![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
জন্ম, বেড়ে ওঠা, আত্মীয়স্বজন সবই পুরাতন ঢাকায়। স্বাভাবিকভাবেই ভোজনরসিক এই বোকামানুষ। তাই পছন্দের খাবারের লিস্টও বোকামিঠাসা। শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের সময়ে অতি তুচ্ছ, কিন্তু অতিপ্রিয় অনেক খাবার হারিয়ে গেছে... মদিনা হোটেলের কিমাপুরি, নারিকেলি, স্কুল গেটের আমসত্ত্ব, আজিমপুর স্কুলের কাছে এক হিন্দু লোকের চালের গুড়ার আমিত্তি স্টাইলের বড় জিলাপি, নবকুমার স্কুলের কাছের আশা হোটেলের সন্ধ্যা বেলার পরাটা-বুটের ডাল, নীলক্ষেত বই এর মার্কেটের মোড়ে ভাঙ্গা চশমা-ঘড়ি ঠিক করার একটা দোকান ছিলো এক বুড়ো চাচার, তার লাগোয়া চিপাগলির মুখে মুরগির হালিম, দেশী বাচ্চা মুরগির ছোট্ট লেগপিস দিয়ে ১৫ টাকায় হালিম, শীতকালে তোতা মিয়ার ভাপা পিঠা, ভাটা মসজিদের শিক কাবাব পরাটা, নাজিমুদ্দিন রোডে মামুনের লম্বা চিকন দোকানে টানা টুলে বসে ৮ টাকায় গরুর বিরিয়ানি, নীলক্ষেত এর ৮/১০ টাকা হাফ প্লেট গরুর বিরিয়ানির প্যাকেট কিনে ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে খাওয়া, গাউছিয়ার উল্টো দিকে হকার্স মার্কেটের মুখে টক দিয়ে মার্বেল সাইজের ফুলুরি, এখন দোকানটার নাম স্নাক্স কর্ণার, আগে কি ছিলো মনে নাই...
আজ ডাকসু নির্বাচন এর আগের দিন বিধায় মেট্রোরেল ব্যবহার না করে ফার্মগেট হয়ে নীলক্ষেত দিয়ে বাসায় ফেরার পথে বহু বহু বছর পর (১৫/২০ বছর হতে পারে) সেই স্ন্যাকস কর্ণার এর টক দিয়ে মার্বেল সাইজের ফুলুরি খেলাম নষ্টালজিক হতে। আগে ফুলুরি এবং টক দুটোতেই পুদিনাপাতার ফ্লেভার পেতাম, এখন কোনটাই নাই। ফুলুরিতে শাকের পরিমাণও তেমন নাই। তারপরেও মন ছুটে গেল সময়ের চাকায় পেছন পানে...
#স্মৃতিচারণ
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তাই? জানতাম না তো!!!! খোঁজ নিয়ে দেখবো কে কে মারা গেছে ৩০ বছর আগে? আমার বলা দোকানগুলোর কোনটায় খেয়েছেন?
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ গ্যাস্ট্রিক, হাই-প্রেসার এভোগার মুল কারণ হচ্ছে এসব অখাদ্য।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪২
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৯
এনামেল হউক বলেছেন: ১৯৯৩ থেকে ২০০১/২ পর্যন্ত প্রায়ই এখান থেকে ফুলুরি কিনে বাসায় নিয়ে আসতেন আব্বা। তখন ফুলুরির সাইজ ছিল আরও ছোট, আরও গোলাকার — এক টাকায় দুইটা পাওয়া যেত। পালং শাক এর আধিক্যের জন্য অনেক সবুজাভ দেখাত। আর খেতে কি যে মজা ছিল!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
খাচ্ছেন, খেয়ে সুস্হ থাকুন; তবে, এগুলো মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ।