নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি 'হিটাকাঙ্ক্ষী' নই 'হিতাকাঙ্খী'

হিতাকাঙ্খী

আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)

হিতাকাঙ্খী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুর হঠাৎ জ্বর

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩





জ্বর কোনো রোগ নয়। এটি রোগের উপসর্গ। জ্বরের অন্যতম কারণ নানা ধরনের সংক্রমণ। শিশুদের সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয় থেকে শুরু করে হাম, বসন্ত এবং আরও জটিল কোনো সংক্রমণ যেমন, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিসের প্রথম লক্ষণ জ্বর। তাই জ্বরকে অবহেলা করা ঠিক নয়।

শিশুর জ্বর হলে লক্ষ করুন:

১. ঘাড়ে শক্তভাব, সামনে-পেছনে নড়ায় সমস্যা মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিসের লক্ষণ।

২. কাশি ও শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন শ্বাস, বুকের খাঁচা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, বুকে শব্দ ইত্যাদি হতে পারে নিউমোনিয়ার লক্ষণ।

৩. শরীরে দানা, দাগ, ফুসকুড়ি থাকলে হাম বা বসন্ত কি না, দেখে নিন। তবে ডেঙ্গু, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মারাত্মক অ্যালার্জিতে ত্বকে এমন দানা থাকতে পারে।

৪. শিশু জ্বর সত্ত্বেও স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া ও আচরণ করছে কি না, খেয়াল করুন। শিশু যদি নেতিয়ে পড়ে, অর্ধচেতন দেখায়, শুষ্ক ও পানিশূন্য দেখায়, খিঁচুনি হয় বা শ্বাসকষ্ট হয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

বেশির ভাগ ভাইরাসজনিত জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে তা টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা মারাত্মক অন্য রোগের জন্য হতে পারে।



গা গরম হলেই জ্বর নয়। শিশুর বগলের নিচে থার্মোমিটার তিন-পাঁচ মিনিট রাখার পর দেহের তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি পাওয়া যায়, তবে জ্বর আছে ধরে নিতে হবে।

বাড়িতে কী করবেন

 যে বাচ্চা বুকের দুধ পান করে, তাকে বারবার বুকের দুধ দিন।

 স্বাভাবিক তরল খাবার ও প্রচুর পানি পান করান, যাতে শরীর পানিশূন্য না হয়।

 শিশুর ওজন ও ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ান বা সাপোজিটরি ব্যবহার করুন।

 ছোট শিশুকে সর্দিকাশির সিরাপ, যাতে জ্বর কমানোর উপাদানও আছে, তা সেবন করানো উচিত নয়। এতে জ্বরের ওষুধের ‘ওভার ডোজ’ হয়ে যেতে পারে।

 পানি ও ভেজা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জ করলে উপকার হয় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। দেখা গেছে, এটি প্যারাসিটামলের চেয়ে বেশি কার্যকর নয় এবং প্রায়ই শিশুদের বিরক্তি উৎপাদন করে।

 শিশুর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক (১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রাখুন। জানালা খুলে রাখুন, যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যান ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত কাপড়-চোপড় ও কাঁথা বা চাদরের প্রয়োজন নেই। বিশেষত, মাথা ঢেকে রাখবেন না, কারণ ছোট্ট শিশুদের তাপ মাথা থেকেই বেশি নির্গত হয়। জ্বর ছাড়ার জন্য তাপ নির্গত হওয়াটা জরুরি।

 ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী

শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.