নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতা

হিজবুল্লাহ আন্দালিব

নিজেকে জানাতে চাই.।.।.।।।

হিজবুল্লাহ আন্দালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর অবহেলায় দূরে পড়ে থাকবে না ছিটমহলবাসী। আনন্দের তুফান এখন দু\'দেশে

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯


সকল কাঁটা ধন্য করে বাংলাদেশ-ভারত চিরন্তন মৈত্রীকে শেষমেশ মর্যাদা দিল দিল্লির সংসদ। সব দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ইতিহাস স্থাপন করল। বিবাদ দাবিয়ে সবেতেই উদ্যমী পদক্ষেপ। দুয়ে মিলে এক হয়ে আকাশ ছোঁয়া। এটাই তো স্বাভাবিক ছিল। পাশাপাশি দুটি দেশ মিলেমিশে কাজ করবে। সুখে-দুঃখে একে অন্যের সঙ্গী হবে। সব দূরত্ব ভুলে কেবল নৈকট্য। কূটনীতির নখে খুঁটে খুঁটে জট খোলা নয়, ভালোবাসার ঝড়ে সব সমস্যা উড়িয়ে দেওয়া। ছিটমহল আর অবহেলায় দূরে পড়ে থাকবে না। দু'দেশের মধ্যে মিশে যাবে। তারাও দুয়ের কোনো একটি দেশের নাগরিক হবে। পূর্ণ মর্যাদায় আইনের শাসনে বাস করবে। হেলাফেলায় বঞ্চিত হয়ে পড়ে থাকা নয়, মাথা উঁচু করে সমানাধিকারে বাঁচা। এক দুর্দমনীয় আনন্দ-তুফান এখন ছিটমহলে। এটা স্বপ্ন না সত্যি বুঝে উঠতে পারেনি। মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু মিলেমিশে একাকার। বাংলাদেশ-ভারত কোল পেতে বসে তাদের আদরে ঠাঁই দেবে বলে। তারা আর নেই-রাজ্যের বাসিন্দা, রাষ্ট্রীয় নাগরিক। দুটি দেশের যে কোনো একটি দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারে। দেশ পছন্দের দায়িত্ব তাদের। ছিটমহলবাসীর কঠিন ব্যাধির চিকিৎসা, প্রসব যন্ত্রণায় অধীর নারী আশ্রয় কামনা করে কোন আশ্রয় পায়নি তারা। কারো কিছু করার ছিল না। আইনের নাগপাশে বন্দি ছিল। উজ্জ্বল ছেলেমেয়েরা বেড়া ডিঙিয়ে সাইকেলে চড়ে কোচবিহারের স্কুল-কলেজে শিক্ষা নিতে চেয়েছে। পুলিশ তাদের রেহাই দেয়নি। গ্রেফতার করেছে। এখন সেই কষ্টের দিনের অবসান হয়েছে। এবার তারা স্বাধীন নাগরিকের মতো সরকারি পরিসেবা পাবেন। বসুর সুপারিশে, হাসিনার সঙ্গে গঙ্গা চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ভারতেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে উৎসাহী হয়ে ওঠে। জ্যোতি বসু গোষ্ঠী বিরোধিতায় প্রধানমন্ত্রী পদ পেয়েও ছাড়তে বাধ্য হন। জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলাদেশের চিন্তা ছিল না। দ্বিপক্ষীয় সব সমস্যার মীমাংসা হতো নিমেষে। ২০১৫ পর্যন্ত সীমান্ত চুক্তির জন্য বসে থাকতে হতো না। সীমান্ত চুক্তি সংসদে পাস হওয়ার পেছনে সব থেকে বড় অবদান নরেন্দ্র মোদির। ১০ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েই তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, সার্কের সব দেশকে পাশে পেতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। দুদেশের সরকার প্রধানদের সঠিক সিদ্ধান্তে আজ শুধু ছিটমহলবাসীই উপকৃত হলনা, উপকৃত হল পুরো দেশবাসী।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.