![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুন করার অপরাধে একজন পুলিশ অফিসার আমাকে হাতেনাতে ধরে ফেললো। তারপর একটা রদ্দা মেরে বললো,
-তুই ওকে খুন করলি ক্যান?
আমি হেসে বললাম,
-স্যার আমি একজন সাহিত্যিক। আমাকে মারবেন না।
-একজন সাহিত্যিক হয়ে তুই খুন করলি কিভাবে?
-কেন স্যার সাহিত্যিকরা বুঝি হাগে না? তাদের ক্ষুধা লাগে না?
-হাগা আর ক্ষুধার সাথে খুন করার কি সম্পর্ক?
-স্যার ক্ষুধা পেলে তা মেটানোর জন্য তো খাবার লাগে নাকি? খেলেই তো হাগা পায়! আর খাবারের জন্য আমাদের লিখতে হয়। কিন্তু কি লিখবো স্যার?
-সাহিত্যিক তুই না আমি?
-আমি স্যার!
-তাহলে তুই কি লিখবি সেটা তুই ভালো জানিস! আমি জানলে তো আমিই সাহিত্যিক হতাম।
-একজন পাঠক হিসেবে বলুন না, স্যার! কি লিখবো?
-নদী-নালা, পশু-পাখি, প্রেম-কাম যা খুশি লিখ।
-লাভ নেই স্যার। পাঠক এসব চায়না। কিছু থ্রিল চাই স্যার। অন্য কিছু বলুন।
-তাহলে ধর্ম-অধর্ম, খুন-ধর্ষণ নিয়ে লিখ।
-তাই তো লিখার চেষ্টা করছি স্যার। কিন্তু আপনিই তো বাঁধা দিচ্ছেন!
-মানে?
-স্যার! ধর্মে-অধর্মে আমার আগ্রহ নেই। কাউকে ধর্ষণও করিনি কোনদিন। সম্ভবও না। আমি হিজড়া স্যার! খুলে দেখাবো? খুন নিয়ে লিখতে গেলে তো খুনের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে স্যার, তাইনা?
-কি বলছিস! খুন নিয়ে লিখতে গেলে খুন করতে হবে?
-হ্যাঁ স্যার! আমি একটা বাংলা মুভি দেখেছি। মুভিতে নায়ক বসতির মানুষজন সম্পর্কে জানার জন্য বসতিতে গিয়ে থাকা শুরু করে। এই জন্য স্যার নিজের পয়সাওয়ালা প্রেমিকাকেও ছেড়ে দেয়। আইডিয়াটা আমার ভাল লেগেছে স্যার! তাই একটা খুন করলাম। এখন আমার খুনের অভিজ্ঞতা আছে স্যার! এবার খুন নিয়ে আমি একটা রক্তহিম করা উপন্যাস লিখতে পারবো। সেই উপন্যাস পড়ে, পাঠকের ঘুম উড়ে যাবে আর ভাগ্য ভালো থাকলে ছাদ থেকে মাথা ঘুরে পড়েও যেতে পারে। আরেকটা খুন স্যার! উপন্যাসটা নিয়ে আমি কয়েকলাইন ভেবেও ফেলেছি ইতিমধ্যে। শোনাবো স্যার?
-তুই শুধুমাত্র লিখার জন্য একটা খুন করে দিলি?
-হ্যাঁ স্যার। সামনে সুযোগ পেলে আরো অনেকগুলো খুন করবার ইচ্ছা আছে।
-কিন্তু তার আগেই তোর ফাঁসির ব্যবস্থা করবো আমি। চল বেটা থানায়।
-সে আপনি পারবেন না স্যার।
-কেন পারবোনা?
-কারণ আমি যে খুন করেছি তার কোন প্রমাণ নেই। কোন প্রমাণ রেখে খুন করিনা আমি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে খুনটা সাজানো স্যার। এটা নিছক একটা কল্পনামাত্র!
-সে আমি বুঝিনা বাপু। আমার হাত থেকে কোন খুনী আজ পর্যন্ত মাফ পায়নি।
এই বলে অফিসার আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে দিলো।
আমি হাতজোড় করে বললাম,
-থামুন স্যার। কেন এতো মারছেন স্যার? আপনিও তো আমার কল্পনা ব্যতীত আর কিছুইনা স্যার!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হ্যাঁ।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
ইফতি সৌরভ বলেছেন: থ্রিলড হলাম হাতুড়ে ডাক্তারের কর্মকাণ্ড দেখে যেমন শংকিত হই তেমনি হাতুড়ে লেখকের গল্প পড়ে আনন্দিত হই (তুলনাটা কি যথাযথ হল লেখক সাহেব?)
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: উনি জানেন!
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কল্পনার রাজ্যে যা খুশি করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, লেখকের স্বাধীনতা এখানেই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মোটামুটি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আচ্ছা।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
ঋতো আহমেদ বলেছেন: 'হাতুড়ে লেখক' নিক হলেও আপনি লেখক কিন্তু হাতুড়ে নন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভাল...
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হ্যাঁ।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো। বই আসবে এবার?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: না হাসান ভাই।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ঘুরায়া প্যাচায়া ভালোই লিখেছেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ঘুরায়া প্যাচায়া ভালোই মন্তব্য করেছেন!
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২০
খাঁজা বাবা বলেছেন: এত কপ্লনা ভাল না
পরে না আবার পাবনা যাওয়া লাগে
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ওখানেই আছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হুম, সবই কল্পনা।