নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি 'হিটাকাঙ্ক্ষী' নই 'হিতাকাঙ্খী'

হিতাকাঙ্খী

আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)

হিতাকাঙ্খী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার বাচ্চাটি কাঁদছে, থামাবেন কীভাবে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

আপনার বাচ্চাটি কাঁদছে, থামাবেন কীভাবে?
সব বাচ্চাই কাঁদে, তবে কোনটি কম কাঁদে, কোনটি বা বেশি। একটি শিশুর কখন কি প্রয়োজন, সে আরাম চায়, না আদর চায়, নাকি তার খিদে পেয়েছে, ন্যাপি ভিজিয়েছে, এসবই সে জানান দেয় কান্নার মধ্য দিয়ে। কখনও কখনও খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনটা বুঝে উঠা যায়, কান্নাকাটিও বন্ধ করা যায়। কখনও বা তা থাকে সাধ্যের বাইরে।
বাচ্চারা কেন কাঁদে?
• খিদে পেলে;
• ন্যাপি ময়লা করলে বা ভিজিয়ে ফেললে;
• ক্লান্ত হলে;
• কোলে উঠতে চাইলে;
• ঠাণ্ডা বা গরমে;
• কোনকিছুতে উত্সাহ হারিয়ে ফেললে;
• উত্তেজিত হলে।
আপনার বাচ্চাটিকে একটু খেয়াল করুন। দেখুন, সে হয়তো দিনের কোন একটা সময়কে বেছে নিয়েছে কান্নার জন্য। প্রতিদিন একই সময়ে রুটিন করে সে কাঁদে। কিছুতেই তাকে সামাল দেওয়া যায় না। বিশেষ করে সন্ধ্যার আগের মূহূর্তটিকে ওরা বেছে নেয় কান্নাকাটির জন্য। দিনের ওই সময়টাতে আপনি যখন সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত বোধ করছেন, তখনই শুরু হয় তার কান্না। এর সাথে মানিয়ে নেওয়া আপনার জন্যও হয়ে উঠে কঠিন।
কিন্তু কিছু একটা তো করতেই হবে, তাই না? নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য। চেষ্টা করেই দেখুন না-
• আপনি যদি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাহলে তাকে দুধ খাইয়ে দেখতে পারেন।
• যদি সে বোতলে দুধ খায়, তবে তাকে বোতল জাতীয় কিছু একটা দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বোতলগুলো স্টেরিলাইজড হতে হবে। দাঁতের ক্ষতি রুখতে মিষ্টি জাতীয় কিছু দিবেন না। অনেক শিশু আছে যারা তাদের বুড়ো আঙুল চুষে। কেউ কেউ আবার কাপড়ের টুকরাও মুখে দেয়।
• বাচ্চাকে এমনভাবে রাখুন, যাতে সে আপনার কাছেই থাকে। তার চারপাশে আস্তে করে হাঁটুন, গুন গুন করে গান করুন, নাচুন, কথা বলুন তার সাথে।
• বাচ্চাটিকে সামনে-পিছনে দোলান। অথবা সম্ভব হলে তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হোন, গাড়িতে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। অনেক বাচ্চা আছে, যারা গাড়িতে ঘুমাতে পছন্দ করে। গাড়ি বন্ধ করে দিলেই ওরা বুঝে ফেলে এবং ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠে। যাই হোক, একটু সময় আপনি পাবেন। এর মধ্য দিয়ে কিছুটা বিশ্রাম আপনারও হয়ে যাবে।
• কোনকিছু খুঁজে বের করুন, যেটার দিকে আপনার বাচ্চা তাকিয়ে থাকতে বা শুনতে পছন্দ করবে। এটা হতে পারে রেডিও মিউজিক, অথবা তার বিছানার ওপরে ঝুলিয়ে রাখা কোন খেলনা বা মোবাইল।
• বাচ্চার পিঠে আলতো করে, আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দিন, তাকে বুকে চেপে ধরুন, অথবা কোলে নিয়ে আপনার মুখের সামনে তাকে ধরুন। এমনও হতে পারে, আপনি তার পোশাক খুলে আলতো করে, সময় নিয়ে তার শরীরে বেবি অয়েল মাসাজ করে দিতে পারেন। এসময় বাচ্চার সাথে খুব সুন্দর করে কথা বলুন, রুমটাকে যথাসম্ভব ঈষদুষ্ণ গরম রাখুন। কিছু ক্লিনিক আছে যেখানে বাচ্চাদের মাসাজের ব্যবস্থা আছে। এর খোঁজ পেতে আপনি কথা বলতে পারেন আপনার চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকের।
• ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে বাচ্চাকে স্নান করান। এই প্রক্রিয়া অনেক সময় অনেক বাচ্চাকে শান্ত করার ক্ষেত্রে ভাল কাজ দেয়। তবে এর উল্টোটাও হয়। অনেক বাচ্চা আছে, যারা এসময় জোরে চিত্কার করে কাঁদতে শুরু করে।
• মোট কথা হলো, আপনি সবরকম প্রক্রিয়া আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে দেখবেন। দেখবেন নিজেই পেয়ে যাবেন এর উত্তর।
• অনেক সময় বাচ্চার সাথে নাচানাচি করলে বা গান গাইলে বাচ্চারা জেগে থাকে। সেক্ষেত্রে তাকে খাওয়ানোর পর শুইয়ে দিয়ে দেখতে পারেন। কাজে আসতেও পারে।
• বড় কথা হচ্ছে, যেকোনো সমস্যায় পরামর্শের জন্য আপনি আপনার চিকিৎসকের সাহায্য নিন।

বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় যদি কাঁদে:
অনেক বাচ্চা আছে যারা খাওয়ানোর সময় কাঁদে এবং অস্থির হয়ে পড়ে। বাচ্চা যদি বুকের দুধ খায়, তাহলে আপনার সান্নিধ্য এ অবস্থা থেকে অনেকখানিই রেহাই দিতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর কোন সেন্টার বা ড্রপ ইন সেন্টারে আপনি যেতে পারেন, তাদের সাহায্য চাইতে পারেন। অথবা বরাবরের মতোই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ চান।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, আপনি এমন কিছু খাচ্ছেন বা পান করছেন যা কিনা আপনার শিশুর ওপর প্রভাব ফেলছে। কিছু জিনিস আছে যা আপনার দুধে মিশতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে, অনেক সময় আবার ২৪ ঘন্টাও লাগতে পারে। মনে রাখতে হবে, একেক শিশুর ধরণ একেক রকমের হয়। যা একটি শিশুর ওপর প্রভাব ফেলে, অন্যের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে। ডেইরি পণ্য, চকোলেট, ফলের স্কোয়াশ, ডায়েট ড্রিংকস এবং যেসব ড্রিংকে ক্যাফেইন থাকে, সেরকম খাবার আপনি এড়িয়ে চলে দেখতে পারেন কাজে আসে কিনা।
যদি তা না হয়, তাহলে একটি নোট রাখার চেষ্টা করুন, যখন আপনার শিশু কাঁদে, সেই কান্নার ধরণটা কি। খাওয়ানোর সময় কান্নার একটি কারণ হতে পারে- পেটের গোলমাল। আর এটা অভিন্ন একটা কারণ অধিকাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই। চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কাছে এ ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য জেনে নিতে পারেন।
কিন্তু আপনার শিশু যদি অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে থাকে তাহলে চিকিৎসকের সহায়তা ও পরামর্শ ছাড়া উপায় নেই।
মনে রাখবেন, কখনও কোন কারণে, বিরক্ত লাগলেও, ক্লান্তিবোধ করলেও বাচ্চাকে মারবেন না, রাগও করবেন না। কারণ এতে করে হিতে-বিপরীত হতে পারে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, এমনকি মারাত্মক ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।এটা বোঝা খুব প্রয়োজন যে, আপনার শিশু আপনারই, অন্য কারও নয়। যতোই কষ্ট হোক না কেন, তাকে আগলে রাখা, মানুষের মতোন মানুষ করা আপনারই দায়িত্ব।

(সংগৃহীত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: সুন্দর......পোস্ট..প্লাস ..স্টার প্লাস...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.