নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

মস্টার মাইন্ড

আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....

মস্টার মাইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়ায় কি উচিত আর কি উচিত নয়?

১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পরকীয়া প্রেমটা যেন আজ ঘর ঘরের কাহিনী। আজকাল মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে এই বিষাক্ত সম্পর্কের প্রভাব আর দুঃখজনক হলেও অনেককেই এই ব্যাপারটি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ধরুন, কোন ভাবে আপনি জানতে পেরে গেলেন আপনার স্বামী বা স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কথা। কখনো কি ভেবেছেন যে তখন কী করবেন? বিষয়টি এতই নাজুক যে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে খুবই সাবধানে। একটি ভুলে সম্পর্ক তো চিরকালের জন্য ভাঙবেই, ক্ষতিগ্রস্থ হবে সন্তান ও আপনার পরিবার, আর সমাজের সামনে অপদস্থও হতে হবে। জেনে নিন জীবনসঙ্গীর পরকীয়া ধরা পড়লে আপনি কী করবেন।

*আগে নিজেকে সামলে নিন, তারপর বাকি সব

এমন ঘটনা ঘটার পর রাগে-ক্রোধে পাগল পাগল লাগাটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ মানুষই এমন সময় রাগে ফেটে পড়েন বা কষ্টে ভেঙে পড়েন। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজের এই আঘাত নিজে আগে সামলে নিন নিজের ভেতরে। চেষ্টা করুন যতটা সব নিজেকে স্থির রাখতে এবং কিছুদিন চুপচাপ থাকতে। হুট করে কিছু করে বসবেন না, তাতে ভুল হবার আশংকাই বেশী। সম্ভব হলে জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে গিয়ে নিজেকে স্থির করুন।

*চেঁচামেচি করে কোন লাভ নেই

চিৎকার-চেঁচামেচি করে কোন লাভ নেই, এতে উল্টো নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার সকলকে জানিয়ে দেয়া হবে। বিশেষ করে তারা জেনে জাবে, যাদের কাজ মানুশকে নিয়ে গসিপ করা। আর জীবন সঙ্গী যদি বিপথে গিয়েই থাকেন, চেঁচামেচি করে তাকে আপনি ফেরাতে পারবেন না। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

*মুখোমুখি কথা বলুন

জীবনসঙ্গীর সাথে সরাসরি কথা বলুন। জানিয়ে দিন যে আপনি সব জানেন এবং জবাব চান যে তিনি কেন এমন করলেন। সাথে এটাও জেনে নিন যে তিনি কী চান। কেউ যদি আপনাকে ভালো না বাসে, তাঁর কাছ থেকে জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায় না। তিনি সম্পর্ক রাখতে চান কি চান না সেটা তাঁর কাছ থেকে জেনে নিন আগে। তারপর আপনি ভাবতে শুরু করুন যে আপনি কী চান।

*মুরুব্বীদের সাহায্য নিন

নিজের মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি বা মুরুব্বী কারো সহায়তা নিন যারা আপনাদের বিয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাঁদের সমস্ত বিষয়টা খুলে বলুন। মুরুব্বীরা অবশ্যই জীবন সম্পর্কে আমাদের চাইতে বেশী জানেন। তাই তাঁদের পরামর্শ অবশ্যই নিন নিজে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে।

*সন্তান হোক আপনার শেষ চেষ্টা

স্বামী-স্ত্রীর যদি সন্তান না থাকে, তখন আলাদা হয়ে যাওয়াটা একটু হলেও সহজ হয়। কিন্তু সন্তান থাকলে তাঁদের কথাই ভাবতে হবে সবার আগে। তাই যদি সন্তান থেকে থাকে আর আপনার ইচ্ছা থেকে থাকে সম্পর্ক ধরে রাখার, তাহলে সন্তানকে দিয়েই চেষ্টা করুন স্বামী বা স্ত্রীর মন ফেরানোর। মনে রাখবেন, স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্স হয়, মা-বাবার কিন্তু ডিভোর্স হয় না।

*ডিভোর্সের আগে খুব ভালো করে ভেবে নিন

ডিভোর্স কোন সহজ সিদ্ধান্ত নয়, তাই এই কাজটা করার আগে খুব ভালো করে ভেবে নিন। জীবনসঙ্গী যদি ক্ষমা চান ও শুধরে যাবার সংকল্প করেন, তাহলে তাকে আরেকটা সুযোগ দেয়া যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: এই ব্যাপার?
view this link

২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: হু.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.