![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের অর্থ এই নয় যে, নাশকতা ও সহিংস কর্মসূচীর পথ ছেড়ে স্বাভাবিক রাজনীতির পথে ফিরে এসেছে। বরং তা বহাল রেখেই নির্বাচনকে নেতিবাচক কর্মসূচীর অংশ হিসেবেই নিয়েছে। নির্বাচন অনুকূল বা প্রতিকূল যাই হোক, জ্বালাও পোড়াও এর পথ খোলা রেখেই মাঠে নেমেছে। জঙ্গীবাদী ফর্মুলার যে ধারায় দলটি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশ ও জনগণবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে আপাত বেরিয়ে আসার লক্ষণ দেখা গেলেও এটা মনে করার কারণ নেই যে, গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ ধরে হাঁটবে। বরং সশস্ত্র জঙ্গীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বিএনপি যে অবস্থান ধরে রেখেছে, তা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোন কার্য-কারণ নেই। নির্বাচনে হেরে গেলে সরকারের বিরুদ্ধে শুধু নয়, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একতরফা সর্বাত্মক যুদ্ধ পুনরায় জোরসে চালু করবে। পেট্রোলবোমা, কিরিচের পাশে আরও মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে চোরাগোপ্তা হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর জয়লাভ করলে তো আরও পোয়াবারো। সরকারকে গদি থেকে তাদের ভাষায় টেনে হিঁচড়ে নামাতে সহিংসতার পথকেই বেছে নেবে এই যুক্তিতে যে, সরকারের কোন জনসমর্থন নেই। সুতরাং পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য নৃশংসতার ধারাকে আরও গতিশীল করবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলেই যে বিএনপি হরতাল-অবরোধ নামক নাশকতামূলক কর্মসূচীর অবসান ঘটাবে এমন আভাস ইঙ্গিত তারা দেয়নি। আর হেরে গেলে আরও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাবে। বিএনপির গণবিরোধী রাজনীতির শিকার হয়ে বহু মানুষ পেট্রোলবোমার আগুনে দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনা দেশবাসী কখনও ভুলে যাবে না। বিএনপি আন্দোলনের নামে এখনও মানুষ মারার যে রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, তারা জনকল্যাণের কোন কথা বলে ভোট চাইবে? সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। তারা সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারায় এগুবে বলে যতই ভাবা হোক বাস্তবে তা হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। মাঠে নামার সুযোগ পেয়েও মানুষ মারার রাজনীতি করবে না, তার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না।
©somewhere in net ltd.