![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের সব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষায় কর বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে সেসব দেশে কর দিতে সবাই উৎসাহিত হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ কর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা, কর সেবা ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে তহবিলের উৎস সম্পর্কে জানেন না। কর দেওয়ার মাধ্যমে দেশের যে উন্নয়ন হয় সে সম্পর্কে জনগণের মধ্যে অজ্ঞতা থেকে যায়। ফলে কর দেওয়ার পরিমাণ বাড়ে না এবং মানুষের মধ্যে কর ফাঁকির প্রবণতাও বেড়ে যায়। কর দেওয়ার জন্য শিশুদের সচেতন করে গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কর দেওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ‘কর শিক্ষা’ পাঠ্যবই অন্তর্ভূক্তির পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার। আগামী বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণী এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে ‘বাংলাদেশ ও গ্লোবাল ইস্যু’ নামে কর সচেনতা বিষয়ক পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে। পাঠ্যবইয়ে করের সংজ্ঞা, উন্নয়ন কার্যক্রমে করের অবদান, কর না দিলে কোন কোন প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা ব্যাহত হয় তা উল্লেখসহ বইয়ে সরকার করের টাকায় কীভাবে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, আইন-শৃংখলা, অবকাঠামো উন্নয়ন করে তা গল্প আকারে উল্লেখ থাকবে। একই সঙ্গে শিশুদের সচেতন করতে এসব সেবা না পেলে মানুষ কোন কোন সমস্যার মুখোমুখি হয় তারও বর্ণনা দেওয়া থাকবে। শিশুরাই আগামী দিনের করদাতা। এই জন্যে কর সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান দিতে এ পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে শিশু বয়সে কর দেওয়া এবং এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষায় শিশুরা সচেতন হবে এবং কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বাংলাদেশে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।