![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শীঘ্রই দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার শান্তিনগর-ঝিলমিল প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। লে-আউট প্ল্যান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এ মাসের মধ্যে লে-আউট প্ল্যানের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এ অনুমোদন পেলেই মূল নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। এসব কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় সরকার। আর ফ্লাইওভারটি যুক্ত হবে মাওয়া ঘাট থেকে ঢাকার দিকে আসা পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের সঙ্গে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পদ্মা সেতুর সঙ্গে সরাসরি ঢাকাবাসীর সংযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা ঝিলমিলে যে সরকারি আবাসিক প্রকল্পের কাজ চলছে, সেখান থেকে খুব কাছাকাছি জায়গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কটি আসবে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ পদ্মার ওপারে চলে যেতে পারবে, যা পদ্মা নদীর ওপারের জেলা শহরগুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনবে। শান্তিনগর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হবে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। এ প্রকল্পের আওতায় পুরান ঢাকার যানজট নিরসনে গোলাপ শাহ মাজার সার্কেল (গুলিস্তান) থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। এর সঙ্গে পল্টন থেকে গোলাপ শাহ মাজার-বাবুবাজার হয়ে ঝিলমিল আবাসিক এলাকা পর্যন্ত আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। শান্তিনগর-ঝিলমিল ফ্লাইওভারটি হবে একটি নান্দনিক ফ্লাইওভার। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কোথাও কোথাও চার লেন করা হবে। এ ছাড়া থাকবে দুই লেনযুক্ত র্যাম্প, যা এই স্থাপনাটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে। পদ্মাপারের মানুষকে এক অনন্য ঢাকার সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঘিঞ্জিবাসীকে এবং বুড়িগঙ্গা নদীর অন্য পারকে আধুনিক ঢাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে এ ফ্লাইওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.