা এবং যানজটঃ ঘটনাস্থল এমন একটি জায়গা; যা চারিদিক হতে মোট পাঁচটি রাস্তার সংযোগস্থল এবং এই প্রতিটি রাস্তার কোনটিই দশ ফিটের অধিক চওড়া নয়। প্রায়শই এই জায়গাটায় যানজট লেগেই থাকে। ফলে দুর্ঘটনার সময় পথচারী এবং বিভিন্ন বাহনে জ্যামে আটকে থাকা মানুষজন এই দুর্ঘটনার শিকার হয়।

============================================================================

পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, পোস্টমর্টেম তো পড়লাম, জানলাম। কিন্তু এখন এই অগ্নিকান্ড থেকে শিক্ষণীয় এবং করণীয় কি? মোটাদাগে যদি বলি, তবে যা উঠে আসেঃ

(০১) গ্যাস সিলিন্ডার সহ সকল দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক পরিবহণ, বিপণন এবং বিক্রয়-মজুদের উপর সুনির্দিষ্ট এবং যৌক্তিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং শতভাগ কঠোরতার সাথে তা বাস্তবায়ন।

(০২) শুধু পুরাতন ঢাকা নয়; কোন আবাসিক এলাকায় গোডাউন-কারখানা স্থাপন বা ভাড়া দেয়া অবৈধ ঘোষনা পূর্বক আইন লঙ্ঘনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির বিধান এবং তা কোন রকম ছাড় না দিয়ে প্রয়োগ করা।

(০৩) ঢাকা শহরের বৈদ্যুতিক ক্যাবলগুলো সহ সকল ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ড কানেকশন এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সাথে সাথে আপাত সময়ের জন্য এগুলো পুনর্বিন্যাস করা জরুরী। আর প্রতিটি ট্রান্সফর্মার এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত, যাতে কোন ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হলে তা অগ্নিকান্ডের বা প্রাণহানীর কারন না হয়ে দাঁড়ায়।

(০৪) গাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন এবং ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়া। যদিও সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, এই ব্যাপারে বিকল্প খোঁজ করতে।

(০৫) ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড সহ যে কোন দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা; পারলে বছরে একবার করে এলাকা ভিত্তিক অগ্নি নির্বাপন এবং সুরক্ষা বিষয়ে কর্মশালা বা ট্রেনিং এর আয়োজন করা।

(০৬) পুরাতন ঢাকাকে ঢেলে সাজাতে সরকার পদক্ষেপ নিবে বলে ঘোষনা এসেছে এই দুর্ঘটনার পরপর। তা যেন নিমতলী ট্রাজেডি'র পর নেয়া উদ্যোগগুলোর মত কাগজে কলমে আটকে না থাকে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত পুরাতন ঢাকার রাস্তাগুলোতে যান নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ করার জন্য স্বল্প মেয়াদে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।

পাদটীকাঃ সন্ধ্যের পর থেকে রাত অবধি নানান নিউজ দেখে অবাক হয়ে গেলাম, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ সহ অন্যান্য বিষয়গুলো উঠে আসছে না দেখে। তাই ঘুমানোর আয়োজন করেও ঘুমাতে পারলাম না। তাই এই মধ্যরাত অবধি জেগে থেকে এই পোস্ট করা; নাহলে ঘুম হবে না যে... এই দুর্ঘটনা অনেক বড় দাগ রেখে গেছে মনে। শুভরাত্রি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪০

রাইন অপরাজিত বলেছেন: একাটা নিউজে দেখলাম কোনো বিদ্যুতের টান্সফর্মার নাকি বিস্ফোরিত হয় নি ।বিদ্যুৎ বিভাগ দাবি করেছে ।সংযোগ কারি তার নাকি বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।আর পুরান ঢাকার ব্যাবসায়ী সমাজ তো এখনো ক্যামিকেলের বিষয়টা মানতেই চাচ্ছে না ।;

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কারো মানা, না মানায় তো সত্য পাল্টে যাবে না... তাই নয় কি? দুর্ঘটনার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্তে ঘোষণা, ওয়াহিদ ম্যানসন এ কোন ক্যামিকাল গোডাউন ছিল না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয় নাই। আরেকটি রিপোর্টে দেখলাম, আগুনের সূত্রপাত ওয়াহিদ ম্যানসন এর দোতলা হতে, যেখানে পুরোটাই ছিল বডি স্প্রে'র গোডাউন, যেগুলো পরে আগুন ছড়িয়ে যেতে প্রভাবকের ভুমিকা রেখেছিল। আসলে এখন জড়িত কারণগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চেষ্টা করবে নিজেদের রক্ষা করতে। আমার লেখায় আমি চেষ্টা করেছি, গত চারদিনে নানান মিডিয়া হতে পাওয়া খবর এবং তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে আসল ঘটনার কাছাকাছি একটি দৃশ্যপট দাড় করাতে। এখব সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রকৃত কারণ বের হয়ে আসবে। আমার প্রার্থনা, যেন প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সারা ঢাকা শহরই পুরাতন ঢাকার মতো ঘিঞ্জি হয়ে গেছে, কিলবিল করছে কংক্রিটের ঘরবাড়িতে। এই শহর থেকে কলকারখানা ও অফিস আদালত সরিয়ে বিকেন্দ্রীকরণ না করলে এই সব তদন্ত কমিটি/ফোমিটি, বিশ্লেষণ, আলোচনা, কোনো কিছুই কাজে আসবে না । এই রকম ঘটনা আরো ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যাবে এবং অনেক ভয়াবহ আকারে ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। ঢাকা শহরের সকল সমস্যা সমাধানের কার্যকর এবং টেকসই সমাধান হচ্ছে "বিকেন্দ্রীকরণ"। কিন্তু বিগত সময়ে কখনো, কোন সরকারই সেই পথে হাটে নাই। জাতিগতভাবে আমাদের স্বভাব হচ্ছে " আপাত সমাধান" কেন্দ্রিক, তা সে ব্যক্তিগত পর্যায়ের সমস্যা হোক অথবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের, সবাই ছুটে অস্থায়ী সমাধানের পথে। তাই, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট করজোড়ে মিনতি, দয়া করে সুদুরপ্রসারি এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধানের দিকে ধাবিত হন। এতে হয়ত সাময়িক কিছু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় জীবনে সুফল বয়ে আনবে।

ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ এবং সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যারা বলছে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়েছে ওরা গাধা।

ট্রান্সফরমার ফ্লুইড নন কন্ডাক্টিিভ, নন ফ্লেমেবল। ট্রান্সফরমারে যা হয় সেটা ফিউজ উরে গেলে আলোর ঝলকানি সহ প্রচন্ড শব্দ হয়। আর ট্রান্সফরমার ত্রুটিপূর্ণ হলে হবে আর্কিং,একাধিক প্রচন্ড শব্দ আসেপাসে কিছু থাকলে জ্বলে যাবে। সেটা বিষ্ফোরন নয় মোটেই।

ত্রুটিপূর্ণ না হলে গাড়ির সিএনজি সিলিন্ডারও বিষ্ফোরিত হয়না, অগ্নিকান্ড হলে সেফটিভালব ফেটে গ্যাস বের হয়ে যায়। সেফটিভালবে ত্রুটি থাকলে বা এক্সিডেন্টে সিলিন্ডারের একটি গোল অংশ নরম লোহা দিয়ে তৈরি (ব্লাস্টঅফ প্যানেল) ফেটে সুধু উর্ধমুখি বিষ্ফোরন হয়ে মহা বিষ্ফোরন বাচায়।


২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যতদূর জানা গেছে, প্রথমে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে, সেটি ঠিক ট্রান্সফরমার হতে কয়েক হাত দূরেই ছিল। বিস্ফোরিত সিলিন্ডার গিয়ে পড়ে ট্রান্সফরমার এর উপর এবং তা হতেও বিস্ফোরণ হয়। থিওরীটিক্যালি আপনার কথা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু যদি বিস্ফোরিত সিলিন্ডার গিয়ে পড়ে ট্রান্সফরমার এর উপর তাহলে স্রখান হতে ইলেক্ট্রিসিটি লাইনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তো থেকেই যায়। ওয়াহিদ ম্যানসন এর বাসিন্দা একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছেলের যে ভাষ্য সময় টিভিতে আমরা দেখেছি, সেখানে সেই ছেলে সহ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য আরও মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতক্ষ্যদর্শী ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছে তাতে কিন্ত বেশীরভাগ লোকই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ এর কথা বলেছেন।

ধন্যবাদ আপনার তথ্যপূর্ণ মন্তব্যর জন্য।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১২

রাজীব নুর বলেছেন: চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এরকম পরিস্থিতিতে সকল মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিবোধ কাজ করে না। আপনার মন্তব্যের কোন প্রাসংগিকতা খুঁজে পেলাম না।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০

সোহানী বলেছেন: তুমি কোন তদন্ত কমিটির কথা বলছো???? দেশেতো হাজার রকম তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আছে। তো কি হয়েছে? কোন রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেছে? কোন সমস্যার সমাধান হয়েছে সে রির্পোটের ভিত্তিতে?

দেশে কোন সমস্যার সমাধান কি হয়েছে? না কেউ আন্তরিকতার সাথে কোন সমস্যার সমাধান চিন্তা করছে???....

এগুলোর উত্তর তোমার জানা, আমার জানা.... সবার জানা।

কানাডিয়ান নিউজে দেশের খবর দেখো।

Daily News in Canada

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে "সদিচ্ছার"। গত তিন চার দিনে বেশ কিছু লেখা এবং রিপোর্ট পড়ে যা দেখলামঃ
(০১) পুরাতন ঢাকার লোকজন রুচিহীন।
(০২) শতবছর পুরাতন সব ভবন।
(০৩) পুরাতন ঢাকার সবাই লোভী।

যার কোনটার সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে সহমত নই। পুরাতন ঢাকার বাসিন্দারা অনেকটা বাধ্য হয়ে আজকের পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। নতুন ঢাকার বেশীরভাগ এলাকা পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে, ফলে সেখানে বসবাসকারীদের কোন ক্রেডিট নেই। পক্ষান্তরে পুরাতন ঢাকা সময়ের পরিক্রমায় গড়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান ঢাকা শহরের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে কোন কার্যকর পরিকল্পনা নেয়া হয় নাই, পুরাতন ঢাকার বেড়ে ওঠার জন্য। পুরাতন ঢাকায় শতবর্ষ পুরাতন কেন, পঞ্চাশ বছর পুরাতন ভবন কয়টা আছে, তা গননা করে বলে দেয়া যাবে। নিত্য নতুন ভবন উঠছে, এগুলো মনিটরিং করার কেউ নাই। আর রাস্তা সরু হাওয়ার দায় কি অধিবাসীদের? আমি চাইলেই কি আমার এলাকার রাস্তা প্রসস্থ হয়ে যাবে? অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ভাড়া দেন, কেন? সেগুলো নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা লেখা লেখার ইচ্ছে আছে।

অনেক কিছু বলার, লেখার ইচ্ছে আছে এসব বিষয় নিয়ে।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১২

নীল আকাশ বলেছেন: কালকে ফেসবুকে গ্যাস সিলিন্ডার ট্র‌াক থেকে উঠা এবং নামানো দেখলাম । আবারও বড় ধরনের অঘটন ঘটবে নিশ্চিত!!
আসল কথা বলেন নি কেন? গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে দেশে ব্যবসা করে প্রধান কোন কোন কম্পানি গুলি বলুন:
১। বসুন্ধরা ২। ওমেরা, এছাড়াও আছে আরও কয়েক ডজন .........
টাকাপয়সা এদের কাছে কোন ব্যাপারই না। দৈনিক পত্রিকাও আছে একজনের। এরাই সাম হাউ পত্রিকাতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আলাপ আলোচনা গোপন করার অপচেস্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মিডিয়া বেশ্যাদের দালালের চেয়েও খারাপ চরিত্রের। এমন কোন অপর্কম নেই যে এরা করতে পারে না। গত নির্বাচন নিয়েও তো এদের গোলাপ ফুলের মতো চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। ভুলে গেলেন নাকি? কোন লাভ নেই! এই কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলবে না সরকার।

গোড়ায় গলদ থাকলে কোন কিছুতেই কোন কিছু করে লাভ হবে না..............

চমৎকার রিপোর্ট। নিজের বিবেকের কাছে রাতে হেরে যেয়ে, না ঘুমিয়ে যেই পোস্টটা করেছেন, সেটাই প্রমান করে মানবতাকে আপনি কতটুকু প্রাধান্য দেন..........
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকা। কারো নাম না নেয়ার কারণ সবাই জানে, কে কোন কাজটা করছে। তারপরও কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর তীর তাক করা থাকে, তারাই সেগুলো প্রতিরোধে গঠিত কমিটির প্রধান হয়ে যায় আমাদের দেশে।

আসলে গোড়ায় গলদের যে কথা বললেন সেটাতেই সমাধান। রাষ্ট্র কঠোর হলে যে কোন কিছুই সম্ভব, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং নিয়মিত কঠোর মনিটরিং, খুব বেশী কিছু কিন্তু লাগে না। বর্তমানে পুরাতন ঢাকায় যে কয়টি ভবন রয়েছে সেগুলোর বেশীরভাগ গত ২০ বছরে নির্মিত। পুরাতন ঢাকার গলি গলিতে এখন বহুতল ইমারত, যেগুলো এক থেকে দুই যুগ পুরাতন সর্বোচ্চ। কিন্তু সমস্যা একটাইঃ

"লালন সাঁইজি বিনয় করে সিরাজ সাঁইজির পায়,
স্বামী মারিলে বল নালিশ করিবো কোথায়?"

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

রাফা বলেছেন: বিশৃংখল অবস্থায় রয়েছে প্রতিটি ব্যাবস্থপনা । সুদূরপ্রসারি কোন পরিকল্পিত ব্যাবস্থা ছাড়াই সকল কিছুর ছাড়পত্র মিলে বাংলাদেশে।বড় বড় ব্যাবসায়িরা সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ না করেই তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করে অবৈধ উপায়ে। এর জন্য অবশ্য শুধু ব্যাবসায়িরা এককভাবে দায়ি নয়।আমাদের সিস্টেমের মধ্যে প্রচুর গলদ রয়েছে।আর এই গলদের সুযোগে একশ্রেনির কর্মচারিরা অবৈধ পয়সার বিনিময়ে আরো বেশি অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখছে।কমার্শিয়াল আর রেসিডেন্সিয়াল এলাকা যে আলাদা হয় এই সাধারণ নিয়মটাই'তো নেই বাংলাদেশে।কোন স্পর্শকাতর ক্যামিকেল স্থানান্তরে নেই সঠিক সাবধানতা।যত্রতত্র যে কোন কিছুর জন্য লাইসেন্ষ প্রদান করা। কোন ইন্সপেকশন ব্যাবস্থাই কার্যকর নয় বাংলাদেশে।এরকম হাজারো সমস্যা রয়েছে আমাদের দেশে।সার্বিক দিক বিবেচনা করার প্রয়োজন অতি আবিশ্যিক।

তদন্তের বেলায় সবকিছুর দিকেই নজর রেখে প্রতিবেদন পেশ করা উচিত।প্রত্যেককে তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই হবে।সাধারণ মানুষকেও আরো বেশি সতর্ক হোতে হবে ।

ধন্যবাদ,বো.মা.ব.চায় আপনার সুচিন্তিত পোষ্টের জন্য।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, অগ্নি সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রতিটি খুব সহজেই মিলে যায় বাংলাদেশে। অথচ সাধারণ একটা পাসপোর্ট পেতে (যা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক প্রাপ্য) সাধারণ জনগণের কত ভোগান্তি হচ্ছে, দুদিন আগেও একটা পোস্ট এসেছে সামু ব্লগেই। Click This Link

জবাবদিহিতা আর দায়িত্ববোধ যথাযথভাবে কার্যকর থাকলে সকল সমস্যা থেকে উত্তরণে খুব একটা বেশী সময় লাগতো না। কিন্তু সেটারই যে বড্ড অভাব।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার লাগলো আপনার পোস্টমর্টেম রিপোর্টটি । তবে হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের মন্তব্যটি পড়ে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের বিষয়টি জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাদের দু'জনকেই। একটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য হয়তো কোন কমিশন গঠিত হবে তার রিপোর্টও বার হবে । কিন্তু পার্মানেন্ট সমাধানের জন্য চাই জনসচেতনতা । আমাদের সবাইকেই তাই এগিয়ে আসতে হবে ; সচেতন হতে হবে। বাদবাকি সমাধান তো আপনি দিয়েই দিয়েছেন ।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সমাধানের জন্য দরকার সচেতনতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এর চাইতে বড় কোন সমাধানের পথ নেই। হাসান কালবৈশাখী'র মন্তব্য প্রসঙ্গে বলবো, আমি আমার বাসার সামনে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হতে দেখেছি। পুরাতন ঢাকায় বহু বছর আগে রহমতগঞ্জ এলাকায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে বেশ কিছু মানুষ আহত-নিহত হয়েছিল। যেহেতু আমার এই বিষয়ে ইনডেপথ নলেজ নেই, তাই উনার কথা মেনে নিলাম। তবে, ১৪ নম্বর মন্তব্যে মা.হাসান এর মন্তব্য পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার মত এত সুন্দর পোস্ট মর্টেম তদন্ত কমিটি করবে না কিনা সন্দেহ আছে।জনগনের সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই দেশে সরকার গঠন হয় না। কাজেই তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করা বোকামি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান। আমাদের কাম্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্ট। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, গতকাল নিউজে দেখলাম, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল সহ সকলের রিপোর্ট সামারি হল, ওয়াহেদ ভবনের দোতলায় থাকা পারফিউমের গোডাউন হতে আগুনের সূত্রপাত। যেখানে স্থানীয় প্রায় সকল প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে পাওয়া সকল বক্তব্যে ছিল, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এর কথা। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে আগুনের সূত্রপাত এটা কিছু ভিডিও থেকেও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, কিন্তু... দেখা যাক কি হয় চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: আমরা পুরান ঢাকাবাসীরা মনে হয় সরকারের কাছে বোঝায় পরিণত হয়েছি তাই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
নিউজ চ্যানেলগুলির দালালির প্রশংসা করতে হয়। এর পর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তারা বলবে কোন মানুষ মরে নি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আরোগ্য। ঠিকই বলেছেন, "পুরান ঢাকাবাসীরা মনে হয় সরকারের কাছে বোঝায় পরিণত হয়েছি তাই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।"

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গুড। দারুন পর্যবেক্ষণ।

পোস্ট ও মন্তব্যে সহমত।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ অতি ক্রিয়াশীল প্রতিক্রিয়া ভ্রাতা ;)

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬

নজসু বলেছেন:





আপনার উল্লেখিত ৬ টি পয়েন্টই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভাবার মতো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নজসু তথা সুজন ভাই।

বোকা মানুষ যতই গুরুত্বপূর্ণ কথাই বলুক না কেন, কর্তাব্যক্তিরা কি সেই কথা শুনবে কখনো?

ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইবে।

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২

সুমন কর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। কিন্তু কিছুই হবে না, কয়দিন চিল্লাপাল্লা হবে !! তারপর যা ছিল, তাই থাকবে.....!! X((

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্য কথা বন্ধু, হাজার হলেও আমরা সব হজম করা জাতী :(

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: ৪ নম্বর মন্তব্যে হাসান কালবৈশাখি যা বলেছেন তা সত্য না।
ট্রান্সফরমার বার্স্ট হওয়া উন্নত দেশে খুব আনকমন, কিন্তু অসম্ভব না। আমাদের দেশে অহরহ হয়।
ট্রান্সফরমারের ভিতর কিছু নন-কন্ডাক্টিং মিনারেল ওয়েল থাকে। ট্রান্সফরমারের একটা কাজ হোলো লোড ম্যানেজমেন্ট। হঠাৎ লোড বা কারেন্ট বেড়ে গেলে ঘরে ফিউজ যেরকম উড়ে যেয়ে কানেকশন নিরাপদ রাখে, ট্রান্সফরমারের কাজও তাই, অটোমেটিক্যালি সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়ে কানেকশন নিরাপদ রাখে। কিন্তু এই কানেকশন বন্ধ হতে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময় লাগে। লোড খুব বেড়ে গেলে এই অল্প সময়ে প্রচুর তাপ তৈরি হয় যার কারনে এটা বার্স্ট হতে পারে। আশে পাশে কেউ থাকলে গরম তেল দ্বারা ভয়ংকর ভাবে পুড়ে যেতে পারে। ট্রান্সফরমার যত পুরাতন হয় তত এরকম দূর্ঘটনার ঝুকি বাড়ে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় পরে ট্রান্সফরমারগুলো পরিবর্তন করার বিধান আছে। বাজেট স্বল্পতার কারণে বা বলা যায় না এরকম কিছু কারনে অনেক সময় এটা করা হয় না। যে কোন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সহ) কে জিজ্ঞাসা করলে সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। আপাতত এই লিংক দেখতে পারেন। সবাইকে গাধা ভাবার আগে যাচাই করে নেয়া অধিক বাঞ্চনীয়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মা.হাসান। যেহেতু বিষয়টা টেকনিক্যাল, তাই আমার কিছু বলার ছিল না। কিন্তু পুরাতন ঢাকাবাসী এই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ প্রতক্ষ্য করেছে। কি আর বলার, গতকাল থেকে নিউজে দেখছি, আগুনের সূত্রপাত গোডাউন হতে। অতচ প্রত্যক্ষদর্শী সবার বক্তব্য আগুন শুরু হয়েছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে। তবে, হ্যাঁ, আগুনের বিস্তার এবং ব্যাপকতা হয়েছে কেমিক্যাল এর কারনেই। কিন্তু সূত্রপাত এবং বিস্তার দুটোর জন্যই কেমিক্যাল গোডাউনকে চিহ্নিত করে কি সিলিন্ডার পরিবহণ, বিক্রয়, বিপণন এর অনিয়ম ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে? ব্যাপারটা ভাবতে হবে সবাইকে।

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

ওমেরা বলেছেন: আমি কিন্ত এসবের ভিতর নেই বলে গেলাম।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কোন সবের ভেতরে আপনি নেই ভ্রাতা?

প্রবাদ বলে: "বাজারে আগুন লাগলে মসজিদ-মন্দির সবই পুড়ে"....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.