জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির দেওয়া \'চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ\' পুরস্কারটি বাংলাদেশের চেষ্টারই স্বীকৃতি

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

সীমিত সম্পদ ও প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ নিজেই নিজের ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রথম দেশ, যে নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। একই কারণে পরিবেশের উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে সংবিধান পরিবর্তনসহ বেশ কিছু আইনও প্রণয়ন করেছে।আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই বিশ্ব '২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা' গ্রহণ করতে যাচ্ছে মাননীয় প্রধান্মন্ত্রী। বাংলাদেশ খুবই জনসংখ্যার ঘনত্বের দেশ। যদিও বাংলাদেশ সহাস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্জন করতে পেরেছে, তবুও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, সামুদ্রিক জোয়ার, অব্যাহত বৃষ্টির কারণে এ দেশের কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও সমাজ কাঠামোর মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এমনই, জরুরি ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যায়। এ কারণেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিষয়ে খুব আগ্রহী এবং আসন্ন প্যারিস চুক্তিতে এ দেশ এর বাস্তবায়ন দেখতে চায়। বাংলাদেশই প্রথম কোনো উন্নয়নশীল দেশ যে নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। আমাদের সব কর্মকাণ্ডই পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনকে সামনে রেখে খাদ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ কারণে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন খাদ্য আমদানির দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির দেওয়া 'চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ' পুরস্কারটি বাংলাদেশের চেষ্টারই স্বীকৃতি।

০ টি +০/-০