![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হয়নি। সংবিধান নামক পুস্তকটির ঘাড়ে বসে গলা টিপে ধরে করা হয়েছে সবকিছু। সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা লংঘন করে পদত্যাগের পর অফিস করেছেন মন্ত্রীরা, বেতন-ভাতা সহ সরকারী সব সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, ফাইলপত্রে সই করেছেন। সংবিধান রক্ষায় মায়াকান্না কাহাঁতক আর সহ্য হয়?
বিশ্বের গনতন্ত্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন ক্ষমতার ভাগাভাগিকে নাম দেয়া হলো "সর্বদলীয় সরকার"। রুটি হালুয়ার ভাগ দিয়ে ঘরে কুকুর ডেকে আনা চোরের হাত থেকে রক্ষার সাময়িক উপায় হতে পারে; দুঃসময়ে ক্ষুধার্ত কুকুরও আপনার জীবন কব্জা করবে না- এমন গ্যারান্টি কে দেবে?
সেনাছাউনিতে জন্ম নেয়া জাতীয় পার্টির পদতলে দলিত হলো আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের গৌরব। বিশ্ববেহায়া আজ রাজনৈতিক বন্ধু হলো শেখ হাসিনার। এতে শহীদ নূর হোসেন অপমানিত হতে পারে- শেখ হাসিনার দোয়া নিয়ে যে বুকে লিখেছিল "স্বৈরাচার নিপাত যাক"। কিন্তু সে কি জানে তার নেত্রী হয়তো এখনো "আনহ্যাপী" নয়। যেমনটা ছিল না ৮২-তে স্বৈরাচারী শাসক ক্ষমতা দখলের পর। রাজনীতি নোংরা - তাই বলে এতটা?
প্রধান বিরোধীদলকে বাইরে রেখে নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালোই জানেন। কিন্তু লুটপাটের হিসাব দিতে প্রস্তুত নয় বলেই কি এতকিছু? সর্বশেষ নির্বাচনী ফলাফল দেখে এতটাই ব্যথিত আজ কোন গোয়েন্দা রিপোর্টেই আর ভরসা নেই। নেতারা উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসানোর দাবী করেন- কিন্তু নির্বাচনকেই যত ভয়। আর হবেই বা না কেন? পদ্মাসেতু ছিল প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার। শেয়ার বাজার কেলেংকারী আর মন্ত্রীমহাশয়দের টাকার বস্তার হিসাব না হয় বাদ দিলাম। এরপর আছে পিলখানা হত্যাকান্ডের হিসাব, সেনাবাহিনীকে সন্তুষ্ট করতে ঢালাই ফাসিঁ কি যথেষ্ট? তাই, একমাত্র উপায় ক্ষমতায় থাকো- টিকে থাকো। নইলে যে সব হিসাব-কিতাব চুকিয়ে দিতে হবে। অনন্যোপায় দলনেত্রীর মর্মবেদনা সত্যিই অনেক ভয়াবহ!
দেখার বিষয়, আওয়ামীলীগের এই অবস্থান রাজনৈতিক বিবেচনায় গ্রহনযোগ্য নয়- এব্যাপারে সবাই একমত। মিডিয়া, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, দাতা গোষ্ঠী, বিদেশি সাহায্য সংস্থাসহ কেউ সন্তুষ্ঠ নয়। সবাই এটাকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কৌশল হিসেবেই দেখছেন। ইতিমধ্যে আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশংকাও ব্যক্ত করা হয়েছে।
তাতে কি? আপনি বাঁচলে বাপের নাম। পিঠ বাঁচাতে সবাই মরিয়া হয়। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা তো ডালভাত। সকালে বন্ধু বিকালে শত্রু, সকালে রাজনৈতিক মিত্র- বিকালে প্রবল প্রতিদ্বন্ধী- নতুন কী? তবে কেন আর আদর্শের রজ্জু টানার ভান করা? তুমি খারাপ কেন'র জবাবে তুমি ও তো খারাপ বলে পিঠ বাঁচানো, আর কত? সবাই আজ নেমে গেছে কুকুরের কাতারে; কেউ আগে আর কেউ পরে - এই যা। আর কুকুর সমাজের অধিপতি শিয়াল পন্ডিতরা মুখ লুকিয়েছেন আড়ালে। অপেক্ষা- কী ঘটে দেখার। আপাতত উনারা ব্যস্ত রবীন্দ্রসংগীত আর কবিতায়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের রহস্য উম্মোচনে, মান্না দে'র মৃত্যু কিংবা "ভারতীয় সিরিয়াল বন্ধ হোক" আন্দোলনে। উনাদের এতদিনের মানবতা-দেশপ্রেম-স্বৈরাচারবিরোধিতা সব জাদুঘরের কাঁচের দেয়ালে। দলপ্রেম জয় হোক- জয় হোক পা চাঁটার।
ভাগ্যিস, নূর হোসেন আজ বেঁচে নেই। থাকলে আরেকবার নেত্রীর পা ছুঁয়ে দোয়া নিত। কেঁদে বলতো "জয় হোক বঙ্গমাতার- জয় হোক বিশ্ববেহায়ার।"
ব্যাপারটা বড়ই লজ্জার হতো।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৬
ননদালীনাজ বলেছেন: সাবাশ !!
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪
দিশার বলেছেন: সরকার থেকে বার বার আলোচনায় ডাকা হলেও, বেহায়া বিএনপি জামাত এর অনুমতি ছাড়া এই আলোচনায় আসতে পারতেসেনা . নির্দলীয় এর চেয়ে সর্ব দলীয় কোন দিক থেকে খারাপ ৩০ তার ভিতরে বিএনপি কে ১০ জন মন্ত্রী দিলে তারা কি আরো ভালো ভাবে সরকার এর কর্মকান্ড চেক করতে পারবেনা? নাকি ৩তীয় পক্ষ দেকে এনে আবার ঠাপ খাবার সখ হইসে .
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন!
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ভাগ্যিস, নূর হোসেন আজ বেঁচে নেই। থাকলে আরেকবার নেত্রীর পা ছুঁয়ে দোয়া নিত। কেঁদে বলতো "জয় হোক বঙ্গমাতার- জয় হোক বিশ্ববেহায়ার।"
ব্যাপারটা বড়ই লজ্জার হতো
এর পর আর কিছুই বলার নেই, "জয় হোক বঙ্গমাতার- জয় হোক বিশ্ববেহায়ার, জয় হোক স্ব-ঘোষিত জাতীয় ব্যায়মানের।"
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কট্টর জামাতিদের চাপে বিএনপি সামান্য আলোচনায় পর্যন্ত আসতে পারছে না।
গতকাল সন্ধায় সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে কিছুক্ষণ কথা হয়। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ফখরুলকে বলেন, “আপনারা আলোচনা শুরু করেন ... আপনারা মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেন"
জবাবে মির্জা স্মিত হেসে, অস্পষ্ট ভাবে কিছু একটা বলেন ...।
এ ব্যাপারে পরে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের কথা এড়িয়ে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সুধু কুশলবিনিময় হয়েছে’।
জামাতের পারমিশন না পাওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মির্জা আলোচনা তো দুরের কথা এই প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানের কথা স্বীকারও করবে না।
Click This Link
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: বাহ,হ
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
এম আর ইকবাল বলেছেন:
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই ।
কে যেন বলেছিল এটা ?
আমাদের রাজনীতি হচ্ছে ও খারাপ তাই আমাকে ভো্ট দিন ।
আর আমি কি করেছি ?
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: Joy BAL thukku Sorbodhulio...
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
পয়গম্বর বলেছেন: দুর্দান্ত!