![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
কখনো কখনো সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় মন,
দেহের সীমারেখা ভেদ করে আমি যেন বেরিয়ে যাই—
এই দেহের কারাগারে বন্দি আমি কতকাল?
এই মনের উঁচু প্রাচীর ভেঙে মুক্তির অপেক্ষায়!
হঠাৎ যদি অন্ধ হয়ে যাই—অন্ধকারে মিলিয়ে যাব আমি,
বধির হলে নৈঃশব্দের অতলে হারিয়ে যাব—
হাতে পায়ে বাজবে না কোনো শিকলের ধ্বনি,
একলা ঘরে, নিরবতা জুড়ে দিবস-রাত্রি যাপন।
অনন্ত ঘুমের দিকে মন টানে ,
গভীর অন্ধকারে ডুবে যেতে চায়,
যে ঘুমের পরে আর জাগরণ হবে না,
হায়! জন্ম যদি না হত এ কৃত্রিম পৃথিবীতে!
স্মৃতির পটে আঁকা আমি যদি বিলীন হতাম,
ফুসফুস, মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ডের নীল-রক্তের মায়ায়,
আমার স্নায়ুতন্ত্রের জাল, রক্তনালীর কারাগার,
যারা বন্দী করে রাখে আমাকে—পরাধীন করে রাখে।
স্মৃতি-বিস্মৃতির অসম্পূর্ণ প্রান্তর পেরিয়ে—
শূন্যের ভালোবাসায় বিচরণ,
আমি সেই শূন্য, সেই অবিরল শূন্য,
যেখানে কোনো রূপরেখা নেই, কোনো বাঁধন নেই—
এক পলকের জন্যও যেন আমি নিঃশেষ হই
দেহের জন্ম-মৃত্যুর ঝুলন্ত ছায়া থেকে মুক্ত হয়ে,
এই কারাগার ভেঙে, ঊর্ধ্বমুখী হয়ে,
অনস্তিত্বের আকাশে ছড়িয়ে পড়ি বর্ণহীনে, স্পর্শহীনে।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
সামিয়া বলেছেন: কবিতাটিতে জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর টানাপোড়েন দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। শব্দে শব্দে আছে বেঁচে থাকার যন্ত্রণা আর মৃত্যুর মধুর আকাঙ্ক্ষা। পড়তে গিয়ে মনে হলো এ যেন এক অদ্ভুত সত্য, যেখানে জীবনের তৃষ্ণা আর মৃত্যুর ডাক একসাথে মিশে গেছে। খুব গভীর, হৃদয়কে নাড়া দেয়ার মতো সৃষ্টি।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০৪
সামরিন হক বলেছেন: ভালো লেগেছে কবিতা।
শুভেচ্ছা কবি।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
সুব্রত দত্ত বলেছেন: বাহ্! মুক্তি তবু মিলে কই? শব্দচয়ন চমৎকার তবে আবেগের স্রোত বেশি মনে হলো।