![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
ছোট বেলায় শিবিরের পোলাপাইনরা জোর কইরা নামাজের পর মসজিদে বসাইয়া রাখত
মউদুদির "তাফহিমুল কুরআন" থেইকা পাঠ হইত জোরে-শোরে
একদিন শিবিরের এক বড় ভাই জোর কইরা কয়েকটা বই ধরাইয়া দিল
"ইসলামী ছাত্র শিবিরের মূলনীতি"
"আমরা কি চাই, কেন চাই, কিভাবে চাই"
"তরুণ তোমাকে বলছি"
ভুল মানুষকে টার্গেট করসিল বেচারারা, আমি বাসায় আইসা সবগুলা রেফারেন্স cross-check করতাম,
৯০% ক্ষেত্রে দেখা যাইত আয়াত গুলা মিস-কোটেশন
মানে হইল সূরার মাঝখান থেইকা হঠাৎ একটা আয়াতের অংশ বিশেষ নিয়া আইসা নিজের সিদ্ধি সাধনের প্রচেষ্টা ।
তো এই বই গুলা নিয়া একটা সিরিজ লেখার ইচ্ছা আছে
এই বই গুলাই মূলত শিবিরের পোলাপাইনরের জেহাদী চেতনায় উদবুদ্ধ করে
যেমন তাফহিমুল কুরআনের সূরা আল -কাফিরুনের ৬ নাম্বার আয়াতের অর্থ
"তোমার জন্য তোমার দ্বীন, আর আমার জন্য আমার দ্বীন"(surah 109:6)
সূরার ব্যাখ্যায় মউদুদি সাহেব (উল্ল্যেখ্য এই বইয়ের অনুবাদকঃ অধ্যাপক গোলাম আযম) বলেছেন
"ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ একশ্রেণীর আধুনিক শিক্ষিত মানুষ এ সূরাটিকে এর ঠিক বিপরীত উদ্দেশ্যে ব্যাবহার করতে চেষ্টা করে
'প্রত্যেকে যার যার ধর্ম নিয়ে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন কর', 'একের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করো না' ইত্যাদি অর্থ
তারা এ সূরার মাধ্যমে আবিস্কার করার চেষ্টা চালায় ....... কিন্তু এ ধরনের বক্তব্য এই সূরায় নেই"
উপরে মউদুদির বক্তব্য উস্কানি-মূলক, উনি নিজেও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদ্রাসায় পড়েননি এমনকি আরবিও জানতেন না (!)
জি পাঠক মউদুদি আরবি জানতেন না তাফহিমুল কুরআনের উর্দু সংস্করণে মউদুদি নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি আরবি জানেন না
বরং "ইউসুফ আলীর" ইংরেজি অনুবাদ থেকে উনি অনুবাদ করেছেন ! !
কি চমৎকার আরবি জানেন না অথচ কোরআন অনুবাদ করেন ! ! কোরআন নিয়ে এমন ধৃষ্টতা সম্ভবত এখন পর্যন্ত কোন মুসলমান দেখায়নি
বন্ধুরা আমরা জানি কোরআনে সূরা বাকারাঃ২৫৬ পরিস্কার বলা আছে
"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নাই, সত্য দিবালোকের মত প্রতিষ্ঠিত" (surah 2:256)
এই আয়াতে তো পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে "একের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করো না"
সূরা আল -কাফিরুনের ৬ নাম্বার আয়াত কিংবা সূরা বাকারার ২৫৬ নাম্বার আয়াত শান্তি পূর্ণ সহ অবস্থানের কথাই বারবার বলছে
কিন্তু মউদুদি সব সময়ই উস্কানি-মূলক বক্তব্য দিয়ে কোরআনের আয়াত ইচ্ছামত অনুবাদ করে অমুসলিমদের সাথে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ লাগানোর
চেষ্টায় কাজ করে গিয়েছে জীবনভর, তার এবং তার প্রতিষ্ঠান জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই ।
সারা পৃথিবী ব্যাপী কমপক্ষে ৩২ টা ফতোয়া রয়েছে মউদুদির বক্তব্য কে হারাম ঘোষনা করে
প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন "আল্লামা আশরাফ আলী থানভি" (আমাদের দেশের maximum কোরআনের অনুবাদক)
কিংবা দেওবন্দের "মাওলানা আব্দুল করিম দরিয়াবন্দি" (তাবলীগের আমির ছিলেন) পর্যন্ত তার সমালোচনা করেছেন
মাওলানা আব্দুল করিম দরিয়াবন্দি তার ফতোয়ায় বলেছেন
"মউদুদির অনুসারীদের পেছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।"
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
বিচিত্র জিসান বলেছেন: এখন আমরা পরেছি মসিবতে, আমরা যাব কোন দিকে? জামাত যেমন ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী তেমনি তাব্লিগ, চরমনাইরাও একই রকম ভণ্ডামি ও ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী, কোন দল যে সহি আল্লাহ্ই জানে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
অজানাবন্ধু বলেছেন: আমদের দেশের কোমল মতি ছেলে মেয়েদেরকে যে তারা এভাবে ভুল বুঝিয়ে বিপথ গামী করছে তার ফল আমাদেরকে ভুগ করতে হবে। বর্তমান অবস্হা তারই প্রমান।
আরও কতদিন যে করতে হবে আল্লাই জানে।