![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইহুদীরা মনে করে যে, তারা সৃস্টিকর্তার নির্বাচিত মানুষ; ইসরায়েল তাদের প্রতি বিধাতার প্রতিশ্রুত ভুমি। মুসলমানেরা শেষ নবীর উম্মত, তাদের নবীই আল্লাহের ঘনিস্ট বন্ধু, সে হিসেবে তারাই সব সঠিক মানুষ। এগুলো হলো ধর্মীয় ভাবনা।
দেশ, মানুষ, সম্পদ এগুলো ধর্মীয় ভাবনা নয়, এগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবনা। ইসরায়েল ও প্যালেস্টানী আরবদের মাঝে ভুমি নিয়ে যুদ্ধ হচ্ছে, অর্থনীতি নিয়ে যুদ্ধ হচ্ছে; তাই এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমাধান দরকার।
আরবেরা ৬৬ বছর যুদ্ধ করেছে, সমাধান হয়নি, সমাধান হবে না; ইহুদীরা গণতান্ত্রিক মানুষ, আরবেরা অগণতান্ত্রিক; ইসরায়েলীরা শিক্ষিত, প্যালেস্টাইনীরা অশিক্ষিত; ইসরায়েলীরা আমেরিকার সহানুভুতি পেয়ে আসছে, প্যালেস্টাইনীরা তা পাচ্ছে না, বা পেলেও কাজে লাগাতে পারছে না।
প্যালেস্টাইনী স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় নাম হচ্ছে পিএলও; গত ২০ বছরে প্রমাণিত হয়েছে যে পিএলও দুর্নীতিগ্রস্ত ও প্যালেস্টাইন দেশ গঠনে তাদের সঠিক প্ল্যান নেই। পিএলও'কে দুর্বল করার জন্য ইসরায়েল হামাস গঠনে সাহায্য করে; হামাস প্রথমদিকে মানুষের মন জয় করে; কিন্তু তারা শান্তিতে বিশ্বাসী নয়, বরং সন্ত্রাসে বিশ্বাসী; সন্ত্রাস দ্বারা প্যালেস্টাইন দেশ গঠন সম্ভব নয়।
ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ শান্তির বিনিময়ে প্যালেস্টাইন রাস্ট্র গঠনে বিশ্বাস করে, এবং তা সম্ভব। কিন্তু প্যালেস্টাইনী পক্ষ এতে প্রস্তুত নয়।
প্যালেস্টাইন রাস্ট্র করতে হলে, ইসরায়েলকে 'বিনা রক্তপাতে' গাজা দখল করে নিতে হবে; বা কমপক্ষে গাজাকে ঘেরাও করে, হামাসকে মরক্কো বা জর্দানে চলে যেতে বাধ্য করে, গাজাতে স্কুল শিক্ষক ও সাধারণ আরবদের স হায়তায় সরকার গঠন করে, তাকে স্বীকৃতি দিয়ে 'ওয়েস্ট ব্যাংক'কে সেই প্যালেস্টাইনে যোগ করতে হবে। ইসরায়েলের তত্বাবধানে নির্বাচন দিয়ে পার্লামেন্ট গঠন, পুলিশ বাহিনী গঠন, অর্থনীতি গঠন করে ১০ বছর ইসরায়েলের সাহায্য চালু রেখে তারপর প্যালেস্টাইনীদের হাতে ছেড়ে দেয়া দরকার।
প্যালেস্টাইনীরা ৬৬ বছর দেশ পায়নি, শান্তি পায়নি, সব হারায়েছে; এখন দেশ পেলে, শান্তির মুখ দেখলে তারা প্রতিশোধ ভুলে নিজের দেশ গড়ায় মন দেবে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪৫
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: কটু কমেন্ট করেছিলাম?
আমি পড়লে কমেন্ট করি; আমি পোস্টের উপর গুরুত্ব দেয়ার চেস্টা করি; হয়তো ভুল হয়েছে।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২০
মুদ্দাকির বলেছেন: বাহ, আপনিতো ভালোই লিখতে পারেন!!! প্রথম প্যারাটা খুব পছন্দ হইসে
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪৫
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: চেস্টা করছি।
আপনার লেখা পড়ছি।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫১
মদখোর বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আমার মনে হয়, এটাই প্যালেস্টাইনীদের সাহায্য করতে পারে।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪০
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আমরা বাংলা বিজয় করেছিলাম, ব্যাংক বিজয় করেছিলাম, আদমজী বিজয় করেছিলাম; যাঁরা বিজয় করেছিলেন, বিজয়োত্তর তাঁদের জীবনের স্বপ্ন মরিচীকার মত রয়ে গেছে আজীবন; আদমজী থেকে শতজন কোটীপতি হয়েছে, আদমজীর শ্রমিকেরা হারিয়ে গেছে দারিদ্রতার কাছে; আমাদের জয়-করা ব্যাংক থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়ে গেছে ১০ হাজার কোটীপতি; আমাদের বাংলা ৫০ হাজার কোটীপতির জন্ম দিয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের কাছেও যায়নি; যারা বিজয় এনেছিল, তারা আবার সীমান্ত পাহারা দিয়ে ও সৈনিক জীবন বা দারোয়ানের চাকুরী শেষে, কিংবা দিন মুজুরের কাজ করে, আগের সেই দারিদ্রতার মাঝে ফিরে গেছে।
এখন নাকি সমুদ্র জয় করছি আমরা; কার সমুদ্র জয় করলাম আমরা? কার পানি কেড়ে নিলাম?
'সমুদ্র জয়' একটা ভুল টার্মিনোলোজী , সঠিক হবে, "আমরা আমাদের সমুদ্র সীমা রক্ষা করেছি"; কারণ, বার্মা ও ভারত আমাদের সমুদ্র সীমার ভেতরে অন্যায়ভাবে কিছু জায়গা দাবী করছিল, সরকার সঠিকভাবে আদালতে গিয়ে, সঠিকভাবে হ্যান্ডলিং করাতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
১৯৭২ সাল থেকে বন্গোপসাগরের অর্থনীতি দেখুন, তখন বুঝতে পারবেন, কারা 'সমুদ্র বিজয়ী'।
১৯৭৬ সালের দিকে সরকারের কিছু প্রভাবশালী বাংগালী 'জয়েন্ট ভেনচার' নাম দিয়ে বন্গোপসাগরে থাইল্যান্ডের ট্রলার নিয়ে আসে; কাগজ অনুযায়ী ট্রলারগুলো মাছের ৪৯% জয়েন্ট ভেনচার কোম্পানীকে দিতো; আসলে কি ঘটতো কেহ জানতো না: থাই কোম্পানীগুলো ৫টা ট্রলার এর অনুমতি নিয়ে ২৫টা চালাতো। এখন ২০০ মতো ট্রলার আছে জয়েন্ট ভেনচারে; বংগোসাগরকে এরা হতয়া করে ফেলেছে অনেক আগে।
বাংলাদেশ সরকার নিজে তেল গ্যাস অনুসন্ধান করার মত পজিশনে কখনো যায়নি; তারা ঢাকাতে মারামারি নিয়ে ব্যস্ত; যারা আমাদের উপকুলে গ্যাস অনুসন্ধান করছে, তারা আমাদের কাছে বিদেশের দামেই গ্যাস বিক্রয় করে।
সমুদ্র সীমা রক্ষা হয়েছে ভালো; কোন বিজয় এখানে নেই; বিজয় যদি হয়ে থাকে, তাদের হবে, যারা লীজ চুক্তি করে ঘুষ নেবে। আমাদের সব বিজয় ব্যাংক বিজয়ের মতো, আদমজী বিজয়ের মতো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৮
শান্ত ইসলাম ঈমন বলেছেন: amar post e kotu comment korsen deikha ami ulta palta kisu likhbo na hhihi ভালো লাগলো পোড়ে