নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার চোখের তারায় আমার হাজার মৃত্যু!

অতন্দ্র সাখাওয়াত

তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!

অতন্দ্র সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট হইতে সাবধান

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০



ভূমিকা:

অণু পরিমাণ সৎকর্ম সম্পর্কে পবিত্র কুরানের সূরা যিলযালে বলা হয়েছে, পরকালে অণু পরিমাণ সৎকর্মও হিসাবে আনা হবে৷ আবার অণু পরিমাণ অসৎ কর্মের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছে। এটা একটি ব্যাপক ধারণা, যা আমার মতো ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের দ্বারা অনুধাবন করা অসম্ভব।

আমার চিন্তা:

অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ির চাকার একটি সূক্ষ্ণ ছিদ্র থাকার কারণে সম্পূর্ণ গাড়িটি বাতিল হয়ে যায়। এখানে কত ছোট ছিদ্রের কারণে চাকাটি অচল হবে তা নিয়ে তর্ক করা বাহুল্য। আবার একটা ফেলনা জিনিসকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও সামান্য উপকার বা সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হয়। চিন্তার সামান্য অসংগতি, বৃহৎ পরিসরে দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। সেটাকেও অণু পরিমাণ অসৎ কর্মের পাল্লায় রাখা উচিৎ। দিন শেষে হিসাব করা উচিৎ, কি চিন্তা করে আমি সম্পূর্ণ দিনটি কাটাচ্ছি। কারণ শেষ পর্যন্ত চিন্তাই মানসিক শক্তি ও দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই জানেন যে, অবচেতন মন থেকেই মানুষের চেতন মন শক্তি ও সাহস পায় বা হারায়। সেক্ষেত্রে চিন্তার স্বাধীনতা বা অধীনতা সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।

চিন্তা বিষয়টি কেমন:

আমাদের চিন্তাকে যদি আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকি, তাহলে কোন খারাপ কাজ আমাদের পক্ষে করা সম্ভব না। কারণ, সবাই আমরা জানি যে, খারাপ চিন্তার ফলাফল ভাল হয় না। সেজন্যই মহান সাধকেরা নিভৃতে চিন্তা করতেন। তারা তাদের চিন্তার ফোকাস ধরে রাখতে পারতেন। মানুষ একই সাথে যেমন দুইটি জিনিস দেখতে পারে না, তেমনি একই সাথে দুইটি চিন্তাও করতে পারে না। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমাদের মনোযোগ প্রতিনিয়ত হাইজ্যাক করা হচ্ছে। আমাদেরকে সুচিন্তা করার মতো মানিসিক অবস্থায় থাকতে দিচ্ছে না। লোভনীয় সব বিজ্ঞাপন ঘুরতে থাকে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের স্ক্রীনে, যা থেকে মন সরিয়ে রাখা অসম্ভব। অণু পরিমাণ কুচিন্তার বীজ আমাদের অজান্তেই মস্তিষ্কে ঢুকে পরছে। নানা ভাইরাল টপিক আমাদের মনের মধ্যে জমা হয়ে অসংখ্য অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করিয়ে নিচ্ছে আমাদের দ্বারা। যার সামষ্টিক পরিণতি হিসেবে আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা, ঘৃণা, হিংসার মতো ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী। এগুলো এমনভাবে আমাদের সাথে মিশে গেছে যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর কোন প্রতিবাদ করতে পারছি না। বরং শতশত অন্যায়কে আমরা নিজেরাই প্রোমোট করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।

আমার ধারণা:

নৈতিকতা চর্চা করতে যা করা উচিৎ তা হলো, ভাল পরিবেশে থাকা। অণু পরিমাণ হলেও সৎকর্মের চেষ্টা করা। ভাল কাজের চিন্তা করতে হবে। যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদেরও উচিৎ ভালো চিন্তা করা। কারণ এটা সত্য যে, ভাল কাজের অবশ্যই একটা বিনিময় মূল্য আছে। এটা প্রাকৃতিক। সেই বিনিমিয় হলো প্রশান্তি। আর নাস্তিক হয়ে লাভটা কি? মৃত্যুর পরে যদি কিছু না থাকে তবে মানুষের মনে এত অপূর্ণ আশা থাকার কথা না। মানুষের মধ্যে যে অসীম চাহিদা আছে, তাকে বিশ্লেষণ করলেই অসীম জগৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ জীবন যে ক্ষুদ্র তা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ স্বীকার করে। তার জন্য বেদ-কুরআন পড়াটা বাধ্যতামূলক নয়।

উপসংহার:

পারমাণবিক বোমা যেমন ছোট ব্যাপার না, তেমনই অণু পরিমাণ সৎ বা অসৎ কর্মও ছোট ব্যাপার না। বিন্দু থেকেই সিন্ধু। কোন কিছুকেই ছোট ভাবার সুযোগ নেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সর্বপ্রথম জাহান্নামি একজন ইমাম। আজ ডিজিটাল যুগের কাঠমোল্লাদের দেখে অনুমান করা যায় কেন তাদের একজনকে দিয়ে আল্লাহপাক জাহান্নাম উদ্ভোদন করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: কাঠমোল্লা কারা আমি জানিনা, কিন্তু আমার আজকাল কোন বক্তার কথাই ভাল লাগে না। খুবই নিম্ন মানের মনে হয়। অথচ কুরআন সেই তুলনায় খুবই ডায়নামিক। এখানে সব ধরণের পাঠকের সবকিছুর ব্যাপারে খেয়াল রাখা হয়েছে। বিশ্বাসই হতে চায় না যে, আজও ইসলামী স্কলারদের মধ্যে কুরআনের পাঠক আছে!

এই যে সূরা ইউসুফের ১০৬ নং আয়াত: "তাহাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করে, কিন্তু তাহারা মুশরিক।" এটা একটা আশার বাণী। শেষ অবস্থা দেখেই মানুষকে বিচার করা উচিৎ। যাদেররকে নিয়ে অনেকে আশাবাদী যে, তারা জান্নাতে যাবে, আয়াতটি তাদের জন্য ভয়ংকর। দূর্বলদের জন্য আশাবাদী গ্রন্থ এটি।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: "চিন্তা বিষয়টা কেমন:" নিপুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু অসাধারণ লিখেছেন। মানুষ হেসে হেসে কথায় কথায় পাপ করে ফেলে
আমরাও করে ফেলি,
ছোট ছোট বিন্দুতে যদি হয় সিন্ধু
ছোট ছোট পাপে আমলনামাও একদিন পাপের সিন্ধুতে পরিণত হবে।

যতটুকু সম্ভব নিজেকে এসব থেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করা উচিত
ধন্যবাদ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: পাপ করার আগেই একধরণের ক্ষুদ্র অনিচ্ছা বা অনুশোচনার অনুভূতি হয়। সেই অনুভূতিকে সম্মান জানানো উচিৎ।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর আসল মজাই পাপে।
মদ খেয়ে পাপ করা আর বেশি আনন্দের।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: মদ খাওয়াতো বড় পাপ। সেটা কোন সমস্যা না। সেটা যে করে করুক। আমার কথা হচ্ছে ছোট পাপ এবং চিন্তার পাপ নিয়ে আমাদের ভুল ধারণার অবসান করতঃ পাপকে মাপার দাঁড়িপাল্লার পুনঃসংস্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.