নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতা

হিজবুল্লাহ আন্দালিব

নিজেকে জানাতে চাই.।.।.।।।

হিজবুল্লাহ আন্দালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনা মূল্যের বই বিতরণে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বছরের শুরুতেই বর্তমান সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসব করে বই বিতরণ করে বিশ্বব্যাপী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯




সারা বিশ্ব যা কখনো ভাবতেও পারেনি, বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে। ছয় বছর ধরে একই দৃষ্টান্ত দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক (মাদ্রাসাসহ) স্তরে শিক্ষার্থী ছিল পৌনে তিন কোটির কিছু বেশি। ২০১৫ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হয়েছে প্রায় চার কোটি ৪৫ লাখ। পাঁচ বছরে শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় এক কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার। এটি সম্ভব হয়ছে বর্তমান সরকার বিনা মূল্যে বই দেওয়া, উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিং ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৮ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। ৩১ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে স্কুল ফিডিংয়ের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৩৭ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। পাঁচ বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়েও বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে সরকার। এখন নিম্ন আয়ের মানুষও সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠান। প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি পাস করার আগেই শতকরা ২১ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়তো। বই কিনতে না পারায় আগে অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসত না। বইয়ের অভাবে ভর্তি হলেও কিছুদিন পর বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিত। কিন্তু বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই দেওয়ায় শিক্ষার্থী বাড়ছে। ২০১০ সালে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসার ইবতেদায়ি, দাখিল, দাখিল (ভোকেশনাল), এসএসসি (ভোকেশনাল) স্তরের দুই কোটি ৭৬ লাখ ৬২ হাজার ৫২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ২০ কোটি বই ছাপানো হয়। ২০১৫ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৪ জন। পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই ছাপানো হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। ঐ বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসব করে বই দেওয়া হচ্ছে। ২০১২ সালে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ১৭ বছর পর শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মাধ্যমিক স্তরে সাতটি পাঠ্যপুস্তক নতুনভাবে তৈরি করা হয়। একই সময়ে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক স্তরের বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি গ্রামার ও দ্রুতপঠন পুস্তকও বিনা মূল্যে দেওয়া শুরু হয়। এ ছাড়া ওই বছর প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয় চালু হয়। এছাড়া ২০১৩ সালে মাদ্রাসা স্তরের শিক্ষাক্রমেও পরিমার্জন করা ও নবায়ন করা হয়। প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ শ্রেণিতে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয় চালু হয়। ২০১৪ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক (শিশু শ্রেণি) স্তরের শিক্ষার্থীদেরও বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.