নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ সংগ্রামী জীবন দীর্ঘ এবং আনন্দপুর্ন জীবন প্রায়শই ক্ষনিকের হয় ”

এইচ.এম উবায়দুল্লাহ

মিথ্যাকে নয়, সত্যকে আকড়ে ধরুন। সত্যকে নয়, মিথ্যাকে বিচার করুন।

এইচ.এম উবায়দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার মস্ত বড় গায়ক তিনি......

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৩


পপ তারকা।আকাশচুম্বি তাঁর জনপ্রিয়তা। অগনিত ভক্ত যার গোটা দুনিয়ায়। তিনি ইসলামের পরশ পেয়েছেন। তাবলীগে চার মাস সময় লাগিয়েছেন। সফর করেছেন বাংলাদেশে। এখন তিনি পুরো ধমে একজন দাঈ। ইসলামের ফেরি করেন পৃথিবীর পথে প্রান্তরে।
.
একাবর খুবই অসুস্থ হলেন ক্যাট।তাঁকে দেখতে এলেন তাঁর এক মুসলিম বন্ধু। সাথে নিয়ে এলেন গিফট্ হিসেবে পবিত্র কুরআনের ইংরেজি অনুবাদ।
ক্যাট সুস্থ হবার পরে বইটি উল্টালেন। নাহ! রাইটারের কোন নাম নেই।নেই কোন এডিশন কিংবা ভূমিকা।ক্যাট অবাক হলেন। ভুলে বাদ যায় নি তো!
বইটি নিয়ে ক্যাট ছুটলেন লাইব্রেরীতে।
.
গিয়েই দোকানদারের উদ্দেশ্যে বললেন, 'সম্ভবত ভুল ছাপা হয়েছে বইটি। এর আর কোন কপি আছে?'
দোকানী আরও বিভিন্ন পাবলিকেশন্স এর কয়েকটি অনুবাদ এগিয়ে দিলেন।প্রতিটি একই রকম।হয়রান হয়ে ক্যাট জিজ্ঞেস করলেন,
'Who is the writer?"
-" The creator, the Almighty."
ক্যাট অবিশ্বাসের সাথে বললেন, " The creator? Ok, then where is the edition?"
-"It's the first edition and the last one."
-" Where is the preface?"
অর্থাৎ বইটির ভূমিকা কই? যেমন প্রতিটি বইয়ের লিখক বইয়ের শুরুতে লেখেন। লেখেন নিজের দূর্বলতার কথা, স্বাভাবিকভাবে কোন ভুল বা ত্রুটি থেকে যাওয়ার কথা। সাথে থাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।যথাসময়ে জানিয়ে দেয়ার আকুতি।
-" Prepace is in the beginning.
ﺍﻟﻢ، ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻻ ﺭﻳﺐ ﻓﻴﻪ "
এটি এমন এক কিতাব, ভুল তো দূরের কথা, সামান্য সন্দেহেরও লেশমাত্র নেই।
ক্যাট শুনা মাত্রই বলে উঠলেন, ইমপসিবল! আমাকে এক সপ্তাহ সময় দেয়া হোক, আমি সবগুলো ভুল খুঁজে বের করে দেখাবো।"
.
অসম্ভব এক কাজে ব্যস্ত হলেন ক্যাট। তিনি কি জানতেন পাহাড়কে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হতে পারে, আল্লাহর কালামে ভুল ধরা এ যে অসম্ভব।
ক্যাট এক এক পৃষ্ঠা পড়েন, আর তার সামনে খুলতে থাকে এক নতুন দিগন্ত। ক্যাট লক্ষ করেন, এই বইয়ের লিখক একদল মানুষকে উদ্দেশ্য করে বড়ো ভালবাসার সাথে সম্বোধন করছেন বার বার।
'O believers! O believers!'
' হে ঈমানদারগন! হে ঈমানদারগন!'
ক্যাট খেয়াল করেন, এই সম্বোধিত প্রিয়দেরকে এমন সব উত্তম কাজের আদেশ করা হচ্ছে, যার অনেককিছুই ক্যাটের মাঝে নেই।
' সত্য বলো, ইনসাফ করো, দূর্বলের উপর দয়া করো।
আর এমন সব নিন্দনীয় কাজ থেকে নিষেধ করা হচ্ছে, যার অনেকগুলোতে ক্যাট নিজে জর্জরিত।
'মিথ্যা বলো না, দান করে খোঁটা দিও না, গীবত করো না, জুলুম করো না।'
.
ক্যাট বুঝতে পারেন, এই বিশ্বাসীগনই হবেন পৃথিবীর সেরা মানুষ। ক্যাট পড়তে থাকেন, আর মু'মিনদের জন্যে তার অন্তরে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বাড়তে থাকে।আর সেই সাথে বাড়তে থাকে নিজের জীবনের প্রতি ঘৃণা।
ক্যাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাকেও মু'মিন হতে হবে।কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে এমন মুমিন।
আগে নিজ চোখে মু'মিন দেখা চাই।
ক্যাট মুমমিনের সন্ধানে বের হলেন।চললেন এক মুসলমান বসতিতে।ক্যাট সেই সব মুসলমানদের কুরআনের স্কেল দিয়ে মাপলেন।বললেন,
' These people can never be believers."
.
ক্যাট ফিরে চললেন।হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগলেন।তার মডেল চাই।
পার্শ্ববর্তী এক এলাকায় এক জামাত এলো। ক্যাটকে খবর দেয়া হলো।ক্যাট অনেক্ষণ তাদের দেখলেন। অনেককিছু জিজ্ঞেস করলেন। অবশেষে বললেন,
"Ok, you seem to be believers, but not 100%, may be 80&#xor; 85%. Ok I want to be a believer, but how?"
জামাতের সাথীরা বললেন, দেখ, আমরাও মুমিন হওয়ার জন্যে বের হয়েছি। এজন্য তোমাকেও সময় দিতে হবে।
-" তোমরা কত সময় চাও?"
-"চারমাস।"
ক্যাট রাজী হলেন। তাকে গোসল করানো হলো। কালিমা পড়ানো হলো। নাম রাখা হলো ইউসুফ ইসলাম।তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এলেন। চারমাস সময় দিলেন। এখন তিনি আল্লাহর পথের এক নিরলস দাঈ।
মওলা আমাকে কবুল করে নাও এমন করে তোমার তরে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২০

শিখণ্ডী বলেছেন: এত বড় ধর্ম, এত বিখ্যাত একটি বই (আল কুরান) সম্পর্কে যার ধারণাই নেই সে তো তা দেখে ভিড়মি ভাবেই। পিগমির কম্পিউটার দেখার মত!

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১২

এইচ.এম উবায়দুল্লাহ বলেছেন: এগুলা আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে....
অনেকের গায়ে চুলকানি ধরে.....
আবার অনেকে সহ্য করতে না পেরে অনেক কিছুই মুখফুটে বলে ফেলে....

এগুলা তাদের জাতিগত অভ্যাস...

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: প্রকৃত কুরআনের সৌন্দর্য্য এমনই। অন্তরে কহর পড়ে না থাকলে তা যে কারও জ্ঞান ফেরাতে সক্ষম। আল্লাহ নিজে বলেছেন যে তাঁর পথে হাঁটে, তিনি তার কাছে ছুটে আসেন।
আফসোস এই যে, কহর পড়া ব্যক্তিরাই বেশী বেশী ইসলামের নামে কথা বলে আর জংগীবাদ ছড়িয়ে আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের নামে সহিংসতার বদনাম ছড়ায়। আল্লাহ সরল মুসলমানের কুরআনের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৬

এইচ.এম উবায়দুল্লাহ বলেছেন: আমীন

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: মুসুল্লিরা কুরআন পড়ে ঠিকই, মানে কয়জন আর বুঝেই বা কয়জন।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: মওলা আমাকে কবুল করে নাও এমন করে তোমার তরে ! আমিন !

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। আল্লাহ উনাকে সবসময় সঠিক পথে রাখুন।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.