![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....
স্কুল বা কলেজ, বাসা থেকে দূরুত্ব খুব একটা বেশি ছিল না৷ হেটে গেলে ৫ থেকে ৭ মিনিট৷ তাও সাইকেল চালিয়ে যেতাম৷ ভাল লাগত৷
প্রাইমারিতে আদব-কায়দার ও প্রাথমিক শিক্ষা হলেও মাধ্যমিক স্কুলে প্রবেশের পরই পরবর্তী জীবনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় আদব-কায়দার শিক্ষা দিয়েছিলেন আমার সম্মানিত শিক্ষকগণ৷
মনে পরে, বাসা থেকে সাইকেল নিয়ে যে পথ ধরে স্কুলে যেতাম সেই পথ ধরেই ৪-৫ জন শিক্ষক পায়ে হেটে স্কুলে যেতেন৷ প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ সামনে পরতেনই৷
তখন সবেমাত্র ক্লাশ সিক্সে উঠেছি৷ একটা সাইকেল কিনে দিয়েছিল তখন, নীল সাইকেল ৷ সেটা নিয়েই স্কুলে যাচ্ছিলাম৷ রাস্তায় আমার এক শিক্ষক এর সাথে দেখা হয় আমি সাইকেল এর ওপর থেকেই আদাব দিয়ে চলে যাই৷ শিক্ষক কে সাইকেল এর ওপর থেকে বা পেছন থেকে সম্ভাষণ জানানোটা যে বেয়াদবি তখন সেটা বোঝার বয়স হয়েছিল না ঠিকি কিন্তু সেটা শিক্ষার উত্তম বয়স ছিল সেটাই৷
সেই স্যার কোন এক ফাকে আমাকে কাছে ডেকে মাথায় আর পিঠে হাত বুলোতে বুলোতে বিষয় টা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ কি করা উচিত শিখেয়ে দিয়েছিল৷ এর পর প্রায় ৭ বছর সাইকেল ব্যাবহার করেছি একবারের জন্যও ভুল হয় নি শিক্ষককে দেখা মাত্র সাইকেল থেকে নেমে সালাম/আদাব দিতে৷ অথবা পেছন থেকে যাওয়ার সময় নেমে তার অনুমতি নিয়ে সামনে যেতে৷
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হবার পর বুঝি, কেন তারা মানুষ গড়ার কারিগর, কেন হাত পা নিয়ে জন্মালেই মানুষ বলা যায় না৷
শ্রদ্ধা আমার সেই সকল শিক্ষাগুরুদের যাদের প্রতিটা বেতের তিক্ত আঘাতই আমাকে অমানুষ হতে দেয় নি৷
স্কুল বা কলেজ, বাসা থেকে দূরুত্ব খুব একটা বেশি ছিল না৷ হেটে গেলে ৫ থেকে ৭ মিনিট৷ তাও সাইকেল চালিয়ে যেতাম৷ ভাল লাগত৷
প্রাইমারিতে আদব-কায়দার ও প্রাথমিক শিক্ষা হলেও মাধ্যমিক স্কুলে প্রবেশের পরই পরবর্তী জীবনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় আদব-কায়দার শিক্ষা দিয়েছিলেন আমার সম্মানিত শিক্ষকগণ৷
মনে পরে, বাসা থেকে সাইকেল নিয়ে যে পথ ধরে স্কুলে যেতাম সেই পথ ধরেই ৪-৫ জন শিক্ষক পায়ে হেটে স্কুলে যেতেন৷ প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ সামনে পরতেনই৷
তখন সবেমাত্র ক্লাশ সিক্সে উঠেছি৷ একটা সাইকেল কিনে দিয়েছিল তখন, নীল সাইকেল ৷ সেটা নিয়েই স্কুলে যাচ্ছিলাম৷ রাস্তায় আমার এক শিক্ষক এর সাথে দেখা হয় আমি সাইকেল এর ওপর থেকেই আদাব দিয়ে চলে যাই৷ শিক্ষক কে সাইকেল এর ওপর থেকে বা পেছন থেকে সম্ভাষণ জানানোটা যে বেয়াদবি তখন সেটা বোঝার বয়স হয়েছিল না ঠিকি কিন্তু সেটা শিক্ষার উত্তম বয়স ছিল সেটাই৷
সেই স্যার কোন এক ফাকে আমাকে কাছে ডেকে মাথায় আর পিঠে হাত বুলোতে বুলোতে বিষয় টা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ কি করা উচিত শিখেয়ে দিয়েছিল৷ এর পর প্রায় ৭ বছর সাইকেল ব্যাবহার করেছি একবারের জন্যও ভুল হয় নি শিক্ষককে দেখা মাত্র সাইকেল থেকে নেমে সালাম/আদাব দিতে৷ অথবা পেছন থেকে যাওয়ার সময় নেমে তার অনুমতি নিয়ে সামনে যেতে৷
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হবার পর বুঝি, কেন তারা মানুষ গড়ার কারিগর, কেন হাত পা নিয়ে জন্মালেই মানুষ বলা যায় না৷
শ্রদ্ধা আমার সেই সকল শিক্ষাগুরুদের যাদের প্রতিটা বেতের তিক্ত আঘাতই আমাকে অমানুষ হতে দেয় নি৷
১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫২
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: খুবই সত্য একটা কথা৷
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এটা সত্যি কথা ভাইজান । একটা সময় শিক্ষকদের বেতের বাড়ি তথা শাসন-সোহাগের ফলেই ছাত্ররা তথা সমাজে অনেক ভাল মানুষ তৈরী হয়েছিল এবং সামজে অমানুষ তৈরী নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছিল ।
এখন শিক্ষকদের সেই বেতের বাড়ি ত দূর একটু শাসনেরও সুযোগ নেই । যদি কোন শিক্ষক শুধু একটু রাগ করে কিছু বলে তাতেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে যায় আর একটু বেশী কিছু বললেত গ্যাং কালচারের প্রার্দুভাবে শিক্ষকের নেংটি খুলে নেংগুট পরিয়ে দিতে চায়।
অথচ একজন শিক্ষকের আদর-ভালবাসা-শাসন ই একটা মানুষের তথা ছাত্রের জীবনের প্রথম এবং সুন্দর জীবনের মজবুত ভিত্তি গড়তে সাহায্য করতে পারে যা বর্তমানে ব্যক্তি স্বাধীনতার বেড়া জালে সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: আমি তখন ক্লাশ টেনে পড়ি৷ সিক্স এ নতুন বছরের ভর্তি হয়ে সবে মাত্র ক্লাশ শুরু হয়েছে৷ সেই সিক্স এর এক ছাত্র শিক্ষককে সাইকেল এর চেন খুলে পিটিয়েছিল৷ সেদিন নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করেছিল৷ সে স্কুলের গন্ডি পেরুতে পারে নি৷
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৩
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: স্কুলে থাকতে সহকারি হেডমাস্টারের ভয়ে ক্লাস টেন ও ক্লাস ওয়ান একসাথে কাপড় খারাপ করে ফেলত। আমি খুবই ছন্নছাড়া ছিলাম। চার পিরিয়ডের পর ক্লাস করতে ভাল লাগত না, প্রায় প্রতিদিনই পালাতাম। পরের দিন সকালে অ্যাসেম্বলীতে সবার সামনে প্রায় প্রতিদিনই স্যারের কাছে মার খেতাম। যেদিন স্যার মারতেন সেদিন বিকালে বাবাকে জিজ্ঞেস করতেন আমি ঠিক আছি কিনা। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের পেনশনের কাজ করতে আবার যখন সেই এলাকায় যাই স্যার তখন হেডমাস্টার। আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিলেন। স্কুলের প্রায় সব শিক্ষকই এরকম ছিলেন। শাসন যেমন করতেন, ভালও বাসতেন। এখন আর সেই যুগ নেই
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: রোকেয়া নামের এক ম্যাডাম একদিন আমাকে বেত দিয়ে খুব মেরেছিলেন। এরপর দিন ম্যাডাম একসিডেন্ট করেছিলেন। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে,গরু পিটিয়ে মানুষ করা।মানুষ পিটাপিটিতে মানুষ করা যায় না।