নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বনমন

দেশকে ভালবাশি

হিজলবন

লেখালেখি ভালো লাগে

হিজলবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবারও একটি এবং শেষ বারের মত সবিনয় অনুরোধ

২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪



আমি গত ৫ মার্চ, ২০১৩

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি সবিনয় অনুরোধ

এই শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম

সেখানে শেষের দিকে নিচের এই লেখাগুলো উল্লেখ ছি লঃ

‍"তাই আপনার কাছে সবিনয় অনুরোধ- আপনার সরকারের উদ্যোগে শুধুমাত্র দেশের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি জাতীয় সংলাপের আয়োজন করুন।

এই সংলাগে যদি সকল দল সম্মতি দেয় যে হে সকল দলে অবস্থান করা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবে। তাহলে সেটা জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে চলতে পারে। আর যদি সকল দল বলে যে ৪২ বছর আগে যে ঘটনা ঘটে গেছে সেটা নিয়ে সামনের দিকে আর বাড়াবাড়ি করে লাভ নেই। তাহলে এই ইসু্টি মনে হয় বন্ধ করা যেতে পারে। আর এক্ষেত্রে আপনার সরকারের সুনাম বাড়বে কিন্তু কমবে না। কারণ আমাদের জাতির জন্য একটা বড় সমস্যা। তাই আপনার হাত ধরে যদি এই সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যায় তাহলে আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনে শুধুমাত্র এই কারণেই জনগণ আপনাকে বিপুল ভোট প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত করবে।

আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মত ক্ষুদ্র একজন প্রজার পরামর্শটা গ্রহণ করবেন।"



আজ ২২ জুন ২০১৩ আবারও বলতে চাই

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা তার প্রক্রিয়া নিয়েই কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ সরকারের এই অবস্থা।এই বাইরে অন্য যে কোন কারণ রয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপর্যস্তৃ করার মত ছিল না। জামায়াত হল একটি সুসংগঠিত দল। তারা মনে আমাদেরকে যেহেতু এই সরকার নিশেষ করে দিতে চায় সুতরাং তাদেরও টার্গেট এই আওয়ামী লীগকেও শেষ করে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- যুদ্ধাপরাধ ইসুটি একটি পুরাতন ইসু। এই ইসু্যটিকে কেন্দ্র করে জামায়াতকে দমন করার নীতির কারণে জামায়াত বিএনপির সাথে ঐক্য ধরে রেখেছে। কিন্তু যদি এই সরকার জামায়াতের উপর এতোটা কঠোর না হত তাহলে হয়তো এতোদিন ১৮ দলীয় জোট থাকতো কিনা তার ভেবে দেখার বিষয় ছিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- এটা বাস্তব যে যে কোন আদর্শিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায়, জুলুম নির্যাতন করা যায়, জেল জরিমানা দেয়া যায়, শীর্ষ নেতাদের ফাসি বা হত্যা করা যায়। কিন্তু সেই আন্দোলনের কাজ দমিয়ে রাখা যায় না। যেটা জামায়াতের বেলায় হয়েছে।

আর জামায়াতকে দমন করতেই গিয়েই কিন্তু শাহবাগ, শাহবাগ থেকেই নাস্তিক আস্তিক প্রশ্ন। হেফাজত আরও কতকিছু। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আপনার সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে হয়তো ভবিষ্যতে আরো অনেক নতুন ইসু্ তৈরি হতে পারে।



তাই আমি আপনার একজন প্রজা হিসেবে শেষ বারের অনুরোধ করতে চাই- যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি নিয়ে আপনি পুনর্বিবেচনা করুন। প্রয়োজনে জাতীয় সংলাপ ডাকুন। জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দেয়ার চিন্তা থেকে সরে এসে লঘু শাস্তি দেয়ার চিন্তা করুন। দেখবেন সারাদেশে আওয়ামী লীগের অবস্থা আবারও ঘুরে যাবে। হয়তো আপনার এই উদারতার কারণে আগামীতে আবার ক্ষমতাসীন হতে পারে আওয়ামী লীগ।

নতুবা যে পরাজয় শুরু হয়েছে তা থেকে আগামী নির্বাচনে ভরাডুবির হাত হতে রক্ষা পাওয়া যাবে না।

তখন হয়তো আওয়ামী লীগের উপর জুলুম নির্যাতন হতে পারে যা কাম্য নয়।

স্বাধীনতার কৃতিত্বের দাবিদার আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়তো অনেকেই মানতে পারবে না। কিন্তু জনগণ সমর্থন না দিলে কিছুই করার থাকবে না।

সুতরাং আমার শেষ অনুরোধটি ভেবে দেখার প্রত্যাশা করছি। সময় গেলে বুঝা যাবে আপনার একজন ক্ষুদ্র প্রজা আপনাকে সঠিক না ভুল অনুরোধ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ছালাম জানিয়ে আমার লেখা শেষ করলাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।













মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.