নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন "নাসির উদ্দিন খান" কি "হুমায়ূন ফরিদী"র লেভেলে পৌঁছে গেছেন? X( X(( /:)

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫



তই তই তই... আমার ময়না পাখিটা কই?’ সংলাপে জনপ্রিয় - ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ শিহাব শাহীনের চাঁদরাতে মুক্তি পাওয়া চরকি অরিজিনাল সিরিজ যা মুক্তির পর ১০০ ঘণ্টার মধ্যে ১ কোটি মিনিট স্ট্রিমিং হয়ে ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছে। 'মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন' এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, যাকে ইতিমধ্যেই অনেক সিনেমা এবং অভিনয়শিল্প বোদ্ধা হুমায়ুন ফরিদীর পরে বাংলার অভিনয় জগতে বহুমুখী প্রতিভা বলে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা যে ভিন্ন! চেনা বৃত্তের বাইরে অভিনয় করে তিনি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন তার বহুমুখী প্রতিভার। সেই কথায় পরে আসি, আগে আসা যাক কে এই নাসির উদ্দিন খান, যিনি গত দু'তিন বছরে দেশের সকল প্লাটফর্মে সব চাইতে বেশী চর্চিত তারকা।

১৯৭২ সালের ২১ নভেম্বর মনু মিয়া শোরদার এবং আম্বিয়া খাতুন এর ঘরে নাসির উদ্দিন খান চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স শেষ করে ক্যারিয়ার গড়তে ভর্তি হয়ে যান চাটার্ড একাউন্টেন্সি "সিএ" কোর্সে, কিন্তু সিএ সিসি কমপ্লিট করে আর পরীক্ষা দেয়া হয় নাই। এরপর সেই সিএসিসি সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন চট্টগ্রামের পিএইচপি গ্রুপে। এরপর বেশ কিছু কোম্পানী বদল করে এক সময় সিদ্ধান্ত নেন অভিনয়ে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়ার। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামে একজন নাট্য শিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত থিয়েটারে অভিনয় চালিয়ে যান চাকুরীর পাশাপাশি। ২০১৬ সালে চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনে কাজ করার জন্য ঢাকায় চলে আসেন নাসির উদ্দিন খান এবং প্রথম ব্রেকথ্রু মিলে ২০১৭ সালের আয়নাবাজি সিরিজের কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অস্থির সময়ের স্বস্তির গল্প’-এর ‘মাহুত’ নাটকের একটি চরিত্রে, যেটিতে অভিনয় করে তিনি বেশ আলোচিত হন। তারপর থেকে একে একে কাজ করেছেন সিনেমা ন ডরাই, পরাণ, হাওয়া, দামাল, মেইড ইন চিটাগং, ফ্রাইডে, রিকশা গার্ল'তে। টেলিভিশন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছেন তাকদীর, খাঁচার ভেতর অচীন পাখী, মহানগর, বলি, সিন্ডিকেট, গুটি এবং সবশেষ মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন এ। এইগুলোর বাইরেও তিনি বেশ কিছু নাটক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই স্বল্প সময়ে।

এর মধ্যে ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’-এ ডোম ও ‘মহানগর’ থানার ছিঁচকে অপরাধী চরিত্র তাকে আলোচনায় আনে। এরপর পরাণ সিনেমার পুলিশ অফিসার চরিত্রে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন। এরপর ‘হাওয়া’ মুভিতে নাগু চরিত্রে, ফ্রাইডে চলচ্চিত্রে পলাশ কাদের তরফদার ওরফে "পকাত" করে তিনি নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান। এরপরই আসে তার সর্বাধিক আলোচিত চরিত্র নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’-এ রসিক মন্দলোক অ্যালেন স্বপন যাকে নিয়ে পরবর্তীতে নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। তার চরিত্রগুলোর সংলাপ দর্শকের মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। কিছু আলোচিত সংলাপঃ

রূপালিরে আবার কল টল দিয়েন না, নাম্বারটা ডিলিট করে দিয়েন’। - 'তাকদীর'
মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারলাম না’—‘সিন্ডিকেট
তই তই... আমার ময়না পাখিটা কই?’ - ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন
'কী গ্যারান্টি আচে লাইফের। কোনো গ্যারান্টি নাই। আপনার পিউচার নিচ্চয়তার গ্যারান্টি আমি দেব।' - ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অভিনয়ের সবক্ষেত্রেই তাকে দেখা যাবে, যদি সবকিছু তার কমফোর্টজোনে থাকে। আর এর পথ ধরেই এই ঈদে গুণী এবং তারকা নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাসির উদ্দিন খান, তারিন জাহান এবং রাশেদ মামুন'কে নিয়ে নির্মান করেছেন "ক্যান্সার পার্টনার" নামক নাটকটি।

========================================================================
টিভি নাটকে দেখা যাবে কি না?
আমি অভিনেতা। অভিনয়ের সব ক্ষেত্রেই আমাকে দেখা যাবে। কিন্তু সবকিছু আমার কমফোর্ট জোনে থাকতে হবে। কমফোর্ট জোন বলতে চরিত্র, গল্প, পরিচালক, সব কিছু মিলিয়ে ঠিক থাকলে দেখা যাবে। - সময়ের কণ্ঠস্বর
========================================================================

তো কেমন ছিলো এই নাটকে গুণী অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান এর অভিনয়। আইনজীবী তারিন এর বাল্যবন্ধুর চরিত্রে একটুও মানায় নাই নাসির উদ্দিন খান'কে। তার সাথে তার উদ্ভট পরচুলা তাকে শুরুতেই হাস্যকর একটা ইমেজ দিয়েছে। আর শিক্ষিত গদ্য ভাষায় তার সংলাপ বলার চেষ্টা চোখে বেঁধেছে। চয়নিকা চৌধুরী প্রথমত তারিন এর বাল্যবন্ধুর চরিত্রে নাসির উদ্দিন খান'কে কাস্ট করেই ভুল করেছেন, তার সাথে এরকম হাস্যকর হেয়ার স্টাইলের পরচুলা তার মাথায় না চাপিয়ে সাধারণ হেয়ার স্টাইলে তাকে প্রেজেন্ট করলেও পারতেন। নাসির উদ্দিন খান এর ডায়লগ থ্রোতে আঞ্চলিকতার টান থেকে বের হতে হবে। নইলে উনি সব ধরনের চরিত্র করতে একেবারেই ব্যর্থ হবেন। তার সিগ্নেচার হাসি যা এই চরিত্রে ছাগলের মত মনে হয়েছে। তার চাইতে বহুগুনে ভালো অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন, তারিন এর স্বামীর চরিত্রে। রাশেদ মামুন এর অভিনয়ে অনেক উন্নতি চোখে পড়বে নাটকটি যদি দেখে থাকেন। কথা হল নাসির উদ্দিন খান সবকিছু আপনার কমফোর্ট জোনে থাকবে না, আপনাকে কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নইলে এই বৃত্তবন্দী সীমানায় আরও কিছু আলোচিত সমালোচিত হিট, সুপার হিট নাটক, মুভি, ওয়েব সিরিজ এর পর এই পথচলা থেমে যেতে বাধ্য। এর উদাহরণ হিসেবে মিশা সওদাগর এর কথা বলতে পারি। কিছুদিন আগে তার "যদি আমি বেঁচে ফিরি" নামের ওয়েব সিরিজ মুক্তি পায়, যেখানে সকল চরিত্রের ডায়লগ থ্রো এক রকম আর মিশা সওদাগর এর ডায়লগ থ্রো অন্যরকম, বছর বিশেক আগের বাংলা সিনেমার বাবা বা নায়কদের মাইক কাঁপানো সংলাপ টাইপের; সত্যি বলতে যা বিরক্তিকর লেগেছে। এই ঈদে "সাহারা মরুভূমি" নামক চ্যানেল আইতে প্রচারিত নাটকে সাবিলা নুর এর সাথে তাকে একই সমস্যায় দেখেছি, সিনেমাটিক ডায়লগ। এটা যেন তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে, উনি সেটা থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেও বের হতে পারছেন না।

আর চলচ্চিত্র, নাটক, অভিনয় শিল্প বিশারদদের নিকট আকুল আবেদন হুট করেই যে কাউকে লিজেন্ডারি বানিয়ে ফেলবেন না। লিজেন্ড হয়ে কেউ আসে না, তার কর্ম তাকে সময়ের সাথে লিজেন্ড বানিয়ে দেয়। একজন হুমায়ুন ফরিদী হতে যতটুকু পথ পাড়ি দিতে হয়, তার এক দশমাংশএখনও পাড়ি দিয়েছেন কি বরেণ্য আলোচিত অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান? প্রশ্ন রেখে গেলাম।

আর ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ টিজার দিয়ে যে সুরসুরি দিয়ে দর্শকদের সিনেমায় এনে হতাশ করেছে, তা নিয়ে শুধু বলতে পারি, এই সিরিজে আরও অনেক বোল্ড এন্ড এডাল্ট কন্টেন্ট যুক্ত হতে পারতো কাহিনীর দাবী অনুযায়ী। গল্পে অনেক ফাঁক রয়ে গেছে, সেগুলো কোথাও আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনায় শুধু মিথিলার ব্লাউজের হুক আর "তই তই তই..."

সবশেষে বলবো ব্যক্তিগত অভিমত, "নাসির উদ্দিন খান - বাস্তবতার নিরিখে অভিনয়ের মান প্রশ্নসাপেক্ষ"

মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন


যদি আমি বেঁচে ফিরি


ক্যান্সার পার্টনার


সাহার মরুভূমি

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হুমায়ূন ফরিদীর লেভেলে যেতে আরো অনেক সময় লাগবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উনাকে আরও নিজেকে ভেঙ্গেচুরে, নির্দিষ্ট খোলস ভেঙ্গে বের হয়ে আসতে হবে। সমালোচনার নিরিখে তার অভিনীত চরিত্রগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখবেন একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নের ভেতর আছেন এখনও উনি। আমি প্রথম উনার ব্যতিক্রম একটা চরিত্রের কাজ দেখলাম "ক্যান্সার পার্টনার" নাটকটিতে। উনার অভিনয়, মুখের এক্সপ্রেশন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মোটেও চরিত্রের সাথে যায় নাই। হুমায়ূন ফরিদীর লেভেলে পরের কথা, আগে উনাকে বাংলা অভিনয় জগতে অন্যান্য সমসাময়িকদের লেভেলে পৌঁছাতে অনেক কাজ করতে হবে নিজেকে নিয়ে। না হলে ক্যারিয়ার প্যাথ চেঞ্জ করে যে অভিনয়ে তিনি এসেছেন, সেটি সাফল্যের দুয়ার থেকে দিকভ্রষ্ট হয়ে যাবে বলেই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তিনি খুব ভালো অভিনয় করছেন নি:সন্দেহে। তবে হুমায়ুন ফরিদীকে তো একজনই। আরেকজন হুমায়ুন আহমেদ কি বাংলাদেশে খুব তাড়াতাড়ি আসবেন?

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উনার ভালো অভিনয় নিয়ে সন্দেহ নেই। সমস্যা হলো কিছু মানুষ উনাকে নিয়ে অতিরিক্ত নাচানাচি শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিটি অভিনেতার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, কিছু এডভান্টেজও থাকে। এই দুটোর যথাযথ ব্যবহার করতে জানতে হয়। উনার "ক্যান্সার পার্টনার" নাটকটি দেখার অনুরোধ রইলো; উনার অংশগুলো শুধু দেখলেও বুঝবেন উনার দুর্বলতা।

হুমায়ুন আহমেদ বা ফরিদী লেভেলে যাওয়া কি এতোই সহজ। শত বছরে একজন আসে এমন, এই সত্যটা উনারা কবে বুঝবেন। জনাব আনিসুল হক, "মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন" নিয়ে সেই লেভেলের রিভিউ ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন, সেখানে সবাই "মহানগর-২" নিয়ে উনার প্রতিক্রিয়া নেই কেন জানতে চাইলে কবি নীরব। পুরো ব্যাপারটাই ব্যবসায়িক।

তবে আমি কোনভাবেই নাসির উদ্দিন খান'কে অবজ্ঞা করিছি না, কিন্তু উনার ভার্সেটিলিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি।

যেহেতু আপনি মিডিয়া জগত এর কাছেই থাকেন, অনেক পোস্টও আসে আপনার কাছ থেকে, তাই এই বিষয়ে একটা লেখা আপনার কাছ থেকে আশা করছি।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: হুমায়ূন ফরিদী কিন্তু অনেক থার্ড ক্লাস বস্তা পঁচা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হয়ত পেটের দায়ে করেছেন। উনার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
এবার আসি নাসির ভাই এর কথায়। উনি কিন্তু একসময় ব্লগার ছিলেন। ইস্টিশন ব্লগে নিয়মিত লিখতেন।
উনাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। হয়তো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ বলে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিন্তু এটা সাময়িক।
উনি যেহেতু মঞ্চের দক্ষ অভিনতা। তাই উনি ভাল কিছু উপহার দিবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান। নাসির উদ্দিন খান এর ফেইস এক্সপ্রেশন, বডি ল্যাংগুয়েজ আর কথা বলায় আঞ্চলিকতার টান অন্যতম সমস্যা। চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিম, জাহিদ হাসানের মত তারকাদেরও একসময় এই সমস্যা দেখা গেছে একটা সময় পর্যন্ত। তারা তাদের নিজস্ব গন্ডির খোলস ভেঙে নিজের পরিবর্তন করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী তো নিজের অভিনয়কে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। তাই এখন হতেই নাসির উদ্দিন খান যদি নিজের দূর্বলতাগুলো ওভারকাম করতে সচেষ্ট না হন, তাহলে উনি বেশী দূর যেতে পারবেন না; ক্যান্সার পার্টনার নাটকটি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নাসিরের শুরুটা ভালো হয়েছে মনে হয়,দেখি কতদিন টিকে থাকে বাঙালী দর্শকের রুচির নিচে।

০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি তো মনে করি উল্টো, দেখা যাক কতটুকু নিচে নিয়ে যেতে পারেন উনারা বাংলা নাট্য সিনেমার মান...

শুধু ভালো অভিনেতা হলেই তো হবে না, ভালো কন্টেন্টও জরুরী।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: দুই জনের স্টাইল স্মার্টনেস অভিনয় দক্ষতায় যোজন যোজন পার্থক্য! কেন ইনার সাথে উঁনার তুলনা হচ্ছে মাথায় আসছে না।

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কথাও সেটাই, ভালো অভিনয় করেন, ভালো কথা। তাই বলে সরাসরি লিজেন্ডস দের সাথে তুলনা!!! আমারও মাথায় আসে না। মামুনুর রশীদ আসলেই ভুল বলেন নাই খুব একটা, রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে...

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

নিমো বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেন: হুমায়ূন ফরিদী কিন্তু অনেক থার্ড ক্লাস বস্তা পঁচা সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
হ্যাঁ করেছেন। উনার গাড়ি ছিল না বিধায়, অনেকেই ছোট করে দেখতেন। তাই তিনি থার্ড ক্লাস বস্তা পঁচা সিনেমায় অভিনয় করে টাকা কামিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন।

আমার জানা নাই কোন পর্যায়ের নির্বোধ হলে হুমায়ূন ফরিদীর সাথে এক পাল্লায় কাউকে রাখা যায়। চরকির মালিক পক্ষ কারা এবং অতীতে জিরোকে কিভাবে হিরো বানিয়েছে (এভারেস্ট বিজয়) জানলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আসল রহস্য কোথায় ?

০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১১:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আনিসুল হক তার ফেসবুক পেইজে "মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন" নিয়ে মাত্রারিক্ত উচ্ছাস প্রকাশ করলে পাব্লিক তারে জিজ্ঞাসিলো "মহানগর ২" নিয়ে কোন কথা নাই কেন?

বিজনেস, সবই বিজনেস....

৭| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১১:২১

নতুন বলেছেন: সব কিছু যেহেতু ভাইরাল স্কেলে মাপা হয় তাই জনগনের মাঝে হাইপ তৌরিই এক মাত্র তরিকা।

ট্রেলারে শুরশুরি এর কিছু ডায়ালগ এবং মিডিয়াতে সমালোচনা এটাই মাকেটিংএর সবচেয়ে ভালো পথ।

হুমায়ূন ফরিদীর অভিয়ন দক্ষতার যেই গভীরতা আছে সেটার সাথে তুলনা করার সমসাময়ীক কেউ আছে কিনা খুজে দেখার বিষয়। উনার সাথে তুলনার চেস্টা স্রেফ আলোচনায় আসার চেস্টা মাত্র...

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই সিরিজটির গল্পের প্লট খুবই কমন, আগে এরকম ঘটনায় বহু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ১৮+ ট্যাগ, আর সুরসুরি মাখানো টিজার দিয়ে বিশাল নেগেটিভ মার্কেটিং করে হাইপ তোলা হয়েছিলো ওয়েব সিরিজটিকে ঘিরে। সমস্যা নাই, যে দেশে যেমন চল... কিন্তু বোদ্ধা ব্যক্তিরা যদি লিজেন্ডারি এক্টরদের সাথে এসব চরিত্র করে সাময়িক হিট হওয়া কারো তুলনা করে সেটা মেনে নেয়া যায় না। চয়নিকা চৌধুরীর "ক্যান্সার পার্টনার" নাটকের খুব সাধারণ একটা চরিত্রে উত্রে যেতে ব্যর্থ হয়ে নাসির উদ্দিন খান নিজের সীমার গন্ডি বুঝিয়ে দিয়েছেন। হাতে সময় থাকলে নাটকটি দেখতে পারেন।

হুমায়ুন ফরিদী একজনই...

৮| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫২

বাকপ্রবাস বলেছেন: অতি মাত্রায় ঢলাঢলির দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি যেগুলো দৃষ্টিকটু লাগছে, প্রথমে চমক মনে হলেও পরবর্তীতে তার একই চরিত্র বারবার দেখতে দেখতে বোরিংভাব আসার সম্ভবনা আছে।

চিটাইংগা ফোয়া মেড়িত ফইললে লোয়া, জিন্দাবাদ

০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মানেই ঢলাঢলি না শুধু আরও বেশী কিছু প্রদর্শনের সুযোগ... আর নাসির উদ্দিন খান সম্পর্কে যা বলেছেন, তাতে বলবো, ইতোমধ্যেই বোরিংভাব চলে এসেছে। তার বডি লেঙ্গুয়েজ, ফেইস এক্সপ্রেশন, ডায়লগ একই রকম; ইভেন তার একটা মার্কা মারা হাসি আছে যা সকল সিচুয়েশন এর সকল দৃশ্যে একেবারেই বেখাপ্পা লাগে। দেখা যাক উনি এই অবস্থায় কতদূর নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন অথবা নিজেকে কতটা পরিবর্তন করে অভিনয়ের জগতে আরও এগিয়ে যান। সময়ই সব বলে দেবে।

ভালো থাকুন সবসময়। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।

৯| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: তার অভিনয় এখনো দেখিনি।
খুব স্রীঘই দেখব।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ৯:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিকাশের একটা বিজ্ঞাপন ছিলো, "তুমি শিক্ষিত ছেলে, তোমার বিকাশ একাউন্ট নেই!"। এইরকম কিছু বইলতাম নি? ;)

=p~ =p~ =p~

১০| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: হুমায়ূন ফরিদি ছিলন বহুমুখী প্রতিভার একজন শিল্পী। তার সমপর্যায় যেতে হলে অনেক অনেক অনেক পথ যেতে হবে। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজে ভিলেন ক্যারেক্টার ডিপজল একসময় অনবদ্য ছিলো তাই বলে কি সে শুদ্ধ অভিনেতা ছিলেন? ছিলেন না। হুমায়ুন ফরিদী অসম্ভব প্রতীভা সম্পন্ন একজন মানুষ। তিনি অবশ্যই ভগবান না কিন্তু তিনি বাংলাদেশের নাট্য জগতে হিমালয় সম।

০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হুমায়ুন ফরিদি আসলে নাট্য জগত নয়, মঞ্চ-টিভি-বিগ স্ক্রিন সকল অভিনয় প্ল্যাটফর্মের মধ্যে হিমালয় সম এক প্রতিভা। যদিও কিছু বস্তা পঁচা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার অভিযোগে অনেকেই তাকে অভিযুক্ত করে থাকেন। কিন্তু আমি বলবো এটাও তার এক্টিং ভার্সেটাইলিটির প্রমাণ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভ রাত্রি।

১১| ০৩ রা মে, ২০২৩ ভোর ৪:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
যাক, এ চলমান বিষয়ে একটি হলেও পোস্ট এসেছে দেখে ভালো লাগলো।

০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৯:২২

সোহানী বলেছেন: ইয়ে মানে এখনো তার কোন অভিনয় দেখার সুযোগ হয়নি।

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রাজীব নূরের মন্তব্যের প্রতিত্তর দ্রষ্টব্য।

বেচারা শুনলে আত্মহত্যা করবে, এত্তগুলো কাজ করার পরেও কেউ যদি বলে, "ইয়ে মানে এখনো তার কোন অভিনয় দেখার সুযোগ হয়নি।" =p~ =p~ =p~

১৩| ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




হুমায়ূন ফরিদী বাংলাদেশের অভিনয় জগতে এক অনন্য সাধারণ অভিনেতা।
তার সাথে তুলনা করার মতো কেউ এখনও হয়নি, হবেওনা কখনও।
আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা, এখনও খুঁজে খুঁজে তার সব পুরনো নাটক দেখি আর অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হই।

০৭ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডল। আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে, সংশপ্তক নাটকে হুমায়ুন ফরিদির কান কাটা রমজান চরিত্রের কথা। যে চরিত্র নিয়ে ড্রিমল্যান্ড ব্যান্ড একটা গান পর্যন্ত রিলিজ দিয়েছিলো -

১৪| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:



হা হা হা এই গান আমি আগেও শুনেছি :)
থ্যাংকস শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন পর আবার শুনলাম।



০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নিয়ে রচিত কিছু গান নিয়ে একটা লেখা নিয়ে প্ল্যান করছি। কিন্তু আপাতত তিনটি গান ছাড়া আর মনে পড়ছে না। যদি কোন গান মনে পড়ে প্লিজ কমেন্টে জানাবেন।

(১) রমজান চোরার কান কাইটাছে
(২) হ্যালো ম্যাক গাইভার
(৩) চলছে ত্রিরত্ন ক্ষ্যাপা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.