![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....
___ তোমাকে দেখে আমার জানোয়ারের মতো লাগে। তোমার চেহারায় জানোয়ার জানোয়ার ভাব আছে।
ছেলেটা আমার কথা শুনে কি যেন বলতে যাচ্ছিলো। তাকে থামিয়ে দিলাম। আমার বলা এখনো শেষ হয়নি। আজ শুধু আমার বলার পালা।
___ তোমার মাকে দেখে আমার পতিতা পতিতা মনে হয়। তার চেহারায় পতিতাভাব প্রবল।
___ তোমার বাবার চেহারার সাথে তোমার চেহারার কোন মিল পাইনা। একটুও না। আমার মনে হয় তোমার বাবা অন্য কেউ।
আমাকে আর কিছু বলতে হলোনা। ছেলেটার ক্রুদ্ধ দৃষ্টি আমায় ভস্ম করে দিতে লাগলো। চেঁচিয়ে উঠলো ছেলেটা।
" কি বললি তুই? আমাকে তুই জারজ বললি? জানিস আমি কে? "
আমি নির্লিপ্ত গলায় জানতে চাইলাম,
___ কে আপনি?
ছেলেটা রাগত গলায় বললো,
" আমি সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান। আমার পরিবার নামী পরিবার। সারাদেশ আমায় চেনে। আমি নামকরা ব্লগার। আমি মুক্তচিন্তার অধিকারী। "
আমি মৃদু হাসলাম। বললাম,
___ আমার কথায় কষ্ট পেয়েছেন?
ছেলেটার রাগ দ্বিগুণেরও অধিক হলো। চেঁচিয়ে বললো,
" কষ্ট পেয়েছি মানে? আমার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছো তুমি ! আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছো ! কেবলমাত্র তোমাকে খুন করলেই আমার গায়ের জ্বালা মিটবে। তুমি যে কষ্ট দিয়েছো আমায় তার এক এবং একমাত্র শাস্তি মৃত্যু। ভয়ঙ্কর মৃত্যু।"
এবার তার চোখে আমি সত্যিই আগুন দেখতে পেলাম। হেসে বললাম,
___ অনুভূতিতে আঘাত লাগার কষ্ট এবার বুঝলে তো?
তুমি যখন আমার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা কে ' লুইচ্চা নবী মুহাম্মদ ( নাউযুবিল্লাহ )' বলো, কিম্বা ' নবী পুন্দন সপ্তাহ ( নাউযুবিল্লাহ) ' উদযাপন করো তখন আমারো কষ্ট হয়।
আমার হৃদয়টাও চূর্ণ - বিচূর্ণ হয়ে যায়। আমি তো শুধু তোমার অনুভূতিতে আঘাত করেছি মাত্র। আর তুমি সমস্ত বিশ্বের মুসলিম তথা আস্তিকদের ই আঘাত করেছো।
পাপটা তো তোমারই বেশি। তোমার কি শাস্তি হওয়া উচিত তুমিই বলো।
" আমার কেন শাস্তি হবে? আমি তো মুক্তমনা। আমি তো বিজ্ঞানমনস্ক। না দেখে কোন কিছু বিশ্বাস না করাই আমার ধর্ম। তোমরা অবুঝ। শুধু শুধু অন্ধকারে পড়ে আছো। তোমাদের আলোর পথে আনাই আমার কাজ। "
আমি হাসলাম আবারো। বললাম,
___ বেশ তো ! বিশ্বজগত সৃষ্টির রহস্যটা আমায় জানিয়ে আলোকিত করুন।
ছেলেটা বললো,
" এ আবার এমন কী? অসীম ক্ষুদ্র কিন্তু অসীম ঘনত্ব ও ভর বিশিষ্ট বিন্দুর বিস্ফোরণে এই বিশ্বজগত সৃষ্টি। স্বয়ং এডউইন হাবল স্যার বলেছেন। "
___ বেশ ! তা ঐ অসীম ক্ষুদ্র বিন্দুটি সৃষ্টি করলো কে?
ছেলেটা রেগে গেলো।
" তুমি তো বড্ড নালায়েক দেখছি ! আদিতে অসীম শূণ্যতার মাঝে এক পরাশক্তি ও অপরাশক্তি সৃষ্টি হয়। বাদ দাও, তুমি বুঝবেনা এতোকিছু। শূণ্যতা থেকেই সবকিছুর আপনাআপনি সৃষ্টি ...এটুকু মনে রেখো। "
আমি হেসে বললাম,
___ ওহে বলদুর বাচ্চা, না দেখেই তো তুই বিস্ফোরণের কথা বিশ্বাস করিস। না তুই, না হাবল...কেউ ছিলোনা বিস্ফোরণের সময়। কেউ দেখেনি। তাহলে কেন বলিস না দেখে আমি কিছু বিশ্বাস করিনা?
নিস্ক্রিয় শূণ্যতাকে তুই পরোক্ষভাবে স্রষ্টা মানিস। আর আমার সক্রিয় স্রষ্টাকে মানতে তোর এতো আপত্তি কেন বেতমিজ?
ছেলেটা বললো,
" আমি মানবোনা। তোমার কোন আপত্তি? "
___ নাহ্। আমার কোন আপত্তি নাই। তুমি থাকো তোমার মতো। কিন্তু আমাদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলো কেন? কোথায় পাও সে অধিকার?
তোমার মায়ের চেহারা আমার চোখে পতিতাদের মতো লাগে, এটাকে যদি আমার মুক্তচিন্তা বা বাকস্বাধীনতা বলি ....তুমি কি মেনে নিবে?
না, মানবেনা।
কারণ, বাকস্বাধীনতারও সীমারেখা আছে। সেটা অতিক্রম করবে, তো জাতির বিবেকের হাতে মরবে।
ছেলেটা ভয়ানক রেগে চলে গেলো।
আমি জানি, ওর হাতেই আমার মৃত্যু অবধারিত।
ওর অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি যে!
মরতে তো আমাকে হবেই।
২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১৩
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: ধন্যবাদ..।
২| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
ফ্রেশ ম্যান বলেছেন: চমতকার
২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১৪
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: হু চমৎকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
অস্পষ্ট নিয়ন আলো বলেছেন: ভালো লিখেছেন...