![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বরাবরের মতো এবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল জালনোট তৈরির জালিয়াতচক্র। উৎসব-পার্বণ উপলক্ষে মানুষের কেনাকাটা যখন বেড়ে যায়, তখন এদের তৎপরতাও বেড়ে যায়। জাল টাকা তৈরির সিন্ডিকেট এলাকাভিত্তিক বাহিনী তৈরি করে ১০ থেকে ১২ হাজার আসল টাকার বিনিময়ে ১ লাখ টাকার জালনোট তুলে দেয় বাহিনীর সদস্যদের হাতে। ১ লাখ টাকা চালাতে পারলে ৯০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়। আশার কথা হলো, এই জাল নোট কারবারিদের ধরতে রমজান শুরুর আগে থেকেই সরকার কঠোর অবস্থানে ছিল এবং এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ঈদের সময় বেশ কজন জালনোট কারবারি চক্রের সদস্য জালনোটসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সামনের ঈদের বাজারকে টার্গেট করেই তারা মাঠে নেমেছিল। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে বিশাল অংকের জালনোট বাজারে ছাড়ার প্রচেষ্টার কথা জানায় জনগন অনেকটা স্বস্তিতে। ঈদ উপলক্ষে বাজারে ৬০ কোটি টাকার জালনোট ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিশ জালনোট চক্রের ১৫টি সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করেছিল। বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ তৎপর রয়েছে, জালনোটের প্রতারক চক্র ধরা পড়ছে, এটা স্বস্তির বিষয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘জালনোট কিভাবে চিনবেন’ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের লিফলেট ছাপিয়ে হাটে-বাজারে সাধারণের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে এ সমস্যার অনেকটা সমাধানের সাথে সাথে আগামী ঈদেও এই পদক্ষেপ আরও জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করবে বলে আমরা আশা করছি।
©somewhere in net ltd.