নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি 'হিটাকাঙ্ক্ষী' নই 'হিতাকাঙ্খী'

হিতাকাঙ্খী

আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)

হিতাকাঙ্খী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্রোক-এর লক্ষন এবং তাৎক্ষণিক করণীয়

৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

অনেকের ধারণা, স্ট্রোক হচ্ছে হূদ্যন্ত্রের কোনো সমস্যা। কিন্তু এটি আসলে মস্তিষ্কের একটি রোগ। এতে রক্তনালির জটিলতার কারণে হঠাৎ করে মস্তিষ্কের একাংশ কার্যকারিতা হারায়। আমাদের দেশে স্ট্রোকের হার প্রতি হাজারে ৫-১২ জন এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ।

লক্ষণ

১. হঠাৎ শরীরের একাংশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া।

২. মাথাব্যথা ও বমি।

৩. হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

৪. কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে না পারা।

তাৎক্ষণিক করণীয়

কোনো রোগীর লক্ষণগুলো দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া উচিত। মস্তিষ্কের সিটিস্ক্যান করে স্ট্রোকের ধরন নির্ণয় করা হয়। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার জন্য অথবা রক্তক্ষরণের জন্য হতে পারে। চিকিৎসাপদ্ধতিও ভিন্ন। তাই নিশ্চিত রোগ নির্ণয় জরুরি।

জরুরি চিকিৎসা

অজ্ঞান রোগীর ক্ষেত্রে—

১. শ্বাসনালি, শ্বাসপ্রশ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত রাখার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে।

২. রোগীকে একদিকে কাত করে, বালিশছাড়া মাথা নিচু করে শোয়াতে হবে।

৩. চোখ ও মুখের যত্ন নিতে হবে।

৪. প্রস্রাব আটকে গেলে বা প্রস্রাব ঝরলে প্রয়োজনে ক্যাথেটার দিতে হবে।

৫. পুষ্টি ও খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে নাকে নল দিতে হতে পারে।

সব স্ট্রোক রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, অচেতন রোগী অথবা অন্য সমস্যা যেমন অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন। চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য মৃত্যুঝুঁকি কমানো, কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং পরে যেন স্ট্রোক না হয় তার ব্যবস্থা করা। সময়মতো চিকিৎসা পেলে ৩০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

প্রতিরোধের উপায়

স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য চাই সচেতনতা। রক্তের চর্বি, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান বর্জন, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন ঠিক রাখা, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি, সতেজ ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

 ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী

ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসন।



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হিতাকাঙ্খী +++++++++

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১১

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: +++ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.