![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ভেতরে আমি সমস্ত , বাহিরে কেবল তুমি আছ আর তোমার পৃথিবী ।
কবিতার কষ্ট সব ভেসে গেল জোছনার আঁধারে
আগেও ছিলাম বেঁচে
এখনো তো আছি এই স্বপ্নের ভাগাড়ে।
এই আমি
পৃথিবীর নিভে যাওয়া আগুনের পরে
জরাগ্রস্ত গলিত মাংসের খসে যাওয়ার
শব্দ শুনতে পাই
আর দগ্ধ চামড়ায় ঘেঁষে বসে থাকে কেউ।
পাখার হাওয়ায় অসহ্য সুচের বিদ্ধ হওয়াটাই
আমাদের একমাত্র কষ্টের লালাঝরা লোভ
ফাগুনের মত আবার বৈশাখ
কিংবা চৈত্রের রোদ
বুকে পিঠে মুখে
আর আঙুলের নখে ময়লায় মিশে
বেশ শুকিয়ে জট লেগে যাওয়া
কিছু দু টাকার নোটে।
বেচে থেকে অনেকে
গাছের জীবনে ফিরে পায়
দুগ্ধপোষ্য ছাগলের পশমের মত নরম ভাবনায়
দর্শন-জ্ঞান-বিজ্ঞানে
মৃত্যুর কয়েকবার আগের জীবনে
সাদা নাকি হলদেটে হয়ে ছিলো
এই দুপাটি দাতের মত।
যদি আরো কিছুদিন ফূটপাতে
হাত মেলে যারা
ঈশ্বরে দোহায় দেয়
আর এই আহাজারি নিয়ে
কবিদের কবিতারা
কিছুদিন বাদে পাউরুটি
আর লাল বা হদুল পানীয়তে
একাকার অনেকের টেবিলে
নাহয় বিছানায় থাকে
অনেক ভাবনা-ভাবনাহীনতা
স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের সারথির
বিচ্ছেদ কিংবা একটা আবেগের
বিবিধ ব্যাখ্যা কাগজের দু-মলাটে।
শরতের ফেঁপে উঠা মাঠে
কাকতাড়ুয়ারা কাতরাতে থাকে
ফুরিয়ে গড়িয়ে চলে লাশ
আর শহরের ত্রাস হয় কলেরার ভয়।
মিছেমিছি বছর তিনেকে ছেলে
অথবা মেয়েটার গা
ডাস্টবিনে।
তারা থাকে নাকি কাক আর কুকুরের সাথে
তুলি দিয়ে আঁকে কেউ কালো
আর আলোর কত রঙে
উঠে আসে ডাস্টবিন সহ
প্রাণহীন কথাবলা দেহ
আর কয়েকটা ফোটোগ্রাফ বলে দেয়
দুর্দশা চলছে এদেশে।
স্বাধীনতা পার্কের মোলায়েম ঘাস
সারাদিন যুগলে যুগলে
বাদামের খোসার উপরে ঘন নিঃশ্বাস।
আকাশটা হয়ে যায় সৌখিন
ঘরের সিলিং
রাতের শহরে যারা জোছনা প্রেমিক
আর তারা বুঝি শুয়ে রয়
এভাবেই বুঝি হয় কবিতার চাষ।
রাত বাড়ে রাস্তার ধারে ধারে
বেড়ে যায় ক্ষুধার্ত কুকুরের আহাস-হুতাশ।
চাঁদ কারোকাছে আজো
রুটি হয়ে ফোটেনি আকাশে
বৃথা কবিতার লাইন
তবু বারবার ফিরে ফিরে আসে
নারী-প্রেম-ক্ষুধা
আর অসহ্য আবেগের উল্লাস অপমানে
তবু জ্ঞানী ভূতগণ বেচে আছে
জেনেছিল মৃত্যুর গানে।
আমরা এখানে হাতরাই জীবনের মানে খুঁজি
আঁধার বেলার পর নিঃশব্দে ঘাস পাতা খাই।
অনেক আগের দিন পৃথিবীর প্রত্যেকটা সুখ
কেউ আগে করে গেছে তারপর আমরা সবাই।
২৮/০২/২০১৪ ( আবার ০৬/০৩/২০১৪ )
মিরপুর, ঢাকা
©somewhere in net ltd.