![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রায় ৩ বছর ধরে বিভিন্ন ব্লগ পড়ছি। অ্যাকাউন্ট খুলবো খুলবো করে খোলা হয় না। অবশেষে খুলেই ফেললাম।
হুমায়ূন আহমেদ একটা কথা বলেছিলেন।
"মানুষের স্বভাবই হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায় । সৃষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষণ টেনশানে থাকে।"
অর্থাৎ এখানে মানুষের স্বভাবের সাথে সৃষ্টিকর্তার স্বভাব এর ভিতর মিল খুজে পাওয়া যায়।
আমরা জানি শিরক করা মহা পাপ। শিরক কি আপনি জানেন?
শিরক হোল সৃষ্টিকর্তার সাথে কোন পার্থিব কিছুর তুলনা করা, অংশীদার সাব্যস্ত করা। অর্থাৎ আপনার সব কিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে দায়ি করতে হবে। আর না করলে শিরক হবে, এবং এই গুনাহ ক্ষমা পাবেন না।
এই ব্যাপারে পবিত্র কুরআন এ সুরা নিসার ৪৮ নাম্বার আয়াত এ উল্লেখ আছে।
''নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এছারা যেকোনো পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।''
ব্যাপারটা আপনি মিলান স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকার ভিতরে,স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা কখনই থার্ড পারসন কে মেনে নিবে না। এবং সহ্য করবে না।
এখানেও আপনি সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের চারিত্রিক মিল বিদ্যমান।
একবার আমার এক হুযুর টাইপ এর বন্ধু কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। যে মনে কর তুই অনেক বড় কোটিপতি হইলি, বাড়ী গাড়ি সব হইল। অনেক বড় ফেমাস হইলি। তারপর যদি তকে জিজ্ঞাসা করা হয় “আপনার এতকিছুর জন্য কে দায়ি।”
বন্ধু আমার বলল “আল্লাহ আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আল্লাহের অশেষ কৃপায় আমি এত বিত্তশালী হয়েছি। সবই আল্লাহের দান।” তারপর আমি বললাম মনে কর তুই ফকির হইলি। রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করিস। এই অবস্থার জন্য কাকে দায়ি করবি?
বন্ধু আমার বলল “এর জন্য তো আমি নিজেই দায়ি।”
আমি বললাম আল্লাহ তায়াল তোকে ফকির বানাইছে। কিন্তু এটা মানতে সে নারাজ। তাঁর এই খারাপের অবস্থার জন্য সে নিজেই দায়ি।
আমার বন্ধুর দোষ দেয়ে লাভ নাই, ম্যাক্সিমাম পারসন এই একই উত্তর দিবে।তাঁর নিজের খারাপ অবস্থার জন্য সে নিজেই দায়ি।হিন্দুরাও একই কাজ করে ভালো কিছুর জন্য ভগবান কে দায়ি করে। খ্রিস্টানরা দায়ি করে যীশু কে।
আপনি যদি পজিটিভ কাজের জন্য আল্লাহ কে দায়ি করেন তাহলে ঠিক আছে।কিন্তু নেগেটিভ এর জন্য নিজেকে দায়ি করেন তাহলেও শিরক হবে।
সুরা নিসার ৭৮ নম্বর আয়াত এ আছে
“তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি সুউচ্চু সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও। যদি তাহাদের(কাফেরদের) কোন অকল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে ‘ইহা আল্লাহের নিকট থেকে।’ আর যদি তাহাদের(কাফেরদের) কোন অকল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে ‘ইহা তোমার নিকট হতে।’ বল(মুহাম্মাদ সঃ) ‘সব কিছুই আল্লাহের নিকট হতে।’ ”
আবার আপনি খারাপ কাজের জন্য সৃষ্টিকর্তা কে দায়ি করতে পারবেন না। কারন আপনার কৃতকর্মের সাজার জন্য আপনি অন্যজনকে দায়ি করবেন এটা কোন ধরনের যুক্তির ভিতর পরে?
শেষ করছি এক হুজুরের কাহিনি দিয়ে।একবার এক হুজুরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম মানব জাতির সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?
হুজুর আমাকে বলল “আল্লাহের ইবাদত করার জন্য”
আমি বললাম আল্লাহ ইবাদত দিয়ে কি করবে? মানবজাতি ইবাদত করলে বা না করলে আল্লাহ তায়ালার কোন লাভ ক্ষতি আছে?
হুজুর আর কোন কথা কয় না।
আসলে আমাদের জ্ঞান খুব সীমিত। আমরা অনেক কিছুই জানিনা। জানার আগ্রহ নিয়ে বসে আছি অজানা অপেক্ষায়।
©somewhere in net ltd.