![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা নানা জাতের ধান উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নানা গুণের আরো পাঁচটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রোটিন ও এমাইলোজ সমৃদ্ধ খরা সহ্য করতে পারা ধানের এ জাতগুলো হলো ব্রিধান-৬৫, ব্রিধান-৬৬, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৬৮, ব্রিধান-৬৯। ব্রিধান ৬৫ জাতটি বোনা আউশ মৌসুমের জন্য। দানার রং সোনালী ও আকৃতি চিকন লম্বা। এ জাতের জীবনকাল ৮৮ থেকে ১০৫ দিন। এ জাতটি চারা অবস্থায় খরা সহনশীল। জাতের জীবনকাল ব্রিধান ৪৩ এর চেয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন আগাম। ফলন হেক্টরে সাড়ে তিন থেকে চার টন। ব্রিধান ৬৬ জাতটি রোপা আমন মৌসুমের খরা সহিষ্ণু জাত। এ জাতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চালে শতকরা ১০ দশমিক আট ভাগ প্রোটিন থাকে। এই জাতের জীবনকাল ব্রিধান ৫৬ এর চেয়ে তিন থেকে চার দিন বেশি। খরা না হলে ফলন হেক্টরে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টন। তবে খরা হলে ফলন চার থেকে সাড়ে চার টন। ব্রিধান ৬৭ জাতটি বোরো মৌসুমে আবাদ করা যাবে। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৪০ থেকে ১৫০ দিন। চালের আকার আকৃতি মাঝারি চিকন এবং রং সাদা। প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, চারা অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ ডিএস/মি. (৩ সপ্তাহ) লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। ফলন হেক্টরে তিন দশমিক আট থেকে সাত দশমিক চার টন। জাতটি পুরো জীবনকালে আট ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। ব্রিধান ৬৮ জাতটিও বোরো মৌসুমের জন্য। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৪৯ দিন। এ ধানের চাল মাঝারি মোটা এবং রং সাদা। চালে শতকরা সাত দশমিক সাত ভাগ প্রোটিন এবং ২৫ দশমিক সাত ভাগ এমাইলোজ রয়েছে। ব্রিধান ৬৮ এর জীবনকাল ব্রিধান ২৮ এর চেয়ে চার থেকে পাঁচ দিন নাবী। ফলন হেক্টরে নয় দশমিক দুই টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। ব্রিধান ৬৯ জাতটিও বোরো মৌসুমের জন্য। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৪৫ থেকে ১৬০ দিন। এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ধানের দানার রং সোনালী রঙের এবং মাঝারি মোটা। চালের আকার আকৃতি মাঝারি মোটা এবং রং সাদা। ফলন হেক্টরে সাত দশমিক ৩০ টন। আগ্রহী কৃষকরা চলতি বছর থেকেই এসব বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের পাঁচটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.