নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বং অনিত্যম

আমার কবিতারা ঘাস খায় বিষণ্ণ নদীর তীরে

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড

শেষ বলে কিছু নেই এখানেশুন্যের মাঝে চেতনারা সব জেগে থাকেঘুরে ফিরে সেইসব সুখ দুঃখফিরে ফিরে আসে চক্র পুর্ণ করhttps://www.facebook.com/herahemel

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুন্যর কাটাতারে ঝুলন্ত বাংলাদেশ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

সীমান্তে বি এস এফ এর আবারো হত্যাকাণ্ড।





ফেলানী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া যখন শুরু হয় তখন লীগ সমর্থিত কিছু ব্লগার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের ক্ষমতা নিয়ে খুব উচ্ছাস করেছিলো। আমরা দেখলাম ক্ষমতার নুমনা। যদি ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ করত, তাহলে বুঝতাম তারা সত্যি বিচার করবে। একদিকে সীমান্তে হত্যাকান্ড অব্যাহত থাকবে, অপরদিকে হত্যাকান্ডের বিচার করবে এই চিন্তাই হাস্যকর। আমরা তেমনি একটা হাস্যকর প্রস্তাব তাদেরকে দিয়েছিলাম, প্রত্যুত্তরে তারাও আমাদের সাথে রসিকতা করল, নির্মম ভাবে।



আমাদের জনপ্রতিনিধিরা হয়েছেন জনগনের নেতা। নেতারা জনগনের কথা মানে না, উল্টো তাদের কথা মানতে জনগনকে বাধ্য করা হয়। সরকার যে কিছু করতে পারবে না এটা সবাই জানি। বিরোধী দল এ জন্য কোনদিন প্রতিবাদ করবে না, বরং ক্ষমতা পেতে ভারত মাতার ছায়াতলেই আশ্রয় খুজবে।



ভেবে পাই না দোষ দিব কাকে? আমরা শুধু মুখে মুখে ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে নিজেদের গুপ্ত কেশ বিসর্জন দিতে পারি। এসব করে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা যাবে না।



সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে গড়ে তুলুন আরো একটি শাহবাগ, ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করে জনআন্দোলন গড়ে তুলুন। আমাদের নেতাদের বাধ্য করুন সীমান্তে হত্যার বিষয়টি জাতিসংঘে জোড়ালো ভাবে উপস্থাপন করতে। আন্দোলোন করতে হবে জোড়ালোভাবে যাতে বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে তোলে।



জানি এতেও সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে না। মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এসব শুধু শক্তিশালীদের জন্য, আমাদের মতো দুর্বল রাষ্ট্রের জন্য নয়। তবুও ফেলানীর আত্মার কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে, তার আত্মা এই ভেবে সান্ত্বনা পাবে যে তার ভাইয়েরা মুখ বুঝে অবিচার সহ্য করেনি।



ফেলানী শুধুই একটা কিশোরী নয়, ফেলানী রক্তাক্ত সীমান্তের বাংলাদেশী প্রতীক। ফেলানী শুধুই কাঁটাতারে ঝুলন্ত একটা লাশ নয়, ফেলানী হল সীমান্তে হত্যাকান্ডের শিকার সহস্র বাংলাদেশীর ছায়া। যদি এসব কিছু না করতে পারেন, তাহলে আরো শত সহস্র ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ দেখবেন এই শুন্যর কাঁটাতারে। প্রতি মূহুর্তে কাঁটাতারে ঝুলুন্ত ফেলানী ব্যবচ্ছেদ করে দিয়ে যাবে আমাদের ভোঁতা অনুভূতিগুলিকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

প্রান্তিক জন বলেছেন: রাষ্ট্র যখন বিশেষ শ্রেণীর হয়ে যায়, তখন ফেলানীদের মতো ফেলনা মানুষের বিচার আর অবিচার একই কথা ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: সহমত। তারপরেও কথা থেকে যায়। যদি ন্যূনতম প্রতিবাদ না করতে পারি তাহলে ফেলানী তথা সীমান্তে নিহত সকল বাংলাদেশীর আত্মা আমাদের তাড়া করে ফিরবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.