![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ৬০ দিন বা দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। অবরোধের সাথে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে জোট আহূত হরতালও চলছে প্রায় সোয়া এক মাস ধরে। হরতাল-অবরোধ চলাকালে এই পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরমধ্যে দুই তৃতীয়াংশই নিরীহ মানুষ। নিহতদের মধ্যে পেট্রোল বোমা ও আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৬৫ জন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ৩০ এবং শ্রমিক ২১ জন। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুলিশের একজন সদস্য প্রাণ হারান। আর দুই মাসে সংঘর্ষ, গুলি, বন্দুকযুদ্ধ, গণপিটুনি ও গাড়িচাপায় নিহত হয়েছে ৫১ জন। আহতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এছাড়া অবরোধের সময় নাশকতায় প্রায় ২ হাজার যানবাহন ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করে আট শতাধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। চলমান সহিংসতায় শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিসহ সাতটি প্রধান খাতে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। হরতাল-অবরোধ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এতে দেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়ও হরতাল অব্যাহত রাখা হচ্ছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এটা কি কোন রাজনীতির আদর্শ হতে পারে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
প্রািন্ত বলেছেন: এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে আওয়ামীলীগ সরকার দায়ী। একবার আমেরিকা বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিল যে, সরকার কঠো হওয়ার কারণে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থান হতে পারে। একটা বিড়াল যখন কোনঠাসা হয়ে পড়ে তখন সেও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এদেশে বাকশালী কায়দায় বিরোধীদলকে দমন করছে সরকার। সভা-সমাবেশ কোন কিছু করতে দিচ্ছে সরকার? এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও প্রতি বিরোধীদলের প্রতিপক্ষ হিসেবে তৈরী করেছে এই সরকার। গত ৫ জানুয়ারী সরকার যদি বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিত তাহলে আজকের এই অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।