![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ভেতরে আমি সমস্ত , বাহিরে কেবল তুমি আছ আর তোমার পৃথিবী ।
কবেকার গন্তব্যে পথিক এখনো হাটে
কুয়াশা পেরিয়ে ধূসর ধুলায় জমাট বাধিয়ে চুল
বেমানান খুব অপরিচিত সুখ-উল্লাসে ঝড় হয় ।
তবু নিস্প্রভ আলো চেয়ে দেখে , বেঁচে থাকে মনে ভয়
করুণ এক নিদারুন এক মর্মাহত মৃত্যুর স্বাদ খোঁজে
পথিক হাটে কবেকার ভুল পথে - গুনছে সে মাসুল ।
রাত নিয়মিত বাড়ে , ঘুম সমুদ্রে মানুষ তলিয়ে যায়
কিছু কিছু অসহায় - আফসোসে মরে - জীবন যন্ত্রণায় ।
১৪ জানুয়ারি ২০২২
সব সত্য - সব আবার মিথ্যা হয়
বিবেচনায় মানব হৃদয় - খন্ডিত হয়
স্বপ্ন-প্রেম-ভালোবাসা-বিষ্ময় ।
বন্দি রোজ মুক্তির শ্বাস নিয়ে বাঁচে
অভ্যাসে ফিরে আসে অন্ধকার জলে;
আলো বড় বেমানান মনে হলে
ডুব দেয় - জন্মের আশ ভুলে মরণের কোলে ।
ঘনায়েছে গভীরে যে আবেগ - হিম হয়ে আছে যেই ঠোঁট
কুয়াশার মুহুর্তের সুখে - পরিপক্ব চোখও অস্ফুট ।
২৩ জানুয়ারি ২০২১
বিগত ভুলের মাশুল গুনা শেষ হলে পরে
রৌদ্রের চুম্বন সারা গায়ে মেখে
উত্তরের কুয়াশায় নির্ভয়ে চলে যাবো।
স্বার্থপর পরিচয়ে বেঁচে থাকা প্রত্যেক জীবন
অহেতুক জোস্নায় ভেসে ভেসে
লাভ আর লোভের ভেতরে
খোঁজ করে আনন্দ কোথায় পাবো?
১ নভেম্বর - ২০২০
একগাদা অভিযোগ করা আছে পেশ
তবু কেন হয়নাকো চাহিদার শেষ?
কি চাও তুমি আর কে বা চায় কি
অভিনয় করে করে দিচ্ছি ফাঁকি।
উজানের স্রোতে ফিরে জীবন যাপন
ভাটায় না ভেসে যেয়ে দেখছি স্বপন
ভুলে গিয়ে সাগরের স্বাধীনতা সুখ
উড়াই নাটাই-ঘুড়ি ; মনের অসুখ ।
তুমি চাও ; আমি চাই ; সে-ও কিছু চায়
শর্তের বেড়াজাল খাতার পাতায়।
৩ অক্টোবর, ২০২০
যোগ আর বিয়োগের পৃথিবিতে
আমাদের ভালোবাসা বাস করে ছলনার মেঘের আড়ালে।
হিসেবের বাইরে যে সময় সমুদ্রে ককপিটে আছড়ে বেড়ায়
তার মত আমাদের ভুলগুলো গুন ভাগে বিবর্ততিত হলে
পৃথিবীর নীলের মতই আমরাও মিছেমিছি হেলায় হেলায়
নগরীর ভাদ্রের জমে থাকা জলে।
সাদা কালো জীবনের পরে
অদৃশ্য নরকের উপরে
ঘর বেধে শহরের প্রাচীর বাড়াতে
আমাদের ভালোবাসা সমুদ্রের ঘ্রাণ মনে রেখে
আকাশের মেঘে রয় রোজ রোজ কালবৈশাখে।
৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
বক্তব্যে দন্ডায়মান বেরসিক সময়
ইতিহাস রচে যায়।
আমাদের সবার হৃদয়
অনেক আকাশী ভুলে দোল খায়।
স্থুলকায় পৃথিবীর প্রান্তরে
অভাবিরা জড়ো হয়ে রয়
দুঃসময়-দুঃসময়।
৩০ আগস্ট ২০২০
ভুলের নেশায় যে আসক্তি বিলাচ্ছি অবিচারে
জানি কোন অনন্তকালের পথেই আগুপিছু করে।
চৈত্রের অসাড় বৃক্ষের মত চিহ্নের খোঁজ
কারো কারো রোজকার জীবনের মানে হয়।
নিয়মিত পরিবেশ বিবরণে, অভাবের কারণে
পায়চারি করে করে চিন্তিত অবয়বের ক্ষয়।
২৮ আগস্ট, ২০২০
বিপরিতে কিছুই তো ছিল না
এক নীল আকাশে চেয়ে রয়ে ভেবেছি
অনেক দেখেছি শুভ্র সাদা মেঘ সহজেই ভেসে গেছে
আমাকে যেভাবে চেয়েছ তুমি তারপর
অন্ধকার ঘনিয়ে এসে তলিয়েছে তোমার শহর।
২৩ মে ২০২০
হাসির খোরাকে আজ জীবন সয়লাব
তবু মেকি পৃথিবীতে একই গান একই সুর।
আমাদের সকল সময় চোখে চোখে মিথ্যে খোয়াব
বাস্তবের কানাগলি শেষে সত্যের হয় ভাংচুর।
২০ মার্চ ২০২১
এখনো অনেক রাত বাকি
নিদ্রায় বিস্বাদ স্বপ্নে নগরীর জাগ্রত কুকুরেরা
শ্বাস ফেলে হেটে যায় অন্ধকারে ।
লোহার খাঁচায় কিছু চোখ চেয়ে থাকে
ল্যাম্পপোষ্টের আলো দেখে; কংক্রিট আর কালো পিচে
হাতরে বেড়ায় জীবনের সহজ হিসেবে ।
একই চাঁদে মিশে যায় গান
আর কবিতায় একি লাইন লিখে লিখে
কিভাবে বোঝাবে
সুখি মানুষেরা নিদ্রায় গেছে বহুকাল আগে ।
এখনো অনেক রাত বাকি
শহরের কোনায় কোন পেঁচা আজও রয়ে গেছ নাকি ?
এখানে আর ব্যস্ততা নেই
রাত্তির ঘনিয়ে এলেই
দেয়ালের ওপর দেয়াল ঘাড় গুজে শুয়ে পড়ে
জেগে থাকে কিছু চোখ দেয়ালের আঁধারে ।
তারা কি বুঝে গেছে সব?
এই রাত তাদের ভেতরে
সুখের আলেয়া নিয়ে আসে - ভালোবাসে ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
মর্মার্থ গুলো মর্মান্তিক রুপে
মনে মনে চিৎকার করে ।
অপার্থিব অনুভূতিগুলো তারাদের সাথে মিশে আছে
তোমার ভালোবাসার মত দুরে ।
একেকটা করে লাইন লিখে লিখে
তোমার পৃথিবী সৃষ্টি করছি,
সেখানে নিস্তব্ধতা, শৃঙ্খলে আটকিয়ে
প্রতিটি শব্দ , নিজেকে আলাদা রাখছি
কবি তার কবিতায় ভালবাসা খোঁজে,
আমি ভালবাসা গুলো খুঁজে পৃথিবী গড়ছি ।
নেশাখোরের ঘুম আসেনা,
মধ্যরাতে চুপ করে বসে থাকে সে ।
নেশার ডাক আসে শরীরে, মনে , আশেপাশে
তৃষ্ণায় শুকনো ঠোট ভিজিয়ে দেয়ার মত
কেউ নেই, কেউ নেই , কিছু নেই ।
অনেক দুরের কারো ভালোবাসার উষ্ণতা
প্রতিটি কোষকে রুক্ষ করে তুলছে ।
অনিয়ন্ত্রিত হাত কেপে কেপে উঠে
কাকে যেন খুঁজে পেয়েও ছুঁতে পারেনা ।
এসব সভ্যতার সঙ্গা আমাকে অসভ্য করছে।
ভাল লাগা সেই মায়ান রাত্রি
অরুচিকর কেন তোমাদের?
উলঙ্গ সংস্কৃতি যদি সহস্রাব্দ পর
ফিরে আসে আর কাচের বাক্সে বন্দি হয় ,
তুমিও কি মেনে নিয়ে সুখী?
কেন এই সব অসহিষ্ণু চেতন
ভবিষ্যৎ খোঁজে অতীতে ।
স্বাভাবিকতার সঙ্গা এখন ভুলে গেছি ।
অতিমাত্রায় নেশাখোর এই মনের
হরেক রকম নেশায় আসক্তি ।
তোমাকে ভাবলে দেহ অসার হয়ে যায়,
কিছুটা অন্ধকারে তখন সিগারেটের ধোয়ায়
নিজেকে বিলিয়ে দেই শূণ্যে ।
সত্যকে সত্য বলে ভাবি, সঠিক ভাবে দেখি
সাজাতে পারিনা সব অসম্ভব উপমায় ।
অল্পস্বল্প কবিদের মত ভাবি ,
দেই মনের মধ্যে জন্ম নেয়া শব্দের মুক্তি ।
শূণ্যতা গুলো কষ্টের ভরাট পীন্ড,
নিরবচ্ছিন্নভাবে বেচে আছি, খুবই বিরক্তি
জমা আছে জীবনের প্রতি ।
গাদা ফুলের মালা ফাস আটকে গলায়
ছটফট করে মৃত্যুর অনুভুতি ।
একটু ঘুমাতে চাই
অনেক দিন হয়ে গেল ঘুম নেই
তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি।
গেলাসের বরফের মত
সময় আমাকে গলিয়ে ফেলছে।
তাই তোমার কাছে
তোমার ঠান্ডা হৃদয়ের মাঝে আমাকে রাখো..
ভালোবাসার চেয়ে আমার এখন জমে যাওয়া দরকার।
একটা বরফ খন্ড হয়ে পড়ে থাকবো নাহয়।
নয়ত মুক্তি দাও,
একটু ঘুমাবো আমি স্বপ্ন দেখে দেখে।
ভালোবাসায় উষ্ণ করে তোলো
বাষ্প হয়ে তোমার সারা গায় লেপ্টে রব।
মাঝে মাঝে নিশ্বাসে নিঃশেষ জীবনের মত
ছাইপাশ খাই আর সেরে সেরে যায় সব ক্ষত।
বিস্তর অন্ধকার আর কিছু তারার আশ্রয়ে
পৃথিবীর গায়ে তুমি আমি।
ভেসে যাওয়া নাই হলো আর মেঘের তলায়
শকুনের ধূসর ডানায়।
এই রাত দিন সব মিছেই হারায়
সবাই ঘুম আর স্বপ্ন যদি পায়
সবুজ মাঠের কোণে
আইল ঘেষা কোন এক গ্রামে
বেঁচে থাকা হবে তবু অবচেতনে।
এইখানে কাটে দিন রাত
জেগে থাকা আর চেতনার ঘুমে।
এক সারি জানালার ছোটখাটো রুমে
মেঝেতে জমতে থাকা সিগারেট ছাই
একটা ট্যাবিল -বইয়ের আজন্মের ঠাই।
তবু আর কেন দিয়ে কাটানো সুদিনে
আসবো না ফিরে
জীবনানন্দ আর অন্ধকারে।
কয়েক শতাব্দী ভালোবাসা প্রেম বয়ে নিয়ে
ক্লান্ত এই সভ্যতার কোন মানবীরে
সব প্রেম করে যাব দান।
এই মেঝে আর বিছানার মত
আমিও পৃথিবীর সাথে ঘুরে যাই মহাবিশ্ব
তোমরাও এই পৃথিবীর সমান।
অলক্ষে কতকাল বয়ে গেছে যেইসব নদী
এই মেঝের বিছানায় মশারাও বুঝি
জানে সব ইতিহাস
ভুলে যাওয়া সমস্ত সভ্যতার মানুষের বসবাস।
তাই অন্ধকারে নীল নদ ফেলে এসে বিপাশার তীরে
ভাবনার তাবু গেড়ে ঘূরে ফিরে বারবারই আসি।
সব মৌসুমে
এইখানে কাটে দিন রাত
জেগে থাকা আর চেতনার ঘুমে
এক সারি জানালার ছোটখাটো রুমে।
আর কোন কবিতায় প্রতিহিংসা নয়।
অর্ধেক চাঁদে - পুরোনো বিশ্বাসের রঙ
পৃথিবীর মেঘের মতন
শ্বেত-শুভ্র থেকে কালচে মনে হয়।
ফুরিয়ে যে গেছে গেলাসের জলের ভেতরে
স্তব্ধ সিলিং ফেনের তলাতে
অবিরত ধ্বংসের পথে মাকর্সার ফাঁদে।
অর্ধেক চাঁদে - ডুবে গেছে অন্ধকার
আবছা আলোয় ন্যাড়া সব ধানের ক্ষেতে
ইঁদুরের জেগে থাকা ক্ষুধার বিস্বাদে।
২০১৫
গম্ভীর অন্ধকারে ফিরবার পথ যদি এভাবে আগলে রাখে
মৃত পাখিদের নীড়ে গেছো ইঁদুরের যে উদ্দামতা থাকে
তাও যদি পথিকের পথ শুধু হীম বরফের মত জাগ্রত
হাত দুটো পৃথিবীরে বারবার ভুলে যায়।
তবে আর কি চাইবো তোমায় ?
যদি আমি জন্মান্ধ হই যতই বুঝিয়ে বল উপমায়
আমার দু চোখে পৃথিবীর সৃষ্টি নেই
আর তার আলো কিংবা অন্ধকারও নেই।
১৫ সেপ্টেমবর ২০১৪
এই পৃথিবীর ছায়া যতদূরে স্পষ্ট হয়
জোছনার আলো সেখানে কল্পনাতীত কোন কবিতা ।
সেই সব জোছনার রাতের মত
আমাদের রাত কাটে
নির্ঘুম রয়।
তবুও সন্ধ্যা হয়
পাখিরা খুঁজে পায় নিজ নিজ নীড় ।
সব ঘরে ফিরে যায় - অন্ধকার সন্ধ্যা নামায়
ধীরে ধীরে পথে পথে কমে আসে পথিকের ভীর।
নাহয় আকাশ ছিল -
শূন্য বলে ফলাফল নেই - তবু এই
অন্ধকার কবেকার প্রাচুর্য গিলে নিয়ে রোজ
ফিরে আসে
তারপরে জোছনার মত কিছু মিথ্যে আলেয়ায়
কত কত অভাবীরা কারো সাথে কল্পনায় ভাসে।
আমাদের দীর্ঘতম দুঃস্বপ্নের শেষ গুলো বিপাশার
স্রোতে মিশে
অনেক অনেক সব পাথরের পাহারের
বাঁকে বাঁকে রয়
হেমন্তের পর - পৃথিবীর পুরাতন কোন
শহরে।
নভেম্বর ২১, ২০১৩
আমাদের পাতিহাঁস গুলো ঘুমিয়ে গিয়েছে
ওম নেই আর তাদের শরীরে -
তবু মৃতদের সাথে আপোষ হয়নি
তবু তারা আজো যেন জল খুঁজে পায়নি ।
এই শরীরের জ্বর অহেতুক লেগে থাকে
কপালে-বুকে আঙুলের ফাঁকে
শীতল জলের ছোঁয়া আষাঢ়ে গল্প হয়ে গেছে।
কার প্রেম কাক হয়ে কালো কালো পায়
ধীরে ধীরে আসে - কাছে আসে
হঠাৎ হয়ত দেখা যাবে পালিয়ে গিয়েছে ।
হীম অন্ধকার আর কবিতার শেষ কিছু পঙক্তির পর
বুঝা গেলো তার ফিরে আসবার নেই অবসর ।
যদি এমন হত আমাদের গল্পটা
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর
বাসস্টপের ছাউনিতলায় বসে থাকা পাশাপাশি
শুধু তোমার হাতটা ধরার সল্পতা ।
তোমাকে দেখার পর
সব কিছু মিশে গেছে পাণ্ডুলিপিতে
শুধু রয়ে গেছে সব অর্থহীন শব্দের ভাষা -
জেগেছে চৈত্র বুকে -
ঠোটে লেগে গেছে অতল পিপাসা।
তোমাকে দেখার পর
মনে হয় আকাশের তলে কেউ আছে
যার তরে জোছনার আলো - বৈশাখী ঝড়
রোজ রোজ ঘুম আর স্বপ্নের পর
তবু মনে হয় ঘুমিয়ে রয়েছি আমি -
তোমার কোলে যেন মাথা রাখা আছে।
৭ নভেম্বর ২০১৩
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৯
হিজিবিজি বিজ বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাবলাম এতদিনের ভাবনা , কল্পনার ফসল গুলো গুছিয়ে এই ব্লগে রেখে দেই । তাই এত বছর পরে আবার ব্লগের দুনিয়াতে ।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার কাব্য কথন। তবে একসাথে এতোটা না দিয়ে আরেকটু ছোট আকারে দিলে আমার মনে হয় আরো পাঠক প্রিয়তা পেতো। যাইহোক সুন্দর লেখনীতে ভালো লাগা রইলো।
পোস্টে তৃতীয় লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৫
হিজিবিজি বিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ছোট আকারে অনেক গুলো করা যেত , সেভাবেই দিচ্ছিলাম । কিন্তু ধৈর্য্য ইদানিং কাজ কম করে তাই এই অবস্থা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৬
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: জীবন ধর্মী।
চমৎকার