![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতীব সাধারন ছেলে। সাধারণ মনের ছোটো ছোটো স্বপ্ন গুলোই আমার বেচে থাকার প্রেরনা।
ঘটনাটি বলেছেন মুজাম্মেল স্যার,আলামিন একাডেমি,চাদপুর।এটা ওনার সাথে ঘটে যাওয়া একটি করুন কাহিনী।আমি ওনার ভাষায় বলছি-
রাস্তার পাসে দাড়িয়ে ছিলাম রিক্সার জন্য, হটাথ একটি বাচ্চা ছেলে এসে হাতের আঙ্গুল ধরে বলল,”স্যার আমাকে পাঁচটা টাকা দেন,আমি আর আমার মায় কিছু খামু।আমি ছেলেটির দিকে তাকালাম,বয়স কত হবে ৭-৮ হবে হয়ত।আমার দেখে খুভ মায়া হল।আমি বললাম তোমার মা কথায়?ওইযে রাস্তার টাকা দেন,আমি আর আমার মায় কিছু খামু।আমি ছেলেটির দিকে তাকালাম,বয়স কত হবে ৭-৮ হবে হয়ত।আমার দেখে খুভ মায়া হল।আমি বললাম তোমার মা কথায়?ওইযে রাস্তার ওই পাড়ে খাড়াই রইচে। আমি তাকালাম লিকলিকে ধরনের মহিলা,দেখলেই বুঝা যায় অপুষ্টিতে ভুগছে।আমি তাকে বললাম বাবা আমার কাছেতো ভাংতি নেই।আমারে দেন আমি ভাংতি কইরা দিমু।তার হাতে ১০০ টাকার নোট দিয়ে বললাম ১০ টাকা তুমি রাধে বাকি ৯০ টাকা ফিরত দিয়ে যাও।আমি দেখলাম ছেলেটির চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেল।আমার মনে হয় কখনো কেউ তাকে একসাথে ১০ টাকা দেয়নি।আমাকে বলল আপনি একটু দারান আমি অক্ষন দিতাচি।এই বলে দৌড় দিল।তারপর আমি ফিরে দাড়ালাম।হটাথ পিছন দিক থেকে একটা শব্দ শোনা গেল”ওমাগো”।আমি পিরে তাকালাম।যা দেখলাম তাঁর জন্য আমিও মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।চারাপাশ থেকে লোক এসে ভিড় জমল রাস্তার মাঝখানটা ঘিরে।আমি ধিরে ধিরে সামনে এগিয়ে গেলাম,লোকজনের ভিড় ঠেলে সামনে গেলাম,ছেলেটির রক্ত মাখা শরীর পড়ে আছে,পাশের কিছু রাস্তাও রক্তে লাল হয়ে ভেসে গেছে।তার মা পাশে বসে নিথর হয়ে তাকিতে আছে তাঁর সন্তানের দিকে।হয়ত এখনো বুঝে উঠতে পারছেনা কি হয়েছে। হয়তবা তাঁর মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে।আমি তাকিয়ে দেখলাম ১০০ টাকার নোটটা এখনো হাতে ধরা।নিরবে চোখের জল পেলা ছাড়া তখন আর কিছুই করার ছিলনা।...
<<হিমেল রাকিব>>
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্য করার ভাষা নেই...