নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
ভারত ভ্রমণের গল্পগুলো সব জমে জমে পাহাড় হয়ে আছে। গত তিন চার বছরে তেমন পোস্ট লেখাই হয় নাই। গত পোস্ট হতেই দেখা গেল, বিগত চার বছরে ৫০টির মত পোস্ট করা হয়েছে সামুর উঠোনে। অথচ ২০১৭-২০১৯ সাল এর ভারত ভ্রমণের পোস্টই বকেয়া রয়ে গেছে প্রায় শ'দুয়েক। তাই আবার শুরু করা ভারত ভ্রমণ এর গল্প কথা। শেষ পোস্ট ছিল ডে ট্রিপ ইন মুম্বাই সিটি - মুম্বাই দর্শন ২০১৬ (তৃতীয় পর্ব)। সেই পর্ব যখন লিখেছিলাম, হাতের কাছে আমার পোর্টেবল হার্ডড্রাইভটি না থাকায়, ছবি দেয়া হয় নাই, আর লিখেছিলাম কিছুটা অল্প পরিসরে। আজ মুম্বাই ডে ট্রিপ এর শেষাংশ লিখে সেই কিস্তির মুম্বাই ভ্রমণ শেষ করার ইচ্ছে থাকলেও; সেবার মুম্বাই এয়ারপোর্টে সারারাত জেগে থেকে ভোর ছয়টার ফ্লাইট এ কলকাতা ফেরা এবং কলকাতা হতে ঢাকা ফিরে লাগেজ বিড়ম্বনা'র গল্প না লিখলে সেই বারের ভ্রমণগল্প অসম্পূর্ন থেকে যায়। তাই এই পর্বের পর হয়ত আরও দুটি পোস্ট থাকবে মুম্বাই ভ্রমণ এর এই কিস্তিতে।
মুম্বাই এর শেষ দিনে লোকাল টুরিস্ট বাসে করে আমরা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম মুম্বাই এর দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে। যা গত পোস্টে অনেকটাই লেখা হয়েছিল।
দুই দিনের মুম্বাই দর্শনে আমার মনে হয়েছিল, কিছুই দেখা হল না মুম্বাই এর। মুম্বাই এর বিখ্যাত লোকাল ট্রেনে করে ঘোরাঘুরি বাকী ছিল; মুম্বাই এর ফিল্ম সিটি, নানান এমিউজমেন্ট পার্ক, সিনেমা হলে সিনেমা দেখা সবই বাকী রয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে মুম্বাই এর সিনেমা হলে বসে হিন্দি সিনেমা না দেখতে পারাটা। আসাম, নাগাল্যান্ড, কেরালা, দার্জিলিং এর মত জায়গায় গিয়েও সিনেমা হলে সিনেমা দেখা মিস করি নাই; কিন্তু সেবার মুম্বাই এ মিস করেছিলাম।
মুম্বাই এর আইকনিক সিম্বল স্ট্রাকচার হল মুম্বাই রেল, বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক; মেরিন ড্রাইভ অথবা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিস বিল্ডিং। আর সাথে অতি অবশ্যই গেট অফ ইন্ডিয়া আর হোটেল তাজ। যে কোন ডকুমেন্টস এ মুম্বাই'কে রিপ্রেজেন্ট করে চলেছে এই স্ট্রাকচারগুলো। আমার সেবারকার ট্যুরে দেখা এই সকল পর্যটন স্থাপনাগুলোর কিছু ছবি নিয়েই শেষ হোক মুম্বাই দর্শন।
মুম্বাই এর বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক ব্রিজ।
মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিস।
চৌপত্তি হয়ে মেরিন ড্রাইভ এর পথে অতিবাহিত একটি সন্ধ্যাঃ
গেট অফ ইন্ডিয়ার নানান ভিউঃ
দিনে-রাতে-সন্ধ্যায় অতি আলোচিত মুম্বাই এর তাজ হোটেলঃ
ভারতে মুম্বাই এর হজরত আলী দরগাহ আর দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ এ গেলে দেখা যায় ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজারো মানুষের ঢল। ধর্ম যেখানে গৌণ হয়ে থাকে..... মুম্বাই এর হজরত আলী দরগাহ এর ছবিঃ
মুম্বাই গেলে জুহু বীচে না গেলে মুম্বাই ভ্রমণ থেকে যায় অসম্পূর্ণ। কিন্তু সেবারকার ১৬ দিনের ট্রিপে এত বেশী সী বীচ ঘোরা হয়েছিল যে, জুহু বীচে গিয়ে ঘুম পাচ্ছিল দলের সবাই। তাই তো হামলে পড়া হয়েছিল গোলা আইসক্রিম আর ফালুদা'র উপর।
সবশেষে মুম্বাই এ গিয়ে বলিউড এর গপ্পো না থাকলে কেমন দেখায়। ডে ট্রিপে জুহু বীচে যাওয়ার পথে বলিউডের বিখ্যাত নায়ক নায়িকাদের বাসার সামনে দিয়ে টুরিস্ট বাস চক্কর কাটে আর বাসে থাকা টুরিস্ট গাইডের রসালো বিবরণ এবং টুরিস্টদের ডান থেকে বাম পাশে - বাম থেকে ডান পাশে ছোটাছুটি করে নায়ক নায়িকাদের বাসার ছবি তোলা আরেকটি দর্শনীয় ব্যাপার বৈকি।
বাসের জানালা হতে গ্ল্যামার্স কুইন রেখা'জি-র বাড়ীর প্রবেশদ্বার।
জী হ্যাঁ, এই ভবনের দোতলার বাইরে থেকে পর্দা দিয়ে ঘেরা এই এপার্টমেন্টেই থাকেন বলিউডের ভাইজান, সালমান খান পুরো পরিবারের সাথে; বাবা সেলিম খান, আরবাজ খান, সোহেল খান সকলেই এখানে থাকেন।
নৈবদ্য, যে ভবনে অমিতাভ বচ্চন তার পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনকে বিয়ের পর এপার্টমেন্ট উপহার দিয়েছিলেন। এখানেই অভিষেক-ঐশ্বরিয়া বসবাস করেন।
এই ভবনে থাকেন মাচোম্যান জন এব্রাম।
এর বাইরে শাহরুখ খান এর মান্নাত, অমিতাভ বচ্চন এর প্রতিক্ষা সহ আরো বেশ কিছু তারকার বাড়ী'র ছবি তুলতে পারা যায় নাই; টুরিস্ট বাসে বিপরীত পাশে থাকায়। আহালে, এই দুক্কু রাখি কুতায়
ভারত ভ্রমণের গল্প সকলঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ঠিক করে দিয়েছি।
মুম্বাই এর বস্তি, সে আর বলতে। আমার তো খুব ইচ্ছে আছে সময় সুযোগ হলে এক সপ্তাহের একটা ট্যুর দিবো মুম্বাই এর বস্তি আর ঘিঞ্জি এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে এবং মুম্বাই এর লোকাল ট্রেনে চড়তে।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমানদের অর্থনৈতিক অবস্হা কেমন?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি মোটে ২দিন ছিলাম মুম্বাইতে, আমাদের হোটেল পেতে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছিল; সেই গল্প মুম্বাই দর্শণ এর মুম্বাই বিড়ম্বনা - মুম্বাই দর্শণ ২০১৬ (প্রথম পর্ব) তে বিস্তারিত লিখেছিলাম। আমরা যে এলাকায় ছিলাম তা মুসলিম অধ্যুষিত ছিল, অর্থনৈতিক ভাবে স্বল্প উন্নত। অনেকটা আমাদের পুরাতন ঢাকার বাবুবাজার পাটুয়াটুলি এলাকার মত। ২ দিনে আসলে তেমনভাবে দেখা হয় নাই মুম্বাইকে। মূলত ১৬ দিনের ভ্রমণের এক্সিট পয়েন্টটা ছিল মুম্বাই টু ঢাকা ভায়া কলকাতা।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার জানা অনেক পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মুম্বাইতে কাজে গিয়ে বাংলাদেশী অভিযোগে লোকাল লোকদের দিয়ে হেনস্থা হতে হয়েছে।ওরা বাংলায় কথা বললে ধরেই নেয় বাংলাদেশী। মূলত শিবসেনা ও আর এস এসের দাপটে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি শ্রমিকেরা ভয়ে নিজেদের মধ্যেও বাংলা বলেনা। এইসমস্ত শ্রমিকদের থাকার জায়গা ধারাভি বস্তি। কয়েকবছর আগেও ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে ওদের কাছে গল্প শুনতাম। আমি আবার একদম হিন্দি বলতে পারি না। কিম্বা হিন্দি মুখেও আনিনা। ভারতের একাধিক রাজ্যে বিশুদ্ধ বাংলা বলে ঘোরাঘুরি কেনাকাটা করেছি।দেখেছি,হিন্দি বুঝিনা বলাতে সবাই একটু একটু বাংলা বলতে চেষ্টা করে।তাই সে কানপুর,ঝাড়খন্ড, বিহার,ওড়িষ্যা, দার্জিলিং এমনকি হিমাচল প্রদেশের সিমলা কালিবাড়ীতেও বাংলা চালিয়েছি। কিন্তু আমার গ্রামের ছেলেগুলো মুম্বাই গিয়ে বাংলা বলতে নিষেধ করেন। খুব উগ্রবাদী জায়গা। অথচ আমি যেখানেই যাবো বাংলা শিখিয়েই ছাড়বো,পন করেছি। এমতাবস্থায় মুম্বাইতে আমি হেনস্থার আগাম সতর্কতা পেয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আপনি মুম্বাইতে কোন ভাষায় কথা বলেছিলেন?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি তো পশ্চিমবঙ্গ'র বাইরে আসাম ছাড়া অন্য কোথাও বাংলায় কথা বলা লোক পাই নাই। যেহেতু পুরাতন ঢাকায় বসবাস, ছোটবেলা থেকে কাজ চালানোর মত হিন্দি জানা আছে; আর কয়েকবার লম্বা সময়ের জন্য ভারত ভ্রমণে গিয়ে ভালই হিন্দি সাবলীলভাবে বলা রপ্ত হয়ে গেছে। তবে দক্ষিণ ভারতে যথেষ্ট ঝামেলা হয় মাঝে মাঝেই, নো হিন্দি, নো ইংলিশ, ওনলি মালায়ালাম অথবা তামিল অথবা কান্নাড়া....
তবে ভ্রমণে বের হয়ে ভাষা নিয়ে আমার কোন মতাদর্শ নেই বলে তেমন কোন ঝামেলা হয় না...
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার আর ভারতে কিছু দেখা বাদ নাই মে হয়
২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আরে নাহ ভাই, বিশাল ভারতের কতটুকুই বা দেখেছি? ২৮টি রাজ্য আর ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে আমার যাওয়া হয়েছে মাত্র ১৭টি'তে: পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরালা, গোয়া, মহারাষ্ট্র, রাজাস্থান, দিল্লী, পাঞ্জাব, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ। অর্ধেকও নহে... ইচ্ছে আছে ৩৬টি'তেই পা রাখার।
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন নেওয়াজ আলি ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: হায়দ্রাবাদ কি গেছেন?
২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জী না জনাব, তবে সুযোগ পেলেই দৌড় দিবো। ২ বছর হতে চললো ভারত বেড়াতে যাওয়া হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
পোষ্ট ডবল হয়ে গেছে।
মুম্বাইতে বস্তি আছে?