![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে মারছে। খালেদা জিয়া চায়, তার অবৈধ সম্পদ রক্ষা করতে, দুর্নীতির মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, আর জামাত চায় তাদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে। আর এজন্যই তাদের নিরীহ সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে মারার নির্মম বর্বরতা চলছে। বিএনপি-জামায়াত সত্যিই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে কি? পেট্রোল বোমা দিয়ে নারী, শিশু নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। মানুষের মনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। এরকম দেখে কি মনে হয় এরা সত্যিই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। সবচেয়ে কষ্ট লাগে ওই ধর্মের নাম নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট রাজনীতি করে ঠিকই। আবার তাদের হাত থেকে আমাদের মসজিদও রেহাই পায় না। বিএনপি-জামাতের রাজনীতি মিথ্যাচারের রাজনীতি, মানুষকে বিভ্রান্ত করে সুবিধা আদায়ের রাজনীতি। তারা সবকিছুই করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য, আর নাম নেয় জনগণের। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এখনো কোনটি রাজনীতি আর অপরাজনীতির মধ্যে সীমারেখা টানতে ব্যর্থ হচ্ছি। আর সেকারণেই বিএনপি-জামাতের অপতৎপরতার পক্ষেও এখন কেউ কেউ কথা বলে, তাদেরও রাজনীতিবিদ বলার চেষ্টা করে। ৭১’র রাজাকার, আলবদর, আলশামস জামাত তাদের ঘৃণ্য অপতৎপরতার জন্য আজও ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, তাদের ভুলের কথা স্বীকার পর্যন্ত করেনি, তবুও এরা মানুষকে ৭১’র জামাতের ভূমিকার কথা ভুলে যেতে বলে,এসব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজনীতি করার অধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলে। বিএনপি এই স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে আবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঙ্গি অপতৎপরতা চালানোর দুঃসাহস দেখায়। মানুষকে পেট্রলবোমা দিয়ে হত্যা করে। এই অপতৎপতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে উজ্জ্বীবিত হয়ে আগে দেশ থেকে জঙ্গিবাদী স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর বিএনপিকে রাজনীতি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। বাংলাদেশে যতোদিন এরা রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে বিবেচনায় আসবে, ততোদিন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বার বার হোঁচট খাবে। সবাই সোচ্চার থাকতে হবে। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ শক্তিশালী করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পুনর্জাগরন ঘটিয়ে বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গিদের উচ্ছেদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.