নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হকিস্‌টিক হাসান

হকিস্‌টিক হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনা-১ (চিংড়ী), ঘটনা-২ (পাট), ঘটনা-৩ (পোশাক শিল্প)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

ঘটনা প্রবাহ: ০১

একসময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমানে চিংড়ি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হত। প্রচুর উপার্জন, বৈদেশিক মুদ্রার আগমন..চিংড়ি চাষীদের মুখ ভরা হাসি।



অধিক লোভের লালসায় একসময় রপ্তানিকারক'রা চিংড়ির ভেতরে টিনের পাত ঢুকানো শুরু করলেন.. কারণ?...টিনের পাতের ওজন মোট চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে। অধিক ওজন মানে অধিক মুনাফা... দুই এক বার না ধরতে পারলেও ধীরে ধীরে ঘটনা ধরা পড়তে লাগলো বিদেশী আমদানিকারক'দের কাছে। শুরু হলো চিংড়ি রপ্তানির কালো অধ্যায়... গুটিয়ে গেল চিংড়ি বানিজ্য।



ঘটনা প্রবাহ: ০২

পাট...বাংলাদেশের সোনালী আঁশ নাম খ্যাত রপ্তানি দ্রব্য। পৃথিবীতে হাতে গোনা গুটিকয়েক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া হলো একমাত্র অনকুলে যার ফলে প্রচুর পরিমানে পাট জন্ম নেয়। পাট রপ্তানি করে বাংলাদেশ কত টুকু পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই...পাট চাষীদের স্বর্ণযোগ অধ্যায় ছিল সেই সময়....



জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীর বিখ্যাত বি.এম.ডব্লিউ গাড়ি কোম্পানি একসময় বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করত..পাটের আঁশ দিয়ে বানানো হত গাড়ির ভেতরের কিছু অংশ (কার্পেট, সিট এর নিচের কভার, গাড়ির ছাঁদ এর পরত ইত্যাদি)। লাভ এর লালসায় পড়া সেই সময়কার কিছু রপ্তানিকারক পাট এর আটি গুলো-কে ভিজিয়ে বালুর সাথে ঘষে দিতেন। ভেজা আটি'তে সেই বালু লেগে কয়েক গুন ওজন বেড়ে যেত। বাড়তি ওজন সহ রপ্তানি করা হত আঁশ ভর্তি কন্টেনার।



এবারও বাঙালির রেহাই মিললো না। বি.এম.ডব্লিউ কোম্পানি প্রচুর পরিমান সিলিকা ভর্তি আঁশ এর কন্টেনার পেতে থাকলো বাংলাদেশ থেকে। ব্যহত হতে থাক তাদের কাজের উত্পাদন। একসময় আমদানি বন্ধ করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হলো কন্টেনার ভর্তি সিলিকা যুক্ত আঁশ। গুটিয়ে যেতে শুরু করলো বাংলাদেশের সোনালী এক অধ্যায়ের।



ঘটনা প্রবাহ: ০৩

পোশাক শিল্পে স্বল্প মজুরির জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে প্রসিদ্ধ। গার্মেন্টস কর্মীরা সর্ব নিম্ন মজুরি পেলেও বিশ্বের নামী দামী ব্রান্ডের কাছ থেকে পেমেন্ট পাওয়া শিল্প মালিকদের পোয়াবারো অবস্থা। কারখানা গুলোর দিকে খেয়াল দেয়ার ও সময় নেই..দরকার শুধু উত্পাদন আর উত্পাদন। বিনিময়ে প্রাপ্তি লক্ষ লক্ষ ডলার...



স্পেকট্রাম, তাজরীন, রানা প্লাজা ট্রাজেডি'তে একে একে গত কয়েক বছরে প্রাণ হানি হয়েছে হাজারেরও বেশি গার্মেন্টস কর্মীর। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ধীরে ধীরে চাপ সৃস্টি হচ্ছে নামী দামী ব্র্যান্ডদের প্রতি। আজ দেখলাম, কালিফোর্নিয়ায় 'গেপ ভবনের' সামনে বিক্ষোভরত বেশ কয়েক জন আমেরিকানদের, যাদের হাতে প্লে কার্ড-এ লেখা "গেপ, নো মোর ডেথ ট্রেপ।"



আসছে বছর গুলোতে হয়ত এই সকল মানুষ রুপি পিশাচ, সোহেল রানা দের লোভ লালসার কারণে গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশের রপ্তানি কৃত পোশাক শিল্পের পরিমান। বিশ্বের নামী দামী ব্র্যান্ড তুলে নেবে আমদানির হাত। ধীরে ধীরে ধংশ হয়ে যাবে পোশাক শিল্প..



কতিপয় পিশাচের লোভ আর লালসার আগুনে আবারও জলবে পুড়বে বাঙালি নামক একটি জাতি...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

০৫০৮০২৯ বলেছেন: দেশটাকে নিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা ছিনিমিনি খেলছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.