নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ বলে কিছু নেই এখানেশুন্যের মাঝে চেতনারা সব জেগে থাকেঘুরে ফিরে সেইসব সুখ দুঃখফিরে ফিরে আসে চক্র পুর্ণ করhttps://www.facebook.com/herahemel
সুশীলেরা আগামীকালের নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। স্বৈরতান্ত্রিক বলে আওয়ামীলিগকে দোষারোপ করছে।
কিন্তু মূল সমস্যা তো কোন দল নয়, মূল সমস্যা হল সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ী একছত্র ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী। কোন দলকেই তো দেখলাম না এটা সংশোধনের জন্য চেষ্টা করতে কিংবা আন্দোলন করতে। করবেই বা কেন, ক্ষমতায় গেলে তো তারা এই আইন প্রয়োগ করেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। নিয়ম অনুযায়ী দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের ভোটেই তো আওয়ামীলীগ সংবিধান সংশোধন করেছে, এবং সে অনুযায়ী এই নির্বাচন অবৈধ নয়।
নিরপেক্ষ থাকা সঠিক কোন অবস্থান বলে আমি মনে করি না। জামাত-বিএনপি আমি সমর্থন করি না, তাই স্বয়ংক্রিয় ভাবে আওয়ামীলীগের পক্ষে। কিন্তু, যদি, সুতরাং, নতুবা এসব ব্যবহার না করে আমি সরাসরি আমার মত ব্যক্ত করছি, এবং আমার মতের পক্ষে কিছু যুক্তিও তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
যারা এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তাদের উদ্দেশ্য আমার কাছে পরিস্কার।
১. জামাত-বিএনপি এই নির্বাচনের বিরোধীঃ কারণ তারা ক্ষমতায় গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেশকে একটি মিনি পাকিস্তান বানাবে। (চুরি বাটপারি বাদ দিলাম)
২. বাম দলগুলি বিরোধিতা করছেঃ কারণ তারা ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদের মত সম্পদের পাহাড় গড়বে।
বিএনপি-জামাত সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। তারা ক্ষমতায় ছিল বলে তাদের স্বরূপ আমরা জানি।
বামদের নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন। বামদের উদ্দেশ্য পরিস্কার, তারা সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে কৃষক-শ্রমিকদের শোষণ থেকে মুক্ত করতে চায়, প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে চায়। তারপরেও বামদের উপর জনগন কেন ভরশা রাখে না?
আসলে বামদের তাত্ত্বিক দিকটি যতটা শক্তিশালী, ব্যবহারিক দিক ততটাই দুর্বল। সাংগঠনিক ভাবে তারা দুর্বল, জনগনের কাছে তাদের দর্শন পৌছাতে বামরা ব্যর্থ হয়েছে। বক্তৃতায় অনেক কিছু বলা যায়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
বামরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং তারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। কিন্তু সর্বদলীয় নির্বাচন হলে যে বামরা ক্ষমতায় যাবে তার নিশ্চয়তা কি?
নির্বাচন, গণতন্ত্র এসব বড় বড় তত্ত্বের চেয়ে এখন জরুরী হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। নির্বাচন এক বছর পরেও করা যাবে, কিন্তু এই বিচার একবার বন্ধ হলে আর শুরু করার মত সময় পাব না। একবার বিচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় শুরু করতে তিন দশকেরও বেশী সময় লেগেছে। এর মাঝে পাকিস্তানপন্থীরা ছানা পোনা প্রসব করে বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আবার যদি বিচার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পুরনো শকুনেরা আবারো তাদের ছানা পোনা দিয়ে দেশ ভরে দিবে, তখন যদি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন, আপনার স্থান হবে পাবনাতে। এই বিচার বন্ধ হয়ে গেলে আপনারা " আমার সোনার বাংলা " গানটি আর গাইতে পারবেন না, দিনরাত " পাক সাদ জমিন সাদ বাদ " গাইতে গাইতে মুখে ফেনা তুলবেন। লিখে রাখেন ডাইমন্ডের কথা।
এটা ঠিক যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু আমাদের মাঝে আর কোন বিকল্প নেই। দেশ স্বাধীন করতে আমাদের ৩০ লক্ষ প্রাণ দিতে হয়েছে, মানুষের প্রানের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই, হতে পারে না। এই বিচারের বিনিময়ে আমাদের অতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না। মানুষের তৈরি কিছু নিয়ম ভাঙ্গতে হবে মাত্র।
আওয়ামীলীগের নেতারা ক্ষমতায় থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করেছে, দুর্নীতি করেছে, স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে দেশ শাসন করেছে। তাই আমরা আর আওয়ামীলীগকে চাইনা। কিন্তু আপনি কততুকু নিশ্চিত যে অন্য কোন দল ক্ষমতায় গিয়ে একই কাজ করবে না?
ছোট বেলায় ঈসপের দুটি গল্প পড়েছিলাম। এখনকার প্রেক্ষাপটে গল্প দুটি প্রাসঙ্গিক।
প্রথম গল্পঃ এক শেয়াল জোঁক ভর্তি একটা নদী পার হচ্ছে। নদী পার হওয়ার সময় শেয়ালের পুরো শরীরে জোঁক সেঁটে গিয়ে রক্ত পান করতে লাগল। এটা দেখে একটা পাখি শেয়ালের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে জোঁক গুলি খুলে দেওয়ার জন্য শেয়ালকে প্রস্তাব করল।
তখন শেয়াল বলল, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য। এই জোঁক গুলি রক্ত খেয়ে পেট পূর্ণ করেছে, আর খুব বেশী খেতে পারবে না। কিন্তু যদি এদের খুলে দাও, তাহলে আবার ক্ষুধার্ত এক ঝাঁক নতুন জোঁক এসে আমার শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তারচেয়ে বরং এরাই থাক, তাহলে আমাকে আর নতুন করে রক্ত হারাতে হবে না।
দ্বিতীয় গল্পঃ এক লোক তার গাধাকে জমিতে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গেছে। হটাৎ লোকটি দূরে একদল ডাকাতকে দেখতে পেল। সে তার গাধাকে বলল, এক দল ডাকাত এদিকে আসছে, তুই দৌড়ে পাশের ঝোপে চলে যা। তাহলে ওরা আর তোকে নিতে পারবে না।
কিন্তু গাধাটার দৌড়ানোতে কোন আগ্রহ দেখা গেল না, সে উদাসীন ভাবে ঘাস খেতে লাগল। গাধার এই ভাব দেখে লোকটি বিরক্ত হয়ে গাধাকে তারা দিতে লাগল।
গাধা বলল, আপনার কি মনে হয় যে এই ডাকাত গুলি আমার পিঠে আপনার চেয়ে দ্বিগুণ বোঝা চাপাবে।
লোকটি বলল, তা অবশ্য ঠিক না।
তখন গাধাটি উত্তর দিল, তারা যখন আমার পিঠে দ্বিগুণ বোঝা চাপাবে না, তাহলে পালিয়ে যাব কেন। বোঝা যখন টানতেই হবে, তাহলে কার বোঝা টানছি এটা জেনে আমার কি লাভ?
আমার কথা আমি দ্বিধাহীন ভাবে ব্যক্ত করলাম, সিদ্ধান্ত আপনার। আওয়ামীলীগের দালাল বলে আমাকে ট্যাগ দিতে চাইলে, দিতে পারেন। ঈসপের গল্প দুটি একবার মাথায় রেখে চিন্তা করবেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: জোঁকওয়ালা নদী পাড়ি দেবার বাধ্যবাধকতা ছিল না অবশ্যয়। কিন্তু আমরা দিয়েই ফেলেছি, পেছানোর উপায় নাই আর। চারিদিকে শুধুই জোঁক। এর মাঝে ক্ষুধার্ত জোঁক নতুন করে গায়ে লাগানোর কোন মানে নেই। আসলে আমাদের গণতন্ত্র আর ঈসপের সেই শেয়াল আর জোঁকের গল্পের মাঝে আমি কোন তফাত খুঁজে পাই না। সবকিছু মেনে নিয়ে আদর্শিক লড়ায় চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০৭
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: কবি বলেছেন,
পাগলের সুখ মনে মনে ,
রাইত হইলে তারা গুনে ।।
কবি উপরোক্ত কবিতায় একটি বিশেষ শ্রেনীর পাগলের বৈশিষ্ট্য বর্ননা করেছেন।
কি সেই বৈশিষ্ট্য?
এদের কথাবার্তা মোটামুটি স্বাভাবিকই থাকে।শুধু তারা কল্পনার জগতে বাস করে ,আর যা দেখে মুলতঃ সবই তার দাবী করে।ভাবটা এমন গোটা দুনিয়ারই বাদশাহ্ সে।রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরায়। রাস্তায় ছদ্মবেশে বেড়াছ্ছে প্রজাদের অবস্হা দেখার জন্যে। এ ভাবের জগতে থাকার কারনে সারাদিন সে খুব সুখে থাকে।ভাবতে থাকে রাতের বেলা সে তার রাজপ্রসাদে ফিরে যাবে।
কিন্তু যখন রাতের বেলা হয় তখন ফুটপাতে শুয়ে আকাশের তারা গুনে।
এই হইলো Mango peaple....। আমরা ৫ বছরে একবার কোন একটা মার্কায় সীল মারার সুযোগ পেয়ে ঐ পাগলের মতো নিজেকে দেশের মালিক মনে করি।বাকি ৫ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি।
Click This Link
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০২
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২০
ইফতেখার কাদির বলেছেন: এর দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন যে, বি.এন.পি নির্বাচনে গিয়ে জিতলেও সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য ক্ষমতা নিজেদের কাছে রাখত? সবশেষে প্রশ্ন, সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচারে কি নিরপেক্ষতা দেখাতে পেরেছে?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: বিএনপি নির্বাচনে জিতলে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য। না দিলে আমি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।
আর বিচারের নিরপেক্ষতা দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন। কি কি করলে বিচার আরও নিরপেক্ষ হত বলে মনে করেন? অন্তত এই সরকার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছে, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসলে তো ট্রাইব্যুনাল বাতিল করবে, যে হুমকি তারা বরাবরই দিয়ে আসছে। সামরিক আদালতে যে বিচার হয়নি এটাই তো বড় বিষয়, বিবাদীদের আপীলের সুযোগ আছে। কাদের মোল্লার দণ্ড কার্যকর করতে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। মাহমুদুর রহমান তো মুক্তিযোদ্ধাদের একাত্তরে রাজাকার হত্যার জন্য বিচার করার কথা বলেছে। যারা বিচার নিরপেক্ষতার কথা বলে, তারা সরকারকে এই বিচার শুরু করার জন্য কোন সাধুবাদ জানায় না। দশ জন মিলে একটা অপরাধ করল, পাঁচ জন ধরা পড়ল। এখন বাকি পাঁচ জন ধরা পড়েনি বলে কি এই পাঁচ জনকে ছেড়ে দিতে হবে?
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলছুট চোরচোট্টা নিয়ে আদর্শহীন সুবিধাবাদিদের দল বিএনপি। নেতারা রাস্তায় না নেমে
পালিয়ে থাকে। কর্মিসমর্থকরাও একই চরিত্র।
তাদের সব আন্দোলন জামাতি সন্ত্রাস নির্ভর, সুধু এই কারনেই সরকার যতেচ্ছ বলপ্রয়োগ
করেও তেমন সমালচিত হচ্ছে না।
দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।
'ক্রিকেট ষড়যন্ত্র' নিয়ে আমার এই লেখাটিও পড়ুন
Click This Link
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: চুরি করাতে কোন দলই কম নয়। তাই আদর্শের ভিক্তিতে দলকে সমর্থন করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এই গণতন্ত্রে চুরি ঠেকানোর কোন সমাধান আমি দেখি না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৫
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: ষোল আনা র মধ্যে চৌদ্দ আনা তো এরাই খাইছে... শেয়ালটাকে জোঁকওয়ালা নদী পাড়ি দেবার বাধ্যবাধকতা ছিল কি? অন্য অপশনও ছিল... শেয়াল এর পরেও কিন্তু মুরগী ঠিক খাচ্ছেই... আর গাধাদের ঐ বোধ হয় না... আর বাংলার গাধারা তো দূরেই থাকল... গল্পের আদ্যোপান্ত এহেনদের জন্য না... সব শেষ হয়ে যাবার পর পাছায় হাত রেখে লাভ কি?