নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

মস্টার মাইন্ড

আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....

মস্টার মাইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরিয়া ৫১

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮



যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত গোপনীয় ঘাঁটি হচ্ছে এরিয়া ৫১ (Area 51)। এটি এতটাই গোপনীয় যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার দীর্ঘদিন এর অস্তিত্বই স্বীকার করেনি। মানচিত্র বা সড়ক নকশা কোন কিছুতেই এরিয়া ৫১ এর উল্লেখ করা হত না।

এর আকাশাসীমায় সামরিক বা বেসামরিক কোন ধরনের বিমান প্রবেশ করতে পারে না (কেবল এরিয়া ৫১গামী বিশেষ বিমান ছাড়া)।

১৯৮৮ সালে সোভিয়েত রাশিয়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নেয়া এরিয়া ৫১ এর ছবি প্রকাশ করলে প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ এলাকাটির ছবি দেখার সুযোগ পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণে গ্রুম লেকের পাড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এর অবস্থান। এই এলাকাটির উদ্দেশ্য কি, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলে না যুক্তরাষ্ট্র সরকার। Area 51 লিখে ৩৭০১৪’৩৬.৫২” উত্তর অক্ষাংশ এবং ১১৫০৪৮’৪১.১৬” পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ (37°14’36.52″N, 115°48’41.16″W) এই স্থানাংক ব্যবহার করে গুগল আর্থের মাধ্যমে এলাকাটির ছবি দেথা যায়। বাইরের মানুষকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। ‘প্রবেশ এবং ছবিতোলা নিষেধ, প্রবেশ করলে প্রাণঘাতী শক্তিপ্রয়োগ হবে’ এই মর্মে নোটিশ টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে প্রবেশ করতে গিয়ে বহু কৌতূহলী মানুষের প্রাণ হয়ত বলি হয়েছে বলে অনেকে বলেন। তবে এর কোন প্রমাণ নেই।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবমুক্ত করা দলিল থেকে জানা যায়, এখানে সামরিক বিমানের পরীক্ষা চালানো হয়। তবে এখানে অন্যান্য অস্ত্র এমনকি পারমাণবিক পরীক্ষাও চালানো হয় বলে শোনা যায়। এখানে বিমান ওড়ানোর জন্য রানওয়ে, বিমান রাখার হ্যাঙ্গার (বিশেষ ছাউনি) ছাড়াও গবেষণাগার রয়েছে। এখানকার ভবনগুলোয় জানালা নেই এবং বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় কর্মীদের ঘরের ভেতর রাখা হয় যাতে তারা উড্ডয়ন দেখতে না পারে। একদলের গবেষক অন্য দলের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু জানতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কঠোর গোপনীয়তার কারণে জল্পনা-কল্পনার ডালাপালার বিস্তৃতিটাও অনেক বেশি। কেউ কেউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার চাঁদে মানুষ না পাঠিয়ে এ স্থানেই ‘চাঁদে মানুষ পাঠানোর শ্যুটিং’ করেছিল। এ এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি ইউএফও (Unidentified Flying Object) দেখা গেছে। অনেকে বলেন এখান থেকেই এলিয়েনদের সাথে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এলিয়েনরা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় মানুষের সাথে হাইব্রিডাইজ বা সংকরায়ন করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে এলিয়েনদের দেহ সংরক্ষিত আছে গবেষণার জন্য।

প্রচলিত কথার মধ্যে আরও রয়েছে, এখানে মাটির অনেক নিচে গবেষণাগার আছে, অন্য গবেষণাগারের সাথে পাতালরেল যোগাযোগ আছে। এখানে যারা কাজ করে তাদের গোপনীয়তার শপথ নিতে হয়। সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিসহ অনেক প্রযুক্তিই আসলে এলিয়েনদের প্রযুক্তি, নইলে এত দ্রুত প্রযুক্তির এত উন্নতি হওয়ার কথা নয়; এমন কথাও বলেন অনেকে।

এসব তথ্যকে আজগুবি তথ্য বলেই মনে করা হয়। কিন্তু গোপনীয়তা এসব তথ্যকে কিছুটা হলেও জনপ্রিয় করতে পেরেছে। U-2 গোয়েন্দা বিমান যখন উদ্ভাবিত হয় তখন সেটি ছিল সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় উড্ডয়নকারী বিমান। এমন উচ্চতায় বিমান থাকতে পারে এটা কেউ তখন ভাবতো না। আর তাই সেটাকে ইউএফও ভেবে ভুল করেছে বলে ব্যাখ্যা দেয়া হয়।




সংগ্রহিত

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২০

এহসান সাবির বলেছেন: ৫১ এরিয়া জানলাম...

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: আমিও বিষটা জানতে পেরেছি কিছুদিন আগে..এটাই স্বাভাবিক। কারন এটা গোপন রাখাই হয়েছে! :p

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

ভিটামিন সি বলেছেন: মাইরালছে। বাংগালি এইবার যুক্তরাষ্ট্রের গোপন এরিয়ার ভিত্রে হান্দাইছে। এইবার কোথায় পলাইবা বারেক কাকু? আমরা আইয়া পড়ছি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: হ,একবার জানতে যেহেতু পারছি আইতে বেশি টাইম খাব না!!!

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: আমার মনে হয় এ বিষয় নিয়ে অনেক অনেক বেশি তথ্য আছে যদি সময় পান এটা পড়ে দেখবেন আরো অনেক বেশি জানতে পারবেন...

http://hybridknowledge.blogspot.com/2013/08/area-51.html

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: এটা নিতান্তই তাদের জন্য যারা এরিয়া ৫১ নামটা এখানেই প্রথম শুনবেন। ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সোহানী বলেছেন: পড়েছিলাম বাট আগ্রহ নেই... ওরা জানতে দিতে চায় তাই আমিও ৩য় বিশ্বের নাগরিক হিসেবে জানতে চাই না... আগে নিজের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করে নেই তারপর নাক গলাবো।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: ক্ষুধা পেট আর বিবস্র অবস্থা থেকে মানুষের জ্ঞান আহরনের সূচনা, এটা ভুলে গেলে চলবে না। ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা নিজের কাজে ব্যস্ত

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: সত্যি,আমাদের কোন কাজ নেই, তাই ওদের নিতে গবেষণা করি.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.