নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হলুদ ফুলের আলো

খন্ডিত চিন্তার খন্ডিত গল্প । কিছু খন্ড খন্ড নিয়ে খন্ড আনন্দ । আশা করি জোড়া দিয়ে নিবেন

হলুদ ফুল

আমার নাম "হলুদ ফুল " । ফেজবুকেই লিখা লিখি শুরু । ওখানে সবাই "রাস্তার রোদমাখা একটি হলুদফুল" নামে চিনে । সামান্য কিছু লিখি । তবে মান ঠিক রাখতে ট্রাই করি । ফেজবুকে সবাই "আলী" নামে ডাকে । আর কিছু নিজের সম্পর্কে বলার নেই । :)

হলুদ ফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হুমায়ুন স্যারের" সাথে "হিমুর" কয়েক মিনিট ( উৎসর্গ হুমায়ুন আহমেদ স্যার কে ) মিস ইউ স্যার :(( :((

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৫২

কিছু কিছু ছেলেপেলে প্রতিটা এক্সামে ১ম অথবা ২য় হবেই । তাদের মধ্যে টগরের ছোট মামা অন্যতম । টগরের ছোট মামার নাম " শুভ্র" । এই বার সে ঢাকা ভার্সিটিতে কয়েকটা বিভাবে ১ম হয়ে চান্স পেয়েছে । এতো ভাল ভাল সাব্জেক্ট থাকতে সে কিনা নিয়েছে "বাংলা সাহিত্য !!! " এই নিয়ে বাসায় বিরাট "সিডর" গেছে । বাসার সব প্রবলেম যিনি সমাধান করেন তিনি হচ্ছেন টগরের বড় চাচা "চৌধুরী আজমল হোসেন" :)

হিমু হওয়ার অপরাধে চৌধুরী আজমল হোসেন "শুভ্র" কে ২টা রসগোল্লা সাইজের চক্ষু দিয়েও দেখতে পারেন না । :)

এবার ঢাকা ভার্সিটি শুভ্রকে দিয়ে গান গাওয়াবে । তাই একটি জমকাল আনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে । "হুমায়ুন আহমেদ স্যারের " মৃত্যু বার্ষিকীতে নুহাশ পল্লীতে এই অনুষ্ঠান টা হবে :) । আজমল সাহেবের ফুল ফ্যামিলিকে সেই অনুষ্ঠানে ভিয়াইপি গ্যালারীতে বসিয়ে সম্মান দেওয়া হবে । আর "শূভ্রকে" গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে । :)

আজমল সাহেব মনে মনে খুব খুশী কিন্তু মুখে প্রকাশ করছেন না । সেহেরী খেয়েই কাজের মেয়েকে বলে দিয়েছেন ঈদের কেনা সাদা পাঞ্জাবীটা যেন সুন্দর করে ধুয়ে দেওয়া হয় । কাজের মেয়ে পাঞ্জাবীটা ধুয়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু রাতের বৃষ্টিতে তা আর শুকাচ্ছে না :P

বড় বিপদে পড়ে গেলেন আজমল সাহেব । মন্ত্রী মিনিস্টারের সাথে ভিয়াইপি গ্যালারীতে এই প্রথম বসবেন , অথচ পাঞ্জাবী শুকায় নি !!! কি মহা মছিবত !! :/

তিনি রাশিফলে বিলিভ করেন না । তবু ও আজকের প্রথম আলো পত্রিকার রাশি ফলের পাতাটা ভাল করে পড়ে দেখছেন । :P । দিনের শুরু টা শুভ হবে নাকি শেষ টা !! :P । কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি ভুলেই গেছেন তার জন্ম তারিখ টা আসলে কত :P । কি মহা মছিবত !!!

এ দিকে শুভ্র হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে রেডী । সকাল সকাল যেতে হবে । ৯ টা থেকে অনুষ্ঠান । ১৯ শে জুলাই এই অনুষ্ঠান শুভ্র কিছুতেই মিস করতে পারে না । আজকে তার জনকের মৃত্যু বার্ষিকী । যথা সময়ে গাড়ি নুহাশ পল্লীতে এসে পৌঁছল । অনেক সাহিত্যিক ও জ্ঞ্যানীগুনী ব্যাক্তির আগমন ঘটেছে । আজমল সাহেব কেন যেন একটু ইতস্ত বোধ করছেন । কারন তার ঐ সাদা পাঞ্জাবী টা আর শুকায় নি । শেষ দিকে "আইরন" করা হয়েছে । তাও ভিজা ভিজা করছিল । ফলে শুভ্র থেকে একটা পাঞ্জাবী ধার নিয়েছেন তিনি । শুভ্রের পাঞ্জাবী মানেই "হলুদ পাঞ্জাবী " । বয়স্ক একটা লোক হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে এদিক উদিক ঘুড়ছে দেখতেই কেমন যেন লাগে । তার লজ্জা কেটে গেল শুভ্রের কন্ঠে "হুমায়ুন স্যারের উদ্দেশ্যে" গাওয়া গান শুনে । ছেলেটা এতো সুন্দর গান গায় আর তিনি কিনা "হিমু" হওয়ার অপরাধে থাকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন । শুভ্রের গান হুমায়ুন স্যারের কবর ঘেঁষে চলে যায় দূর দুরান্তে । ছুটে বেড়ায় নুহাশ পল্লির আনাচে কানাচে । নুহাশ পল্লি যেন হয়ে ওঠে "হিমু" ও " মিসির আলীর" সম্পত্তি । আজকে এখানে কেউ থাকবে না । থাকবে হিমুরা । থাকবে কয়েক মিনিটের অশ্রু বিসর্জন আর হিমুদের আর্তনাদ । কেন আমাদের কাহিণী অসম্পূর্ণ রেখে গেলে হে হিমুর জনক ? কেন এভাবে মায়ার বাঁধনে বেধে গেলে ?

আসলে দুনিয়া বড়ই রসিক । মানুষকে কাদিয়েও মজা নেয় !!! :(( :((

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর ‌'সাহিত্যিকের মৃত্যু এবং আমাদের গদগদে আবেগ' শিরোনামে একটি গদ্য রচনা করেছিলাম। আজ গদ্যটি স্মরণ করছি। যারা পড়েননি তাদের পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

হলুদ ফুল বলেছেন: আমি সমালোচনা করি নিজের উপর । অন্যের টা করে মজা পাইনা । তাই আমার কমেন্টে কিছু মনে করবেন না । আমি আপনার বা অন্য কারো সমালোচনা করছি না আগেই বলে নিচ্ছি :)
আপনি ছোট বেলায় বাংলা স্বরবর্ণ পড়েছেন তো ? কত ভুল উচ্চারন ছিল তাতে ? অনেক অনেক ভুল উচ্চারন শিখেছি বাবা-মা বা শিক্ষকের কাছেই । কিন্তু ভুল হলে ও তাই আমার প্রথম "বর্ণ " । এখন বড় হয়েছি আর আধুনিক বর্ণ উচ্চারন গুলো ভাল করে পারি । আমি কি বোঝাতে চেয়েছি কিছু টা কি ধারনা করতে পারছেন ? আচ্ছা ক্লিয়ার করেই বলি :)
৩য় ক্লাস থেকে ১০ ক্লাস পর্যন্ত কোন সাহিত্য ভাল লাগে নি । কিছু কিছু সাহিত্য অনেক ভাল লেগেছে কিন্তু ইচ্ছে হচ্ছিল আরেকটু যদি বড় করা যেত তবে আরেকটু পড়তে পারতাম । "হাজার বছর ধরে " উপন্যাসের যদি একটা সিরিয়াল থাকত তবে আরো একবার গাছ তলায় বসে একা একা বই পড়তাম :) । কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি । আপনি বলবেন হয় তো " এরকম হাজারো বই আছে " ।
উত্তর হচ্ছে "তাতে আমার কি ? । " আমার তো জহির রায়হান ভাল লাগে । উনি না লিখলে পড়ব না । :)
আমার কথা শেষ । কেউ যদি একজন লেখকের মাঝে সীমাব্ধ থাকতে চায় তবে থাকুক । রবিন্দ্র ও নজরুল গানের মাঝেও অনেকে লাইফ শেষ করে দিছে । অথচ "আব্দুল হাদির" এর গান আমার মনে টানে । ভাল লাগা টা আপেক্ষিক । সুতরাং ভাল জিনিসের মাঝে আমরা সুনাম দ্বারা পার্থক্য করতে পারি কিন্তু তাও মনে হয় উচিত হবে না । আর কারো খারাপ দিক দেখি পার্থক্য করলে ভক্ত হিসেবে মনে খুব লাগে । দুঃখিত অনেক কিছু বলে ফেললাম । তবে মানূষ হিসেবে কারো মৃত্যুতে ৩ দিনের বেশী আফসোস করা উচিত নয় । তাই বলে তাকে মনে করে একটু কষ্ট পাওয়ার অধিকার তো আছে । এতে ও একটা শান্তি আছে । এই অশ্রুতে ও ভালবাসার টান আছে ব্রাদার :)

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: হিমুর হলুদ প্রভাব থেকে যায় অনেক যুগ ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

হলুদ ফুল বলেছেন: থাকতে বাধ্য । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.