শুধু নিশির জন্য......

২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৩২

নিশি আমি তোমায় ভালোবাসি । দুনিয়ার তাবৎ শক্তিকে হার মানিয়ে আমি তোমায় ভালোবাসি। আমার ভালোবাসা অব্যক্ত তা মুর্ত হইয়ে ঊঠে না কথার চালে চুম্বনের পঙ্কিল আনন্দে আর যৌনতার বিশাল সাগরে। আমার ভালোবাসা যে আর্ট। এটা একটা জয়লুল আবেদিনের আকাঁ দুর্ভিক্ষের ছবির মতো। একটা সাধারণ কথার ভাবে মুর্ত হয়ে ঊঠে অনেক কিছু। আজ আমি নিজ হাতে তোমায় বিদায় জানাবো। তোমার মানবী দেহ খানিকে। তোমার আত্মা আমার কবিতায় গানে লিখায় মুর্ত হয়ে উঠবে। আমি ভেবেছিলাম আমি মরে যাবো। কিন্তু না। আমি মরবো না। আমি তোমার জন্যি বাচঁবো। তোমার চুড়ান্ত পরাজয় দেখতে বাঁচবো। কোথায় গেলো তোমার সে কথা তুমি ছেলেদের ঘৃণা করো? ঠুনকো আত্ম সম্মান নিয়ে আমি বেড়ে উঠি নি। আমি জানি আমার অস্তিত্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার গন্ধ তোমার কথা তোমার হাসি লুকিয়ে আছে।



আমি কখনো মিথ্য বলি নি তোমায়। দেখায় নি তোমায় স্বর্গ রাজ্যের দুয়ার। দেখায় নি কোন অলীক তাসের ঘরের মতো স্বপ্ন। আমি বলতে পারবো না। আমি কে কবি। আমি রেশম গুটির মতো আমার কান্না আমার হাসি গুলো নিয়ে আমার চারিদিকে সুতো বুনে এসেছি। আমি বলতে পারিনি তোমাকে আমি তোমায় হিরের আংটি কিনে দেবো। আমি তোমায় খাওয়াবো সেরা দোকানের সবচেয়ে উচুঁ দরের খাবার। আমি তো তাদের মতো নাই। আমি যে পারি নে তোমার জন্য অন্যের লিখা কবিতার বুলি চুরি করে তোমাকে সামান্য সময়ের সুখ দিতে। আমি যে পারি নে তোমায় একটা ছাদের নিশ্চয়তা দিতে। আমি পারি পারতাম পারবো শুধু তোমায় ভালোবাসতে। কবি পরাজিত। আজ এখানে মিথ্যায় জয়ী হয়েছে। জয়ী হয়েছে দাম্ভিক ভালোবাসা যার একটা স্থাবর মুল্য আছে। কিন্তু মনের মুল্য এখানে শুন্য। আমি একজন যোদ্ধা একজন গেরিলা। কিন্তু তোমার জন্য যে আমি যুদ্ধ করতে পারবো না। আমি যে শুধুই কবি। আমি মুকুন্দ দাশ নই , আমি ভরত চন্দ্র ও নই। আমি শুধু তোমার কবি। দধিচি যেমন অসুর বধে দিয়েছিলেন তাঁর প্রাণ তার বুকের পাঁজর। আমি তা পারি নি। আমি দিয়েছিলাম আমার সাশ্বত সর্ব সত্তা। আমার আত্মা আমার পুত পবিত্র এক দেবতার মন। আমার ভালোবাসা হরমোন চেঞ্জের ফল ছিলো না। আমার ভালোবাসা ছিলো অব্যক্ত।

আমি আমার পথে আমার মতে ঠিক আছি। আমি তোমায় ঠকাই নাই। কিন্তু আমি এই বিশ্বাস রাখি তোমার ফিরে আস্তেই হবে। এই কবির কাছে তার কবিতার কাছে। কারণ কাব্যে যা সুখের অনুভুতি দেয় তাই বাস্তবে দেয় রক্ত ঝড়ানো কষ্ট। আমি তোমার জন্য কবিতা লিখবো। আমি তোমার জন্য গল্প লিখবো। তোমার জন্য লিখবো আমার যত গান। আমার ভালোবাসা এমন হালকা নয় যে তা একদিনেই মুছে যাবে। তা আমি না থাললেও গালিবের গজলের মতো থেকে যাবে লক্ষ দিন। গালিব আমার কথাই বলেছিলেন তার ভালোবাসার মানুষের জন্য।



ইয়া রব, ও না সামঝে হ্যায় না সামঝেংগী মেরী বাত

দে অর দিল উনকো জো না দে মুঝকো জবান অর।





এর বাংলা করলে তা দাড়ায় "



হে খোদা, সে না বুঝতে পারে আমাকে না বুঝতে পারবে আমার কথা...”





গালিব আরো লিখেছেন আমার কথা গুলোই



দিল হি তো হ্যায়, না সংগ ও খিস্ত, দর্দসে ভর না আয়ে কিউ

রোয়েংগে হাম হাজার বার, কোই হামেঁ সাতায়ে কিউ।।





এর অর্থদাড়ায়



এটাতো আমার মন, ইট পাথরতো নয়, বেদনায় ভরবে না কেন

আমি কাঁদবো হাজারবার, কেই আমায় উত্যাক্ত করে (কাঁদায়) কেন?





আমি গালিব নাই। আমি গালিবের মত এ রকম গজল লিখতে পারবো না। নিশি। তোমার জন্য আমি গালিবের এ লাইন্টাই বলতা পারি

"



আমি প্রশংসার কাঙ্গাল নই পুরস্কারের জন্যে লালায়িত নই আমার কবিতার যদি কোন অর্থও না থাকে তা নিয়েও আমার তোয়াক্কা নেই৷"







আমি তোমার জন্য লিখবো সে দুর্গম দিন গুলোর কথা যেখানে বাস্তবতা হানা দেয় অবাস্তবতার দিকে। আমি কখনো তোমাএ আশা দিতে পারবো না সুখের আমি শুধু দিতে পারি তোমায় এক মুঠো ভালোবাসার স্বপ্ন।

তোমার জন্য যদি আমি হাজার লাইন ও বলি তা হলেও তা শেষ হবে না। লক্ষ লাইন লিখলেও তা আমার চোখের পানি আর তোমার হাসির সমান ও হবে না। তাই আর লিখতে চাই না। অনেক লিখা হয়েছে। এইবার অপেক্ষার পালা। তোমার ফিরে আসার পথ চাওয়ার পালা।



সুরঞ্জনা অইখানে যেয়োনাকো তুমি

বলো নাকো কথা ও যুবকের সাথে





জীবনানন্দের এই লাইন দুটোয় তোমায় বলার আছে। আর কিছু বলবো না। আমার নিজের দুটো লাইন দিয়ে শেষ করি তোমার জন্য। আমার বন্ধুহীন জীবনে এই কবিতা গান ই আমার বন্ধু। আমার সব। আমার নিস্বব্ধতায় আমার না বলা চিৎকার আমার কবিতা। সে যাই হোক তা বুঝার মতো হৃদয় ইশ্বর তোমায় দেন নি।



কি দেবো তোমায় আমি ?

আমার পুরো অস্তিত্ত্ব জুরেই তো তুমি।

হাজার ফুলের বাগানে জয়নুলেরে ছবির গ্যলারিতে তুমি।



কি আছে আমার?

এই নিঃশ গরীব অনাথের কাছে আর কি আছে

কি আছে তোমায় দেবার। ঠুনকো ভালোনবাসা যে আমার জন্য নয়।



কি আছে বলার।

লক্ষ সমুদ্র শিঞ্চন করে অনা অমৃত

আমার রোচে না। তোমার অই হাসি ছাড়া...

হাজার ফুলে আজ তোমার ক্যরাভান এগিয়ে যাবে আমি

পেছনে থকবো বসে। শুধু তোমার প্রতীক্ষায়।

২ টি +০/-০