![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন,
‘এরশাদ দূষিত করেছে এদেশের নারীদেরও । একই ঘরে থেকে বিদিশা প্রত্যক্ষ করেছেন এরশাদের সেই বিভৎস চরিত্র।'
এরশাদ নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ সাইটে একটা পেইজ খুলেছেন শুনলাম, মনে পড়ল এরশাদের সাবেক স্ত্রী "বিদিশার" লেখা একটা বইয়ের কথা, এরশাদের অবৈধ নারী সম্পর্ক স্থাপনের বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসা যাওয়া শুরু করেন বিদিশা। তারপরও ক্রমেই জড়িয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে। খুবই অল্প সময়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়। অত্যন্ত চাতুরতার সাথে রাজনীতি মঞ্চে এরশাদের মতো ধূর্ত ব্যক্তির ছায়া থেকে বের হয়ে এসে নিজের সমর্থিত একটি শ্রেণী তৈরী করতে সমর্থ হয় সে।
যার কারণে এরশাদের বহু বিশ্বস্ত ও পুরানো কর্মচারীরাও তাকে এরশাদ সম্পর্কে তথ্য দিতো। সহজ ও অবোধ নারীর পক্ষে এত অল্প সময়ে বাজিমাত করা অসম্ভব, সব জানাজানি হয়ে যায় কদিনের মধ্যেই অতপর: নিজের বাসার গহনা ও মোবাইল চুরির অপরাধে বিদিশা গ্রেফতার হয় ও তার উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এটা কোন স্বামীর দ্বারা ষড়যন্ত্র করে স্ত্রী নির্যাতন নয়। এটা হলো দুইজন ধূর্ত মানুষের একজনের জয় আরেকজনের পরাজয়। এই পরাজয়ের পর বিদিশা অনুভব করে যে সে নারী। সুতরাং নারীর উপর নির্যাতন হলে মানবাধিকার সহ হাজার প্রতিষ্ঠান পাশে দাড়াবে এটাই স্বাভাবিক এবং বাস্তবেও তা হয়েছে। মানুষ ভুলে গিয়েছে দুই কুকুরের লড়াইয়ে যে পরাজিত হয়েছে সে বিজয়ের জন্য বেছে নিয়েছে নতুন পন্থা।
এরশাদের সাথে নিজের অন্ধকার জীবন নিয়ে বিদিশা একটা বই লিখেছেন
‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’
বাংলাদেশের মেয়ের আত্মজৈবনিক গ্রন্থ। বাংলাদেশের সমান বয়সী বিদিশার ঘটনাবহুল। তার শৈশব, কৈশোর, যৌবনের ঘটনাগুলোর প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে নানা বিস্ময় কৈশোর না পেরুতেই বিদেশী স্বামীর ঘরে চলে যান তিনি।
বিদেশ থেকে ফেরার পর তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের খপ্পরে পড়েন। প্রতারিত হন তার প্রেমের অভিনয়ে। এরশাদের সংসারে ছিলেন তিনি পাঁচ বছরের ও বেশী সময়। দীর্ঘে এই সময়ে অত্যন্ত কাছে থেকে দেখেছেন তিনি একজন স্বৈরশাসককে। বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান মৃত্যুর পর মুহুর্তে যাকে ‘বিশ্ব বেহায়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এঁকেছেন তার অন্তগত কুৎসিত চেহারা, ৫ বছর অত্যন্ত কাছে থেকে বিদিশা অবলোকন করেছেন তার সেই বেহায়াপনা। মুক্তবুদ্ধির ধারক হিসাবে পরিচিত প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, ‘এরশাদ দূষিত করেছে এদেশের নারীদেরও । একই ঘরে থেকে বিদিশা প্রত্যক্ষ করেছেন এরশাদের সেই বিভৎস চরিত্র। রাজনীতিক হিসাবে কতটা শঠ হতে পারে একজন মানুষ, বিদিশার বিশ্লেষণে এরশাদের সে চরিত্রও স্পষ্ট হয়ে গেছে। এরশাদ কতটা মন্দ সে সম্পর্কে এদেশের মানুষের মনে অনেক ধরনের পেতে ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’ বিবেচিত হতে পারে একটি সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে।
এরশাদ প্রসঙ্গ প্রাধান্য পেলেও সব মিলিয়ে বইটি বাঙালী এক নারীর জীবন কাথা। পুরুষ শাসিত এই সমাজে একা একজন নারীকে প্রতিনিয়ত কত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, সেটাও স্পষ্ট হয়েছে এই বইয়ে।
বইটা রকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে, আমার ব্যাক্তিগত সংগ্রহে আছে কিন্তু ফ্রি ই-বুক পেলাম না, বইটার কিছু অংশ সাপ্তাহিক ২০০০এ প্রকাশিত হয়েছিল সেটার পিডিফ লিঙ্ক দিয়ে দিলাম
এরশাদ ভক্তদের অনুরোধ করব বইটা পড়ে দেখতে, আমরা অনেক কিছুই হয়ত জানিনা, সত্যি বলতে আমরা নিজেরাও এই দুই দলের নোংরামি থেকে মুক্তি চাই, কিন্তু চোরের হাত থেকে মুক্তি পেতে ডাকাত ভাড়া করার পক্ষপাতি হতে পারছি না,
সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, গুম, এসিড সন্ত্রাস ও গণধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ফেসবুক পেজের উদ্বোধন করে বলেন, “প্রয়োজনে তোমরা আমার সঙ্গে কথা বল, আমাকে বলো, তোমাদের জেগে উঠতে হবে, প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, তাহলে সমাজ রক্ষা পাবে।’
স্বৈরাচারী, বিশ্ববেহায়ার এবারের ব্যাবসা তেমন লাভজনক হবে না সম্ভবত . . .
void(1);
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫
সজিব তৌহিদ বলেছেন: বিদিশার নেশা, জাগায় তৃষ্ণা, শয়নে স্বপনে, গুরু এরশাদকে ধরেছি, পরকীয়াতে মেতেছি, গোপনে গোপনে। হা.. হা.. হা..
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭
তানভীরশাওন বলেছেন: আজ কেন এ ধরনের কথা আসে ।বিদিশা যদি ভাল মহিলা হত তাহলে সে সমাজের একজন সম্মানি লোককে নিয়ে এ ধরনের বই তিনি লিখতনা ।যদিও এরশাদ সাহেব কিছু সময় খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল কিন্তু এখন তিনি সমাজের মানুষের জন্য ভাবে ।আর দেশের অবস্থা এখন যে ভাবে চলছে আমার মনে হয় বাংলাদেশ সোমালিয়া বা নাইজেরিয়া হতে বেশি দূরে নয়।কে কি বলল তা নিয়ে আমরা মাতামাতি করি কিন্তু দেশ কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা ভাবিনা ।আসলে দেশে থেকে দেশকে বুজতে পারি না ।আজ আমরা দেশের বাহিরে থাকি তাই আমাদের মনটা সব সময় ছুটে যায় বাংলাদেশে।ভাই সবার কাছে একটাই দাবি দেশকে বাচান ????????????
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
বিত্তবান ফকির বলেছেন: লেখাটির লেখনি স্টাইল অসাধারণ। কিন্তু বাংলা নাজানা একজন মেয়ের পক্ষে কিভাবে এতসুন্দর করে লেখা সম্ভব।
আরো পর্ব কি আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
চ।ন্দু বলেছেন: বিদিশার নেশা, জাগায় তৃষ্ণা, শয়নে স্বপনে, গুরু এরশাদকে ধরেছি, পরকীয়াতে মেতেছি, গোপনে গোপনে।