![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১)
নিলিয়াকে হাসতে দেখা যায়না এখন। অথচ বিয়ের আগে তার হাসি দেখেই প্রেমে পড়েছিলাম। কিছুদিন হলো অদ্ভুত অসুখে ধরেছে মেয়েটাকে। সারাক্ষণ চুপচাপ এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। ঘরের কাজেও মন নেই। অফিস থেকে ফিরে আমাকেই রান্নাবান্না করতে হয়। এভাবে অপরিবর্তনীয় মাস ছয়েক কেটে গেলে, আমি চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। সঞ্চিত যা কিছু নগদ অর্থ ছিল তাই দিয়ে একটি ফটোকপি মেশিন কিনে বসিয়ে দিলাম বাড়ির নীচতলায়।
ফটোকপির দোকানটা চালু করার পর আমাদের ভাগ্যটা খুলে গেল যেন। বিছানা,বালিশ, পুরনো ড্রয়ার, জুতা রাখার বাক্স, গোসলখানার ঘুলঘুলি সব ভরে গেছে নতুন পয়সায়। সবচেয়ে বড় কথা নিলিয়ার মুখেও হাসি ফুটেছে। সে এখন রূপচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বেশীর ভাগ সময়। সপ্তাহে তিন দিন পার্লারে আর বাকি চারদিন বাড়িই পার্লার।
তার এই রূপচর্চার নেশাটা বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হলো না কেন জানি। হয়ত তার মা ডাক শোনার তীব্র বাসনা হতে দিলনা। তার কন্ঠে এখন একটিমাত্র বায়না, সারাদিন গ্রামোফোনের মত বাজতে থাকে।
-মা হবো। মা হবো। যেখান থেকে পারো আমাকে একটি সন্তান এনে দাও।
যদিও সে জানতো আমার পক্ষে বাবা হওয়া সম্ভব ছিলনা।
২)
আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা বাঁক নিয়ে কিছুদুর গিয়ে আচমকা থেমে গেছে, সেখানে একটা স্কুল রয়েছে। বাচ্চারা আমার দোকানের সামনে দিয়ে ব্যাগ কাঁধে প্রতিদিন মায়েদের হাত ধরে যাওয়া আসা করে। একটি ছেলেকে দেখি সে একা যায়। কোন অভিভাবক নেই। আমি ওকে টার্গেট করি। একদিন দোকানের ভেতর ডেকে নেই। তারপর চেপে ধরে ফটোকপি মেশিনে শুইয়ে দেই। কপি বাটনে চেপে ধরে অপেক্ষা করি কখন ছেলেটা কপি হয়ে বেরুবে। কিন্তু ছেলেটা বেরোয় না। হঠাৎ সব কিছু কেমন অন্ধকার হয়ে যায়। পুলিশ আসে। দেখি বউটা কান্না করছে হাত পা ছুড়ে।
-ও আল্লাহ গো। কি নিষ্ঠুর! কি নিষ্ঠুর! ছেলেটাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে গো। এখন আমার কি হবে গো?
৩)
পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পরে জেনেছিলাম এটা জেলখানা নয় পাগলাগারদ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল সরকার। শুভ কামনা রইলো।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে।
এখন আর আগের মত লেখেন না যে?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: লিখি। ব্লগে তেমন আসা হয়না। কেমন আছেন আপনি?
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আচ্ছা ছোট্ট ছেলেটাকে ফটোকপির মেশিনের সাথে চেপে ধরেছিলো কেনো?
ওকে কি ফটোকপির করার জন্য! হাহাহাহাহা। আহারে বেচারা শেষে পাগলই হয়ে গেলো।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: প্রশ্ন আর উত্তর সব তো আপনিই করলেন। আমি কি বলবো?
আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা অশেষ।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: হা হা হা
পাগলা গারদকে জেলখানা বানিয়ে দিলেন
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পাগলাগারদ জেলখানা নয়?
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষটা ভালো লাগেনি।
শুরুটা বেশ হয়েছিল।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: অনেকদিন পর তোমাকে পেলাম।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমি প্রশ্ন করতেও ভালোবাসি আর উত্তর দিয়ে দিতেও ভালোবাসি এই আর কি । হাহাহাহাহা
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আজকাল তো কেউ প্রশ্নই করতে চায় না। উত্তর তো দূরের কথা। আপনাকে স্বাগতম। আপনিও ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
রিয়াজ মাহমুদ শামীম বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত জীবনের সাথে খুব খুব বেশী মিল থাকায় এটা প্রিয় লেখা! লেখককে ধন্যবাদ
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: জীবনই গল্প। গল্পই জীবন। আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভ কামনা নিরন্তর।
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাতুড়ে লেখক ,
লেখক হাতুড়ে হলেও জেলখানার লোহার গরাদের মতো কঠিন একটি গল্প লিখে গেছেন ।
একদম ঝপাৎ করে গল্পের অভিনব সমাপ্তি টেনে পাঠককেই মনে হয় পাগলাগারদে রেখে গেলেন !
বেশ ভালো লেখা ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।
আপনার মন্তব্য সব সময়ই প্রেরণার যোগান দেয়। ভালবাসা অনিমেষ।
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ও রিয়াজ মাহমুদ শামীম ভাইয়া এয়া কি আপনে হাচা কতা কইলেন । হাহাহাহা রে গেলো----গেলো---গেলো রে। সব শেষ হয়ে গেলো।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কেন শেষ হবে কেন? সবে তো শুরু।
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: বাহ !
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কত ছোট্ট মন্তব্য। অথচ বিশাল বড়!
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
মরুসিংহ বলেছেন: আমার একটা বদ অভ্যাস আছে। আমি সবসময় কোন বইয়ের বা লেখার শেষ পাতা বা শেষ লাইনটা আগে পড়ে ফেলি। চেষ্টা করেও শেষটা আগে পড়ার লোভ বাদ দিতে পারিনা। ফলে বেশীরভাগ সময় মজাটা আর পাই না।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভালো বদ অভ্যাস।
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
জেন রসি বলেছেন: মনের ভেতর জেলখানা। তার ভেতরে একটা পাগল বসে আছে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পাগলের ভেতরে আমি।
১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
জেন রসি বলেছেন: আপনার ভেতর ফটোকপি!
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ফটোকপির ভেতর আপনি?
১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: what a twist!
ভালো...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ বিচার মানি তালগাছ আমার।
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আসলে নিলিয়াকে কোন রোগে ধরেনি, রোগ হয়েছিল আপনার.........বরাবরের মতো ব্যতিক্রমী লেখায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমার তো আজকের রোগ নয় ভাই, বহু আগের।
অনেকদিন পর এলেন। আছেন কেমন?
১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাল্লাগছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ সাধু ভাই। শুভ কামনা।
১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা জানবেন।
১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমকপ্রদ গল্প !
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: দপ্রকমচ মন্তব্য!
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো আছি ভাইজান, আপনাদের দোয়ায়
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাল থাকুন এই কামনা সতত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার গল্প ছোট হলেও চমকে ভরা ।