![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি গল্পটা হয়তো আপনাদের বিশ্বাস হবে না। আমি আসলে আপনাদের জোর করে বিশ্বাস করাতেও চাইনা। আমি শুধু ঘটনাগুলো একের পর এক বর্ণনা করার চেষ্টা করবো। তারপর আপনারা সিদ্ধান্তে পৌছবেন।
জানুয়ারীর কোন এক বিকেলে আমরা ঠিক করি, আমাদের একসাথেই থাকা উচিত। সিংচি ছিল আমার থেকে সাড়ে চার বছরের বড়। খুব সুন্দর ভাবেই সে মানিয়ে নিতে পারবে, এতে আমার অগাধ নিশ্চয়তা ছিল। আমি কয়েকবার নিরিক্ষ করে দেখেছি আমার শিশু সূলভ বাতুলতা ও আচরণ খুব সহজেই এবং দ্রুততর অথচ কোন রকম উষ্মা প্রকাশ না করেই সে সমাধান করতে পারে। আমাদের ধর্মীয় কোন বাঁধন ছিল না বিধায় বিয়েটা অত্যাবশ্যক ছিল না। অবশেষে ঔ মাসের একটি রৌদ্রউজ্জ্বল দিনে আমরা একটি নতুন বাসায় উঠে পড়লাম।
শুরুর দিনগুলো আমাদের অদ্ভুত স্নিগ্ধতায় কাটতে থাকলো। উচ্চতর ডিগ্রী থাকায় আমি ছোট্টখাট একটা চাকরি জুটিয়ে নিতে পেরেছিলাম অল্পসময়েই। রাতে বাসায় ফিরে যখন দেখতে পেতাম সিংচি খাবার টেবিলে বসে রয়েছে, একসাথে খাবে বলে। তখন অপার্থিব সুখে আচ্ছন্ন হয়ে যেতাম। তার কপালে মৃদু একটা চুমু খেয়ে খেতে বসলে সে নিজের হাতে প্রথম লোকমাটা তুলে ধরতো আমার মুখে অপার মমতায়। আহ্ ভালবাসা!
একদিন অফিস থেকে ফিরে জানতে পারলাম আমাদের বাসায় মেহমান আসতে চলেছে। এটা যেকোন বাবার জন্য সুখকর হলেও আমার জন্য বিষয়টা উৎকট ঝামেলা মনে হলো। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের এড়িয়ে চলতাম আমি। যেকোন বাচ্চা দেখলেই গাঁ রি রি করে উঠে আমার। ওদের চোখের দিকে তাকালেই মনে হয় স্বচ্ছ গ্লাসে আমার পুরোনো দিনগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। পুরনো দিনের স্মৃতিগুচ্ছ আমার জন্য যথেষ্ট বেদনাদায়ক ছিল, যেটা আমি সব সময়ই জোর করে ভুলে থাকি। যাক সে কথা, আরেকদিন বলা যাবে। একটা বাচ্চা আমার খুব নিকটে আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠবে এটা ভাবতেই গাঁ শিউরে শিউরে উঠলো। মনে মনে উপায় এঁটে নিলাম বাচ্চাটাকে অপসারণের।
দীর্ঘ নয়মাসের কিছু কাল অধিক অপেক্ষা শেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি আমার সামনে এসে দাড়ালো। ততদিনে আমার আর সিংচির মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কারণটা এখনো অজ্ঞ্যাত আমার কাছে। এটা আমাকে ত্রিশুলের মত ঘা দিত যখন একাকী থাকতাম। অবশ্য তখন আমার পুরোপুরি মনোনিবেশ ছিল নবাগত বাচ্চাটিকে ঘিরে। দাঁইকে আগেই টাকা দিয়ে হাত করে রেখেছিলাম আমি। বাচ্চাটি ভুমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই যেন আমার হাতে তুলে দেয়। আমি রুমের বাইরে পায়চারি করছিলাম যখন সিংচি চিৎকার করছিল প্রসব বেদনায়। আমার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছিল ওর আর্তনাদে। কিছুক্ষণ পর একটি মানব শিশুর কান্না ভেসে আসলো ভেতর থেকে। আমি দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
দাঁইকে দেখলাম মেঝেতে পড়ে রয়েছে অজ্ঞান অবস্থায়। ধীর পায়ে আমি সিংচির শিয়রে গিয়ে দাড়ালাম। অদ্ভুত বিষয় সেখানে কোন বাচ্চা ছিল না। বিছানার নিচে উঁকি দিয়েও কিছু দেখতে পেলাম না। বিকট হা করে শুয়ে আছে সিংচি। তার দিকে তাঁকাতেই মনে হলো সে বেঁচে নেই। নাকের কাছে হাত নিতেই বুঝতে পারলাম অনেক আগেই সিংচি আমাকে ছেড়ে গিয়েছে। বুকের ভেতর থেকে কান্না দলা পাঁকিয়ে উঠলো।
এমন সময় চোখ পড়লো জানালার গ্রীলে। একটি সর্পছানা। আমার দিকে নিশ্চল তাঁকিয়ে। কান্না করতে ভুলে গেলাম আমি। ঠিক তখনি, দ্বিতীয় বারের মত একটি নবজাতক পৃথিবীর সব কোলাহল ছাপিয়ে মানব কন্ঠে কেঁদে উঠলো, জানালার পাশে।
(ছবি: ইন্টারনেট)
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল থাকুন। শুভ কামনা।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
জুন বলেছেন: আপনি হাতুড়ে লেখক হলেও গল্পটি কিন্ত লিখেছেন চরম পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখকের মতই।
শেষের অংশে এসে টুইস্টটা ধরতে একটু কষ্ট হলো এই আরকি
ভালোলাগা রইলো অনেক।
+
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মন্তব্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
কষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এই জন্যই হাতুড়ে লেখক! সার্টিফিকেট প্রাপ্ত লেখকরা হয়তো পাঠককে এই কষ্ট থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়। শুভ কামনা।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
আহা রুবন বলেছেন: ভাললাগল। আগে থেকে বোঝা যায়নি ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। শুভেচ্ছা।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: টুইস্ট টাই দিয়েছেন ভালো+
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আরে ফয়েজ ভাই যে, কেমন আছেন? নুপেল সমাচার কি?
শুভ কামনা ভাই।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ভাই রে,পরীক্ষার জ্বালায় নুপেল মাথার উপ্রে দিয়া উইরা গেছে।
তাই ব্লগেও আসতে পারি নাই।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এখন কি অবস্থা?
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আসলেই বিশ্বাস করিনি!!!
মানব ডিম্বানু ও শুক্রানুর মিলনে সাপের জাইগোট হলো কিভাবে????
গল্প বর্ণনার রং বলি আর ঢং ই বলি ওটা কিন্তু আমার ভালো লেগেছে!
প্লাস!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমি আগেই জানতাম আপনার বিশ্বাস হবে না!
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
ওমেরা বলেছেন: আপনি তো হাতুড়ে লেখক না, আপনি হলেন ভয়ংকর লেখক !!! হি--হি--হি হি --------------গল্প অনেক ভাল হয়েছে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: শুভ কামনা। কনফিউশন! আপনি ভাইয়া না আপু?
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
ওমেরা বলেছেন: কনফিউশন! সেটা তো আপনার বেলায় আমার নাম দেখে তো বুঝা যায় আমি কি , তঅ যাদি না বুঝেন আমার ব্লগ পাতায় যান নামের নীচে লিখা আছে আমি কি ।আচ্ছা আপনি কি ভাইয়া নাকি আপু ?
০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: দুক্ষিত আপু! খেয়াল করিনি!
আমিও আপু হই
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
ওমেরা বলেছেন: আপনি আপু !! খুব খুশী হয়েছি আপু আপনি এত সুন্দর গল্প লিখেন আোনেক ধন্যবাদ আপু ।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য! শুভ কামনা।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একটি প্রথম শ্রেণীর অনু গল্প!!!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম।
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
আরইউ বলেছেন: ঈর্ষার জন্ম হলো!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হউন। আমি শিঘ্রই একটা কবিতা লিখার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
আরইউ বলেছেন: লিখুন লিখুন!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: উষ্কে দিচ্ছেন, পরে কবিতা লিখে সরকারের পাঁপ কামাই করি আর কি!
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
আরইউ বলেছেন: আরে লিখুন। চাঁদেরও নাকি কলংক আছে, হাতুড়ের নাহয় কিছু পাঁপ হলোই!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হা খোদা! ছাগল দিয়ে কি আর হালচাষ হয়?
১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: ভিন্ন ধরনের একটা গল্প পড়লাম। খুব ভালো হয়েছে।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভিন্ন ধরনের মন্তব্য পেলাম। ভালো লাগলো।
১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
আরইউ বলেছেন: ছাগল হালচাষের চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দিলে কিভাবে!
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ছাগলরে বাদ দিয়া আসেন উন্নয়নমূলক আলোচনা করি। তাতে জাতী উপকৃত হবে।
১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: গল্পটি পড়ার পর পুনরায় শিরোনামটা দেখে নিলাম, মনে হচ্ছিল বিদেশী কোন গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা ।
ভাষা প্রয়োগ এবং বিষয়বস্তু নির্বাচনের চমকটা উপভোগ্য ।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: গল্পটি পড়ার পর পুনরায় শিরোনামটা দেখে নিলাম, মনে হচ্ছিল বিদেশী কোন গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা ।
এটা কোন বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে লিখা নয়। তবে হ্যাঁ গল্পটা লিখার আগে কয়েকটি অনুবাদ গল্প পড়েছিলাম। তার পাদুর্ভাব হয়তো এসেছে গল্পে। শুভ কামনা আপু।
১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: আপনার মাথায় এত বুদ্ধি ক্যান? চমৎকার লাগলো। সাথে একটু ভয় ভয়
০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভয় পাইলেন কিছু টাকা পাঠিয়ে ঋণমুক্ত হন। অভাবে আছি।
১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কি নামে আছেন বুঝতে পারিনি। তাই আপনার সৌজন্যে শতাধিক জনকে এক্সেপ্ট করে নিলাম।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কিন্তু মন্তব্য করার পর দেখতে পেলাম আপনি একদিন আগেই বন্ধুত্ব গ্রহণ করেছেন!!!
১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
নাগরিক কবি বলেছেন: ভাল লেগেছে।
কিন্তু গল্পটা কোথায় যেন পড়েছি মনে হচ্ছে। বিদেশি কোন গল্পের ছায়া আছে, আমি পড়েছিলাম এ রকম গল্প। তাই আপনাকে পুরো প্রশংসা দিতে পারলাম না। তবে মন খারাপ করার কোন কারন নেই, আপনার ভাষা চমৎকার।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কিন্তু গল্পটা কোথায় যেন পড়েছি মনে হচ্ছে। বিদেশি কোন গল্পের ছায়া আছে, আমি পড়েছিলাম এ রকম গল্প। তাই আপনাকে পুরো প্রশংসা দিতে পারলাম না।
এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে লোভ হচ্ছে সেটা দেখবার। যদি সম্ভব হয় জানালে কৃতার্থ হতাম। শুভ কামনা।
২০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার গল্পগুলো বরাবরই কেমন জানি, সব বুঝে উঠতেও পারিনা সব সময়, তবু কি একটা আকর্ষণে যেন পরেই চলি।
২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
রানা আমান বলেছেন: খুবই ভালো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লেগেছে