নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

127 Hours - মৃত্যু ফাঁদ থেকে বেঁচে ফেরার গল্প (Adventure & Travel Movie Review)

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৫



নিয়মিত পাহাড় পর্বতে আরোহণ করা আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা যখন আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে একাকী কোন একটা পাহাড়ি গিরিখাত ভ্রমণের সময় আপনাকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আটকে রাখবে দীর্ঘ ছয়দিন!!! একটি গভীর, সরু ফাটলে, একটি পাথর এবং গিরিখাতের প্রাচীরের মধ্যে আপনার হাত আটকে গিয়ে বন্দী আপনি নিজের বেঁচে থাকার আশা বিসর্জন দিয়ে সাথে থাকা ক্যামকর্ডারে নিজের মৃত্যু পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা পরিবারের বাকীদের উদ্দেশ্য করে ভিডিও রেকর্ড করবেন … একবার কল্পনা করুন এই পুরো দৃশ্যপটটিকে। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে Aron Ralston নামক এক পর্বতারোহীর জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত 127 Hours মুভিটি ট্রাভেল, এডভেঞ্চার এবং সারভাইভাল মুভির সর্বকালের সেরা দশের তালিকায় থাকা একটি মুভি। IMDb রেটিং 7.5/10, Rotten Tomatoes এর 93% এবং Google users এ 82% পছন্দ নিয়ে ট্রাভেল, এডভেঞ্চার এবং সারভাইভাল মুভি প্রেমীদের ভালবাসার মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে এই মুভিটি।

২০০৩ সালের ২৬ এপ্রিল অ্যারন রালস্টন একজন প্রফেশনাল পর্বতারোহী, আটাশ বছরের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পর্বতারোহণ যার শখ এবং নেশা বলা যায়; কোন এক ছুটির দিনে কাউকে কিছু না বলেই উটাহের ক্যানিয়নল্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে হাইকিং করতে যান। ছবির শুরুতে তার সাথে দেখা হয় সেখানে হাইকিং করতে এসে দিকভ্রান্ত হয়ে যাওয়া দুই হাইকার ক্রিস্টি এবং মেগানের সাথে; তিনি তাদের সাথে বেশকিছুটা সময় কাটান, তাদের দিকনির্দেশনা দেন এবং সেদিন বিকেলে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি ব্লুজন ক্যানিয়নের একটি স্লট ক্যানিয়নের মধ্য দিয়ে চলতে থাকেন। সেখানে নীচের দিকে নামার সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটে এবং ৮০০ পাউন্ড ওজনের একটা পতিত পাথর খন্ড (বোল্ডার)’র মাঝে তার ডান হাত আটকে যায়।

অ্যারন বোল্ডারটি সরানোর অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু এটি বিন্দুমাত্র নড়াতে সক্ষম না হয়ে তিনি শীঘ্রই বুঝতে পারেন এক ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছেন তিনি যেখান থেকে তাকে উদ্ধারের কেউ নেই, তার নিখোঁজ এর খবর পেয়ে যে কেউ উদ্ধারে আসবে সেই সম্ভাবনাও নেই; কারণ সেই ভ্রমণে আসার আগে তিনি কাউকে কিছু বলে আসেন নাই। আসলে সেটি খুবই সাধারণ একটা ডে আউটিং ছিলো তার মত প্রফেশনাল মাউন্টেনিয়ার এর জন্য।

পরের পাঁচ দিনে, অ্যারন তার খাবার এবং সাথে থাকা মাত্র 300 মিলি জল অনেক হিসেব করে খরচ করতে থাকেন, রাতে লড়াই করেন শীতের সাথে নিজ শরীরকে গরম রাখতে। একসময় খাবার এবং পানি শেষ হয়ে গেলে নিজেকে ডিহাইড্রেড হওয়া থেকে বাঁচাতে নিজের প্রস্রাব পাণ করতে বাধ্য হন। পাঁচদিন নিজের সকল জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং শক্তি-সাহস ব্যয় করে একসময় হতাশ হয়ে আসন্ন মৃত্যুকে মেনে নিয়ে সাথে থাকা ক্যামকর্ডারে নিজের মৃত্যু পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা পরিবারের বাকীদের উদ্দেশ্য করে ভিডিও রেকর্ড করতে থাকেন।

এরপর সেখান থেকে কি উনি নিজেকে উদ্ধার করতে পেরেছিলেন? কি ছিলো তার সেই উদ্ধার প্রক্রিয়া তা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে অতি জনপ্রিয় এই সিনেমাটি।

২০০৪ সালে ৩৫৪ পৃষ্ঠার “Between a Rock and a Hard Place” বইটি Aron Ralston প্রকাশ করেন যে বইটি Inc. magazine এর সেরা সাত "great entrepreneurship books that have nothing to do with business." এর অন্যতম। এই বইয়ের গল্প অবলম্বনে বিখ্যাত পরিচালক ড্যানি বয়েল ২০১০ সালে “127 Hours” মুভিটি নির্মান করেন। আর হ্যাঁ, এই মুভিতে স্ল্যামডগ মিলেনিয়ারের মতই ডেনি বয়েল'কে মিউজিক দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত সুরকার এ.আর.রাহমান

127 Hours
Directed by: Danny Boyle
Screenplay by: Danny Boyle, Simon Beaufoy
Based on: “Between a Rock and a Hard Place” by Aron Ralston
Produced by: Danny Boyle, Christian Colson, John Smithson
Starring: James Franco, Amber Tamblyn, Kate Mara
Cinematography: Anthony Dod Mantle, Enrique Chediak
Edited by: Jon Harris
Music by: A. R. Rahman
Release dates: 4 September 2010 (Telluride Film Festival); 5 November 2010 (United States); 7 January 2011 (United Kingdom)
Running time: 94 minutes
Language: English
Budget: $18 million
Box office: $60.7 million

ইউটিউবে ছবিটি এখন এভেইলেবল, দেখে ফেলতে পারেন আজইঃ



অনেকদিন হলো এই সিরিজটার কথা মাথায় ছিলো না। অনেকগুলো ট্রাভেল মুভি দেখা শেষে রিভিউ লেখা বাকী আছে। তাই এই সিরিজটা নিয়মিত করার চেষ্টা থাকবে। সাথে "ভ্রমণ সাহিত্যে চোখ বুলাই" সিরিজটিও।

ট্রাভেল মুভি রিভিউ সিরিজের আগের পোস্টগুলোঃ
* মুভি রিভিউ The Perfect Wave (2014) (Adventure & Travel Movie Review - পর্ব ০১)
* মুভি রিভিউ Touching The Void (2003) (Adventure & Travel Movie Review - পর্ব ০২)
* ইনটু দ্যা ওয়াইল্ড (Into The Wild 2007) - বুনো জীবনের আদিম হাতছানির গল্প (Adventure & Travel Movie Review - পর্ব ০৩)
* Motorcycle Girl (2018) - চমৎকার গল্প এবং অসাধারণ লোকেশনে চিত্রায়িত অনবদ্য এক মুভি - পর্ব ০৪)
* "Dhak Dhak" - চার অসমবয়সী নারীর অনবদ্য এডভেঞ্চারাস জার্নির গল্প (মুভি রিভিউ) - পর্ব ০৫

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:

- দেখবো দেখবো করেও এখন পর্যন্ত মুভিটি দেখা হয়ে উঠেনি। কেনো যেনো মনে হয়েছে মুভিটি দেখার সময় অযর্থা মন খারাপ হতে থাকবে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সময় করে এবার না হয় দেখেই ফেলুন, মন খারাপ হবে না আশা করি।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

নতুন বলেছেন: ভালই মিভিটি। অনেকআগে দেখেছিলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন। পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেখেছিলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কেমন লেগেছে আপনার কাছে? জানতে পারলে ভালোই লাগতো। :)

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তেই তো আমার দম আটকে আসছিল। ইউটিউভে যেহেতু আছে, একটু ঢুঁ মারবো নে। ভালো লিখেছেন।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। সময় পেলে পুরোটা দেখার দাওয়াত রইলো। :)

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৫

সুহিম বলেছেন: এই মুভির আরো রিভিউ পড়েছিলাম, তখন ভেবেছিলাম দেখবো, কিন্তু দেখা হয় নি ....এবার দেখবো

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেখে একটা রিভিউ পোস্ট দিয়েন প্রতিক্রিয়া হিসেবে। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪০

সোহানী বলেছেন: মুভিটি দেখেনি তবে দেখবো অবশ্যই।

হাইকিং আমি পছন্দ করি তবে খুব লং অথবা উচুঁতে যাই না। তারচেয়ে সর্ট হাইকিং এ যেয়ে সেখানে বসে থাকতেই বেশী ভালো লাগে।

এরিয়াটা গ্রান্ড ক্যানিয়ন এর সম্ভবত। এবারই যাওয়ার প্লান ছিল সেখানে ;)

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হাইকিং, ট্রেকিং কোন কিছুতেই আমি নাইক্কা। বিশালাকায় এই শরীর নিয়ে নিজের সামর্থ্যের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করি।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত তিনি উদ্ধার পেয়েছিলেন। ঐ দুই হাইকার ক্রিস্টি এবং মেগান তাঁকে খুজে না পেয়ে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে জানালে পুলিশ তার হাত কেটে সেই বোল্ডার থেকে তাঁকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে সে সুস্থ হয়ে আবারো মাউন্টেনিয়ারিংয়ে নেমে যায়।

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, রিভিউ পোস্টে স্পয়লার দিয়ে দিলেন ভ্রাতা। যাক, এই মুভিটি মোটামুটি যারা এই টাইপের মুভি পছন্দ করেন অনেকেরই দেখা।

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একাকী কোন একটা পাহাড়ি গিরিখাত ভ্রমণের সময় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দীর্ঘ ছয়দিন গভীর, সরু গিরিখাতের
প্রাচীরের মধ্যে একটি পাথরে হাত আটকে গিয়ে বন্দী অবস্থায় নিজের বেঁচে থাকার আশা বিসর্জন দিয়ে সাথে
থাকা ক্যামকর্ডারে নিজের মৃত্যু পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা পরিবারের বাকীদের উদ্দেশ্য করে ভিডিও রেকর্ড করা সত্যিই
একটি অভাবনীয় কর্ম , একে নিয়ে মুভি করলে ও তাতে উপমহাদেশীয় বিখ্যাত সঙ্গিতজ্ঞের গানের সুর সংযোজন
করলে সেতো ভাইরাল হবেই হবে । কাহিনীর বর্ণনা চমতকার হয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে উর্দ্বগগনে নয় নিন্মগগনে পানির তলে আটকে বেঁচে থাকার আশা বিসর্জন দিয়ে নীজের পর পরিজনেরা
কিভাববে কি করবে সেচিন্তাতেই মগ্ন ছিলাম কিছুক্ষন। ঘটনাটি একটু খুলেই বলি। তখন স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ি।
বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট কিন্তু গভীর ( সে সময় ছিল এখন নদীখেকুদের অত্যাচারে এর নাব্যতা হারিয়েছে)
একটি নদী। সেখানে ধরতে গিয়েছিলাম মাছ । বর্ষাকাল শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নদীর পানিতে যখন ভাটার টান
ধরে তখন নদী পারের ঢালুতে পানির নীচে গর্তে পাওয়া যেত বেলে বা বাইল্লা মাছ ।


বড় আকারের ফ্যাকাসে রঙের বাইলাকে আমরা বলতাম ‘গাউত্তা বাইলা’। গর্তে বাস করা থেকে ‘গাউত্তা’ নামকরণ।
শুষ্ক মওসুমে নদীর ঢেউ লেগে কূলের কোনো কোনো অংশে গর্তের সৃষ্টি হলে কিংবা ইঁদুরের যেসব গর্ত বর্ষার পানিতে
তলিয়ে যায় সেসব গর্তেও বাইলা মাছ আশ্রয় নিত। বিশেষ করে পরিণত বয়সের বড় বাইলাই আত্মরক্ষার জন্য গর্তে
প্রবেশ করে। গর্তে প্রবেশের ফলে পিঠের ছাই বর্ণের কালসে রঙটি ফ্যাকাসে হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো
গর্তের মধ্যেই কঙ্কালসার হয়ে মারা পড়ে। আমার দশাও বাইলা মাছের মত হয়ে যেতে পারত । কাহিনীটা নীচে।

স্কুলজীবনে ভাদ্রের শুরুতে যখন নদীর কূল জাগতে শুরু করে তখন দলবেঁধে গোসলে গিয়ে শুরু হত বাইলা মাছ
ধরার অভিযান । শুরু হতো প্রায় মাইল খানেক উজান হতে । প্রধান আকর্ষণ, গর্তের বাইলা ধরা। তীরের কাছে
যেখানে গলা পরিমাণ পানি সেখানে খুঁজতাম বাইলার গর্ত। গলা পানিতে শরীর ডুবিয়ে গর্ত খুঁজতাম। পায়ের
আঙুলের মাথায় গর্তের মুখ লাগলেই টুপ করে ডুব দিতাম। ডুব দিয়েই হাত ঢুকিয়ে দিতাম গর্তে। হাতের স্পর্শ
পেয়ে প্রাণভয়ে বাইলা গর্তের ভেতরের দিকে প্রবেশ করত। হাতও প্রবেশ করত বাইলার সাথে সাথে। নদীতে
ছিল তীব্র স্রোত। এক ডুবে বাইলাসহ উঠতে না পারলে পরের ডুবে গর্ত হারিয়ে যেত। এ অবস্থায় দম ফুরিয়ে
যাওয়ার বিষয়টি বেমালুম ভুলে যেতাম। অনেক সময় গর্তে হাত ঢুকানো অবস্থায় স্রোত শরীর উল্টিয়ে দিত।
একদিন পানিতে ডুব দিয়ে বেশ গভীরে গিয়ে পেয়ে যাই একটি গর্ত । উল্লৈখ্য বাইলা বাস করত দুই দিক মুখ
খোলা গর্তে । তাই ডুবন্ত অবস্থায় গর্তের দুটো মুখ খুঁজে বের করে তাতে একসাথে হাত ডুকাতে হত । একহাত
ডুকালে অন্য দিক দিয়ে বাইলা বের হয়ে যেতো । তাই সরু গর্তের দুটি মুখ খুঁজে বের অনেক কষ্টে দুটো হাতের
পুরাটাই গর্তে ডুকিয়ে গর্তে থাকা দুটি বাইলা মাছ দুই হাতে ধরে ফেলি। কিন্তু সমস্যা হলো বাইলা সমেত দুটি হাতই
বাকা গর্তে এমনভাবে আটকে যায় যে তা কোন মতেই আর বের করতে পারছিলাম না । সময় বয়ে যায়, পানির
নীচে দম ফুরিয়ে আসছিল , জীবন বাঁচানোর তাগিদে হাতে ধরা মাছ ছেড়ে দেয়ার পরেও কোন মতেই হাত বেড়
করতে পারছিলাম না ।

ওদিকে পানি খেয়ে পেট ভরে যাচ্ছিল। বাঁচার আশা একেবারে ছেড়ে দিয়ে মরনের পরে আমাকে নিয়ে
পরিবারের লোকজন কি করবে , কি ভাববে , সাথের বন্ধুরাই বা বাড়িতে গিয়ে কি বলবে , পানির নীচে
কোথায় খুঁজবে আমায় সে চিন্তাতেই মগ্ন ছিলাম । হঠাত করে জীবন বাঁচানোর তরে বাবার শীখানো দোয়া
হে আল্লাহ মুশকিল কোশা বলে শরীরের সকল শক্তি দিয়ে জোরে হেচকা এক টান দিলাম ।
ঐটানে গর্তের মাটি ভেঙ্গে গিয়ে হাত আমার বেরিয়ে আসে । কোন মতে মরার মত ভেসে উঠি পানির উপরে ।
এই ঘটনা মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্টটি পাঠের কালে ।

অনেক তথ্য সমৃদ্ধ একটি লেখা এখানে পরিবেশন করে আমাদের জানার সুযোগ দানের জন্য ধন্যবাদ ।
লিংক অনুসরন করে দীর্ঘক্ষন লাগিয়ে মুভিটি উপভোগ করেছি , এর জন্যও রইল বিশেষ ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার ঘটনাটি কল্পনা করেই গা শিউরে উঠলো। আমি খুব অল্প সময়ের জন্য দুবার এমন অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছি। নিজে সাঁতার জানি না, তারপরেও ছোট বেলায় এলাকার বন্ধুদের সাথে পুরাতন বুড়িগঙ্গায় গোসল করতে যেতাম। সেখানে একবার একবন্ধু হাতে করে ধরে ঠাই নাই এমন গভীরতার পানিতে নিয়ে গিয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলো। আরেকবার গ্রাজুয়েশনে পড়ার সময়ে বন্ধুদের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে গলা পানিতে দাপাদাপি করছিলাম। হঠাৎ একটা বিশাল ঢেই এসে ধাক্কা দিলে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলি এবং আমি আরেকটু গভীর পানিতে চলে যাই। ভাগ্য ভালো ছিলো, জোয়ারের সময় ছিলো বলে পরবর্তী কয়েকটা ঢেউয়ে কয়েক মুহুর্তের মাঝেই পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেলে তাতে ধাক্কা দিয়ে মাথা পানির উপরে আনার মত কিনারায় চলে আসি। ভয়াবহ হলো হাত দুয়েক দূরে থাকা আমার বন্ধুদের কেউই ঘটনাটা টেরই পায় নাই। আমি আরেকটু গভীরে চলে গেলেও কেউ হয়তো তৎক্ষণাৎ জানতেই পারতো না। আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও সেই ঘটনা মনে পরে গেল।

আপনার এই ঘটনা নিয়ে একটা ছোটগল্প লিখার ইচ্ছে জাগলো, যদিও শেষটা বিয়োগান্তকই হবে। যদি অনুমতি দেন তাহলে সেই অপচেষ্টা করে দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।

বাইলা মাছ আমার খুব পছন্দের মাছ। যদিও ঢাকা শহরে জন্ম-বেড়ে ওঠার কারণে টাটকা বাইলা মাছ খুব কম খাওয়া হয়েছে। আপনার ‘গাউত্তা বাইলা’'র কথা শুনে খাওয়ার লোভ হচ্ছে, নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়।

চমৎকার মন্তব্যটির জন্য একরাশ ভালোলাগা আর ভালবাসা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ২০১১ সালে মুভিটি দেখেছি, ভোতা ছুড়ি দিয়ে যখন নিজের হাত কাটার চেষ্ট করে ওই দৃশ্যগুলো খুব কঠিন ছিলো। সস্তা চাইনিজ ছুড়ি দয়ে যখন নিজের হাত কাটতে পারছিলো না তখন সে ক্যামেরার সামনে ছুড়িটি দেখিয়ে বলে- Look, don't buy cheap China tools. LOL

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা। সেই ডায়লগ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্যাক।

পাঠ এবং মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। :)

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার নদীতে ডুবে যাওয়ার ঘটনাবলি বেশ মর্মান্তিক ছিল ।
বিধাতার আপার করুনায় সহি সালামতে অক্ষত অবস্থায়
সে মছিবত উতরাতে পেরেছেন আজ আপনার কাছ
হতে এত মুল্যবান লেখা পাচ্ছি ।

আমার মাছ ধরার আখ্যানকে উপাক্ষান বানিয়ে একটি সুন্দর
গল্প রচনার ইচ্ছে জানার কথা শুনে খুবই পুলকিত বোধ
করছি । অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই গল্পতো গল্পই ।
তবু সানন্দ চিত্তে অনুমতি দেয়া হলো । আমার সেই
অভিজ্ঞতার কথা প্রচার মাধ্যমসহ বেশ অনেকের
কাছেই অনেকবার বলা হয়েছে বিভিন্ন কথা ও
আলোচনা প্রসঙ্গে । বাল্যকালে মাছ মাছ ধরা
নিয়ে আমার আরো অনেক ভয়ানক অভিজ্ঞতা রয়েছে ।
গল্পে হয়তবা তা সেগুলি কোন নতুন রসদ জোগাতে
পারে । এখন হাতে সময় কম । দিন কয়েক পরে এই
মন্তব্যের ঘরে সে সব কিছু অভিজ্ঞতার কথা
বলে যাবার ইচ্ছা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই। একটা দুঃসময় পেছনে ফেলে ফের ব্লগে ফিরে আসা হলো। শান্ত দেশটা কেমন অশান্ত হয়ে গেল।

আপনার মাছ ধরার আরও কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে গল্পটা লিখতে সুবিধা হবে খুব। যদি সময় সুযোগ করতে পারেন, কিছু ঘটনা শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।

একরাশ ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.