নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অখাদ্য ব্লগে স্বাগতম

হৃদয়ের স্পন্দন

লেখা টা আমার মনের খাদ্য, আপনার নিকট আমার লেখা মানেই অখাদ্য, আমন্ত্রণ অখাদ্য ব্লগে, ধন্যবাদ অখাদ্য পড়ার জন্য

হৃদয়ের স্পন্দন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধন্য পিতা

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৫

ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর

কাছে শুক্রিয়া আদায় করলো রহিম

মিয়া, নিম গাছে ডাল দিয়ে দাত

মাজবে এখন সে, তারপর যাবে পুকুর

ঘাটে, অজু করে নামাজ

পড়তে যাবে সে, এখনো আজান

দেয়নি, রহিম মিয়া আজানের সময় ঘুম

থেকে উঠলেও পারে, কিন্তু সে যখন

অজু করতে যায়, প্রায় সে সময় আজান

পড়ে, সে অন্য মুসল্লিদের

আগে গিয়ে মসজিদে বসে থাকে,

তার ধারনা সকাল বেলা সবার

আগে মসজিদে যেতে পারলে সারাদিন

সব থেকে ভালো ভালো কাজ

করা যায়, রহিম মিয়ার নামাজ শেষ,

বাসায় ফিরেই

রিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে পরলো রহিম

মিয়া, আজ সে কিশোরগঞ্জ

শহরে যাবে, একটা খেপ

পেয়েছে রহিম মিয়া, চেয়ারম্যান

বাড়ির বড় বেটি আইজ কাপড়

কিনতে যাইবো, প্রতি সপাতাহেই

যায়, রহিম মিয়া নিয়া যায় তারে,

আজো যাবে, রহিম মিয়ার বড়

বেটা কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল

কলেজে পড়ে, এক ফাকে তার

সাথে দেখা কইরা আসা যাইবো,

রহিম মিয়া যা কামায় তা তার

নিজের সংসার চালাইতেই লাগে,

পোলারে বিশেষ কিছু

দিতে পারেনা সে, পোলায়

নাকি ছাত্র পড়ায় এতেই তার চলে,

আর মেট্রিকে ভালো রেজাল্ট করায়

কলেজে তার

কোনো টাকা লাগেনা, তার

ছেলে একদিন বড় হবে, তখন আর তার

রিক্সা চালানো লাগবোনা, এসব

ভাবতে ভাবতে রিক্সার প্যাডেল

ঘুরাচ্ছে রহিম মিয়া, কিশোগঞ্জের

বড় মার্কেটের সামনে এখন রহিম

মিয়া রিক্সা দাড়া করাইসে,

চেয়ারম্যানের বেটি নামার সময়

রহিম মিয়ারে ১০০

টাকা দিছে কইসে চা খাইতে হের

আইতে এক দুই ঘন্টা লাগবো, রহিম

মিয়া আবার তার কাছ

থেইকা অনুমতি নিছে, আফা খেপ

পাইলে দুইডা খেপ মাইরা আহি?

চেয়ারম্যানের

বেটি কইসে ভাড়া পাইলে যায়েন

তয় তাড়াতাড়ি আইসা পরবেন,

পাশের চায়ের দোকানে রহিম

মিয়া চা খায়, রিক্সা দাঁড়ানো,

একটা মেয়ে এসে জিজ্ঞাস

করলো রিক্সা কার? রহিম

মিয়া কইলো আফা আমার? কই

যাইবেন? চলো বলেই

মেয়েটা রিক্সাটায় উঠে বসলো,

রহিম মিয়া চার দাম

দিয়ে জিগাইলো আবার আফা কই

যাইবেন? কলেজ গেট যাও, রহিম

মিয়া কলেজের

দিকে যেতে থাকলো, হটাথ

মেয়েটি বললো থামো মামা। রহিম

মিয়া রিক্সা থামালো, মেয়েটির

পাশে একটি ছেলে বসেছে, রহিম

মিয়া দেখেনি ছেলেটিকে,

তারা কথা বলছে আবেগময়

কথা ছেলের কন্ঠ টা রহিম মিয়াত

পরিচিত মনে হতে লাগলো,

কেনো জানি মনে হচ্ছে রিক্সা থেকে নামার

পর রহিম মিয়া দেখবে এটা তার ই

ছেলে, এরা একজন অপরজন

রে ভালোবাসি বলতেছে,

ছেলেটি একপর্যায়ে মেয়েটিকে বললো আচ্ছা জানু

তুমি কি সত্যি আমায় ভালোবাসো?

মেয়েটিঃ হ্যা

আমার বাবা যদি রিক্সা চালায়

তুমি কি মেনে নিবে?

হ্যা নিবো কেনো না?

তুমি এখন যার রিক্সায়

বসে আছো সে আমার বাবা

এবার রহিম মিয়া রিক্সা থামায়,

ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে সেটা আসলেই

তার ছেলে, মেয়েটি হনহন

করে নেমে চলে যায়, রহিম মিয়াও

রিক্সা থেকে নেমে গামছা দিয়ে ঘাম

মুছতে থাকে নিজের, কিছুই

বলেনা সে, রহিম মিয়ার

ছেলে রিক্সার চালকের আসনে বসে,

বাবা তুমি পিছে উঠ বসো,

আমি গর্ববোধ করি আমার

বাবা নামাজ পরে, রিক্সা চালায়

চুড়ি করেনা, রহিম মিয়ার

মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠে

সত্য কিনা জানিনা, গুরুদয়াল

কলেজের এক ছোটো ভাই

আমাকে বললো, এটা নাকি তার এক

বন্ধুর জিবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা,

আমি একটু ভিন্নতা আনার

চেষ্টা করেছি মাত

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০৭

অপ্রতীয়মান বলেছেন: মেয়েটা হন হন করে চলে যায়.......


এত ভালবাসা আর এই হচ্ছে অবস্থা। পরিচয় যাই হোক পিতা-মাতা সবার আগে। আর এমন পিতার ছেলের প্রতিও স্যালুট যে সত্যিকার অর্থেই পিতার সম্মান বুঝতে পারে।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২০

হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: সহমত , আমার ও উনার প্রতি সম্মান এবং স্যালুট

২| ৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫১

সকাল হাসান বলেছেন: ভাল লাগল ঘটনাটা।

সুন্দর করে লিখেছেন।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২১

হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করাতে।

ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.