নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I THINK LIKE THAT

কথার পিঠে জমে ওঠে একশো রকম কথা সুখ দুঃখ আনন্দ আর হাজার খানেক ব্যথা | এসব শুধু এসব দিয়েই জীবন যদি মাপি ভরবে উঠে ভাংগা চোড়া টুকরো কথার ঝাঁপি |

পাথরের কান্না

শোক হোক শক্তি

পাথরের কান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার ও কিছু প্রমান >>> শহীদ রাজিবের নামে যে লিঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানানো!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

১) যারা এটা ভাবছেন থাবা ভাই অনেক সাবধানী ছিলেন তাও তার পরিচয় জানলো কি করে। আমি বলবো উনি সাবধানী ছিলেন না, উনার বাড়ি মিরপুর এটা উনি অনেকবার পাব্লিকলি বলেছেন। একবার বাসা পরিবর্তনের সময় উনি পুরোনো ফার্নিচার দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এটা প্রায় ১ বছর আগের কথা। উনি স্থপতি ছিলেন এটাও জানা কথা। উনার নিজের থাবা বাবা প্রোফাইলে ইউনিভার্সিটি জীবনে পড়া একটা ছবি আছে, কম্পিউটারে কাজ করছে এরকম। ওখান থেকে জামাত শিবিরের স্পাইরা তাকে শাহবাগে চিনে নিতেই পারে। আমার তো মনে হয় তাকে চিহ্নিত করে লেখা ঐ ব্লগ সোনারবাংলা ব্লগ পোস্ট করার আগেই তাকে খুন করার প্ল্যান করা হয়েছে।

২) আমার অনেক আর্কিটেকচারের বল্ধুরা যারা থাবা বাবাকে রাজীব হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতো তারা ফেসবুকে এটা বলার চেষ্টা করছে নুরানী চাপাসমগ্র তার লেখা না, তার নামে মিথ্যা ছড়াচ্ছে ইত্যাদি। আমি বলব তারা ঠিকই বলেছে। রাজীব এর লেখা না ওগুলো। ওগুলো থাবা বাবার লেখা। এখন রাজীব আর থাবা ভাই একি মানুষ এটা নিয়ে তর্ক করার কিছু নাই। থাবা বাবা তার নাস্তিক সত্ত্বা, এখানে সে কোনো ধর্মকে পছন্দ করতো না। রাজীবের বন্ধুদের হয়তো মুহাম্মদ খুব প্রিয় ব্যক্তি হতে পারে, কিন্তু থাবা বাবা কেন মুহাম্মদকে হুদাই সম্মান দিতে যাবে। আর থাবা বাবা এই জিহাদী মুহাম্মদ পার্টির কাছেই খুন হয়েছে। রাজীবের বন্ধুরা ভাবতে পারে ইসলাম খুব শান্তির ধর্ম, মুহাম্মদ খুব ভালো মানুষ ছিলেন, কিন্তু থাবা বাবা সবসময় যেকোন ধর্মীয় আগাছার বিরুদ্ধে ছিলেন। হ্যা তিনি অনেক স্যাটায়ার লিখেছেন, যেটা পড়ে অনেকের দুঃখ লাগতে পারে। কিন্তু তিনি কোন দিনও কারো খারাপ করেন নি, কাউকে খুন করতে প্ররোচিত করেন নি, উনি মিথ্যা সকল ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে গেছেন। উনি স্বনামেই হয়তো লিখতেন, কিন্তু আজকে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে নাস্তিকরা কি পরিমান হুমকীর মুখে। নাস্তিকদের মধ্যে যারা ধর্মের বাড়াবাড়ি নিয়ে লিখে জনপ্রিয় তাদের অলরেডি হিটলিস্ট রেডি। এখন যেকোন অযুহাতে এদের খুন করতে চায় জামাত-শিবির-হিজবুত ইত্যাদি। রাজীব আর থাবা বাবা একই মানুষ হলেও যারা শুধু রাজীবকেই স্মরণ করতে চায় তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। আমিও শুধু থাবা ভাইকেই স্মরণ করতে চাই, আমি রাজীবকে চিনি না। কিন্তু রাজীবের পরিবারের জন্য খুব খারাপ লাগছে।

৩) যারা থাবা ভাইয়ের জানাজা কেন হলো মনে করে খারাপ বোধ করছেন, তাদের বলছি, খারাপবোধ করেন না। উনি হঠাৎ খুন হয়েছেন। আমরা এরকম কিছুর ভয় অনেক আগেই পেয়েছি, কিন্তু কোন সাবধানতা নেই নাই। যারা মনে করেন নিজের মৃত্যুর পর নিজের জানাজা চান না, দেহ দান করতে চান, দয়া করে লিখিত দলিল করে যান। না হলে হয়তো আপনার পরিবারের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানানো হবে। যদি দলিল লিখে যাবার পরেও পরিবার জানাজা দিতে চায়, তাহলে কি আপনার পরিবারের সাথে তর্ক বা মারামারি করবে আপনার সহযোদ্ধারা? সুনির্দিষ্ট নির্দেশ লিখে দিয়ে যাবেন। জানাজা হয়েছে রাজীবের। থাবা বাবা একটি ছদ্মনাম। থাবা বাবার জানাজা হয় নাই। তার লেখা আর আদর্শ তার সহমর্মিতা আর অসাধারণ রসাত্মকবোধ কোনদিন মুছে যাবে না।

৪)থাবা বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজাকারের ফাঁসি চেয়েছেন। তার খুনি এই নব্য রাজাকারদেরও ফাঁসি আমি চাই। কিন্তু তার রেখে যাওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাই। শুধু আপনারা দয়া করে সাবধানে থাকুন।

কৃতজ্ঞতা ঃ Farzana Kabir Khan Snigdha

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

পথিকের ডায়েরীর পাতা বলেছেন: লিংকের কথা বলতে পারিনা, তবে লিখাগুলো তারই ছিলো।

আমার ব্লগের তার লিখা গুলো দেখেন।

রাজাকারের ফাঁসি আমরা ও চাই।

থাবা কে বাড়াবাড়ি আন্দোলনকে দুর্বল করে দেবে।


২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

ফারমার বলেছেন: রাজীবের সব চেস্টার কারণ ছিল, বাংগালী যেন শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হয়!

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭

শিমুল সৈকত বলেছেন: ঠিক ঠিক, রাজীব জীবনেও ঐ কথাগুলি লিখতেই পারে না।
সব জামাত শিবিরের ষড়যন্ত্র!

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫

আফিফা মারজানা বলেছেন: হাসি পেলো

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---

আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় গুটির চাল। দাবা-পাশা খেলার কাছে আবেগ যেন না হারে।

রাজীব থাবা বাবা হওয়াতে মারা যায়নি। থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ আর এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয় আর গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় সেই জামাতির বিচার চাইতে

রাজীব, রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।

প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।

ওইক্ক চাই বলে ফেনা তুললে হবে না একতার কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষ, দেশের মুখ রক্ষা কর। তুমি না করলে টাকা দিয়ে ভাড়া করে কাউকে আনা যাবে না হবে না। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল।

বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী

কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ওই পোলা সিগারেট খায়। জিন্সের পেন্ট পড়ে।
বাকিরা বলব, ঠিকই তো করসে সিগারেট খায় জিন্তের পেন্ট পরে ওরে খুন তো করবই।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

অরিন্দম007 বলেছেন: ফেসবুকের তার শেষ স্ট্যাটাস হিসেবে যা লেখা হয়েছে তা যেই ফেসবুক একাউন্ট হতে দেওয়া হচ্ছে - তা কি ভুয়া বা বানোয়াট । যদি এই একাউন্ট তার হয় তাহলে তার নাস্তিক্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সহজে প্রমাণিত হয় ।

সুতরাং তার দৃষ্টিভঙ্গি কি তা জানার জন্য তখন আর ব্লগ সাইটগুলোর লেখা সংগ্রহ করে পড়ারও প্রয়োজন পড়ে না ।

উপরন্তু যারা ৪ বছর ধরে নিয়মিত ব্লগ পড়েন তারা ঠিকই তার দৃষ্টিভঙ্গি ও লেখার সাথে কম বেশী পরিচিত । এই কয় দিনে প্রায় ব্লগ সাইট তার সব লেখা একটা একটা মুছে দিচ্ছি । কিন্তু এখনও ধর্মকারী সাইটটাতে তার লেখা আছে । আর ধর্মকারী সাইটটাও ঘোষণা দিয়ে বলেনি তাদের ব্লগের থাবা বাবা ভিন্ন আরেক জন থাবা বাবা ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.